![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম ১৯৮৩ সালে প্রণীত হয় যা ১৯৮৪ সালে কার্যকর হয়েছে। ১৯৮৪ সালে অধিদপ্তরের অধীনে ৪টি বিভাগীয় কার্যালয়, ২১টি জেলা শিক্ষা অফিস, ১০৫টি সরকারি কলেজ, ১০টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ৩টি সরকারি মাদরাসা এবং ১৭৪টি সরকারি স্কুলসহ সর্বমোট ২৯২টি প্রতিষ্ঠান ছিল। এছাড়া ঐ সময়ে মাত্র ১০৬ কোটি টাকা সরকারি অনুদান প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা'র কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রিত হত এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে।
বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ৯টি বিভাগীয় কার্যালয়, ৬৪টি জেলা শিক্ষা অফিস, ৫১৬টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, ৬৮৬টি সরকারি কলেজ, ৭০৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৪টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), ২০2৪ এর তথ্য অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১,২৩২টিং-এর মধ্যে স্কুলের সাথে কলেজ রয়েছে ১৫১৪ টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২,৯৩,২৮৯ জন এবং ৯০,৬৩,৪২২ জন। ১৯৮৪ সালে অধিদপ্তরের ২৩৫ কোটি টাকার বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় মোট ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত মাত্রায় সেবা নিশ্চিত করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। শিক্ষা কাঠামো ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা জরুরী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) কর্তৃক আয়োজিত 'Impact Analysis on Education Governance and Management' শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে 'বিয়াম ফাউন্ডেশন গবেষণা ও পরামর্শ সেবা কেন্দ্র' (বিএফআরসিএসসি) একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। উক্ত প্রতিবেদনে শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনার বর্তমান কাঠামোর পরিবর্তে 'মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর' এবং 'উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর' হিসেবে দু'টি পৃথক অধিদপ্তর সৃজন করার পরামর্শ প্রদান করা হয় (সংলাগ-১)।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সচিব-সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগকে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য মার্চিং অর্ডার প্রদান করায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সময়াবদ্ধ সংস্কার পরিকল্পনা দাখিল করা হয়। উল্লিখিত প্রস্তাবনাসমূহের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে 'মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর' এবং 'উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর'-এ দু'টি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (সংলাগ-২)।
এছাড়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জানুয়ারি ২০২৫ এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিক্ষা সার্ভিসের সংস্কারের জন্য নিম্নরূপ বিশেষ সুপারিশ করা হয়েছে (সংলাগ-৩)
“পৃথক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে মাধ্যমিক বিভাগকে পৃথক করে আলাদা 'মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর' প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা অঙ্গীভূত থাকার কারণে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে না এবং ক্রমেই মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান হাস পাচ্ছে। তাই এটি আলাদা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।“
২০০৩ সালে শিক্ষা বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং স্বতন্ত্র অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম কি হবে তাও কমিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
সুপারিশে ৯ নং ক্রমিকে জেলা শিক্ষা অফিসারে পদকে উপপরিচালক এর সমমর্যাদার ক্ষমতা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় ১৯ নং ক্রমিকে বলা হয়েছে শিক্ষকদের ক্যারিয়ার উন্নয়নের পথ খোলা রাখতে হবে। শিক্ষকতা যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মসম্পাদন দক্ষতার মাধ্যমে তারা যেন উচ্চতর পদে উন্নীত এবং নিয়োগ পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দ যাতে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে এবং পরিচালক পদেও নিয়োগের সুযোগ পেতে পারেন তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতো চমৎকার একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং ইতিবাচক এতো গুলো সুপারিশ থাকার পরেও মাধ্যমিক শিক্ষা, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে আলাদা একটি অধিদপ্তরের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া স্যার এর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের (২০০৩) সুপারিশের ২ নং ক্রমিকে বলা হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তত্ত্বাবধান, প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করা কাম্য। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্য অধিদপ্তর গঠন করে সেখানে ন্যস্ত করা যেতে পারে। অর্থাৎ এখানে মাধ্যমিকের জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তরের সুপারিশ করা হয়েছে। উক্ত সুপারিশে ৫ নং ক্রমিকে আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয়কে পরিচালক (মাধ্যমিক) পদ সৃষ্টি করে সেখানে মাধ্যমিকের শিক্ষক- কর্মকর্তাদের পদায়নের কথা বলা হয়েছে।
মাধ্যমিকের জন্য আলাদ অধিদপ্তর গঠনে সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করেছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জয়া। যা তাঁর দুইমেয়াদের কার্যক্রমে লক্ষ্য করা যায় তাই একে কিছুতে ফ্যাসিবাদী সরকারের কাজ বলে তয়াগ লাগানোর সুযোগ নেই। যেমন বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রীদের কলেজ প্রীতির কারণে (ভবনের শাহেদুল খবির চৌধুরী ও চাঁদপুরের কলেজ অধ্যক্ষ রতন গং দের ) মাধ্যমিকের উন্নয়নে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি।
বেগম খালেদা জিয়ার সরকার পক্ষ থেকে কমিশনকে যে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছে তা উল্লেখ করে ভূমিকায় লিখেন যে, “একথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক যে ১৯৯১-৯৬ সালে এবং পুনরায় ২০০১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বি.এন.পি সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার সুফলও দৃশ্যমান হচ্ছে। এ সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সেগুলির সমাধানকল্পে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে। আমাকে শিক্ষা কমিশনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এ কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত করে আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন সেজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের নিকট কৃতজ্ঞ। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী ডঃ এম. ওসমান ফারুক, প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব আ.ন.ম এহছানুল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকলে আমাকে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। আমি সবার ঋণ অকুণ্ঠচিত্তে স্মরণ করছি।“
২০০৩ সালের শিক্ষা কমিশনের পর গঠিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ সুস্পষ্টভাবে মাধ্যমিকের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা কমিশন ২০০৩ অর্থাৎ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া স্যারের কমিশনের সুপারিশ ও শিক্ষানীতি ২০১০-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা
নানাবিধ বঞ্চনার ফলে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত যতগুলো শিক্ষা কমিশন, শিক্ষার রিপোর্ট, শিক্ষা আইন দেশে প্রণয়ন করা হয়েছে তার সবকটিতেই মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা থাকা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর করা হয়নি। অথচ অনেক পূর্বেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদ করা হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে শিক্ষা খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর মাধ্যমিক স্তরের জন্য স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর করা হচ্ছে না। যার ফলে নানা ধরনের বঞ্চনা আর বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর । নেই কোন সঠিক নিয়োগ বিধিমালা, নেই যৌক্তিক পদসোপান। দেশের প্রায় সাতশতাধিক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক প্রধান শিক্ষক, পাঁচ শতাধিক সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য, ৩৩ জেলায় জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রায় সকল সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য। দেশে ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে ২২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক স্তরের। অথচ শিক্ষাভবনে বিশাল মাধ্যমিক স্তরের জন্য মাত্র তিনজন মাধ্যমিক স্তরের কর্মকর্তা আছেন। যার মধ্যে একজন উপ-পরিচালক ও দুইজন সহকারী পরিচালক। শিক্ষা ভবনে মাধ্যমিকের কর্মকর্তা কর্মচারী সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থা। শিক্ষাস্তরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্তর মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিদপ্তর আলাদা করার কোন বিকল্প নেই।
এমতাবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রিপদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ দেশে গুণগত মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে মাধমিক স্তরের এই বিশাল ক্ষেত্রের জন্য একটি আলাদ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এই স্তরে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আগ্রহী করার জন্য শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড ধরে একটি পদসোপান তৈরিতে জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এই পরিষদ ৬৪ জেলায় মানব বন্ধন ও সকল জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ও দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দাবি সম্বলিত ব্যানার টাঙ্গিয়েছে।
(বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত)
অতএব, গুণগত মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ও এই স্তরে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আগ্রহী করতে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রিপদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নে আপনার সদয় সম্মতি কামনা করছি।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: প্রথম পড়ে ভেবেছিলাম খুবই যৌক্তিক দাবী। সৈয়দ কুতুব এর মন্তব্যের পর ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাটা ঘাটি করলাম। না হয় ব্যাপারটা পরিষ্কার হোত না। "সহকারি শিক্ষকে নবম গ্রেড মামুর বাড়ির আবদার নাকি ?" সহমত।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
কোন শিক্ষক কি ক্লাশে পড়ায়?
আপনি কোন বিষয় ভালো জানেন?
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর@সহকারি টিচার দের ১২ গ্রেড করে দিয়েছে সরকার। কেবল এমসিকিউ দিয়ে এরা টিচার হয় । কোয়েশচেন করে বুয়েট । আগের রাতে ফাস হয় কোয়েশচেন। শেষ নিয়োগে আগের রাতে কোয়েশচেন চিটাগাং বিভাগের টা হালকা আমিও পেয়েছি। এখন ৯ম গ্রেড চায় তারা। ৯/১০ গ্রেড bank এক্সামে ২০০ মারকস রিটেন হয় । এমসিকিউ-রিটেন-ভাইভা সব ধাপে পাশ করতে হয় । উনারা চায় কেবল এমসিকিউ-ভাইভা পাশ করেই ৯/১০ গ্রেড সরকারি চাকুরি করতে।
রিটেন ছাড়া কিভাবে টিচার নিয়োগ হয় বুঝে আসে না । হাই ইশকুল সরকারি এবং হেডটিচার নিয়োগ সরকারি সব কেবল এমসিকিউ হবে । আর ভালো মানের টিচার পাবেন কই ?
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশে লেখাপড়ার মান নিম্নমানের।ভারত থেকেও আমরা পিছিয়ে আছি।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৯
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@সৈয়দ কুতুব ,
গত ১৫ বছরে যত শিক্ষক চাকুরী পেয়েছে, এদের ৯০ ভাগ ইডিয়ট, অসৎ, প্রশ্নফাঁস; ক্লাশে কিছুই পড়ায় না।
এদেরকে ২/৩ বছর না'পড়ালে এসব ইডয়ট কোনদিনও পড়াতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সহকারি শিক্ষকে নবম গ্রেড মামুর বাড়ির আবদার নাকি ? কেবল এমসিকিউ এক্সাম ৭৫ মারকস দিয়ে কি সুনদর নবম গ্রেডে চাকুরির চিনতা । আগে ২০০ মারকস রিটেন চালু করতে হবে। কেবল এমসিকিউ দিয়ে টিচার নিয়োগ কেবল বাংলাদেশে পসিবল।