![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ এক ও অদিত্বীয়, তার কাছে সাহায্য চাই
যুদ্ধাপরাধ
বেশকিছু দিন ধরেই মেডিয়ার কল্যাণে চায়ের কাপে ঝড় তুলছে যুদ্ধাপরাধ শব্দটি। কেউ বুঝেও বলছেন, কেউ না বুঝেই বলছেন।আসুন দেখা যাক এটি আসলে কি বুঝায়ঃ
যুদ্ধাপরাধ হল প্রচলিত আইনের লংঘন যা যুদ্ধাবস্থায় যুদ্ধেলিপ্ত দুই বা ততধিক দেশের মধ্যে কার্যকর থাকে। অর্থাৎ যুদ্ধ আইনের স্পষ্টত লংঘ্ন যা যুদ্ধেলিপ্ত রাষ্ট মেনে চলতে বাধ্য।উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে, খুন, ধর্ষন, লুটপাট ইত্যাদি।
যুদ্ধাপরাধ হল স্বীকৃত মানবাধিকারের লংঘন যা রাষ্ট্র প্রদান করতে বাধ্য। মুলত জাতিসংঘ প্রণীত আইনের লংঘন। কিন্তু হেগ সম্মেলনের এই নীতিগুলোর লংঘনের শাস্তির বিধান ক্ষতিপুরন। যা আমার কাছে মনঃপুত হয়নি।(ধারা-২২)
নুরেম্বার্গ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধকে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে ব্যাখা করা হয়েছে।তবে এই সংগাটি সবর্জন স্বীকৃতঃ War Crimes are those serious violations of the rules of customary and treaty law concerning international humanitarian law that have become accepted as criminal offences for which there is individual responsibility.[12] Colloquial definitions of war crime include violations of established protections of thelaws of war, but also include failures to adhere to norms of procedure and rules of battle, such as attacking those displaying a peaceful flag of truce, or using that same flag as a ruse of war to mount an attack
সুতরাং যুদ্ধে বেসামরিক মানুষ হত্যা, ধর্ষন, লুটতরাজ বা অন্যায় ভাবে সম্পত্তি দখল করা বা তাতে সহযোগীতা করা, যুদ্ধাপরাধ বলে স্বীকৃত।যা মুলত মানবতাবিরোধী অপরাধ।
বিচার ও নযীর
যুদ্ধাপরাধ একটি ঘৃণিত অপরাধ।এর বিচার অবশ্যই কাম্য। কিন্তু এই বিচার নিয়ে যে পরিমান জল ঘোলা করা হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল সহ প্রায় আটটি ট্রাইবুনাল সেই দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। নুরেম্বার্গ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধকে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে ব্যাখা করা হয়েছে। কিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদাহরনঃ
১,Yugoslav President Slobodan Milošević কে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।যদিও ২০০৬ সালে তিনি মারা যান।
২, Liberian President Charles G. Taylo কে হেগ চার্টার অনুযায়ী বিচার করা হয়।
৩,উমর আল বশিরের বিরোদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় দারফুর হত্যাকান্ডের জন্য।
সুতরাং বিচার করা কোন রাজনৈতিক দল ধংশ করতে, এই যুক্তি আমি মানতে পারি না। কেননা উক্ত প্রেসিডেন্ট গন মারা গেলেও তাদের দল এখনও টিকে আছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের আসংকা
আমার এলাকার চাচা {সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে মিলিটারি ডাকেন} যিনি যুদ্ধে অংশগ্রহ্ন করেন কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে {কাদের সিদ্দিকীর অধীনে}, তিনি আমাকে দেখলেই শুধু একটি কথাই জিজ্ঞেশ করেন, বিচার হইব নারে? সাইদীর কি ফাসি ওইব না?
আমি তাকে আস্থশ্ত করি, হবে চাচা হবে, একটু ধৈর্য ধরেন।
তিনি বলেন আর কতদিন?? তোর এসাক চাচা( একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আমার শিক্ষক) মইরা গেল, আমিও তো যামুগা। আর কবে অইব রে বিচার??তুই না আইন পড়স, তোর আইনে কি কয়?
আমি তার কথার উত্ত্র দিতে পারি নাই। কারন আমার আইন বলে justice delayed, justice denied. ৩৯বছর কি বিচারের জন্য যথেষ্ট নয়??
আজ ব্লগে দেখলাম, এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলের আকুতি, সে খুনি হতে চায়।সে খুন করতে চায় সেই হানাদার বাহিনীর দোসরদের যাদের বিরোদ্ধে তার বাবা অস্র ধরেছিলেন।কারন তার বাবা আজও বিচার পায়নি।আর
আর কতকাল অপেক্ষা করব? কতকাল আর সান্তনা দিব মিলিটারি চাচাকে?? আর কতজন এসাক মারা যাবে বিচার না দেখে??
বাংলাদেশের বিচার ও আমাদের দাবি
অত্যন্ত আনন্দের বিষ্য় দেরিতে হলেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কিছু লোক এটাকে জামাত-ইসলামের ধ্বংশের কারন বলছেন। তাদের বলি, আপনে কি চান না যে হত্যাকারীর বিচার হোক??
জামাত যদি সত্যি অপরাধ না করে থাকে তাহলে বিচারের মাধ্যমে নিদোর্ষ প্রমানিত হয়ে আসুক। আমরা কখনো দাবি করি নাই যে জামাতের বিচার হোক। আমরা আম-জনতা চাই তাদের শাস্তি হোক যারা ৩০লাখ মানুষ হত্যা করেছে, ২লাখ মা বোন এর ইজ্জত নিয়েছে। যদি আপনি তা না চান তাহলে আপনার মা-বোন ধর্ষিত হলে বিচার চাইতে পারেন না।
কাজেই আসুন আমরা একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ বিচার চাই, যেখানে অপরাধির বিচার হবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অপরাধীর উদ্ধত্ব্মুলক আচরন
বিচার নিয়ে নানা কথা, নানা অজুহাত। যত দীর্ঘ করা যায় তার চেষ্টা। তাইত সাকা চোধুরী পাবলিক প্রসিকিউটরকে বলার সাহস পায়, দেইখা লমু তোরে!!! কারন তার দল ক্ষমতায় আসতে পারলে তিনি যে ছাড়া পাবেন তা নিশ্চিত!!! যারা কয়েদী হয়ে এই কথা বলতে পারে, সে যুদ্ধের সময় কি করতে পারে তা বুঝতে মহাজ্ঞানী হতে হয় না।
২০১০সালে জামাত-ইসলামের সেক্রেটারি আলি-আহমদ-মুজাহিত বলেছেন, এদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।তাহলে তিনি বিচার ভয় করেন কেন?? কেন তাকে মুক্তির দাবিতে জামাত হরতাল করে?? তিনি যদি তুলসী পাতা হন তাহলে তার ভয়ের কারন দেখিনা।
আরও অবাক হই যখন এক ছাগু আমাকে বলে, মানুষ কে বিস্বাস করতে শিখুন!!! অর্থাৎ জামাতের নেতারা যা বলে তাই সত্য!! আরে হারামি তুই ১৪কোটি মানুষের কথা বিশ্বাস করিশ না, তুই আমাকে বিশ্বাস শিখাতে আসিস??
তারা বলে জামাত চায়নি যে পাকিস্তান ভাগ হোক। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। আমিও সহমত। কিন্তু হত্যা, ধর্ষন! ওগুলোর অধিকার তোর কোন বাবা দিয়েছে??
যুদ্ধাপরাধীদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে স্বমুলে তুলে ফেলা হোক না হলে তাদের বিষাক্ত বংশধর গ্ন আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা, আবার হয়ত আমার মা-বোন নিরাপত্তা হারাবে। আর রাজাকার শব্দটির অর্থ বাংলা অভিধানে গালির সমার্থক করা হোক, যেন কোন শিশুও তাদের গালি দিয়েই চিনতে পারে। যে সব কুত্তার বাচ্চা এতগুলো মানুষ হত্যা করতে পারে তাদেরকে জন সম্মুখে গুলি করে মারা হোক।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
শয়ন কুমার বলেছেন: পোষ্টে++++++++++++++++++কয়েকটি বানান ঠিক করুন ।
স্টিকি করা হোক ।
স্টিকি করা হোক ।
স্টিকি করা হোক ।
স্টিকি করা হোক ।
স্টিকি করা হোক ।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৭
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, শয়ন কুমার< পরবর্তীতে আরেকটু সচেতন থাকব। ইনশাআল্লাহ
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪
শয়ন কুমার বলেছেন: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার পক্ষে এক ভাড়া করা সাক্ষী আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বললেনঃ" ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর থেকে যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা ঢাকাতেই ছিলেন না এবং পাক বাহিনীর সাথে কাদের মোল্লার নাকি কোন ধরনের সম্পর্কও ছিল না " আসামীপক্ষের সাক্ষীর এই মিথ্যা সাক্ষ্যটিকে পরদিন দৈনিক সংগ্রাম ঘটা করে প্রচার করে লিখলোঃ যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা নাকি ঢাকাতেই ছিলেন না , Click This Link দৈনিক সংগ্রাম যে এখানে মিথ্যাচার করেছে এবং আদালতে আসামী কাদের মোল্লার পক্ষের সেই সাক্ষীর কথা যে মিথ্যা তার প্রমান দেখা মেলে এই ছবিতে যেখানে কাদের মোল্লার{গোল দাগ চিহ্নিত} সাথে পাক বাহিনীর মাথা নিয়াজীর সঙ্গে । সরকারপক্ষের উচিৎ আসামী পক্ষের সাক্ষীর মিথ্যা বয়ানগুলো এভাবে প্রমান করা ।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ভাই সরকার যাদের প্রসিকিওটর নিয়োগ দিয়েছে তাদের থেকে ভাল ভাল আইনজ়ীবিগন বিনা টাকায় কাজ করতে চেয়েছেন। সুতরাং সরকারের মাঝেও ঘাপলা রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে স্বমুলে তুলে ফেলা হোক।
রাজাকার শব্দটা অলরেডি একটা গালি হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত।