নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শফিকুল ইসলাম খান

আমি কেমনে তারে দেখি, তারই কাছে যাইতাম উইড়া- হইতাম যদি পাখি।। তার লাগিয়া পরান কাঁন্দে- জলে ভেজে আখি, কাছে পাইলে রাখতাম বুকে- করতাম মাখামাখি।। তার কারনে সব হারাইলাম- আর নাই কিছু বাকি, শায়খ বেধা পাখির মত- একা পড়ে থাকি।। কেন এত পাষান সেযে- দেয় যে শুধুই

সেলিম খান

আমি কেমনে তারে দেখি, তারই কাছে যাইতাম উইড়া- হইতাম যদি পাখি।। তার লাগিয়া পরান কাঁন্দে- জলে ভেজে আখি, কাছে পাইলে রাখতাম বুকে- করতাম মাখামাখি।। তার কারনে সব হারাইলাম- আর নাই কিছু বাকি, শায়খ বেধা পাখির মত- একা পড়ে থাকি।। কেন এত পাষান সেযে- দেয় যে শুধুই ফাঁকি, তার বিরহ পাহাড় সমান- কেমনে বুকে রাখি।।

সেলিম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইঁদুর মারার গল্প ও হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা

২৬ শে জুন, ২০১০ ভোর ৫:৪৯

মধ্যযুগের কথা। জার্মানের ছোট্ট শহর হ্যামেলিনের মানুষ খুব সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ সবার চোখের ঘুম হারিয়ে গেল ঝাঁকে ঝাঁকে ইঁদুরের অত্যাচারে। সবাই মিলে নেমে পড়ল ইঁদুর মারার কাজে। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। ইঁদুর বাড়তে লাগল। হঠাৎ শহরে এলেন এক অদ্ভুত বাঁশিওয়ালা। তিনি মেয়রের কাছে গিয়ে বললেন, আমি ইচ্ছা করলে শহরের সব ইঁদুর মেরে ফেলতে পারি। কিন্তু তার জন্য বখশিশ দিতে হবে। মেয়র প্রথমে তাকে পাত্তা না দিলেও পরে বললেন, কী বলো হে, আমরা গোটা শহরের মানুষ মিলে ইঁদুর মেরে শেষ করতে পারছি না আর তুমি একাই সব ইঁদুর মারবে! কিন্তু কীভাবে? বাঁশিওয়ালা বললেন, যদি না পারি তাহলে বখশিশ নেব না। মেয়র বললেন, কত বখশিশ চাও। বাঁশিওয়ালা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা চাইলেন। মেয়র সঙ্গে সঙ্গে রাজি হলেন। পরে বাঁশিওয়ালা তার বাঁশিতে তুললেন অদ্ভুত এক সুর। সেই সুরে পাগল হয়ে ছুটে আসতে লাগল শহরের সব ইঁদুর। ইঁদুরের ঝাঁক নিয়ে তিনি চলে গেলেন উইজার নদীতীরে। সেখানে ভিন্ন আরেক সুরে বাঁশি বাজাতেই সব ইঁদুর নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেল। শহর ইঁদুরমুক্ত হলো। বাঁশিওয়ালা মেয়রের কাছে এবার বখশিশ চাইলেন। কিন্তু মেয়র বাঁশিওয়ালাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিতে রাজি হলেন না। ফিরে গেলেন বাঁশিওয়ালা। ১২৮৪ সালের ২৬ জুন, আজকের এই দিনে বাঁশিওয়ালা আবার এলেন হ্যামেলিন শহরে। পরনে সেই পোশাক। ঘুরলেন শহরের অলিগলি পথে। কেউ তাকে পাত্তা দিল না। এক সময় বাঁশিতে জাদুকরী সুর তুললেন। সে সুরে ছুটে আসতে লাগল শহরের ফুটফুটে ছেলেমেয়েগুলো। তাদের নিয়ে চলে গেলেন শহরের পাশের পাহাড়ে। আর ফিরে এলেন না তিনি। ফিরে এলো না ফুটফুটে ছেলেমেয়েরাও। হ্যামেলিন শহরে সত্যিই কি এমন ঘটনা কোনোকালে ঘটেছিল? এ নিয়ে হয়েছে বিস্তর গবেষণা। এখনও হচ্ছে। একটি তৈলচিত্রের কারণে এ ঘটনা শহরটির ইতিহাসেরই অংশ হয়ে গেছে। ওই তৈলচিত্রটি আঁকা ছিল শহরের একটি চার্চের জানালার কাচে। গবেষকরা মনে করেন, শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে স্মৃৃতিময় করে রাখতেই ওই চিত্র আঁকা হয়েছিল। এরপর সেই বাঁশিওয়ালাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে আরও অনেক রূপকথা। কিন্তু এর কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনেকেই মনে করেন, ওই বাঁশিওয়ালা ছিলেন আদতে এক সিরিয়াল কিলার। কেউ 'চিলড্রেন ক্রুসেড' হিসেবেও এটাকে অভিহিত করেন। কারও মতে, জার্মান থেকে পূর্ব ইউরোপে বসতি স্থাপনের উদ্দেশে যাওয়ার পথে ওই শিশুরা হারিয়ে গিয়েছিল। সে যাই হোক, হ্যামেলিনের সেই বাঁশিওয়ালা, ইঁদুর কাহিনী আর হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে পরবর্তী সময়ে তৈরি হয়েছে গান, নাটক, কবিতা, গল্প ও টেলিভিশন সিরিয়াল। সত্য বা মিথ্যা যা-ই বলি না কেন, হ্যামেলিনের মেয়র কথা দিয়ে না রাখার জন্যই সেদিন হারিয়ে গিয়েছিল শহরের একশ' ত্রিশ শিশু।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.