৯/১১

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২০

এই সেপ্টেম্বর এ ৯/১১ এর ২০ বছর পূর্তি হলো। কতো নিরপরাধ মানুষের মানুষের অকাল মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই ঘটনা একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হলো।

এই ৯/১১ মানুষের ইতিহাসকে অনেকখানি পরিবর্তন করে দিলো। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুধু সন্ত্রাসের জন্য নয়, পুরো বিশ্ব এর জন্য এক আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই কমবেশি ভুক্তভোগী এই ৯/১১ এর জন্য। ঠিক অন্যান্য সংকটের মতো এই সংকটকে পুঁজি করে অনেক গোষ্ঠী সুবিধা নিতে থাকে, ফলে সাধারণ মানুষ হয় সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। ৯/১১ এর জুজু দেখিয়ে কতো অহেতুক যুদ্ধ। কতো প্রাণ হানি ঘটলো। এর দায় সবচেয়ে বেশি শোধ করলো সাধারণ মানুষ। এতো সহিংসতা, এতো অবিচার, এতো মৃত্যু দেখতে দেখতে চোখ ক্ষয়ে গেলো। সমাজে সহিংসতার পথ বন্ধ করতে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে সাধারণ শান্তি-কামী মুসলমানদের ধর্ম-কর্ম পালন করতে নানা ব্যাঘাত ঘটছে। ৯/১১ এর সন্ত্রাসের জুজু দেখানোর ফলে পুরো বিশ্বে তৈরী হয়েছে ইসলাম ফোবিয়া। মানুষ মুসলমান দেখলেই সন্ত্রাসী ভাবে।

যেকোনো সংকট তৈরি হলে অনেকেই তার অবস্থা অনুযায়ী সুবিধা নিতে থাকবে। তাই যেকোনো সংকট শুরুতেই মোকাবেলা করা উচিত। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সমাজে নানা মত ও ধর্মের লোক থাকবে। সবারই নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী চলার অধিকার আছে, অন্যের অধিকার খর্ব না করে৷ কিন্তু নিজের আদর্শ কে প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রাসী হয়ে যাওয়াই হলো সহনশীলতার পথ থেকে সরে যাওয়া। সবাই তার ধর্ম ও মতকে একমাত্র সত্য মনে করে অন্য ধর্ম ও মতের প্রতি বিরুপ হলে পুরো মানব গোষ্ঠীরই টিকে থাকা দায়। এই সহজ বিষয়টাই সবাইকে মানতে হবে। ইসলাম ধর্মে স্পষ্টই সূরা কাফেরুনে বলা হয়েছে, তোমার ধর্ম তোমার। আমার ধর্ম আমার। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) স্পষ্টই বিদায় হজ্ব এর ভাষনে বলে দিয়েছে, ধর্ম নিয়ে কখনোই বাড়াবাড়ি করো না। ধর্মের বেশিরভাগ অংশেই থাকে নীতি নৈতিকতা নিয়ে। সেদিকে কারো নজর নেই। বরং ধর্মকে সহিংসতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে৷ ধর্ম নিয়ে সহনশীলতা তৈরী না হলে সবার জন্যই বিপদ। সাধারণ মানুষের ধর্মের প্রতি ভালোবাসাকে পুঁজি করে অনেকই একে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করবে। সমাজে এক বিশৃঙ্খলা তৈরী হবে। সবাইকেই এর খেসারত দিতে হবে।

এমনিতেই পঁুজির আধিপত্যে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত, তার উপর এই সহিংসতা সমাজের শান্তি তলানিতে টেনে আনবে।

০ টি +০/-০