![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসঙ্গত আমার এই লেখাটা আমি গত ২৮শে মে,২০১৪ তারিখে প্রথম এই ব্লগে প্রকাশ করার চেষ্টা করি।কিন্তু কোনও কাড়নে ব্লগ কত্রিপক্ষ লেখাটাকে সরিয়ে দেয়।যা আমি ৩ দিন পরে বুঝতে পারি!সময় ও সুযোগের অভাবে পুনঃপ্রকাশে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং বিশ্ব রাজনীতিও অনেক ওলট পালট হয়েছে।আমি সবাইকে অনুরধ করবো লেখাটাকে ঐ তারিখ থেকে বিবেচনা করে পড়ার জন্য।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে সমগ্র বিশ্ব সম্পূর্ণ নতুন ভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়,বিশেষ করে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভাবে।অনেক করদ রাজ্য স্বাধীনতা লাভ করে নতুন মানচিত্র নিয়ে!বিভাজন এবং বিভেদের বিজ বপন করা হয় অন্যায় ভাবে পশ্চিমাদের অনুকূলে।পরিবর্তন শুধু রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাঠামোতে থেমে থাকে নাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই।সামাজিক এবং আধুনিক বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গীর পরিবর্তন হয় আরও ব্যাপক ভাবে।এই সব পরিবর্তনগুলো এতোটাই ব্যাপক এবং গভীর যে,তা এখানে আমার বিস্তারিত আলোচনার বিষয় না।আমি শুধু সামান্য কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে বর্তমানে আমাদের অবস্থার চিত্র আকার চেষ্টা করবো মাত্র।
এর মধ্যে যে পরিবর্তন গত ১৮-২০ বছর ধরে ঘোঁটে চলেছে(আমার অব্জারভেশনে),এই খবরটা তারই একটা ছোট্ট নমুনা Click This Link !
আমি বেক্তিগত ভাবে গভীর ভাবেই বিশ্বাস করি যে,আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের (আমি ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে-পরের)রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য বাহিরের শক্তির মধ্যে আমেরিকা যতটা কাড়ন তার চেয়ে রাশিয়া অনেক বড় কারণ! বস্তুত আমেরিকার কর্তৃত্ব খর্ব হতে হতে এখন নখ-দন্তহীন হবার পর্যায় চলে আসতে যা বাকী! এটা একটা বিশাল পরিবর্তন। যেটা শুরু হয়েছিলো রাশিয়ান ভেঙ্গে যাবার পরে থেকেই! যদিয়ো সাদা চোখে আমরা কেউ এটা দেখছি না? আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি মার্কিনীদের খবরদারীতে চলাচল করে ও সর্বত্র তাঁদের খবরদারী দেখে।তাই আমাদের মার্কিন আসক্ত মস্তিষ্ক অন্য শক্তির উত্থান গ্রহণ কোরতে পারে না বা পারছে না বা এড়িয়ে যায়!
আমাদের চর্ম চোখ দেখছে কিন্তু জ্ঞানের চোখ তা ফিরিয়ে দিচ্ছে!
মধ্যপ্রাচ্য,ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকার বেশ কিছু অংশে আমেরিকার মাতব্বরি দারুণ ভাবে মার খেয়েছে! আমেরিকার পশ্চাতে মিশর এতোটাই জোরে লাথি মেরেছিল যে, বাধ্য হয়েছে আমাদের থেকে হাজার গুন সফল নির্বাচনের মাধ্যমে স্বীকৃত দেশ প্রধানকে বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করে গণহত্যা কে স্বীকৃতি দিয়ে গনতন্ত্রের বুলিকে দাফন কোরতে! ইসরাইল এবং সৌদি আরব কে নাখোশ করে ইরানের সাথে সখ্যতা করে মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির নতুন একটা মেরুকরণ কি ভাবে আমেরিকার খবরদারী পুনরায় ফিরিয়ে আনে সেটা সময়ই জানা যাবে।কিন্তু হামাস এবং পি.এল.ও কি ততদিনের জন্য বসে থেকে আঙ্গুল চুষবে? বিস্ময়কর ভাবেই এটা হয় নাই! ওঁরা এখন জোট বেঁধেছে,যা আমেরিকার জন্য আর একটা বিষ ফোঁড়া তইরী হোল। Click This Link আর ইসরাইলও সিনেগগে বসে প্রার্থনা করছে না;দীর্ঘ দিনের প্রভুর নির্দেশ অমান্য করে সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন কে তুচ্ছ করে একের পড় এক নতুন বসতি গড়তে অন্যায়ের পড় অন্যায় করে যাচ্ছে ! শক্তি কিন্তু ঐ রাশিয়াই, সাথে সঙ্গী ভারত! বর্তমান লক্ষ্য তরুণ প্যালেস্টানিদের বক্ষ ভেদ করা! Click This Link (এই কথাগুলো এবার বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে নেন)
সিরিয়ার রক্তের বন্যা বিচলিত করছে না আমাদের কাউকে http://www.unicef.org/emergencies/syria/ এবং বার্মার সর্বজন স্বীকৃত অত্যন্ত শান্তি প্রিয় তথাকথিত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে অসহায় গরীব মুসলমানদের গণহত্যা,ধর্ষণ,লুণ্ঠন ও বিতারন আমাদের কাঁদায় না Click This Link ! এর একটা প্রধান কাড়ন ঐ দুই শক্তির নতুন মেরুকরণের অনিশ্চয়তা!
গাদ্দাফিকে খুন করে খুশীতে আপ্লুত নর্তকী হিলারি ক্লিনটনের http://www.youtube.com/watch?v=UtH7iv4ip1U http://www.youtube.com/watch?v=5484y_Jythk
আমেরিকা ভেবেছিল আফ্রিকাকে বশে রাখতে পারবে, কিন্তু বাস্তবতা কি তাই বলে? লিবিয়া এখন আমাজনের গহীন জংগল থেকেও অন্ধকারে? পশ্চিম সাহারার আফ্রিকার মানুষকে গাদ্দাফি যে আলোর পথ দেখিয়েছিল,পশ্চিমাদের শোষণের বিরুদ্ধে,গাদ্দাফির মৃত্যুতে ঐ অঞ্চলের মানুষেরা সেই পথ ভুলে যায় নাই ! কিছুটা থমকে গেছে মাত্র।
Click This Link
Click This Link Click This Link
আফ্রিকা জাগছে! http://www.africa-rising.org/# তাঁদের এই জাগ্রত হওয়াটা যে কতোটা ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় হবে পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশের জন্য সেটা তাঁরাই অনুধাবন করবে,যারা ওদের বাজেটের অর্থের যোগানদাতা সম্পর্কে খবর রাখে!
বিশেষ করে ফ্রান্স,স্পেন,হল্যান্ড,বেলজিয়াম,ইংল্যান্ড,সুইজারল্যান্ড ও আইসল্যান্ড!এঁদের ক্ষতি হোলে কি জার্মানি এবং আর অন্যান্য দেশগুলো প্রভাবিত হবে না? সুতরাং যেভাবেই হউক আফ্রিকাকে জাগতে দেওয়া যাবে না!
আজকের বকো হারাম আর গতকালের আল কায়দা একই সুতায় গাঁথা! এশিয়ার মিশন আধা সমাপ্ত(বাধ্য হয়ে),এখন লক্ষ আফ্রিকা ! সুদানকে ভেঙ্গেছে ? নাইজেরিয়া লক্ষ হীন বিশৃঙ্খল! কঙ্গো ও এর আশ-পাশ এ মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনের যোগানদাতা ই.ইউ এবং আমেরিকা। গণতন্ত্রের সোনার হরিণ দেখিয়ে, খোলা বাজার অর্থনীতির ফাঁপা বেলুন উড়িয়ে!(এই কথাগুলো এবার বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে নিন এবং নতুনগুলো যোগ করে নিন)
ভারতকে আমি প্রণাম জানাই এই কাড়নে যে,তাঁরা একই সাথে দুই পরাশক্তিকে সন্তস্ট করে চলতে পারছে। আর এটা তাঁরা পারছে কাড়ন,সেই দুই পরাশক্তি বর্তমানে তাঁদের নিজ নিজ অস্থিত্তের একটা মহা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে! একজন পতন ঠেকাতে মরীয়া আর একজন উত্থান নিশ্চিত কোরতে বেপরোয়া !
ভারত এই সুযোগটাই নিচ্ছে অত্যন্ত কৌশল্যার সাথে।তারাও যে চাইছে বিশ্ব মাতব্বরের খাতায় নাম লেখাতে! আর সেটা তারা চাইতেই পারে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশী মিডিল ক্লাশ মানুষ(অন্তত ৬০ কোটি) বাস করে সেখানে! সমস্ত বিশ্বর পিনের ফেরিওয়ালা থেকে জাহাজের সওদাগর ঐ খানে হুমড়ি খেয়ে পরবে না তো কি ভ্যাটিকানে পোপের চুম্বনের আশায় ছুটে যাবে?
বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের স্বার্থ মতো নীতি অনুযায়ী চলতে রাশিয়াই সাহস যুগিয়েছে।চীন “ধরি মাছ না ছুঁই পানি” নীতি নিয়ে চলছে কাড়ন,তাঁদের হারাবার কিছু নেই কিন্তু পাবার আছে অনেক কিছু? তবে একটা সময় তো অবশ্যই আসবে যখন ভারত শুধুই একজনকে বেছে নিতে বাধ্য হবে! ততো দিনে ভারত নিশ্চয়ই বিশ্ব দরবারে নিজেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিবে। সুতরাং মোদীর হিন্দুত্ববাদ নিছকই নির্বাচন বৈতরণী পার হবার একটা কৌশল ছাড়া বেশী কিছু হতে পারে না
( এটাই আমার বিশ্বাস)।
যদি তা না হয় তবে, ভারতের প্রভু হবার আশা স্বপ্নই থেকে যাবে শুধু। আর এটা মোদী যে খুব ভালো করে জানে ও বুঝে সেটা সে যথেষ্ট মোটা করেই বুঝিয়ে দিয়েছে এরই মধ্যে! মোদীর একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা কতোটা গুরুত্ব বহন করে এটা বুঝা গেলো যখন সে তাঁর অনেক ঘনিষ্ঠদের কাউকেই তোয়াক্কা না করে রাজাপাক্ষে এবং নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানালো? ক্ষমতা যদি মোদীকে দৈত্য বানীয়ে না দেয়, তবে এই উপমহাদেশের রাজনীতি তে একটা ব্যাপক পরিবর্তন আসছে ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে। যে পরিবর্তন বিশ্ব রাজনীতিতেও আলোড়ন তুলতে বাধ্য! কংগ্রেসের পতন ভারতের জন্য একটা মাইল ফলক হয়ে থাকবে(হয়তো পুরো উপমোহাদেশের জন্য)!(নতুনগুলো যোগ করে নিন)
গুছিয়ে নেবার দুর্দমনীয় চেষ্টা তো রাশিয়া করছে কাউকেই তোয়াক্কা না করে! প্রতিবেশীর ঘাড়ে রাখা প্রতিদ্বন্দ্বীর বন্দুকের গুলি বুকে পেতে কে নিবে? আমরা ছাড়া? রাশিয়ার হাজার বছরের ইতিহাস তো এই সাক্ষ্য দেয় না।বলকান অঞ্চলে পশ্চিম ইউরোপ আর আমেরিকার ছড়ি ঘুরানো মেনে নেবার প্রশ্নই আসে না!এখানে আপোষ করবার বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই! অই দিকে আমেরিকা প্রতিবেশীর সুন্দরী বউ কে ( ভেনেজুয়েলা) জবর দখল করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলছে (মিডিয়া চুপ!) আর এই দিকে রাশিয়া নিজেকে সেরের উপর (আমেরিকার) সোয়া সের প্রমাণ করার জন্য প্রতিবেশীর সুন্দরী কন্যা কে রক্ষিতা বানিয়ে ফেলে ষোল কলা পূর্ণ করলো বোলে!
চীন আর ব্রাজিল চোখে সুরমা লাগিয়ে তাড়ীয়ে তাড়ীয়ে দেখছে দুই পাষণ্ডের নগ্ন যুদ্ধ! গোঁফে তা দিচ্ছে সামনে বিশাল খোলা বাজারের কর্তৃত্ব হাতে নিতে!চীন কেন বেইজিং থেকে নিউইয়র্ক সরাসরি ট্রেন চালু করার অকল্পনীয় প্রকল্প হাতে নেয় Click This Link আর রাশিয়া কেন নির্মম সাইবেরিয়াকে জয় করে সরাসরি ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে এবং এশিয়ায় যাতায়াত করার স্বপ্ন দেখে Click This Link তা বুঝতে, অল্প হলেও ঘাড়ের উপর যে মস্থিস্ক নামের একটা খোলস আছে, সেখানে কিছুটা মগজ থাকা জরুরী!
আছে কি আমাদের নেতাদের সেই মগজ?
নেতাদের কথা কেনইবা বলবো শুধু! নেতাতো তইরী হয় জনগণ থেকে। অর্থাৎ নেতারা হচ্ছে সেই দেশের জনগণের প্রতিচ্ছবি!! আমাদের জনগণ কি সেই যোগ্যতা রাখে, যে যোগ্যতায় দেশ একটা “মাও সে তুং” বা “লেনিন” পায়? অথবা “ক্যাস্ট্রো” নয়তো “চ্যাভেজ”? আর না হয়, “আহমেদিনেজাদ” বা “মোহাথের মোহাম্মদ” ? নিদেন পক্ষে,আর একটা “মুজিব” না হয় “জিয়া”? আমাদের নতুন প্রজন্মের কি আছে সেই লক্ষ্য? যে লক্ষ্য ৩০-১০০ বছর পরের ইতিহাস দেখতে পায়! সিদ্ধান্ত কি নিতে পারবে, কি ভাবে বাঙ্গালী জাতী নামে এই দেশকে সম্মানের সাথে বিশ্ব ভাতৃত্তের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়?
বাস্তবতা কি বলে????
এই জাতীর অস্থিত্ব সুখী দুই বিধবার ১২ হাত শাড়ীর প্যাচে জড়িয়ে দিয়েছি আমরা!
আমরা প্রত্যেকেই কেউ বাআল না হয় বি.এন.পি? র্যেডিসন হোটেলের ৫,০০০ টাকার খাবার প্লেটে যেমন বাআল না হয় বি.এন.পি, তেমনি রাস্তার পাঁশে বস্তীতে ৩০টাকার প্লেটেও বাআল না হয় বি.এন.পি! আমরা কেউই দেশের না,দশের না! তাই দেশের সব ধরনের জাতীয় পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁস হোলে আমাদের কিছুই যায় আসে না! কোচিং সেন্টার বুক ফুলিয়ে বদলে দেবার অঙ্গীকার বদ্ধ প্রথম সাড়ির দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারে যে “শত ভাগ উত্তরের নিশ্চয়তা সহ আমরা আপনার সন্তানের যত্ন নেই”?! আমাদের বেতার যন্ত্র ব্যস্ত হয়ে যায় প্রতিবেশী দেশের ভোটের ব্যাবচ্ছেদ কোরতে!অথচ দেশের গণতন্ত্রকে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণ ধর্ষণ করে গলা টিপে হত্যা করার পরও আমরা বুঝতে শিখি নাই মোদী অথবা সোনিয়ার ভালোত্বতে আমাদের কিছুই যায় আসে না?
আমরা বুঝতে শিখি নাই কাড়ন, ঐ দুই ডাকিনী আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিচ্ছবি!
আমাদের সবকিছুতেই রাজনীতি?
খোকা বাবু টুপি মাথায় দাদুর সাথে মাসজিদে গেলে রাজনীতি! খুকীর জামার হাতা অর্ধ নগ্ন না কি আবৃত, সেটা নিয়েও রাজনীতি! অর্থনীতি,রাজনীতি,পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞের মতো বুঝে না এমন একটা বালকও এই দেশে আঁতিপাঁতি করে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না! আর তাই আমাদের নেত্রী টেক্সি ক্যেবের ভাড়া ঠিক করে দেয়, মোদীর ধুতি কয় প্যেচে সেটা নির্ভুল ব্যেক্ষা কোরতে পারে এবং বিরোধী নামে যে কোনও শক্তিকে বিলুপ্ত করে দিতে গুম ও খুন কে অপহরণ এবং নিখোঁজ ফতোয়া দিতে পারে!
প্রত্যেক জাতীই তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী শাসক পায়।
আজ,২০১৪। বেশী না ২০৫০ এর মধ্যেই আশা করা যায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কার পরিকল্পনা কতোটা সফল বা ব্যর্থ? হতে পারে আর ৫০ বছর বেশী সময় লাগবে! হতেও পারে যে দু’জনেই ব্যর্থ!!! অবাক হবার কিছুই থাকবে না যদি কেউই সফল না হয় ২১০০ এর মধ্যে! অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্র নীরবে জাগছে সীমাহীন ষড়যন্ত্র আর প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়েও শোষণ ও বঞ্চনার আগুনে পুড়ে এবং অনুমানহীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দিয়ে! বাংলাদেশ তাঁরই একটা জ্বলন্ত উদাহরণ!
http://en.wikipedia.org/wiki/Next_Eleven
Click This Link
Click This Link Click This Link Click This Link http://www.amchambd.org/Speech of Mr. Xian Zhu.pdf
যে দেশের সরবচ্চ সংখ্যক মানব যন্ত্র এখন কর্মক্ষমতার শিখরে অবস্থান করছে! যে দেশে নারী-পুরুষ উভয়ই বর্তমানে দৈনিক অন্তত ১২ ঘণ্টা কর্মে সক্ষম! যে দেশে এখন শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা জাতীর ইতিহাসে সবচেয়ে কম! যেই দেশ নিজের খাদ্যের জন্য হাত না পেতে নিজেরাই উদ্বৃত্ত উৎপাদন করছে! যেই দেশের ১ কোটির উপর মানুষ বিদেশে অবস্থান করছে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের জন্য এবং এই সংখ্যা ৩ কোটি তে নিয়ে যেতে সামান্য পরিকল্পনা এবং সৎ ইচ্ছাই যথেষ্ট, সেই দেশ তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে কবে ওবামা সবুজ সঙ্কেত দিবে আর কবে মোদী ঘাড় থেকে নামবে! এই দেশ আর যাই হউক আজ থেকে ৩০-৫০ বছর পড় কর্তা না হয়ে প্রতিবেশীর কর্মী হয়ে থাকার চেয়ে বেশী কিছুর যোগ্যতা দাবী করার কোনও অধিকার রাখে কি!
নবীউল করিম(সমাজ)
২৮শে মে,২০১৪
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
নবীউল করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্বের জন্য।
আশাই জীবন। আশাবাদী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা। আমিও আশাতেই আছি।
ভালো থাকবেন শুভ কামনায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নেতাতো তইরী হয় জনগণ থেকে। অর্থাৎ নেতারা হচ্ছে সেই দেশের জনগণের প্রতিচ্ছবি!! আমাদের জনগণ কি সেই যোগ্যতা রাখে, যে যোগ্যতায় দেশ একটা “মাও সে তুং” বা “লেনিন” পায়? অথবা “ক্যাস্ট্রো” নয়তো “চ্যাভেজ”? আর না হয়, “আহমেদিনেজাদ” বা “মোহাথের মোহাম্মদ” ? নিদেন পক্ষে,আর একটা “মুজিব” না হয় “জিয়া”? আমাদের নতুন প্রজন্মের কি আছে সেই লক্ষ্য? যে লক্ষ্য ৩০-১০০ বছর পরের ইতিহাস দেখতে পায়! সিদ্ধান্ত কি নিতে পারবে, কি ভাবে বাঙ্গালী জাতী নামে এই দেশকে সম্মানের সাথে বিশ্ব ভাতৃত্তের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়?
+++
কর্তা না হয়ে প্রতিবেশীর কর্মী হয়ে থাকার চেয়ে বেশী কিছুর যোগ্যতা দাবী করার কোনও অধিকার রাখে কি!
হ্যা । রাখে। চলমান ভাবালুতা খসে খসে পড়ছে। মানুষের চলমান রাজনীতির নামে নোংরামীর প্রতি অনাসক্তি বাড়ছেই। এখন শূণ্যস্থানে যোগ্য লোকের প্রতিস্থাপন টুকু নিরবে সারতে পারলেই বদলে যাবে ইতিহাস। আশাতো করতেই পারি।