![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ এক ও অদিত্বীয়, তার কাছে সাহায্য চাই
রাবিতে শুক্রবারে ক্লাশ হলে অনেকের আপত্তির সীমা বোধহয় হিমালয় দিয়ে বাধ দিলেও ভেঙ্গে যাবে। কারন দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থে তারা রাবিতে আরও থাকতে ইচ্ছুক। কাজেই রাবিতে আরও অনার্স করার সময়ের থেকে ২/৩বছরবেশি থাকলেও তাদের কোন ক্ষতি নেই। তাছাড়া তাদের রাজনৈতিক নেতারা তাদের জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করেই রেখেছেন, তাই অনার্স করতে দেরি হলেও চাকুরী পেতে দেরি হবেনা।
অনেকের আবার পিত্রদেবের অঘাত সম্পত্তি, অনেকের পিতা-মাতা বড় চাকুরীজীবি, কাজেই তাদের সন্তানদের চাকুরী না করলেও চলবে অথবা তারা নিজেরাই সন্তানদের চাকুরী বা ব্যবসায়ের হাল ধরিয়ে দিবেন। সুতরাং তারা রাবিতে ৭/৮ বছর কাটালেও তাদের ক্ষতি নেই।
আর মজার বিষয় হল, কেউ ক্লাস না করলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা নাই তাকে ক্লাসে আনবার। সেক্ষেত্র তোরা ইচ্ছা করলেই ২বছর বেশি থাকতে পারবি। শুধুশুধু আমাদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার মানে কি? কেন এই ভন্ডামী?
কিন্তু তারা একবারও ভাবে না, আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা। আমার বাবা, ভাই সর্বোপরি আমার পরিবার যে পরিমান কষ্ট করে আমার উচ্চশিক্ষার্থে টাকা পাঠান, তা আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য ব্যতিত কারও পক্ষে বোঝা সম্ভবপর নয়।
অনার্স পাশের পর আবার চাকুরীর যুদ্ধ। সেখানে কবে জয়ী হব তারও নিশ্চয়তা নেই। বাবার টাকা নেই বলে ঘুষাভাবে চাকুরী পেতে যে আরও দেরি হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সকল শিক্ষার্থী চান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লেখাপড়া শেষ করে পরিবারের হাল ধরতে।
কিন্তু এই হরতাল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সহিংশতার দরুন, আমাদের পড়াশুনা কবে শেষ হবে তা আল্লাহ ছাড়া কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারে ক্লাশ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত বলে আমার ধারনা। অন্তত দেরিতে হলেও কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছে বলে তাদের কে ধন্যবাদ জানাই।
তাছাড়া, নামাজের অজুহাত দেখানো হয়, তাদের বলব জুম্মার নামাজ শুধু তোমরাই পড়ো না, স্যার রাও পড়েন। আর বলাও হয়েছে জুম্মার নামাজের জন্য পাঠদানে বিরতি থাকবে। মুসলিম কি তুমি একাই নাকি জুম্মার নামাজের পর মসজিদ থেকে যে আন্দোলন হয় তা স্থিমিত হবে বলে??তাহলে কেন এত ভন্ডামী??
খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হলেও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। জামাত আসলেই দেশ ইসলামের পুন্যভুমি হবেনা। সবাই আগে নিজেদের আখের গুছাবে। তারপর যে ছাইপাশ থাকবে তা দিয়ে বাহ্মনবাড়ীয়াতে ঘর উঠবে না, রামুতে মন্দির হবে না, কিংবা যারা মারা গেল তারা ফেরত আসবে না। কাজেই সেই মধ্যবিত্ত পরিবারের উন্নতি স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর দিনশেষে আমরা চুনোপটিই থাকব।
কাজেই আমার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের উদ্দেশ্য, লেখাপড়া শেষ করে ছোটখাট চাকরি করে পরিবারের হাল ধরা। সুখে না হলেও শান্তিতে থাকা। সেই শান্তির উপর তোদের এত আক্রোশ কেন?? আমরা রাজনীতি নিয়ে তোদের উপরতো আক্রোশ দেখাই না। তাহলে কেন এত ভন্ডামী??
আরে ভাই, তোদের ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল বাংক, কিংবা রাজনৈতিক নেতা আছে, আমাদের সেরকম সুযোগ নেই। কাজেই নিজেরা ৫বছরের জায়গায় ১০বছর থাক। আমাদের জীবন ও আমাদের পরিবারের জীবিকা নিয়ে নোংরা খেলা বন্ধ কর। ভন্ডামী বন্ধ কর।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: কিছু বলতেও পারি না ভাই। মাইরের ভয় আছে। তাই ব্লগে দিলাম।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
মাগুর বলেছেন: খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হলেও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। জামাত আসলেই দেশ ইসলামের পুন্যভুমি হবেনা। সবাই আগে নিজেদের আখের গুছাবে। তারপর যে ছাইপাশ থাকবে তা দিয়ে বাহ্মনবাড়ীয়াতে ঘর উঠবে না, রামুতে মন্দির হবে না, কিংবা যারা মারা গেল তারা ফেরত আসবে না। কাজেই সেই মধ্যবিত্ত পরিবারের উন্নতি স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর দিনশেষে আমরা চুনোপটিই থাকব।
খুবই সত্য কথা। সরকারে থাকুক আর বিরোধী দলে থাকুক হাসিনা-খালেদা ঠিকই এসিতে ঘুমাই, বুলেট প্রুফ গাড়িতে চড়ে, হাচ্চি-কাশিতেই সিঙ্গাপুর দৌড় মারে! আর আমরা এদের গ্যাঁড়াকলে পড়ে দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলি!
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: সেটায় ভাবছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভালই বলেছেন, সাধারণ সব এভাবেই ফেঁসে গ্যাছে।