নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য হল আগুনের স্ফুলিংগের মত, যেকোন সময় বের হয় আসতে পারে

সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই

সালাউদ্দিন আহমেদ

আল্লাহ এক ও অদিত্বীয়, তার কাছে সাহায্য চাই

সালাউদ্দিন আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ধর্ম রক্ষার কথা বলছেন, তারা কতটা ধর্ম মানেন?? ব্লগের উপর নগ্নথাবা কতটা যুক্তিযুক্ত?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৯

আমার পূর্বের লেখাতে নাস্তিকের শাস্তির দাবি করেছি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে আমি নিজেই নাস্তিক হয়ে গেছি(খালেদা জিয়ার শাহবাগীয় থিওরীতে)। আপনি যদি মুসলিম হন, যদি সত্যি ইসলামকে ভালবাসেন, যদি হাদিস অনুসারে সত্য মেনে নেওয়ার মানুষীকতা থাকে, তবে আমার লেখা পড়ুন। আর যদি অন্ধ জামাতি কিংবা অন্ধ দলের অনুসারী হন তাহলে দূরে থাকুন। কারন ইহা আপনার জন্য ব্যাপক চুলকানীর কারন হবে।;)



ধুরু আজাইরা প্যাচাল বাদ দিয়ে মুল লেখাতে যাইঃ আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, যে ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা আস্তিক-নাস্তিক খেলা খেলছে, তারা নিজেরাই সেই ইসলাম মেনে চলে না।কারনঃ





১,শাহবাগের আন্দোলনের সমর্থন শুরু থেকেই করে আসছিলাম। এখনও আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে সমর্থন করি{যদিও অনেক বিষয়ে এখন আর একমত নই} কারন রাজনৈতিক দলের মত ভোট বানিজ্য নাই। এটাতো পরিস্কার যে, সরকার রাজনৈতিক কারনে শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এখন যেই দেখছে, বিএনপি হেফাজতে ইসলামকে সমর্থন দিয়ে জামাত ও অন্যান্য ইসলামী দলের সমর্থন আদায় করছে, তখনই হেফাজতে ইসলামের দাবির কাছে হার মেনে সমগ্র ব্লগ জগতের উপর নগ্নহস্তক্ষেপ করছে। সত্যি অদ্ভুদ এই ভোটের রাজনীতি!! সেলুলোকাস!!



যখন ব্লগাররা আন্দোলন করল তখন কত বাহবা। যেই তাদের নাস্তিক সাব্যস্ত করল তখনি সবার পিছুটান। একবার ভেবেও দেখল না, কথাটির যথার্থতা কতটুকু, কয়জনই বা নাস্তিক? আরে আরিফ, আসিফ, পিয়ালরা যেমন আছে, তেমনি হাজার হাজার ব্লগার আছে যারা তাদের বিরোধীতা করে। যদি তাই না থাকত তবে আমার দেশ নামক পত্রিকার সম্পাদক উত্তরা কেলেংকারীর নায়ক মাহমুদুর রাহমান ৪/৫জনের তালিকা না দিয়ে ২লাখ ৫৮হাজার ব্লগারের তালিকাই দিত। বেটা খুব ভাল করেই জানে, যে ব্লগে নাস্তিকের সংখ্যা কতজন। তারপরেও রাজনৈতিক স্বার্থে এই অপপ্রচার চালিয়েছে শুধু ক্ষমতার লোভ আর খালেদা জিয়ার আস্থালাভের আশায়। আরও একটা লাভ হয়েছে পত্রিকা বিক্রি বেড়ে গেছে, বারতি আয় হিসেবে।



আর সরকার বুঝতে পেরেছে যে ব্লগ থেকে ৩/৪ঘন্টার ব্যবধানে এত বড় আন্দোলন হল, সেই ব্লগ থেকে যে সরকারের ভ্রান্ত নীতির বিরোদ্ধে আন্দোলন হবে না, তার গ্যারান্টি নাই। তাই ব্লগেই থাবা বসাও, অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দাও। তাতে সরকার আর বিরোধী দল উভয়েরই লাভ। কেননা তারাও একদিন সরকার গঠন করতে পারে। তাদেরও একই পরিনতি হতে পারে। তাই তারাও এর বিরোধীতা করছে না।

আপনি বলুন, যারা রাজনীতি বা ভোটের জন্য ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে, তারা কত বড় ইসলামের সেবক?:|





সরকার যদি হেফাজতে ইসলামের দাবির কাছে ব্লগ, ব্লগারদের উপর নগ্নদৃষ্টি বন্ধ না করে, তবে ইসলামের কি উপকার হবে আমাকে কেউ জানাবেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ব্লগ বন্ধ করলেই নাস্তিকের অবসান হবে। কিন্তু এটা অলিক কল্পনা ছাড়া কিছুই না। কারন ব্লগ বন্ধ হলে এরা ফেবুতে যাবে, তারপর ইয়াহু,গুগল প্লাসে যাবে। সরকার কি পারবে ঐ সাইটগুলোকে বন্ধ করতে??



২, ইসলামে স্পষ্টভাবে নারী নেতৃত্ব বিরোধী। নারীদের মর্যাদার আসনে বসালেও নারী-নেতৃত্বকে স্বীকার করা হয়নি। তাহলে খালেদা-হাসিনা কিভাবে, কোন ইসলামের আইনে জাতির নেতৃত্ব দেয়?? জামাত কিভাবে, কোন ইসলামের খাতিরে বিএনপির সাথে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব রাজনীতি করে?

এটা ইসলামের খাতিরে নয়, ক্ষমতা পাওয়ার লোভ। আর ইসলামে লোভ করা হারাম।



৩, খালেদা জিয়ার শাহবাগীয় থিওরীতে, যারা শাহবাগে গিয়েছেন তারা নাস্তিক, ব্লগার রা নাস্তিক। কিন্তু হাদিস শরীফে বলা আছেঃ

قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم- رواه مسلم

:[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে। বুখারী ও মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।



হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে তা উভয়ের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যেমন বলেছে বাস্তবে তা’ই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে, নতুবা উক্ত বিষয়টি যে বলেছে তার দিকেই ফিরে আসবে।

{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৫০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫০৩৫, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৪, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৩৭}।



যেহেতু খালেদা অন্তঃজামী নয়, সে কিভাবে জানে যে আমি নাস্তিক? শাহবাগের সবাই নাস্তিক? ব্লগাররা নাস্তিক?

উক্ত হাদিস অনুসারে কে নাস্তিক হয়?? আপনি মুসলিম হলে উত্তরটি বুঝে নিবেন।



৩, ইসলামে ঘুষ-চুরি ইত্যাদিকে হারাম করা হয়েছে। হাদিসে বলা আছেঃ



মুহাম্মদ ইবন মুসান্না (র)—ইবন আব্বাস (রা)থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মু’মিন হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না।মু’মিন থাকা অবস্থায় কোন চোর চুরি করে না। মু’মিন থাকা অবস্থায় কেউ কাউকে হত্যা করে না। ইকরামা (র) বলেন, আমি ইবনে আব্বাস(রা)কে জিজ্ঞেস করলাম, তার ইমান কিভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়? তিনি বললেন ঃ এভাবে। আর অঙ্গুলীগুলি পরস্পর জড়ালেন, এরপর অঙ্গুলী বের করলেন। যদি সে তওবা করে তবে পুর্ববত এভাবে ফিরে আসে। এ বলে তিনি অঙ্গুলীগুলি পুনরায় পরস্পর জড়ালেন।

সহিহ বুখারী ১০ম খন্ড ৬৩৫৩

অথচ হাসিনার নামে মিগ২৯ এর দুর্নীতি মামলা, খালেদার নামে গ্যাটকো দুর্নীতির মামলা। তারা কত ইসলাম প্রেমী! কত ইসলাম মেনে চলেন?



আর জামাতের কথা আলাদা করে কি বলব? এই হাদিস এই বলা আছে, “মু’মিন থাকা অবস্থায় কেউ কাউকে হত্যা করে না” অথচ তারা কত মু’মিন! যে হাদিস অমান্য করে মানুষ হত্যার রাজনীতি করে। তারা কত ইসলাম প্রেমী??



৪, ইসলামে পর্দাপ্রথার কথা বলা আছে। কোন মহিলা তার কাজের প্রয়োজনে মুখমন্ডল ব্যতিত শরীরের অন্যান্য অংশ ঢেকে রাখতে হবে। পবিত্র কুর-আন পাকে বলা আছেঃ

হে নবী একইভাবে, তুমি মু’মিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিম্নগামী করে রাখে, তাদের লজ্জাস্থান সমুহকে হেফাযত করে, তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে না বেড়ায়……………তারা চলার সময় যমীনের ওপর তারা যেন এমনভাবে পা না রাখে যে সৌন্দর্য তারা গোপন করে রেখেছিলো তা পায়ের আওয়াজে লোকদের কাছে জানাজানি হয়ে যায়। সুরা আন-নুর আয়াত ৩১





অথচ আমাদের প্রিয় নেত্রীগন যা করেন তাকে কি পর্দা বলা যায়?



কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া চেয়ারে বসা, আর তার পায়ের কাছে আলেমগন বসা। ঐ অবস্থায় তিনি দোয়া করছেন নাস্তিকদের ধ্বংশের। কিন্তু প্রকৃত নাস্তিক কে, তা এতক্ষনে নিশ্চয় আপনার জানা হয়ে গেছে।:D

আর সায়দী সাহেবের ময়না পাখি থাকে কি করে? তিনি নাকি ইসলামিক চিন্তাবিদ(শিবিরের মতে), তাহলে তিনি কি জানেন না, বেগানা নারীর সাথে সম্পর্ক রাখা হারাম? জিনা করা শ্বাস্তি কি তার অজানা??



পবিত্র কোর-আন পাকে বলা হয়েছেঃ হে নবী, তুমি মু’মিন পুরুষদের বলো। তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিম্নগামী অ সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমুহকে হেফাযত করে, এটাই তাদের জন্য উত্তম পন্থা কেননা তারা (চোখ ও লজ্জাস্থান দিয়ে) যা করে, আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে পুর্নাংগভাবে অবহিত রয়েছেন। -সুরা আন-নুর আয়াত ৩০



উপরের আলোচনার পরও কি বলবেন যে, তারা ইসলামের সেবক? যারা প্রকাশ্যে ইসলামের আইন অমান্য করে, তাদের মুখে ধর্মীয় মহান বানী শোভা পায় না।



৫, এইসব মানুষ ধর্মকে শুধু ব্যবহার করতে জানে, ধর্ম চর্চা করতে জানে না। কিছু মানুষ ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে নিজেদের মহামানব বানানোর কায়দা করছেন। তারে নাকি চাদে দেখা যায়(নাউযুবিল্লাহ)।



এটাতো সহিহ আল বুখারী ২.১৬৮ এ, বর্ণনা করেছেন মুঘীরা বিন সোভা। হাদিসটির বাংলা অর্থ করলে মোটামোটি এরকম দাঁড়ায় >

" যেদিন নবী(সঃ) এর পুত্র ইব্রাহিম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহন হয়। তখন লোকজন বলাবলি করতে থাকে যে, সূর্যগ্রহনটি ইব্রাহিম(রা) এর মৃত্যুর জন্য হয়েছে।



নবী করিম (সাঃ) বলেন যে, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ-তালার নিদর্শনের মধ্যে দুটি নিদর্শন যা কারো জন্ম বা মৃত্যুর জন্য গ্রহন হয় না। অতএব যখন তুমি তা দেখবে তখন আল্লাহকে স্বরন করবে এবং প্রার্থনা করবে, যতক্ষন পর্যন্ত তা শেষ না হয়।।"



এখন তোমরা বলো, যে সূর্যের বা চন্দ্রের গ্রহন নবী(সাঃ) এর পুত্রের জন্য হয় না। স্বয়ং নবী(সাঃ) বলেছেন, চন্দ্র ও সুর্য আল্লাহর নিদর্শন, তা কোন ্ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যুর জন্য হয় না, সেখানে সায়দী কি এমন মহামানব যে তার ছবি চাদে দেখা যাবে??? সায়দী কি ইব্রাহিম(রা) এর থেকেও উচ্চতর কেউ???





কাজেই আমার কাছে মনে হয়, চোরের কাছে মুরগী বর্গা রাখা যেমন, এদের দারা ধর্মের উন্নতিও তেমন। কাজেই বোকার স্বর্গে বাস করার কোন মানে হয় না।



এখন দেখছি এরাই ধর্ম রক্ষার নামে আন্দোলন করছে বা তাদের সমর্থন করছে। সত্যি সেলুলোকাস!! অনেকটা ছাগল দিয়ে ধান ভানার মত। আসিফ সহ অন্যান্য সকল ধর্ম বিদ্বেষীর শাস্তি হোক তা অবশ্যি চাই। তবে বিচারের নামে অশ্বডিম্ব চাই না।

আর ধর্ম রক্ষার নামে ব্লগের উপর নগ্নথাবা চাই না।

আল্লাহ তায়ালা আমাকে ও আপনাকে হেদায়েত দান করুন। ধন্যবাদ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৮

নীল জানালা বলেছেন: আল্লাহ সবাইরে হেদায়েত করেনা। করলে ইবলিশরেও করতো। ইবলিশের মতন এইসব আজাত হাসিনা খালেদাদের জন্যও হেদায়েত নাই। এরা এত বেশি পাপ করসে যে হয়তো ইবলিশরেও ছারায়া গেসে। এইভাবে ন্যায় নিতি বিসর্জন দিয়া শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য চালবাজি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অংগনে ডালভাত হৈলেও এসব নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার শামিল। তবে কুড়ালটা ওরা নিজেদের পায়ে না মেরে আমাদের পায়ে মারছে। এইভাবে দেশের সব শ্রনীর মানুষকে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে দেশটা ধ্বংস করছে এরা। কারন এদের একপা দেশের বাইরে। এদের সন্তানেরা দেশের বাইরে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অংগন দখল করে রাখার পেছনে এদের উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হল যত বেশি সম্ভব টাকা এবং সুবিধা অর্জন করে নেয়া। দেশ যেদিন ধ্বংসস্তু মৃত্যুপরীতে পরিনত হবে সেদিন এদের হদিস পাওয়া যাবেনা। সেদিন ওরা যদি বেঁচে থাকে তাহলে ইংল্যান্ড কিংবা আমেরিকায় বসে বিলাসিতা করবে। এই সত্যটা আমরা চোখের সামনে দেখেও কেউ দেখছিনা। আমরা নিজেদের সামান্য সুযোগ সুবিধা বা দুইটা পয়সার জন্য এদের সমর্থন করে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছি। কিন্তু বুঝতে পারছিনা যে এদের দলকে সমর্থন করে, এদের তল্পি বহন করে আজকে আমরা এদের কাছ থেকে এঁটোকাঁটা সমতূল্য বিনিময় পাচ্ছি তা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ থেকে চুরি করা বিশাল সম্পদের ন্যূনতম অংশ। একটু ভাব সম্প্রসারন করার চেস্টা করি। আজকে আওয়ামিলীগ বা বিএনপির অন্ধ তল্পিবাহক কারা? যারা ঐদলগুলার চামচামি করে অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছে তারাই। ধরুন একজনের শিক্ষক হবার যোগ্যতা নেই অথচ লবি আছে। আরেকজন যোগ্য কিন্তু লবিং করার উপায় তার নাই। আমরা সবাই জানি যে ঐ পদটি কে পাবে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একজন যোগ্য শিক্ষক পাওয়া থেকে বন্চিত হলো। অপর দিকে ঐ অযোগ্য লোকটা যে দলের কাছ থেকে ফেভার লাভ করলো তার কেনা গোলাম হয়ে গেল। এখন দেখুন কিভাবে এই কেনা গোলাম সমাজ ধ্বংসে অবদান রাখছে। সে দলীয় সুপারিশে ফেল করা ক্যাডারকে পাশ করিয়ে দিয়ে ফলস যোগ্য ব্যাক্তি তৈরি করছে, ভর্তি বানিজ্যে নেতাদের ডান হাত হচ্ছে, শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রিদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অপব্যভার করছে, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক অপকর্ম করে ঐ এক ব্যাক্তিই দেশের তথা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আবাসস্তলকে বিষাক্ত করে তুলছে। এখন ভাবুন এরকম দলীয় সুপারিশে পদপ্রাপ্ত ব্যাক্তির সংখ্যা প্রতিটা গুরুত্বপূর্ন সেক্টরে অগনিত। এরা সবাই মিলে নিজ নিজ দল তথা মাফিয়ার সেবা করে যাচ্ছে এবং এই দল সেবার মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের আবাসস্থল ধ্বংস করে যাছ্ছে। অন্তত পরবর্তি প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও অগনতান্ত্রিক দল দুইটারেই বর্জন বা বয়কট করা উচিৎ সবার, যতদিন দল দুইটা তাদের নোংড়া রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন না করে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: হমম। তবে তৃতীয় দল সম্পর্কেও একই কথা চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.