নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স‌ত্যের সন্ধা‌নে যারা ব্যস্ত থা‌কে, কেন তারাই সত্য প্রকা‌শে দ্বিধাগ্রস্ত হয়।\n

মোহাম্মদ আবু সামাদ

সংগঠক,সামা‌জিক সংগঠ‌নের মাধ্য‌মে অ‌তি সাধারন মানু‌ষের পা‌শে দাঁড়া‌নো তা‌দের দুংখ,ক‌ষ্টের ভাগ কিছুটা হ‌লেও নি‌জে কা‌ধে নেয়াই আমার লক্ষ্য।

মোহাম্মদ আবু সামাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ‌বিশ্বাসী‌রা যতই সম্পদশালী হোক তা তা‌দের কোন উপকা‌রের আস‌বে না।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১

পৃ‌থিবী‌তে এমন বহু লোক আ‌ছে আল্লা‌হের অ‌স্তি‌ত্বে যা‌দের বিশ্বাস নেই অথচ তারাই দীর্ঘ জীবন উপ‌ভোগ কর‌ছে, প্রভুত সম্প‌দের অ‌ধিকারী হ‌য়ে‌ছে, উর্বর জ‌মির মা‌লিক হ‌য়ে‌ছে এবং স্বা‌স্থ্যোজ্জল সন্তান সন্ত‌তি লালন পালন কর‌ছে। এসব লোক আল্লা‌হর সন্তু‌ষ্টি লা‌ভের চেষ্টার পরিবর্তে এসব আশীর্বা‌দের কার‌নেই অ‌ধ:প‌তিত হ‌য়ে‌ছে এবং আল্লাহ থে‌কে দু‌রে স‌রে গে‌ছে। তারা খোদা‌দ্রোহী জীবনযাপন ক‌রে দিনানু‌দিন তা‌দের পা‌পের বোঝা বা‌ড়ি‌য়ে চল‌ছে কিন্তু তারা ম‌নে ক‌রে তা‌দের ওইসব প্রা‌প্তিই তা‌দের জীব‌নের পরম চ‌রিতার্থতা। ত‌বে তা‌দের ওইসব প্রা‌প্তি ও সুসময় সম্প‌র্কিত ক‌য়েক‌টি রহ‌স্য আল্লাহ তায়ালা প‌বিত্র কুরআ‌নে আমা‌দের দৃ‌ষ্টি আর্কষন করি‌য়ে‌ছেন;
তা‌দের ধন দৌলত ও সন্তান সন্ত‌তি দে‌খে চমৎকৃত হ‌বেন না আল্লাহ চান শুধু এ‌দের মাধ্য‌মেই তা‌দেরকে এ দু‌নিয়া‌তে শা‌স্তি দি‌তে এবং তা‌দের যেন মৃত্যু হয় কা‌ফের অবস্থায়।
সুরা আত তওবা: ৮৫।
কা‌ফেররা যেন এমন ধারণা পোষণ না ক‌রে যে, আমরা তা‌দের যে বাড়‌তি সময় দি‌য়ে‌ছি তা‌তে তা‌দের কোন মঙ্গল হ‌বে। বাড়‌তি সময়টা দি‌য়ে‌ছি যা‌তে তা‌দের পা‌পের বোঝাটা আরও ভা‌রি হ‌য়ে উ‌ঠে। তা‌দের জন্যে র‌য়ে‌ছে অবমাননাকর শা‌স্তি।
সুরা আ‌লে ইমরান: ১৭৮।
সুতরাং তা‌দের কিছু‌দিন থাক‌তে দিন তা‌দের মূর্খতার অন্ধকা‌রে নিম‌জ্জিত হ‌য়ে। তারা কি ভাব‌ছে আমরা ধন সম্প‌ত্তি ও সন্তান সন্ত‌তি দি‌য়ে তা‌দের জন্য সর্বপ্রকার মঙ্গল ত্বরা‌ণ্বিত কর‌ছি? না, মো‌টেই তা নয়।‌কিন্তু তারা জা‌নে না।
সুরা আল মু‌মিনুন: ৫৪-৫৬।

এই আয়াতগু‌লো‌তেই ব্যাখ্যা করা হ‌য়ে‌ছে, তা‌দের যত সহায় সম্পদ তা মো‌টেই তা‌দের জন্য মঙ্গলজনক নয়।‌ যে সময় তা‌দের দেয়া হ‌য়ে‌ছে তা শুধু তা‌দের পা‌পের বোঝা বাড়াবার জন্য।সময় যখন ফু‌রি‌য়ে যা‌বে তখন তা‌দের ধন সম্পদ, তা‌দের সন্তান সন্ত‌তি কিংবা তা‌দের মান মর্যাদা কেহই, কিছুই, অ‌তি বেদনাদায়ক শা‌স্তি থে‌কে তা‌দের বাঁচা‌তে পার‌বে না। অতীত প্রজন্মগু‌লো‌তেও যেসব লোক সম্পদ ও প্রাচু‌র্যের ম‌ধ্যে জীবন কা‌টি‌য়েও প‌রি‌শে‌ষে যন্ত্রণাময় শা‌স্তি পে‌য়ে‌ছে তা‌দের বিষ‌য়ে আল্লাহ সুব'হানাহু তায়ালা কুরআ‌নে ব‌লে‌ছেনঃ

‌ বিষয় আশ‌য়ে জাঁকজম‌কে তা‌দের চাই‌তে অ‌নেক বড় অতী‌তের কত জন‌গো‌ষ্টি‌কে আমরা নি‌শ্চিহ্ন ক‌রে দি‌য়ে‌ছি।
সুরা : মা‌রিয়ামঃ ৭৪।
এ‌দের কেন বাড়‌তি সময় দেয়া হয় সেকথার ব্যাখ্যা করা হ‌য়ে‌ছে এই আয়া‌তেঃ

আপ‌নি ব‌লে দিন : যারা বিপ‌থে আছে ,,, পরম করুণাময় আল্লাহ তা‌দের সময় দি‌তে থা‌কেন যতক্ষন পর্যন্ত না তারা প্রত্যক্ষ কর‌বে যে বিষ‌য়ে তা‌দের সতর্ক করা হ‌য়ে‌ছে সে বিষ‌য়ে, তা শা‌স্তিই হোক কিংবা কেয়ামত। তারপর তারা বুঝ‌তে পার‌বে, কে নিকৃষ্টতর অবস্থা‌নে র‌য়ে‌ছে এবং কার দলবল দুর্বলতর।
সুরা মা‌রিয়ামঃ ৭৫।

আল্লাহ সুব'হানাহু তায়ালা ন্যায়‌বিচারক ও পরম করুণাময়। তি‌নি সব কিছুই প্রজ্ঞা ও মঙ্গ‌লের স‌ঙ্গে সৃ‌ষ্টি ক‌রেন এবং প্র‌ত্যেক‌কে তার ক‌র্মের যোগ্য প্র‌তিফল দেন। এ বিষ‌য়ে অব‌হিত ব‌লেই মু‌মিনগণ আল্লাহর সকল সৃ‌ষ্টি‌তে প্রজ্ঞা ও মঙ্গ‌লের নিদর্শন দেখার চেষ্টা ক‌রেন। অন্যথায় মানুষ বাস্তবতা বিব‌র্জিত প্রবঞ্চনার জীবনযাপ‌নে অধঃপ‌তিত হ‌তো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.