নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিব হাসনাইন

নাম সাকিব। পড়ি কলেজে। প্রযুক্তিকে ভালবাসি। আমার ব্লগঃ http://tunersakib.blogspot.com/

সাকিব হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নি (হুমায়ন আহমেদ, সায়েন্স ফিকশন রিভিউ)

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২




নি। হুমায়ন আহমেদ এর লেখা আরেকটি সায়েন্স ফিকশন। তার অন্যান্য সায়েন্স ফিকশন লেখার মতই এতেও রয়েছে সামজিকতা ও প্রেমের সাথে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চমৎকার মিশেল।
নীলগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের সায়েন্স এর শিক্ষক মবিনুর রহমান। বয়স ছত্রিশ/সাতত্রিশ। থাকেন স্কুলের দপ্তরী কালিপদের সাপখোপ ভরা একটি বাসায়। খুবই সিরিয়াস ধরণের বিজ্ঞানমনষ্ক আত্মভোলা টাইপের মানুষ। গল্পের মূল চরিত্রই উনি। তাকে ঘিরেই এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী।
একদিন রাতে তিনি ঘুমের মাঝে কয়েকজন বৃদ্ধ লোককে স্বপ্নে দেখেন তারা নিজেদের নি বলে পরিচয় দেয়। তারা তাকে আরও জানায় মবিনুর রহমান নিজেও একজন নি। নি দের রয়েছে প্রচন্ড ক্ষমতা। স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা। সাধারণ মানুষের থেকে নি দের ক্রোমোসোম একটি বেশি থাকে। তাদের স্বপ্ন অন্য সত্যি হয় অন্য কোন জগতে। অন্য কোন মাত্রায়। প্রকৃতির প্রিয় সন্তান হল নি। এরপর থেকেই শুরু হয় ঘটনাপ্রবাহ।
গল্পের আরেকটি চরিত্রের কথা না বললেই নয়। রূপা, গল্পের নায়িকা। আজমল সাহেবের বড় মেয়ে। এস.এস.সি পরিক্ষার্থী। মবিনুর রহমান রূপার প্রাইভেট টিউটর। রূপা মবিনুর রহমানকে প্রচন্ড ভালবাসলেও আত্মভোলা মবিনুর রহমান এ ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন।
মবিনুর রহমান থাকতেন নিজের মত। নদীর পাশে একটি ভাঙা ঘরে। তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি নৌকাও কিনেছিলেন। তার প্রিয় কাজ ছিল দূরবীন দিয়ে শনির বলয় দেখা এবং নৌকায় বসে বসে নদী দেখা। প্রায়শই দেখা যেত তিনি পুরো রাত নৌকাতেই কাটিয়ে দিয়েছেন।
আত্মভোলা মবিনুর রহমান সবাইকে সরল মনে বিশ্বাস করতেন। তার সরলতার সুযোগে হেডমাস্টার তাকে গম চুরির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেন। এদিকে রূপার বিয়ে আরেকজায়গায় ঠিক হলে সে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে সে মবিনুর রহমানকে ভালবাসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রূপার বাবা আজমল সাহেব পুলিশের মাধ্যমে মবিনুর রহমানকে অপদস্ত করেন। কিন্তু পুলিশ অবশেষে মবিনুর রহমানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কারণ, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
মবিনুর রহমানকে ছাড়াতে মূল ভূমিকা রাখে জেবা। জেবা রূপার ভাইয়ের মেয়ে। জেবাও একজন নি। সে তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মবিনুর রহমানকে মুক্ত করায়। এদিকে নদীর ভাঙনের সময় রূপার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ সংবাদে মবিনুর রহমান প্রচন্ড আঘাত পায়। সে সিদ্ধান্ত নেয় তার ক্ষমতা ব্যবহার করে রূপাকে সৃষ্টি করার। নি রা তাকে বারবার সাবধান করে দেয়। কারণ, একজন নি নিজ জগতে কোন পরিবর্তন ঘটালে প্রকৃতি তা সহ্য করে না। ভয়াবহ শাস্তি দেয়......
শেষ পর্যন্ত কি মবিনুর রহমান রূপাকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলেন? প্রকৃতি তাকে কি শাস্তি দেয়?
প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে পড়ে দেখতে হবে বইটি। সংগ্রহে রাখার মত চমৎকার একটি বই।



সৌজন্যেঃ টিউনারসাকিব.ব্লগস্পট.কম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.