আবদার

২২ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০১

তখন ছিল কঁচি বয়স, আনন্দেতে ঠাঁসা,
মনের ভেতর ছিল যত আজব অভিলাষা,
এইত ভাবি গান গেয়ে মন করব সবার জয়,
আবার ভাবি, অন্তরীক্ষের হব এক দুর্জয়।

বাঁশের তৈরি তরবারিতে দিতাম কতো ধার,
দিতাম ছুড়ে অবহেলে মনটা হলে ভার।
তাইনা দেখে তুমি,ও মা বলতে "পাগল ছেলে,
কোথায় পাবি এমন খেলনা একটু বড় হলে?"

আমি বলি "ও মা,আমি কত্ত বড় জানো?
সবাই থাকে আমার পিছু, ছুটতে গেলে মানো?"

তুমি দেখি আকাশ পানে তাকিয়ে মিটি মিটি
হাসছ মাগো, ভাবছ ছেলে মিথ্যা বলে বুঝি।
না না মাগো, নিচ্ছি নাকো ছলনার আশ্রয়,
সত্যি বলছি এখন আমি করিনাকো ভয়।

ঐযে সেবার বললে মাগো আমায় বুকে ধরে,
"ভয় পেলে কি চলবে বোকা,কঠিন এ সংসারে?"

গেলে ভুলে, ঐযে সেদিন কালাবুরির মাঠে,
বেল গাছেরই তলে দেখি ডাইনি বসে আছে।
বুকটা কেমন উঠল কেপে ও মা হঠাৎ করে!
ডাইনি বুড়ি না জানি মা কেমন শেয়ান হবে?
না জানি বা কতো বড় নখগুলো বা তার,
না জানি তার চুলের আছে আজব কোন বাহার?

তাইনা দেখে ও মা ছুটে তোমার কাছে এলে,
জড়িয়ে নিলে বিনা কথায় মুখটা বুকের কাছে।
সেদিন থেকে ও মা আমি করিনাকো ভয়
জানি,ভয় পেলে যে ভয়ের কাছে মাথা নত হয়।

এখন আমার পূর্ণ বয়স নাইকো মনে ভয়,
এখন আমি অনেক দূরে সম্মুখে বিজয়।
তবুও মা কেমন করে বোঝ মনের কথা,
চাইলে খেতে, ক্যামনে রাঁধো ইলিশ-পুঁইয়ের পাতা!

এখনও মা কেমন করে ভুলের পথে গেলে,
ক্যামনে বোঝ বলনা মা, বলনা মন খুলে।

এইত সেদিন মনের ভেতর জাগিয়েছ আশা,
যেদিন আমি পথ চলেছি ভীষণ সর্বনাশা।
তাইত মাগো পথের মাঝে পথ পেয়েছি খুজে,
তুমিই বল,ও মা তুমি ছাড়া কে আর বোঝে?

কার বা এমন দায় পরেছে, কার বা অহংকার?
যদি, তোমার ছেলে আলো জ্বেলে করে দূর আঁধার।
তাইতো করি প্রার্থনা মা, তাই করি আবদার,
ভুলের পথে কভু যেন, ছুট না দেই আবার।

আবার বলি ও বিধাতা, ওগো দয়াময়,
আবার দিও মাকেই আমার,যখন নতুন জন্ম হয়।

৬ টি +১/-০