![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ এক ও অদিত্বীয়, তার কাছে সাহায্য চাই
সম্মানিত সুধী, সালাম নিবেন। সামুর ষ্টিকি করা পোষ্টের প্রশ্ন ও উল্লেখিত কিছু আলোচ্য বিষয় নিয়ে , Click This Link আমি তার জবাব দিয়েছি। যদিও অনেক আগেই তার জবাব দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সময়াভাবে দিতে দেরী হল। যাই হোক মুল লেখায় আসিঃ
প্রশ্নঃ একটি বির্তকিত হাদিস;
‘মাম্ বাদ্দালা দিনাহু ফাকতুলুহু’ (অর্থাৎ, যে তার ধর্ম পরিবর্তন করেছে তাকে হত্যা কর)
এই হাদিস টি বিতর্কিত কিভাবে হল? এই হাদিস টি বুখারী শরিফসহ কয়েকটি গ্রন্থে পাওয়া গেছে।যেহেতু বুখারী শরিফকে বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বলা হয়, তাহলে এটি ভুল হল কিভাবে? তবে কি কোর আন মিথ্যা বলে?? কারন কোর আনের সুরা নাজম এ
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন,
এই রসূল নিজ পক্ষ থেকে কোন মনগড়া কথা বলেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর প্রতি ওহী করা না হয় (সূরা নাজম-৩,৪
১, কেউ যদি হাদিস এর তাফছির করতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তিকে কমপক্ষে মুফতি হতে হয়। আর আমরা সাধারন মানুষ যা করতে পারি, তা হল ঐ হাদিস টির উদ্ধৃতি দিতে পারি। কোন তাফসির করতে পারিনা। আপনি কোন মাদ্রাসা থেকে মুফতি হলেন??
প্রশ্ন১, কিন্তু তাই বলে কোরআন বিরোধী দাবী-দাওয়া আদায় করে কি মহানবী (স.)-এর সম্মান প্রতিষ্ঠা করা যায়? আজ পর্যন্ত মহানবী (স.) ও অন্য সকল নবীর (আ.) যে সম্মান জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কি জাগতিক কোন আইনের কারণে, নাকি এই অতুলনীয় সম্মান আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত? যাঁর সম্মান স্বয়ং আল্লাহ্ প্রতিষ্ঠা করেছেন কারও মুখের কথায় কি তাঁর সম্মান ভেস্তে যেতে পারে?
উত্তরঃ প্রথমত, আপনি ইসলাম এবং আইন এদুটু বিষয়কে আলাদা করে দেখছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইসলামিক আইন হল, ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য বাধ্যতামুলক নিয়মনীতি। আপনি মুসলিম হিসেবে এই আইন অমান্য বা বিরোধিতা করতে পারেন না। পবিত্র কোর-আনের সূরা আন-নিসা এর আয়াত ১৪;
(অপরদিকে) যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুলের না-ফরমানী করবে এবং তার নির্ধারিত সীমারেখা লংঘন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে (জলন্ত) আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে অনন্তকাল ধরে থাকবে, তার জন্যে (রয়েছে)অপমানকর শাস্তি।
এখন, আপনার লেখায় মনে হচ্ছে, হেফাযতের নেতা-কর্মী এরা কোর-আন বিরোধী আইন প্রনয়ন করতে বলছেন??
আরে তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ, হেফাযতের দাবিগুলোর ১ম দাবি হচ্ছে কোর-আন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন প্রনয়ন করা যাবে না। যদি কোর-আন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন না হয়, তবে মহানবী (সাঃ) এর সম্মান ভুলুন্ঠিত হওয়ার কথা আসছে কোথা থেকে???
আল্লাহ তালা যার সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার সম্মান কেউ নষ্ট করতে পারবে না। প্রত্যেক সন্তানের কাছে সেই সন্তানের পিতা-মাতার সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। পিতা-মাতার জন্য দোয়া করতে বলেছেন এভাবেঃ
রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বায়ানী সগীরা, ওয়াকির হাম-হুমা কামা রাব্বায়ানা সগীরা অর্থাৎ হে আল্লাহ, আপনি তাদের প্রতি সদয় হন, যেমনিভাবে তারা আমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন।
কিন্তু তারপরেও দেখা যায়, কিছু কুলাংগার, তাদের পিতা-মাতার হক আদায় করে না বরঞ্চ তাদেরকে মারধোর পর্যন্ত করেন। তাহলে কি পিতা-মাতার সম্মান কমে যায়??
অবশ্যই না, বরং ঐ সন্তানের সম্মান কমে যায়, তদ্রুপ কেউ যদি (আল্লাহ যাকে সম্মান দিয়েছেন) তার সম্মান রক্ষা না করে, তাহলে তার সম্মানও কমে যায়। আপনি নিশ্চয় আবু-লাহাব, আবু জেহলের কথা ভুলে যান নাই।
প্রশ্নঃ পিতামাতার প্রতি আমাদের যে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ তা কি কোন সংসদে পাশ করা আইনের কারণে?
আপনি যে আপনার পিতা-মাতাকে ভালবাসেন, তা সংসদীয় আইনের কারনে না হলেও আপনার নৈতিকতার কারনে। আর এই নৈতিকতা আল্লাহ তায়ালার আদেশ আর আমার প্রিয় নবী (সাঃ) এর শিক্ষা। উপরিউক্ত আয়াত আবার পড়েন। বুখারী শরীফে আছে,
সা’দ ইবন হাফস মুগীরা (রাঃ) থেকে বর্নীত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মা-বাপের নাফরমানী করা, প্রাপকের প্রাপ্য আটক রাখা………।
সুতরাং আপনার সংসদ কি বলল আর কি না বলল, তাতে মুসলিমের কিছু আসে যায় না। বরং কোর-আন আর হাদিস কি বলল তার উপরই মুসলিমের জীবন নির্ভর করবে।
প্রশ্নঃ নিজেকে নিজে ধর্মত্যাগী (বা মুরতাদ) ঘোষণা না করা পর্যন্ত অন্যের ঘোষণায় কেউ ‘মুরতাদ’ হয় কীভাবে? আল্লাহ্কে অস¦ীকার করলে একজন নাস্তিক সাব্যস্ত হয়Ñএকথা সত্য, কিন্তু এর জন্য কি আল-কোরআনে কোন জাগতিক শাস্তি নির্ধারিত আছে? আবার প্রশ্ন দাঁড়ায়, ধর্মজগতের সুপ্রীম কোর্ট আল্লাহ্র বাণী আল-কোরআন থেকে কোন উদ্ধৃতি না দিয়ে এরা একটি বিতর্কিত হাদীসের আশ্রয় নিলেন কেন? এরা কি তাহলে কোরআনের মাঝে তাদের কল্পিত বিধানের সমর্থনে কোন দলিল বা শিক্ষা খুঁজে পান নি?
উত্তরঃ কথায় আছে, অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। আপনাকে কে বলল, যে নিজেকে মুরতাদ ঘোষনা না করলে সে মুরতাদ নয়?? কোন হাদিসে পাইছেন?? বেটা ভন্ড কোথাকার।আর জাগতিক শাস্তির বিধান নাই সেকথা কে বলছে??? নিচের অংশ পড়
মুরতাদ হল সেই ব্যক্তি যে দ্বীন কে ত্যাগ করল। সেই ব্যক্তি যে দ্বীন-ইসলামের কার্যাদি কে অস্বীকার করল।
আল-কোরআনের সুরা বাকারা আয়াত ১৯০ এ বলা আছে,
তোমরা আল্লাহ তায়ালার পথে সেসব লোকের সাথে লড়াই করো যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে, কিন্তু সীমালংঘন করো না; কারন আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
আল-কোরআনের সুরা বাকারা আয়াত ১৯১তে বলা হয়েছেঃ
(সীমালংঘনের পর অতপর) যেখানেই তোমরা তাদের পাও সেখানেই তোমরা তাদের হত্যা কর, যে সব স্থান থেকে তারা তোমাদের বহিস্কার করেছে, তোমরাও তাদের সে সব স্থান থেকে বের করে দাও(জেনে রেখো)ফিতনা ফেসাদ নরহত্যার চাইতেও বড় অপরাধ…
আল-কোরআনের আয়াতের পরেও কে বলবি যে, জাগতিক শাস্তির বিধান নাই??
প্রশ্নঃ একইভাবে সূরা নিসার ১৩৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘যারা ঈমান আনে ও পরে কুফরী করে এবং আবার ঈমান আনে, আবার কুফরী করে, অতঃপর তাদের কুফরী-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ্ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথে পরিচালিত করবেন না।
এ আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা প্রথমে একদল মানুষের ঈমান আনার পর কুফুরী অবলম্বন করার কথা বলেছেন অর্থাৎ তাদের ধর্মত্যাগ করে কাফের হয়ে যাবার কথা বলছেন, এরপর বলছেন, ‘সুম্মা আমানূ সুম্মা কাফারূ’... অর্থাৎ, ‘তারা আবার ঈমান আনে, আবার কুফুরী করে’।এরা জীবিত ছিল যার কারণে এরা পুনরায় ঈমান আনার সৌভাগ্য পেয়েছিল। পরবর্তীতে এরা আবার কুফুরী করেছে। স্পষ্ট বুঝা গেল, মুরতাদের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান নেই। এরপর আল্লাহ্ বলছেন, তিনি এদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং এদেরকে হেদায়াতের কোন পথও দেখাবেন না। অতএব এদেরকে জগতের কারও হাতে তুলে দেয়া হয় নি বরং আল্লাহ্ এদের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিজের হাতে রেখেছেন।
উত্তরঃ আল্লাহ, এই শয়তানকে ভয়ানক শাস্তি দান করো। সুরা নিসার ১৩৭ নম্বর আয়াতে, মুলত মুনাফেকদের কথা বলা হয়েছে। কারন এই আয়াতের আগের এবং পরের আয়াতে মুনাফেকদের কথা বলা হয়েছে। মুনাফেক হল তারা, যারা মানুষ কে দেখায় তারা মুমিন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তা নয়। মুনাফেকদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারা আয়াত ১৪তে বলা আছে,
“মোনাফেকদের অবস্থা হচ্ছে, তারা যখন ঈমানদার লোকদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন একাকী তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি
সুতরাং আপনি কোর আনের ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন।
প্রশ্নঃসূরা মায়েদার ৫৪ নম্বর আয়াতটিও দেখুন। আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, ‘হে মোমেনগণ! তোমাদের মধ্যে কেঊ দীন হতে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এমন এক স¤প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন যারা তাকে ভালবাসবে, তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না; এটি আল্লাহ্র অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন এবং আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ
এখানে আল্লাহ্ তায়ালা পরিস্কারভাবে বলছেন, মুসলমানদের মাঝ থেকে কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে মুসলমানদের কোন ক্ষতি হবে না। বরং একজনের বিনিময়ে আল্লাহ্ নুতন একটি ঈমানদার সমাজ ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসবেন। কিন্তু এখানেও তিনি মুরতাদ্কে কোন শাস্তি দেয়ার কথা বলেন নি
উত্তরঃ এখানেও আপনি কোর-আনের ব্যাখাতে ভুল করেছেন। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছেঃ নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন, যারা কাফেরদের প্রতি কঠোর হবেন।
এখন আপনিই বলুন, যদি কাফেরদের শাস্তি না দেবেন, তবে তাদের প্রতি কঠোর হবেন কেন? আর কঠোরতা মানে না জানলে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হন।
প্রশ্নঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির কথা সমস্ত হুজুর খুব ভাল জানেন। মক্কার কাফেরদের সাথে বিশ্বনবী (স.) নিজে এই চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। মক্কার কুরায়শরা ছিল কাফের আর মদীনায় হিজরতকারী ও সেখানকার আনসাররা ছিলেন মুসলমান। হুদায়বিয়ার সন্ধির ৩ নম্বর শর্তে লেখা আছে, ‘যদি কেউ তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিরেকে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নিকট মদীনায় চলে যায়, তাহলে তাকে তার অভিভাবকের নিকট ফেরত পাঠাতে হবে। তবে কোনও মুসলিম কুরায়শদের নিকট চলে গেলে তাকে ফেরত দেয়া হবে না।’
একজন মুসলমান যদি ইসলাম ত্যাগ করে কাফের কুরায়শদের আশ্রয়ে চলে যেতে চায় এতে কোন বাঁধা নেই। সে নির্বিঘেœ সেখানে যেতে পারে। প্রমাণ হয়ে গেল, মহানবী (স.) মুর্তিমান কোরআন হিসেবে নিছক ধর্মত্যাগের জন্য কোন জাগতিক শাস্তি প্রদান করেন নি।
উত্তরঃ এই হুদায়বিয়া সন্ধি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান এত সীমাবদ্ধ কেন? আপনি জানেন এই সন্ধির ব্যাপারে, ততকালীন সাহাবিগন (রাঃ) একে মুসলমানদের জন্য অপমানজনক মনে করতেন। হযরত আলী (রা) কয়েকটি শর্তের ব্যাপারে আপত্তিও তোলেন। তখন নবী (সাঃ) ঃ
মুসা (আঃ) যখন তার (নাফরমান) সন্তানের নাযাতের জন্য দোয়া করেন। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন
“ হে মুসা, তুমি যা জান না, তা নিয়ে কথা বল না, নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও অন্তঃযামী”
তারপর সাহাবিগন বুঝতে পারলেন যে, এটা আল্লাহর ইচ্ছায় হচ্ছে, তাই তারা আর বিরোধিতা করলেন না। এবং এর ফলেই পরবর্তীতে মক্কা বিজয় সম্ভব হয়ে ছিল।
কাজেই আপনার এই ব্যাখাটিও ভুল।
প্রশ্নঃ আবদুল্লাহ্ বিন সাদ বিন আবি সারাহ্ নামক এক সাহাবী কোরআনের ওহী সংরক্ষণের কাজে লিপিকারের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি কেবল মুরতাদই হন নি বরং মদীনা ছেড়ে মক্কায় গিয়ে সশস্ত্র আগ্রাসীদের দলে যোগ দেন। মক্কা বিজয়ের দিন তাকে অন্য সাতজন অপরাধীর মত সাধারণ ক্ষমার আওতা বহিঃর্ভূত রাখা হয়। পরবর্তীতে এই অপরাধী হজরত উসমানের (রা.) কাছে আশ্রয় নেয়। তার অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাওয়ার কারণে এবং হজরত উসমানের সুপারিশে মহানবী (স.) তাকে ক্ষমা করে দেন। কেবল তাই নয়, পরবর্তীতে এই ‘সাবেক মুরতাদ’ খলীফার পক্ষ থেকে মিশর দেশে গভর্ণরের দায়িত্বও পালন করেন।
উত্তরঃ উনি মুনাফেকী করেছিলেন। আর উনাকে মাফ করার কারন ছিল আল কোরআনের আয়াত(এই মুহুর্তে আয়াতটি মনে করতে পারছি না, পরে জানাব) আর যে ব্যক্তি খাস দিলে আল্লাহর নিকট মাফ চেয়েছে সে মাফ পেয়েছে।হযরত উমর (রাঃ) যখন কাফের ছিলেন, তার মত ইসলাম বিদ্বেশী ততকালীন আরবে ছিল না বললেই চলে, সেই উমর ইবনে খাত্তাব(রাঃ) যখন মুসলিম হলেন, তার মত ন্যায়পরায়ন মানুষ ও বাদশা, ইতিহাসে খুব কমই ছিল, আছে। কাজেই আল্লাহর জ্ঞান কিংবা নবী (সাঃ)কাজের বৈধতা দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখালে সে কাফির বলেই গন্য হবে।
আপনি বারবার মুনাফেক আর মুরতাদ কে গুলিয়ে ফেলছেন। আগে নিজে পড়াশুনা করেন। মুনাফেক কে দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে , তার ঈমান নেই।
প্রশ্নঃ ইয়েমেনে হযরত মা’য বিন জাবালকে যখন গভর্ণর নিযুক্ত করা হয় তখন এধরণের এক সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী মুরতাদ্দের হত্যার উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। হযরত মহানবী (স.)-এর মুত্যুর পর, ইয়ামামার মুসায়লামা কায্যাব যে রসূলুল্লাহ্ (স.)-র যুগেই নবী হবার মিথ্যা দাবী করেছিল এবং রসূলুল্লাহ্র (স.)-এর মাধ্যমেই ‘কায্যাব’ (বা চরম মিথ্যুক) নামে আখ্যায়িত হয়েছিল- তার নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী মদিনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এছাড়া আরও অনেক গোত্র ইসলাম পরিত্যাগ করে মদীনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আক্রমন করার প্রস্তুতি নেয়। এই সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনের অংশ হিসেবেই ‘মুরতাদ’ হত্যার বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ হযরত আবু বকরের যুগে দেখতে পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ক্যাযাব কে হত্যার আদেশের পর কায্যাব যুদ্ধ ঘোষনা করে। এটা বিদ্রোহ নয়, বরং আল্লাহর আইনের নাফর মানী আর সে জন্যই হযরত আবু-বকর (রাঃ) যুদ্ধ করেন।
আরে ভাই, এত ভুল ব্যাখা দেন কেন?
প্রশ্নঃ যিনি প্রাথমিক যুগের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদীসের সংকলন ‘মুয়াত্তা’র সংকলক- তিনিও এ ব্যক্তি অর্থাৎ ইকরামার সূত্রে কোন হাদীস গ্রহণ করতে বারণ করতেন। (দেখুন-বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার প্রকাশিত ড. মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ রচিত ‘তাবেঈদের জীবন কথা’ঃ পৃষ্ঠা ৯৮।)
উত্তরঃ আপনি বুখারী শরিফের উপর মুয়াত্তাকে স্থান দিতে পারেন কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তবে বুখারীকেই ঈমামগন শুদ্ধ বলে মনে করেন।আপনার মত ব্যক্তি কি মনে করল না করল তাতে আমার যায় আসে না।
আমার কিছু কথা, আপনার মত কিছু লোক যারা ইসলামের ভুল ব্যাখা দেয়, তারাই মুলত ইসলামের বড় শত্রু। আপনার জন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্য কে পোষাক পড়িয়ে দিও না এবং সত্যকে জেনে বুঝে লুকিয়ে রেখো না। সুরা বাকারা আয়াত ৪২
জানি এটা দেখার পরে অনেকেই আমাকে, শিবির বা হেফাযত কর্মী বলবেন, তাদের বলি, আমি কোনটিই করি না। ইসলামের অপব্যাখার বিরোদ্ধে সব সময়ই লেখতে চাই, লিখি। আমার এই লেখাগুলো পড়তে পারেনঃ Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
পরিশেষে বলব, নাফরমানী বন্ধ করুন। সত্যকে স্বীকার করুন। দিন ইসলামের পথে চলুন। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৩
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ভাই, আমি মুসলিম, ওদের ভ্রান্ত ব্যাখাগুলোর প্রতিবাদ করা। ঈমানী দায়ীত্ব্য। শেয়ার করে, সবাইকে জানিয়ে দিন।
ঐ লেখাটি অনেক প্রসার পেয়ে গেছে। অথচ এই লেখা ষ্টিকি তো হবেই না, নির্বাচিত পাতায়ও যাবে না। কাজেই লিঙ্কটি জানিয়ে দিন সবাইকে।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
রামন বলেছেন:
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধরা না বুঝে এবং সুবিধাবাদীরা নিজ স্বার্থে ফয়দা লুটার জন্য ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভিতর অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আর দেরী নয় , এইসব বর্ণচোরাদের বিরুদ্ধে সবার রুখে দাড়াবার সময় এসেছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিবেন। ইনশাআল্লাহ
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ।
ধন্যবাদ আপনাকে...
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনাকেউ ধন্যবাদ
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
পথহারা সৈকত বলেছেন: ভাল হয়েছে। এরকম একটা জবাব চাচ্ছিলাম। সামু ষ্টিকি করুক আর না করুক তাতে কিছু যায় আসে না। চোখ বন্ধ করলেই দুনিয়া অন্ধকার হয় না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০০
সাউন্ডবক্স বলেছেন: Khub e valo likhesen
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
হাবীবুল বলেছেন: একটি যথার্থ জবাব প্রয়োজন ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে । নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
বজ্জাদ সাজ্জাদ বলেছেন: সামুরে লাঠি দিয়া বাইরানো দরকার।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: লাঠি/ মারামারি আমি পছন্দ করি না। এটা ভাল লাগে না
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
সত্য কথা বলি বলেছেন: লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
নির্ভীক আহসান বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। ইসলাম নিয়ে ভাল লিখতে পারে এরকম ব্লগার কম। লিখতে থাকুন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০২
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: লেখবে কিভাবে? লেখলেই ছাগু নাহয় দালাল বলবে
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩১
কস্কি মমিন বলেছেন: সালাউদ্দীন, আপনি কিন্তু বার বার একটি জিনিষ উপেক্ষা করে চলেছেন। `বাঙালীকে হাইকোর্ট প্রদর্শন‘-এর লেখক কিন্তু বার বার বলছেন যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং সশস্ত্র যুদ্ধে নামে বা রাষ্ট্রেদ্রোহিতা করে তাদের জন্য স্পষ্ট শাস্তির বিধান আছে। আপনি কষ্ট করে যেসব আয়াত দিচ্ছেন তা কিন্তু মোটেও শুধু ধর্মত্যাগ সম্পর্কিত নয়। আমি তো বলব আপনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আপনি সত্যটা জানেন লুকোবেন না। লেখক বার বার লিখেছেন হত্যাকান্ডের যে শাস্তি দেয়া হয়েছিল তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য। আপনি ইতিহাস পড়ে দেখতে পারেন।
আমি লেখকের সাথে একেবারে একমত, ধর্মগ্রহণ আর বর্জনে যদি কোন শাস্তি থাকে তাহলে ইসলামের কৃতিত্ব কী থাকে? ধর্মের ব্যাপারে ইসলাম সকলকে পূর্ণ স্বাধীনতা দান করে। তবে হ্যা, যারা ইসলাম ত্যাগ করে ইসলামের বিরুদ্ধে বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধী কিন্তু এই শাস্তি ধর্মত্যাগের জন্য নয় বরং শত্রু সেজে যুদ্ধ ও বিদ্রোহে লিপ্ত হবার কারণে। আর এটি ইসলামের পরম সৌন্দর্য ।
আপনি কিন্তু বার বার সশস্ত্র যুদ্ধকারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহীকে ধর্মত্যাগীর সাথে গুলিয়ে ফেলছেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনি সুরা বাকারা পড়ুন। আশা করি, আল্লাহর রহমতে আপনার ভুল ভেংগে যাবে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: উপরিউক্ত হাদিসটি সহিহ। আপনি আর কি চান? বলুন।
হাদিস যদি বিস্বাস না করেন, নবী (সাঃ) এর কথা যদি বিশ্বাস না করেন। তাহলে আমি বলব, আপনার ঈমান নেই।
আল্লাহ হেদায়েত দিন
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ।
ধন্যবাদ আপনাকে...
আমিও ভেবেছিলাম সেই স্টিকি পোস্টের জবাব দিবো...