নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোঁড়ামিকে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। ছোট মানসিকতাকে আমি এড়িয়ে চলি।

কুর্‌সি বকুল

ভালবাসি।।।

কুর্‌সি বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তামার বিষঃ আব্দুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২

আঙুল ফুলে কলা গাছ। অনেকে হয়েছে, হচ্ছে, সামনে হবে। সেরকম একজন আব্দুল কাদির মোল্লা সাহেব। যে লোকটি ৩৬০ টাকা জোগাড় করে এইস এস সি পরীক্ষা দিতে পারেন নি, তিনি এখন কোটিপতি। শুধু কোটিপতি না, কোটি টাকা দান খয়রাত করেন, মানবসেবায় ব্যয় করেন। টাকা থাকলে আর মন থাকলে এটা করতেই পারেন। ভাল কাজ।
এর মানে তিনি অনেক কিছুর উর্ধে না। টাকা অনেক কিছুরই নির্ণায়ক নয়।এটা প্রতিষ্ঠিত রাখতে হবে। বিশেষকরে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আঙুল ফুলে কলাগাছ বললাম এই জন্য যে, তার টাকা হওয়ার গল্প টার জন্য। অনেকে ফেইসবুকে বলছেন, তিনি তিতাসে দুর্নীতি করেছেন, বিদেশে গিয়ে কি কি করেছেন ইত্যাদি। এ গুলোর ভিত্তি নেই। তবে তিনি বলেছেন, ‘.. এ মিলের উৎপাদন চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্ববাজারে সূতার দাম কয়েকগুন বেড়ে যায়। এর ফলে ওই সময় স্পিনিং ব্যবসায় আমি বিশাল অঙ্কের লাভ খুঁজে পাই। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আমাকে আর পিছু তাকাতে হয়নি।’ আর এই জন্যই বললাম...আঙুল ফুলে কলাগাছ।
এরকম কলাগাছ এর উদাহরণ আমাদের আশে পাশে অনেক আছে। zero থেকে hero । মেধা খাটিয়ে পরিশ্রম করেছেন, তাই সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাদের টাকা income এর পথে মানী বা অনুসরণীয় হতে পারেন। নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে না।
হুম তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে অব/দান রাখতে পারেন। খুব ভাল কাজ। যেমন চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন,বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন। এটা তার ইচ্ছা ছিল।

আলোচনা হচ্ছে জাবি র আব্দুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার নিয়ে




হঠাৎ বিত্তবান একটা লোকের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণ! এটা কিভাবে সম্ভব? এজন্য প্রশাসন ও ফাউন্ডেশন উভয়ই দায়ী।

মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনঃ মোল্লা সাহেব বলেন, মনে একটা সংকল্প ছিল-জীবনে যদি কখনো অনেক টাকা রোজগার করি, তাহলে জীবন চালানোর পর যত টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, তা মানবকল্যাণে ব্যয় করব। টাকার অভাবে শিক্ষাবঞ্চিত হতে দেব না কাউকে।'
কথা হচ্ছে, কনভেনশন সেন্টারে কি শিক্ষা দান করা হয়? কনভেনশন সেন্টার কেন? যদি ব্যয় করার ইচ্ছা থাকে ত সরাসরি শিক্ষাক্ষেত্রেই করেন। জাবির student রা library পড়ার ছিট পায় না। অনেক department এ পর্যাপ্ত classroom নাই। প্রায় সব হলেই reading room নাই। কিছু দরিদ্র student টাকার অভাবে ঠিকমত পড়তে পারে না। library তে পড়ার বই নাই, lab এ instrument নাই।এসব ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে কনভেনশন সেন্টার এর চিন্তা টা কেমন উদ্ভুট হলো না?? নাম ফুটানোর ফালতু চেষ্টা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনঃ যার ধন আছে, সে দান করবে। এটা খুব ভাল। কিন্তু এই মানে, তার নামে নামকরণ করতে হবে, এটা মানা যায় না। বাংলাদেশে এরকম শত শত মোল্লা সাহেব আছেন, যারা অনুদান দিয়ে থাকেন। তাই বলে তার নামে নামকরণ করতে হবে। শুধু টাকা দিয়ে কি এটা হয়? তিনি কোথায় পড়েছেন, কি আবিষ্কার করেছেন, কি দর্শন সৃষ্টি করেছেন?
জাতির জনক, সালাম-বরকত,ববীন্দ্রনাথ, শেখ হাসিনা. ...জহির রায়হান, সেলিম আল দীন.. .টাকা দিয়ে কি তাদের কাতারে যাওয়া যায়??
সম্ভব? তাহলে মহান ব্যক্তিরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে, টাকার কাছে।।
হুম, এটা হতে পারত অন্য ভাবে।যেমন..
"সেলিম আল দীন কনভেনশন সেন্টার" অর্থায়নে - মজিদ মোল্লা ফাউ..
আপনাদের কাছে এরকম হলে জাতি কার কাছে কি আশা করবে..
তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, টাকার কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি!!!!অর্থের বহুত খেমতা!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অর্থের বহুত খেমতা

সহমত।

এটাই এখন সমাজের চিত্র

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হঠাৎ বিত্তবান একটা লোকের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণ!

এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হবে না কনভেনশন সেন্টার হবে।

যে দেশে মেধার মূল্য থাকে না সেখানে এটা স্বাভাবিক।

আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবী আছে কিন্তু তাদের টাকা নেই, আর যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীর টাকা আছে তাদের দান করার মানসিকতাও নেই। তাদের দান করার নজির বিরল।

আপনি অনেকগুলো ( জাতির জনক, সালাম-বরকত,ববীন্দ্রনাথ, শেখ হাসিনা. ...জহির রায়হান, সেলিম আল দীন.. .টাকা দিয়ে কি তাদের কাতারে যাওয়া যায়??) মৃত্যু মানুষের মাঝে একজন জীবিত মানুষ (প্রধানমন্ত্রী) কে ইনপুট দিলেন।

আপনি আব্দুল কাদির মোল্লা থেকে একধাপ পিছিয়ে আছেন।



১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

কুর্‌সি বকুল বলেছেন: আপনি যা বলেছেন, না জেনেই বলেছেন। আমি যে নাম গুলোর কথা বলছি, সেটা জীবিত মৃত এর বিষয় না। তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনা আছে। এটা জানতে হবে।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি যে সমস্ত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিয়েছেন তার মধ্যে সবাই মৃত কিন্তু তাদের নিয়ে তেমন কোন দ্বি-মত নেই। শেখ হাসিনা যদি মারা যান তার নামে বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্থাপনা এবং কি কয়েকটি বিশ্ব বিদ্যালয় থাকলেও দ্বিমত হবে না কারণ, তার লেভেলের চেয়ে নিচে অনেক ব্যক্তিদের নামে বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্থাপনা আছে।

কিন্তু শেখ হাসিনা যেহেতু জীবিত এবং তিনি যেহেতু একটি রাষ্ট্রীয় এবং দলের বড় পদে বর্তমানে কর্মরত আছেন সেহেতু তার নাম আসাটা বর্তমান সময়ে আপনার পোষ্টের মূল্য কমিয়ে দেয়। কারণ, তার যেমন শুভকাঙ্খী আছেন তেমন অধিক সমালোচক আছেন।

তাই এই সমস্ত বিষয়ে বর্তমানে জীবিত থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এড়িয়ে গেয়ে অন্যান্য ব্যক্তিদের উল্লেখ করা যেতে পারে;
যেমন:

যেমন,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নবনির্মিত নতুন ছাত্রী হলসহ বিদ্যমান, নির্মাণাধীন ও নির্মিতব্য ভবনগুলোর নতুন নামকরণ দেখলে সেটি আপনি বুঝতে পারবেন: নতুন ছাত্রী হল- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ১নং একাডেমিক ভবন- ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, ২নং একাডেমিক ভবন- আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, ৩নং একাডেমিক ভবন- কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন, ১০তলা একাডেমিক ভবন (নির্মিতব্য)- জয় বাংলা ভবন, নতুন প্রশাসনিক ভবন- শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন, অডিটেরিয়াম/টিএসসি (নির্মিতব্য)- লালন সাঁই মিলনায়তন, অতিথি ভবন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন, লাইব্রেরি ভবন- কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, আইইআর (নির্মিতব্য) ভবন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, মেডিকেল সেন্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম (নির্মিতব্য)- সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম, সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাব- আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, ১০তলা আবাসিক ভবন (নির্মিতব্য)- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ভবন, প্রফেসর/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবন, সহযোগী অধ্যাপক/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমাদ্দার ভবন, সহকারী অধ্যাপক কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ভবন এবং লেকচারার/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. রাশেদুল হাসান ভবন।



আমি সেটি বুঝাতে চেয়েছি।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাদের সমস্যা কোথায় আমি বুঝতে পারছি। আব্দুল কাদির মোল্লা সমাজের নিচু তলা থেকে উঠে এসেছেন তাই আপনাদের ভালো লাগেনি। না লাগাটা স্বাভাবিক। কারণ; যে লোকটি ৩৬০ টাকা জোগাড় করে এইস এস সি পরীক্ষা দিতে পারেন নি, তিনি এখন কোটিপতি। এটা পূর্বেকার এলিট কোটিপতিদের মুখে ছাই দিয়েছে। কারণ তারা সমাজে কোটি পতি ছিল কিন্তু সমাজ সেবা করতে পারেনি। কিন্তু নিচু তলার আব্দুল মজিদ মোল্লা কোটি হয়েছে এবং তিনি নিজের নামে জনসেবা করছে।

কোটি পতি কিংবা ব্যবসায়ীদের নামে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভবন নতুন কিছু নয়। কারণ এর আগেও কোটিপতি ও ব্যবসায়ীদের নামে বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্থাপনা এবং অনুষদ হয়েছে। যেমন চট্টগ্রামে এ কে খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কে খান আইন অনুষদ নির্মিত হয়েছে। তখন কেউ মুখ খুলেনি। কারণ; এ কে খান ছিলেন কোটি পতিদের থেকেও কোটি পতি।

আমাদের মন মানষিকতা পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি আছে যারা ভোটের আগে জনসেবার কথা বলে নির্বাচিত হয়ে দুর্ণীীত করে আ্ঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হন। তাদের নিয়ে সমাজের মাথা ব্যাথা নেই। তাদের সবাই তোয়াজ করেন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আব্দুল কাদের মোল্লা - নামটি আপত্তিকর।
বানান কাদির হলেও বহুল আলোচিত সেই কাদের মোল্লা কথাই মনে করিয়ে দেয়।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৬

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, এখন কি দুনিয়ার সকল কাদের কে দালাল নামে রি্প্লেস করতে হবে? সকল জাফর তাহলে মীরজাফরকেই মনে করিয়ে দিবে?

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০

বটপাকুড় বলেছেন: উনি টাকা দিয়েছেন, তাই ওনার নামে কনভেনশন সেন্টার এর নাম দেয়া হয়েছে। এতে সমস্যা কোথায়? আমাদের পাশের দেশের আইআইটিগুলো এক সময় টাটা কোম্পানি এর চিন্তার ফসল ছিল। আমি তো এটাকে অনেক ইতিবাচক হিসাবে দেখি। কারণ আমাদের দেশে ধনী লোকজন সমাজসেবার কাজে তেমন টাকা ব্যয় করে না, সেখানে এটা অবশ্যই ভালো উদাহরণ। বাকী ধনীরা কিংবা বুদ্ধিজীবীরা তো সেই রকম কোন সমাজসেবার নামই নেন না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.