![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ এক ও অদিত্বীয়, তার কাছে সাহায্য চাই
কাদের মোল্লার মামলার রায় হল আজ, ভাল কথা। উনি যে অপরাধ করেছেন তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড আশা করেছিলাম।ফলে রায় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। যারা উনার পক্ষের লোক তারা খালাশ আশা করবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু উনার পক্ষের কিছু অনুসারী যুক্তি তুলে ধরেছেন যে, কাদের মোল্লা মেধাবী ছিলেন, তিনি এসব কাজ করতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবতা হল মেধাবী বলেই খারাপ বা ভাল যেকোন কাজই উনারা দক্ষতার সাথে করতে পারেন। বাংলা ভাইয়ের কথাই ধরুন, উনি যদি মেধাবী না হতেন, তবে একই সাথে ৬৩জেলাতে বোমা বিস্ফোরণ করতে পারতেন না। কাজেই মেধাবীরা অনেক সফলভাবে কাজ করতে পারে তা খারাপ কাজ হলেও।
দেশে যুদ্ধ হয়েছে যেমন সত্যি তেমনি জামাতের লোকজন যুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তেমনি সত্যি। তাদের অপরাধের বিচার আরো আগে হলে ভাল হত। তাহলে এতে দলীয় বিচার নামের যে অপবাদ উঠেছে তা থাকত না। তবে আশার বাণী বিচার হচ্ছে, সব অপরাধী শাস্তি পাক এই দাবি করি। কিন্তু যেভাবে রাজাকারদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। খুবই কম।
আমি বুঝতে পারলাম না,যে অপরাধ করে বাচ্চু রাজাকারের ফাসির রায় হল, সেই অপরাধ করে কাদের মোল্লার যাবতজীবন জেল হল কিভাবে?? বাচ্চু রাজাকারের রাজনৈতিক দল নেই বলেই কি তার এই দশা??? নাকি সরকার জামাতকে ভয় পেয়ে এই রায় দিয়েছে??
অনেক সময় রাজাকারদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আলোচনার সময় অনেকেই বলেন এইটা আওয়ামীলীগ করতেছে বিরোধীদলে থাকা নেতাদের কে হেনস্তা করার জন্য, রাজাকার তো আওয়ামিলীগের মাঝেও আছে, আওয়ামীলীগ কেন তাদের বিচার করতেছেনা? সরকার কেন যে সব রাজাকার লীগের মাঝে ঢুকে আছে তাদের বিচারে আনতেছেনা আরও ব্লা ব্লা ব্লা। আপনার কথা যদি মেনে নিয়েই বলতে হয় যে আওয়ামীলীগের মাঝেই রাজাকার আছে আওয়ামীলীগ কেন তাদের বিচার করতেছেনা এটা বলে আপনি প্রথমে নিজের কথা দ্বারাই প্রমান করে দিলেন যে আওয়ামীলীগ এখন যাদের বিচার করতেছে তারা রাজাকার। আর দুই হল আওয়ামীলীগ (আপনার কথা মতে) বিরোধীদলে থাকা রাজাকারদের সাফ করে দিচ্ছে আর আপনার দল ক্ষমতাতে আসলে আওয়ামীলীগের মাঝে যে কিছু রাজাকার ঢুকে গেছে তাদেরকে সাফ করে দিবেন। রাজাকার সব সাফ। একে ওপরেরটা সাফ করে দেন দেশ রাজাকার মুক্ত হয় যাক। সোজা হিসাব।
কিছু মানুষের লেখা দেখে মনে হয়, “৭১ এ কোন যুদ্ধ হয়নি। কিন্তু বাস্তবতা হল তাদের কথার কোন ভিত্তি নেই।আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন, ১৪কোটি মানুষ নাকি ২০/২৫হাজার মানুষ??(রাজাকারের তালিকা না পেয়ে আনুমানিক সংখ্যা লিখলাম)
"৭১ এর অপশক্তি হঠাত করে ভাল হয়ে যায়নি। তারা সু্যোগের অপেক্ষায় থেকেছে, যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই হত্যা করেছে তাদের প্রতিপক্ষকে। কাজেই আপনি তাকে মক্কার মাটি বা ধোয়া তুলসীপাতা বলতে পারেন না। কাদের মোল্লা ছিলেন ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের নেতা। যা পরবর্তীতে নাম ধারন করে ইসলামী ছাত্র শিবির। আজ কাল যারা দেশের খবর রাখেন তারা বেশ ভালই জানেন শিবিরের ধ্বংশাত্বক কার্যকলাপ সম্পর্কে। যারা জানেন না তাদের জন্য আমি কিছু তুলে ধরলামঃ
১।বিগত পরশুদিন ণারায়নগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা।
২।কুষ্টিয়ায় পুলিশের উপর জামায়াত শিবিরের হামলা : ৭ পুলিশসহ আহত ১৫ : আটক ২০
৩।রাজশাহীতে পুলিশের উপর হামলা।
এসব নিত্যদিনের ঘটনা। এখন দেখি ৭১ এর পরের ধ্বংশাত্বক কার্যকলাপঃ
মার্চ, ১৯৮১ / প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ ক্যাম্পাসেই কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিরিচের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়।
১৯৮৪ / চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরেরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে।
১৯৮৬ / শিবির ডান হাতের কবজি কেটে নেয় জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পরবর্তীতে ঐ কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে।
৩১ মে, ১৯৮৮ / রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মেইন হোস্টেলের সামনে, কলেজের প্রিন্সিপাল ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, ও শত শত শিক্ষাথীদের সামনে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে শিবিরের ক্যাডাররা।
১৯৮৮ / চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা।
জুলাই প্রথম সপ্তাহ, ১৯৮৮ / বহিরাগত শিবির ক্যাডারদের হামলায় আমির আলী হল ছাত্র সংসদের জিএস ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স সহ ২০-২৫ জন আহত হয়।
১৭ জুলাই, ১৯৮৮ / ভোর সাড়ে চারটার দিকে এস এম হলে বহিরাগত শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায় এবং জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনেট সদস্য আইয়ূব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল এবং হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
১৯৮৮ / সিলেটে শিবির ক্যাডাররা মুনীর, জুয়েল ও তপনকে বর্বরভাবে হত্যা করে।
আগষ্ট, ১৯৮৮ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের বাসভবনে ছাত্র শিবির বোমা হামলা করে। এতে অধ্যাপক ইউনুস বেঁচে গেলেও তার বাড়ীর কর্মচারী আহত হয়।
রমজান মাস, ১৯৮৯ / ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চকপাড়ায় ইফতারের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা।
নভেম্বর, ১৯৮৯ / নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে সন্ধ্যায় জাসদ ছাত্রলীগের নেতা-কমীদের ওপর শিবিরের বোমা হামলায় বাবু, রফিক সহ ১০ জন আহত হয়।
২২ ডিসেম্বর, ১৯৯০ / ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারম্নককে শিবিরের ক্যাডাররা জবেহ করে হত্যা করে।
১৭ মার্চ, ১৯৯২ / পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীসহ কয়েক হাজার সশস্ত্র বহিরাগত শিবীর সন্ত্রাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১ টার সময় অতর্কিত হামলা চালালে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসীর আরাফাত পিটু নিহত হয় এবং জাসদ ছাত্রলীগের আইভি, নির্মল, লেমন, রুশো, জাফু, ফারুক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজেশ সহ প্রায় দেড়শাতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। এদের অধিকাংশেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় এবং রাজেশের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এই হামলার সময় শিবির ক্যাডাররা এস এম হল, আনোয়ার হল এবং লতিফ হল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাপক আকারে গান পাউডারের ব্যবহার করায় হলের জানালার কাঁচগুলো গলে গিয়েছিলো। লতিফ হলের অনেকগুলো কক্ষ এখনো অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। এই হামলার তীব্রতা এতই ছিল যে, বেলা ১১টায় শুরু হওয়া হামলা রাত ৩টায় বিডিআর নামানোর আগ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।
মে, ১৯৯২ / ইসলামী ছাত্রী সংস্থা রাজশাহী কলেজ শাখার নেত্রী মুনীরা বোমা বহন করার সময় বিষ্ফোরণে মারা যায় এবং তার সহযাত্রী-সহকমী আপন খালা এবং ঐ রিকসাওয়ালা আহত হয়।
১৯ জুন, ১৯৯২ / শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিল চলাকালে শিবিরের সশস্ত্র হামলায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং ২৪ জুন তিনি মারা যান।
আগষ্ট, ১৯৯২/ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তি নতুন বুথপাড়ায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়ীতে বোমা বানানোর সময় শিবির ক্যাডার আজিবর সহ অজ্ঞাতনামা অন্তত আরো তিন জন নিহত হয়। বিষ্ফোরণে পুরো ঘর মাটির সাথে মিশে যায় এবং টিনের চাল কয়েকশ গজ দুরে গাছের ডালে ঝুলতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মহল্লার একটি ডোবা থেকে অনেকগুলো খন্ডিত হাত পা উদ্ধার করে। যদিও শিবির আজিবর ছাড়া আর কারো মৃতু্র কথা স্বীকার করেনি। পুলিশ বাদি হয়ে মতিহার থানায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলকে প্রধান আসামী করে বিষ্ফোরক ও হত্যা মামলা দায়ের করে। প্রায় ৫ বছর পলাতক থাকার পর মামলা ম্যানেজ করে মোজাম্মেল এলাকায় ফিরে আসে এবং জামাতের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হয়।
৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, সাধারণ ছাত্র নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৯ / চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকমীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ / বহিরাগত সশস্ত্র শিবির কমীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের মেধাবী ক্রিকেটার জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
১৯৯৪ / পরীক্ষা দিতে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় ছাত্রমৈত্রী নেতা প্রদুৎ রুদ্র চৈতীর হাতের কব্জি কেটে নেয় শিবির কমীরা।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ / শিবির কমীরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল-সন্ধ্যা বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচায রূপমকে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে বর্বর শিবির ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে নেয়।
জুলাই, ১৯৯৫ / জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কমীদের ওপর সশস্ত্র শিবির কমীরা হামলা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাত্রনেতা ফরহাদের হাতের কব্জি কেটে নেয়। এ হামলায় প্রায় ২৫ জন ছাত্রদল নেতা-কমীর হাত পায়ের রগ কেটে নেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯৬ / জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছাত্রদল নেতা ডুপ্লের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এদের বাঁচাতে এসে দুইজন সহপাঠি ছাত্রী এবং একজন শিক্ষকও আহত হয়।
১৯৯৭ / চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।
১৯৯৭ / বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জিয়া পরিষদ নেতা হাবিবুর রহমান আকন্দ সহ প্রায় বিশ জন শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে ছাত্র শিবির।
১৯৯৮ / শিক্ষক সমিতির মিটিং থেকে ফেরার পথে রাবি শহীদ মিনারের সামনে অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্র শিবির। ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিরোধে অধ্যাপক ইউনুস প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।
১৯৯৯ / রাবিতে অবস্থিত ’৭১ এর গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর রাতের আঁধারে ছাত্র শিবির ভাঙ্গতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী বাধা দেন। ফলে শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে আহত করে এবং ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলে।
২২ আগস্ট, ১৯৯৮ / চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপত্রকে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা।
২০০০ / চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
২০০১ / রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা কমাণ্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।
২০০২ / রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় শিবির কর্মীরা।
২০০৪ / রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা হামলা চালায়।
২০০৪ / অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুইজন সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ / বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে শিবির ক্যাডাররা হত্যা করে।
৩০ অক্টোবর, ২০০৪/ জামাতের বর্তমান রাজশাহী মহানগরের আমীর আতাউর রহমান এবং প্রক্টর নূরুল আফসারের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে শিবির ক্যাডাররা প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে।
২রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ / বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতকিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা। সুত্রঃ নাগরিক ব্লগ(সহীহ শিবির নামা)
তারপরও কিভাবে বলেন যে, ইসলামী ছাত্রশিবির তথা জামাত ইসলামী কোন খারাপ বা ধ্বংসাত্বক কাজে লিপ্ত হয় নাই??? কাজেই জামাত তথা শিবিরকে আপনি ইসলামপন্থী বলে ইসলামের অবমাননা করতে পারেন না। যারা ইসলামের নামে হত্যা ও নাশকতা চালায় তারা আর যাইহোক ইসলামকে ভালবাসেনা। হরকাতুল মোজাহেদীন কে যেমন ইসলামিক দল বলা যায় না, তখন কিভাবে জামাতকে ইসলামিক দল বলেন???
কাজেই মারামারির বা নাশকতা জামাত কম করেনি। এদিক থেকে তারা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এর থেকে কম নয়।বরং বেশি কারন আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করেনি।
আপনারা দলের প্রচার-প্রসার করেন। দয়াকরে মিথ্যা প্রচার করবেন না।আল্লাহ সবাইকে সত্যি জানার তওফিক দান করুন। সকল অপপ্রচার থেকে ইসলাম রক্ষা পাক। অপরাধীদেরকে আল্লাহ উপযুক্ত শাস্তি দান করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.