![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম আপাতত ইরাকের শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ নিয়ে কিছু লেখবোনা।কাড়ন বিষয়টা অনেক গভীর ও বিস্তারিত ব্যাখ্যার দাবী রাখে।আর যেহেতু এটা রমজান মাস চলছে তাই,সময়ের ভীষণ অভাব।কিন্তু কিছু কিছু বিষয় থাকে যেগুলোকে সময়ের সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে হয়!প্রতি-ক্রিয়াহীন হয়ে থাকাটা অন্যায়ের পর্যায়ে চলে যায়।
পশ্চিমা মিডিয়ার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত সুন্নিদেরকে জঙ্গি বলার বালখিল্যটা আমাদের মতো বাঙ্গালী মুসলমান নামধারীরাই কেবল বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়ে প্রগতিশীল মোডারেট মুসলমানের খেতাব নিতে পারে!
সুন্নিরা কুত্তার মতো কয়েকশো মানুষকে রাস্তার পাঁশে গুলি করে মেড়েছে,মিডিয়ায় প্রচারিত এই খবরের দৃশ্য দেখে এই দেশের ৯৯ শতাংশ সুন্নি মুসলমান নামধারী লজ্জায় মুখ লুকাতে ব্যস্ত!তাঁদের মনে একবারও প্রশ্ন আসে না, কেন এই বর্বরতা?কিন্তু ধোলাই কৃত মগজ বিনা বাক্য ব্যয়ে এটা মেনে নিতে প্রস্তুত যে,ওঁরা জঙ্গি, বর্বর!ঐ ভালো মানুষ শিয়ারা যে গত ১০ বছর ধরে সুন্নিদের কে আদর করে কর্তন করছিল,তাঁদের মা,মেয়েদের কে ধর্ষণ করছিল,পেট চিঁরে গর্ভবতীর অকালপক্ব সন্তানের দেহ নিয়ে ফুটবল খেলছিল,বৃদ্ধা আর শিশুরাও যেখানে শিয়াদের ফুর্তির রসদ ছিল,সেই খবর বা তথ্য কি কোথাও কেউ প্রচার করেছে?বা কেউ কি সুন্নিদের কে জঙ্গি বলার আগে একবার ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করেছে?
কয়েক বছর আগে মিশরের একটি টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানে শেইখ জহবি হাম্মাদ ইরাকের সুন্নিদের সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, আর তখন ইরাকের বাগদাদ থেকে একজন সুন্নি মুসলিম ফোন করে নিজের করুন কাহিনী বর্ণনা করেন।
তাঁর বর্ণনার কিছু বক্তব্য এরকম- "হে শেইখ, আমাদের মেয়েদেরকে বন্ধী করা হচ্ছে,আহলুস সুন্নাহর পুরুষদের দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে,তাঁদেরকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে,বৃদ্ধাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে।তাঁরা আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে কাড়ন তাঁরা চায় আমরা যেন মা আয়েশা রাঃ কে গালি দেই (নাউজুবিল্লাহ)।তাঁরা আমার দাড়িতে ময়লা লাগিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছে।হে আহলুস সুন্নাহর অনুসারীরা তোমরা কোথায়... আমাদের রক্ষা কর।"
"তারা আমাদের মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে; আমাদের মাঝে যাদের নাম আবু বকর, ওমর, ওসমান আছে তাঁদেরকে তাঁরা জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করছে।
তাঁরা আমাদেরকে মা আয়েশার রাঃ কে গালি দিতে বাধ্য করছে, যখন কেউ তা করতে অস্বীকার করে তাঁদের আঙুল কেটে ফেলা হচ্ছে।"
"ও শেইখ! আমি একটি মেয়েকে দেখেছি যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সে মেয়েটি আল্লাহ্র কসম করে বলেছে- ওয়াল্লাহি, আমি কুমারী ছিলাম! ওয়াল্লাহি আমি কোরআনের হাফিজ ছিলাম!
সে চিৎকার করে বলে- কে আমার গল্প রসূল সাঃ এর কাছে পৌঁছে দিবে?"
"হে শেইখ! এবার আমার নিজের কাহিনী শুনুন। রাফিজিরা(শিয়া)আমার তিন বছরের
ছেলেকে ওভেনের ভিতর দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।কাড়ন তাঁর নাম রেখেছিলাম ওমর।এরপর তাঁরা তাঁর পোড়া মৃত দেহ আমার কাছে রেখে যায়।" এই ভিডিওটা দেখেন http://www.youtube.com/watch?v=mXuy_kGSu3o (এটা একটা মাত্র উদাহরণ,কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে আরও দিব ইনশাআল্লাহ্)।
৭১’এ বিহারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধতা করেছিলো বলে এই জাতী আজও বিহারীদেরকে থুতু দেয়,পুড়িয়ে মারে।তাহলে আমরা কোন অধিকারে ওদের ঐ সুন্নি যোদ্ধাদের কে জঙ্গি বলি? তখন নিজের মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হয়েছিলো,তাই বিহারীদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছি এবং আজও দিচ্ছি!যার ঘা,তার ব্যথা!এটা অন্যায় না,এটাই সঠিক।তাহলে আজ ইরাকে সুন্নিরা যা করছে সেটা অন্যায় বলে মুখ লুকাবার আমি কে?কেন আমি জানতে চাই না?কেন আমি ওঁদেরকে জঙ্গি বলবো এবং বোলতে দিব কাওকে?
ভাবছেন সবাই,আমিয় বর্বর?কাড়ন বর্বরতাকে সাপোর্ট করছি?ভাবতেই পারেন,অন্যর দোষ ধরে নিজের দোষ এবং মূর্খতাকে জায়েজ করায় এই জাতীর মতো বিশেষজ্ঞ তো আর কোথাও নেই।হ্যাঁ আমি বর্বর, অসভ্য! আমি আরও বর্বর হই যখন জানতে পারি গতকাল কেরালার নার্সরা ফিরে এসে বলে ISIS are not terrorists, say rescued nurses on returning from Iraq Click This Link । আমি আরও অসভ্য হই যখন জানতে পারি Bangladeshis beaten by troops in Iraq, say co-workers Click This Link ।
অবশ্যই কথিত সুন্নি যোদ্ধারা ওখানে বাড়াবাড়ি করছে।কিন্তু এটা বিচার করার আমি কে?আমি কি ওদের বিরুদ্ধে জুলুমের বিচার করেছি?ওদের দুঃসময়ে সান্ত্বনা দিয়েছি?সামান্যতম সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলাম? বেজন্মা এক শ্রেণীর ইহুদী আর ক্রিস্টান দ্বারা পরিচালিত একতরফা মিডিয়ার কথায় আমরা বিশ্বাস করি কেন?
আল্লাহ্ কি কোরআনে ওঁদেরকে(ইহুদী আর নাসারা)মুসলমানের প্রকাশ্য শত্রু বলে নাই?
আমরা রোযা রাখছি, নামাজ পড়ছি, হজ করছি! ভাবছি আহ! কি বিশাল ধর্ম পালন করছি! জান্নাতুল ফেরদৌস কনফার্ম। কিন্তু ভাবছিনা এই রোজার সেহেরি আর ইফতারের পয়সা হারামের না হালালের! নামাজের কাপড়, জায়নামাজ হারামের না হালালের! হজের টাকা হারামের না হালালের!
আমরা ভাবছি না,কাড়ন আমরা অজ্ঞ সেই জন্য না?আমরা ভাবছি না কাড়ন,আমরা জানতে চাই না!
বোধহীন জ্ঞান পাপী আমরা কি ভাবে ভাববো ঐ সুন্নিদেরকে……
“আর তোমাদের কি হল যে তোমরা আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করছো না সেই সব মজলুম নর-নারী এবং শিশুদের জন্য, যারা বলে, “ও আল্লাহ! এই জুলুমবাজদের জনপদ থেকে আমাদের নিষ্কৃতি দাও আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করে দাও, একজন সাহায্যকারী পাঠাও” ??” [সূরা আন-নিসা: ৭৫]
ভাববার সময় কই আমাদের? আমরা তো মশগুল:
বাঙ্গালী বিশ্বকাপ ফুটবল কবে খেলবে,এটা অনুমান করা যতোটা কঠিন,ততোটাই সোজা এটা অনুমান করা যে বাঙ্গালী(বাংলাদেশ)এশিয়া পার হতেই আরেক জন্মের প্রয়োজন!সালাহউদ্দিন,টিপু,অমলেশ,চুন্নু,ওয়াসিম ইত্যাদির থেকে উন্নত ফুটবলার সময়ের সাথে সাথে বেড় হয়ে আসাটা স্বাভাবিক ছিল,কিন্তু বাস্তবতা উল্টা!আমরা না এগিয়ে বরং পিছিয়েছি!এটাই সত্যি! কঠিন ও তিতা। এখনও যাদুকর সামাদের গুণকীর্তন কোরতে ও শুনতে আমরা খুব পুলকিত হই! কিন্তু তখনকার পেলে বা লেভ ইয়াসিন বা গারিঞ্ছা বা পুসকাছ এর থেকেও এখনকার মেরাদনা বা জিদান বা জর্জ বা মেসি বা নেইমার বা অচয়া ভালো ছাড়া খারাপ না!
অথচ বিশ্বকাপ নিয়ে ধনী-গরীব,জাত-বিজাত,শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবার মধ্যে যে উন্মাদনা,তা রীতিমত ক্ষমার অযোগ্য অন্যায় উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনা!ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও হবার যেখানে কোনও সুযোগ নাই,সেখানে ১০ নম্বর হয়ে ফালাফালি ভীষণ রকমের মূর্খতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।হ্যাঁ, যারা খেলোয়াড় এবং খেলাটার সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত,তারা উচ্ছ্বাসিত হতেই পারে, কাড়ন তাঁরা সমঝদার। কিন্তু যে ভাবে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সবাই সমঝদার হবার জাতে উঠার জন্য নিজের অবস্থান, জ্ঞান, ও প্রজ্ঞাকে অসম্মান করে নিজেকেই ছোট করছে, তাঁরা এই ভুলটা বুঝার সামান্য জ্ঞানটাও খুইয়ে বসেছে!এতোটা সমঝদার ঐ খেলুড়ে দেশগুলোর জনগণও হয় নাই............।
বাতুলতা কোরতে কোরতে নিজেদেরকে তামাশার পাত্রে পরিণত করেও গলা উঁচিয়ে সবাই যে আমার কথাতে প্রচণ্ড ভাবে আহত বোধ করবে তাতে আমার বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই। কথা হচ্ছে ছাগলের ১০ নম্বর বাচ্চার মত আচরণ কোরতে দ্বিধা না থাকলে, দশ নম্বর বাচ্চাকে ১০ নম্বর বোলতে অন্যায় হবে কেন?
হিপক্রেসি,মুনাফেকি আর ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের একটা সীমা থাকা উচিৎ। আমরা সেই সব সীমা নির্লজ্জের মতো অতিক্রম করে চলছি অবিরত!
আমরা না পারি ওঁদেরকে বুঝতে, না চাইতে পারি জানতে যে, কি অবস্থার মধ্য দিয়ে ওঁরা আজকে শিয়াদের সাথে বর্বর আচরণ করছে, কিন্তু ওঁদেরকে জঙ্গি বলার কোনও অধিকার আমাদের নাই।আমাদের মূর্খতা এবং অজ্ঞতা আমরাই বহন করি।ওঁদেরকে ওদের মতো থাকতে দেই.........।
আমার এই লেখাটা পড়ে যদি কেউ আমাকে ব্লক কোরতে চায়, তবে আমি দুই ভাবে উপকৃত হবো! প্রথমত, আমি বুঝবো যে, যা আমি চেয়েছি, তা কোরতে পেরেছি(মরচে ধরা বিবেকে ধাক্কা দিতে) এবং দ্বিতীয়ত, হিপক্রেট বা মুনাফিক বা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মুখচোরা তথাকথিত মানুষ হতে মুক্ত হতে পেরেছি! সুতরাং স্বাগতম সব হিপক্রেট বা মুনাফিক বা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেরকে। আমি কাওকে ব্যক্তিগত ভাবে আহত কোরতে চাই নাই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কে আগে গুরুত্ব দিতে আমি সবাইকে নিহত কোরতে চেয়েছি।
শুভ রমজান। আজকের দোয়াঃ
O Allah, on this day, help me with its fasts and prayers, and keep me away from mistakes and sins of the day, grant me that I remember You continously through the day, by Your assistance, O the Guide of those who stray
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
নবীউল করিম বলেছেন: মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
মুদ্দাকির বলেছেন:
হিপক্রেসি,মুনাফেকি আর ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের একটা সীমা থাকা উচিৎ। আমরা সেই সব সীমা নির্লজ্জের মতো অতিক্রম করে চলছি অবিরত!
এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
দাম বলেছেন: +++