নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবর্ন স্বপ্নাবলী নিয়ে অর্ধ জীবন্ত এক অস্তিত্ব আমি। খুব সতর্ক পায়ে হেটে চলি এই ভূমন্ডলে ও স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি শূন্য পানে নিজের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা খুঁজতে।

সাকিব শাহরিয়ার

আমি সাকিব শাহরিয়ার। যেহেতু পৃথিবীর বুকে নিজের অস্তিত্ব অনুভব করি সেহেতু আমি একজন মানুষ। তবে বিবেকের কাঠ গড়ায় দাড়ালে কতটা হতে পেরেছি তা বলতে পারি না। তবুও আমি একজন মানুষ বা মানুষ হওয়ার প্রত্যাশায় তপস্যা রত এক সত্তা বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতেই বেশি সম্মান বোধ করি।

সাকিব শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্বের অন্তরালে: ১

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

এই বীভৎস নগরে এক পথভোলা পথিক আমি। যেন নিসঙ্গ মরুর বুকের পথ হাতড়ে বেড়ানো এক মুসাফির। মরুর ধূলি ঝড়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত আমি চোখ বুজি। তখনি আবাক কে, কে তুমি?

- আমি? আমি তোমার পথের পথিক।

- আমার তো কাউকে দরকার নেই আমি একলা চলতে পারি।

- হ্যা তা তো দেখতেই পাচ্ছি।

- কি দেখতে পাচ্ছো?

- তোমার দু’টো লাল চোখ। একটা শুকনো মুখ। কতদিন ঘুমাও নি?

- তাতে তোমার কি? যাও ভাগো, বিরক্ত করো না তো।

- কেন তোমার প্রবাল লাগবে না বুঝি?

- প্রবাল !!! আশ্চর্য তুমি জানলে কিভাবে?

- কারন আমি যে তোমার অপেক্ষায় আছি।

- মরুভূমিতে কি মাল পাওয়া যায় নাকি? লাল পানি?

- সাদা পানিই তো পাওয়া যায় না লাল পানি পাবে কোথায়?

- তাহলে তুমি কি খেয়েছো? গাঞ্জা? না তাড়ি?

- আমরা জাগতিক নেশা ফেশার উর্ধে। জাগতিক কোনো কিছু আমাদের তেমন আকৃষ্ট করতে পারে না।তোমার চোখদোটু খুব লালা দেখাচ্ছে, এভাবে না ঘুমালে অসুখ করবে। আমার কাছে আস আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দেব তুমি ঘুমিয়ে পড়বে।

- আহা যাও তো ভাগো, আমকে বিরক্ত করো না, আমি জানি তুমি কেউ না। তুমি আমার কাল্পনিক সত্বা।

- আচ্ছা হলাম, তাতে তুমি বিরক্ত হচ্ছো কেন?

- তুমি এতো কথা বলো কেন? আবার কেমন যত্ন নিতে আসো। আমি এসব ন্যাকামি মোটেও পছন্দ করি না।

- তোমার একটু যত্ন নেব বলেই তো জাতিশ্বর অনন্ত কাল ধরে আমাকে এখানে বসিয়ে রেখেছে।

- ফালতু কথা বলো না তো, আমার কাছে পয়সা পাতি কিছু নাই। আর আমি তোমার খদ্দের না।

- হা হা হা হা তোমাদের দুনিয়ার পয়সা পাতির কোন মূল্য নেই আমাদের কাছে। অথচ তোমরা কুকুরের মত ছোটো এসবের পিছনে। আমার খুব হাসি পায় তোমাদের দেখলে। বাদ দাও তুমি একটু হাসবে?

- না।

- আচ্ছা আমার দিকে একটু তাকিয়ে থাক, দেখবে তোমার চোখ ঘুমে বুজে আসবে।

- সেরেছে রে, এই কি চাও তুমি আমার কাছে? মানে মানে বলে ফেল।

- না বললে কি অপমান করবে? করনা একটু? দেখি তুমি কেমন পার।

- কেমন বেহায়া মেয়েরে বাবা, তোমার মান ইজ্জতের ভয় নাই?

- নিজের মানুষ কে বুঝি কেউ ভয় পায়? পরমেশ্বরের কাছে অনন্তকাল ধরে প্রার্থনা করেছি তোমার জন্য। তোমার দর্শনেই তো আমার নারী জীবনের পূর্ণতা প্রাপ্তি।

- তোমার এইসব ডা্য়লগ আউড়ানো শেষ হবে কখন?

- যতক্ষণ না তুমি প্রবাল পাচ্ছো।

- প্রবাল !!!!! তুমি জানলে কি করে?

- তুমিই তো বললে আমি তোমার কাল্পনিক সত্বা তাহলে তোমার কল্পনা আমি জানব না কেন?

- আচ্ছা তুমি কে বলো তো?

- কেন তোমার কল্পনা। যে তোমার আগমন প্রত্যশায় ধ্যাণ মগ্ন। আমি তোমার সময়, তোমার কর্ম বা তোমার অনুভুতিও হতে পারি। যে নতুন জীবন পায় তোমার প্রতিটি চিন্তায়।

- ভন্ডামি ছাড়ো তো, কেন তুমি জানো না তুমি কে?

- জটিল প্রশ্ন, তুমি জানো তুমি কে?

- আমি !!!! আমি অনিমেষ।

- কে বলেছে, তুমি অনিমেষ?

- কে কে কে বলল! ধ্যাত বাদ দাও আমি কিছু মনে করতে পারছি না। কিন্তু আমি জানি আমি অনিমেষ।

- কতদিন ধরে?

- আমার জন্মের পর থেকেই তো, অহ না আমার নাম রাখার পর থেকে।

- তার আগে তোমার নাম কি ছিল?

- ধুর তোমার পক পক বন্ধ করবে? আমার মাথা জ্যাম হয়ে গেছে। আমি অনিমেষ এটাই ফাইনাল।

- আমি যে শত বছর ধরে তোমাকে মৃন্ময় বলে ডাকি?

- এখন কেউ যদি কয়েক কোটি বছর ধরে আমাকে বল্টু বলে ডাকে, তাইলে কি আমি বল্টু হয়ে যাব?

- তা সবার কাছে না হও তার কাছে তো তুমি বল্টুই, তাই না?

- হুম তা ঠিক। তার মানে তোমার কাছে আমি মৃন্ময়?

- জি সোনা বাবু।

- আমি আবার তোমার সোনা বাবু হলাম কবে?

- আমি যা বলি তাই তো আমার কাছে তুমি, তাই না?

- না। কারন আমার ও তাতে সম্মতি থাকতে হবে।আমি যদি তোমার মত দাঙ্গর মেয়েকে কুলুমনি বলে ডাকি তাইলে তোমার ভালো লাগবে?

- আদর করে ডাকলে খারাপ লাগবে কেন?

- তোমার পাকনামি খুবই বিরক্তিকর, এটা জানো তুমি?

- বাব্বা আমার সোনা বাবু রেগে যাচ্ছে। এতো রাগ কেন তোমার বাবু?

- চুপ পাকনি বুড়ি কোথাকার, চুপ। আমার খুব ক্লান্ত লাগছে। ধূলি ঝড় কি থেমে গেছে?

- ধূলি ঝড় আবার আসল কখন?

- কেন তুমি আসার আগেই তো চারদিক অন্ধকার করে আসল। তুমি দেখনি?

- কি জানি আমি তো তাবু তে ছিলাম।

- তাবু? তোমার তাবু আছে?

- হ্যা, থাকবে না কেন? আমি কি খোলা আকাশের নিচে তোমার জন্য শত বছর ধরে অপেক্ষা করব নাকি? চল তাবুতে তোমার জন্য কত কি করে রেখেছি আমি।

- না আমি যাব না।

- সোনা বাবু চলো। এই দেখ ধূলি ঝড় শুরু হয়ে গেছে। এখানে থাকলে মারা পড়বে। সব সময় গোয়াড়তোমি ভালো লাগে না।

- আচ্ছা চলো।

- দেখতো ধূলা-বালিতে কি হয়ে আছে চারপাশ, তুমি আসবে জেনেও আমি কিছুই গোছাই নি। আমি একটা গবেট। এই যে আমার বিছানা তুমি শুয়ে পর আর ছুতে হবে না, শুধু আমার দিকে একটু তাকিয়ে থাক এক পলকে, চোখের পলক ফেলবে না কিন্তু।

- কেন? আমি তোমার দিকে কেন তাকিয়ে থাকব?

- তুমি বড্ড বিরক্ত করছো বাবু। আহা তাকাও তো আমার দিকে।

- এই প্রথম তার দিকে ভালো করে তাকালাম, এক অপার্থিব সৌন্দর্য্যে চোখ বুঝে এল।

(চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চালিয়ে যান

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইরফান আহমেদ বর্ষণ

২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

মায়াবী ছায়া বলেছেন: হুম ... বাকি টুকু পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।।

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী ছায়া

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

আর.হক বলেছেন: ব্যাক গিয়ারে এসে হাবিজিবি চিন্তা ১ পড়লাম

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ামি ও ব্যাক গিয়ারে এসে কমেনট করছি। হাবিজাবি চিনতা ৪ না পড়ে কিছুই বুঝতে পারবেন না..। ধন্যবাদ আর.হক ব্যাক গিয়ারে এসে হাবিজিবি চিন্তা ১ পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.