![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক জন অভিভাবক যদি মনে করে, সে নিজে চরিত্রহীন হয়ে, দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে, বিশ্বাসঘাতক হয়ে, ঠকবাজ হয়ে তার বংশধরকে নিতিবান, চরিত্রবান হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে, তবে সে অবশ্যই মূর্খের জগতে বাস করছে!
একজন সন্তান অনেকটা আপনাথেকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং নৈতিক শিক্ষা বলীয়ান হয়ে উঠে যখন সে তাঁর জন্মের পর থেকে চারিদিকে তাঁর স্বজনদেরকে( পিতা-মাতা,ভাই-বোন,চাচা-চাচী,দাদা–দাদী,ফুপা-ফুপু, খালা-খালু) সেভাবে জীবন যাপন কোরতে দেখে। এই সব মানবিক মূল্য বোধ গুলো একটা শিশুর মধ্যে তিল তিল করে বীজ বপন করে। কারন, সবার প্রথমে তাঁর আদর্শের মানুষ থাকে, তাঁর পিতা- মাতা এবং বাকী চারপাশের স্বজনরা।
শিক্ষা(একাডেমিক) একটা মানুষকে মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গরে তুলে না। শিক্ষার কাজ হচ্ছে, যে শিশুটা তাঁর ঘর থেকে যে বাস্তবিক শিক্ষার বীজ নিয়ে ধীরে ধীরে দিনের পর দিন,বছরের পর বছর বড় হচ্ছে, তার আগাছা গুলোকে কেটে সাফ সূতরা করে জ্ঞানের ও বুঝার মাপ- কাঠি কে মসৃণ করে তুলা। সুতরাং যে শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং নৈতিক শিক্ষায় বলীয়ান বাস্তব পরিবেশ থেকে বড় হবে, সে পরালেখা শিখে তাঁর আদর্শের মানুষগুলোর থেকে আরও বড় মাপের হবে, আর যে শিশু চরিত্রহীন,দুর্নীতি পরায়ণ,বিশ্বাসঘাতক,ঠকবাজ পরিবেশ থেকে বড় হবে, সে পরালেখা শিখে দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁর ওই নিতিহিন আদর্শ মানুষগুলোর থেকেও বড় মাপের সুন্দর, পরিপাটী খারাপ মানুষ হবে।
আর তাই দেখা যায়, যে বউ তাঁর শাশুড়ির কাছে অত্যাচারিত হয়, সেই বউ যখন শাশুড়ি হয়, তখন সে আরও বড় অত্যাচারী হয়! যে ছেলে দেখে তাঁর পিতা ফুফুদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে দাদার সম্পদ গ্রাস করে, সে ছেলেও একদিন তাঁর বোনের হক মেরে দিয়ে সম্পদশালী হয়! যে ছেলে দেখে তাঁর পিতা মা’কে অত্যাচার করে, একই কাজ সে আরও বীরবিক্রমে করে! যে সন্তান বুঝ হবার পর থেকে দেখে তাঁর পিতা-মাতা চাক্ষুষ বা বৈধ আয়ের থেকে অনেক বেশী খরচ করে শান শওকতের সাথে তাদেরকে মানুষ করছে, তখন সেই সন্তান বড় হয়ে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তাঁর পিতা- মাতার থেকেও বড় মাপের দুর্নীতি পরায়ণ আর জোচ্চোর হবে............
আমার কথাগুলকে কারও বিশ্বাস না হলে, চার পাশে একটু চোখ বুলান। বেতিক্রমকে উদাহরন হিসাবে আনবেন না অনুগ্রহ করে...............
আজকের এই অবস্থা এক দিনে তইরী হয় নাই......... ছোট ছোট বালু কনা, বিন্দু বিন্দু জল.........।
আসুন আগে আমরা জন্মদাতা হবার আগে নিজেকে তইরী করি এবং চর্চা করি,নীতির,আদর্শের,সুশৃঙ্খল লোভহীন জীবনের......।
কাজটা কিন্তু সহজ না! কঠিন বললেও কম বলা হবে, খুবই কঠিন!আর এই খুব কঠিন কাজটাই সহজ করে দিবে “সঠিক মানবিক ও ধর্মীয় শিক্ষা”।
সবাই ভালো থাকবেন,
যাযাকাল্লাহ খায়ের
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: সহমত..............
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
নবীউল করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য.....।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
কুমার মিজান বলেছেন: আসুন আগে আমরা জন্মদাতা হবার আগে নিজেকে তইরী করি এবং চর্চা করি,নীতির,আদর্শের,সুশৃঙ্খল লোভহীন জীবনের......। সহমত পোষণ করছি।