![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বারন শুনিনা, মানিনা নিয়মের বেড়াজাল।
বাতাস আমি, চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি শুন্য আধার পথের মাঝে
পথ চেয়ে পথ হাটি,
আমি কোলাহল, আমি নির্জনতা
ভালবাসাবাসি ভালবাসি।
আমি অলিক রতন, আনন্দ ভূবন
খুজে ফিরি স্বপ্নে,যা খুশি ভাবি,
আজন্ম সুখি, চলি নিজ ছন্দে।
আমি বিরক্তি, আমি আনন্দ,
আমি সেচ্ছাচারি প্রেমে হই মত্ত।
আমি মিথ্যা, আমি সত্যি,
আমি প্রেম, আমি মুক্তি।
আমি কুয়াশায় দেখি কুয়াশা
ভরা বিস্তৃত এক মাঠ,
আমি হেটে হেটে যাই বহুদুরে
তবু ভুলিতে পারিনা পথ।
আমি অপরাধ করি, অপরাধী নই,
নই আমি শুদ্ধতা।
আমি অমাবশ্যায় জোনাকী দেখি,
চাই দিতে পূর্নতা।
আমি প্রাচীন, আমি উগ্র,
আমি অসীম, আমি মুক্ত।
আমি শুন্যে থাকি,
শুন্যে বানাই শুন্যের সংসার,
শুন্য দিয়ে শুন্যের মাঝে
শুন্যের গড়ি ঘর।
আমি লাজে মুখ লুকাই,
ভয়ে কাপে পা;
ভয়ের মাঝেই দেই গা ঢাকা।
আমি শুভ্রতা, আমি নোংরামী;
হিংসার পথে হিংসায় চলি।
চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি অবহেলা, আমি ছন্দ,
আমি নতুন ক্রোধে অন্ধ।
আমি অবহেলার অবলম্বন,
আমি মুক্তির তোরে ক্রোন্দন।
আমি নিচু, আমি এক কাপুরুষ,
আমি স্বপ্নিল এক ফানুশ।
আমি আলেয়া দেখিনি, দেখিনি বিজয়।
ভালবাসি তাই, দেখি তাই মানুষ।
মিথ্যার জাল মিথ্যায় কাটি,
সত্যের পথে সত্যে চলি,
চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি যান্ত্রিক, মুক্ত আকাশ,
আমিই বলি আমায় সাবাশ।
আমি যন্ত্র, আমিই চালাই,
আমার মাঝে আমায় হারাই।
বাস করি মুহূর্তে, মুহূর্তের আনন্দে।
স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ছড়াই,
স্বপ্নের দেই ডাক,
স্বপ্নের মাঝে হারিয়ে গিয়ে,
স্বপ্নরাই অবাক।
আমি কৌশল, আমি সরল,
আমার মাঝেই আমার গড়ল।
আমি ভুলপথ, আমিই শপথ,
আমিই শুধু আমার বিপদ,
চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি দূর্বার, আমি নির্বাক।
কোলাহলে খুজি ছন্দ,
নির্জনতার প্রেমে হই আমি মগ্ন।
বাতাস আমি,
মৌনতা আমার উচ্ছাস,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি ক্রন্দন, আমি হাসি,
আমি মুখটাকে ভালবাসি,
আমি অজুত, লক্ষ, নিজুত, কোটি
মানুষের মাঝে আছি।
আমি বেহিসাবি, আমি খন্ড,
আমি সহস্র, আমি অল্প।
আমি খেপে উঠি অকারনে,
কারনে হারাই বনে।
আমি বনে বনে ঘুরি,
ঝোপ ঝারে খুজি,
খুজি স্বপ্নে, খুজি যত্নে,
খুজি আলো আশা,
খুজি ধোয়াশা;
খুজে পাই মনে মন,
আমি সহস্র মাইল
পারি দিয়ে যাই,
দেখিতে দুই নয়ন।
আমি উচ্ছৃঙ্খল, আমি বদ্ধ,
আমি শব্দকে করি যব্দ,
আমি জীবনের পথে
জীবনের গান গাই।
আমি মনের কথা
মনেতে নাহি লুকাই।
আমি নি:স্ব, সর্বস্ব।
আমি ঝরের পরের শব্দ।
আমি ঝড় হয়ে ঝড় নামাই,
আমি অকারনে করি লড়াই।
আমি ঘূর্নি, আমি ফুর্তি,
আমি বাতাস, আমি স্ফুর্তি।
আমি ছুটে ছুটে চলি;
ঘুরে ঘুরে শুনি জীবনের আহ্বান,
আমি প্রেমের তরে প্রেমকে
করি প্রেমেই সমর্পন।
আমি যন্ত্রনা, আমি দন্ড,
আমি মুর্ছনা, আমি স্পর্শ।
আমি চলি আপন ছন্দে,
সব পরে গেল তাই দ্বন্দে।
আমি বিশ্বাসঘাতক লাল রং,
আমি অন্ধকার, আমি আলো,
আমি সোনারোদে করি খেলা,
আমি জোছনা, আমি ভাল।
আমি হেরে যাই তবু লড়াই ছারিনা,
আমি ভালকে মানিনা, মন্দকে চিনিনা।
আমি জলে জল ছুয়ে চলি,
আমি সুরের সুরেতে ঘুরি।
আমি সন্ধ্যা, আমি দুপুর,
আমি রাত্রি শেষের দিন।
আমি আলোর ভেতরে
খুজে ফিরি আলো,
জোছনায় মাখি প্রেম।
আমি পথের মায়ায় পথেই ঘুরি,
আমি পথেই বহমান,
আমি উদাসীন, আমি সীমাহীন,
আমি পঙ্কিল, চঞ্চল।
আমি হেরে ফিরি ঘরে,
নেচে উঠি, মাতাল এক।
আমি আনন্দের নাম আর এক।
আমি ফুলে ফুলে ছড়াই পড়াগ,
আমি অবিনশ্বর, প্রকৃতির রাগ।
চলি আপন ছন্দে,
তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি উদজাপন, আমি বিপদ,
আমি অলীক, আমি কুপথ।
আমি অকারনে ভালবাসি,
আমি মুখেতে ছড়াই হাসি।
আমি নীলের স্বপ্ন নীলে মিলাই,
সাদার স্বপ্ন সাদায়।
আমি অনুভব, আমি নির্লোভ,
আমি অকারনে ছুটে আসি।
আমি আত্মকেন্দ্রিক, উদ্ভট,
আমি আশির্বাদ, আমি সংকট।
আমি পাতায় পাতায় নেচে নেচে বেড়াই,
চুলের মাঝে ঘুরে ঘুরে হারাই,
হারাই আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি বিশ্বাস, আমি উচ্ছাস,
আমি বিবর্ন, আমি স্বপ্ন।
আমি পথ চেয়ে পথ চলি,
আমি নিজেই নিজেকে বলি।
আমি থমকে যাই, বৃষ্টি নামাই;
আমি পাতায় দেই স্পর্শ,
আমি নই কারো কলঙ্ক।
আমি নই প্রতারনা, নই হতাশা,
আমি শিশুসুলভ এক বায়না,
আমি নিজেকে দেখার আয়না।
আমি মেঘের ছবি দেখি,
আমি পাতায় পাতায় ছুটি
আমি ছুটি আপন ছন্দে,
তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি হর্ষ, আমি বিষাদ,
আমি পৃথিবী, আমি নিষাদ।
আমি মিশে থাকি শাখে শাখে,
মনের অন্তরালে।
আমি দিনের শুরুতে দিনে মিশে যাই,
রাতের শুরুতে রাতে।
আমি মুক্তি, আমি গঞ্জনা,
আমি কভু নাহি দেব হারতে।
আমি যাই করি তাই সঠিক,
আমি ভ্রান্ত আমি পথিক।
আমি পাওয়া না পাওয়ার হিসাব ভুলি
আপন ছন্দে চলি, দ্বন্দেতে দেই ফেলি।
আমি সিদ্ধান্ত, আমি মন্ত্রনা,
আমি প্রেমিক, আমি কল্পনা,
আমি নতুনের কথা বলি,
আমি হঠাৎই প্রেমেতে পরি।
বাতাস আমি, চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি ঈশ্বরের আশির্বাদ,
আমি অস্বাভাবিক এক উন্মাদ।
আমি মাটিতে মিশে হই মাটি,
আমি খাদ, আমিই খাটি।
আমি মনে মনে ডুবি স্বপ্নে,
আমি হারাই মুখের বনে,
বনে সবুজ আছে,
আছে লাল, নীল সব রং;
আমি রঙের ভেলায় রঙে
ভেসে যাই, রঙেই হারাই রঙ।
আমি কাঠবেড়ালির লেজের মাঝে
হারাই আপন মন;
আমি বক্ষ, আমি ক্রন্দন।
আমি চলি আপন ছন্দে,
সব পরে গেল তাই দ্বন্দে।
আমি স্বার্থপর, আমি দূর্বার।
আমি নিষ্ঠুর, আমি তৎপর।
আমি লড়ে লড়ে চাই হারতে,
আমি নিজেকে পারিনা ছাড়তে।
আমি পক্ষ, আমিই বিপক্ষ,
আমি নির্ভেজাল, আমি নষ্ট।
আমি কালোয় মিশে যাই,
আমি জীবনেতে সুর ছড়াই।
আমি কুৎসিত, আমি নোংরা,
আমি ফুলে ফুলে ওড়া ভোমড়া।
আমি আকাশে মন হারাই,
ক্ষুদ্রের মাঝে বিশালতা খুজে পাই।
আমি বাতাস, আমি চলি আপন ছন্দে,
আমি বাতাস, তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি আশাবাদী নই, আশা,
আমি নতুন এক অভিলাশা।
আমি বাচার আস্ফালন,
আমি প্রেমের নিমন্ত্রন।
আমি মিল, আমি অমিল,
আমি সঠিক,আমি পথিক।
আমি হেটে হেটে খুজি কালো,
আমি খুজে পাই চোখে আলো।
আমি আলোর মাঝে কুয়াশা ছড়াই,
বাড়াই স্বপ্নে রং।
আমি বেদনা, আমি বিদুর,
আমি জীবনের কোলাহল।
আমি চন্দ্রস্নাত গভীর রাতে
আধারেতে মুখ লুকাই।
আমি স্বপ্নের মাঝে,
স্বপ্নে ভাসি, স্বপ্নে ডুব লাগাই।
আমি উন্মাদ, আমি স্তব্ধ,
আমি বয়ে চলা নদীর শব্দ।
আমি বেচে থাকার খোরাক,
আমি পৃথিবীর আশির্বাদ।
আমি বাতাস চলি আপন ছন্দে,
তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি বাতাস, আমি চুমরে দিতে চাই,
আমি জীবনে রং বাড়াই।
আমি জনতা, আমি নির্জনতা,
আমি কোলাহলে ছড়াই ছন্দ,
আমি পৃথিবীর প্রেমে অন্ধ।
আমি ঐতিহ্য, আমি হীন,
আমি কুপন্থি, আমি জীর্ন।
আমি বিশালতা নই, নই ক্ষুদ্রতা,
আমি অকিঞ্চিত, আমি ছায়া,
আমি জীবনে ফেরাই মায়া।
আমি বাতাস, মৌনতা আমার উচ্ছাস,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি যা খুশি তাই,
আমি নিজেকে ছাড়াই।
আমি দিকে দিকে দেই ডাক,
আমি প্রেম, আমি প্রভাত।
আমি অস্থীর, আমিই স্থীর।
আমি প্রেমহীন এক কল্পনা,
আমি পৃথীবির এক জল্পনা।
আমি অর্থহীনএক শব্দ,
আমি নিজেকে করি জব্দ।
আমি জীবনের প্রতিচ্ছবি,
আমি এদিক ছুটি,ওদিকে ঘুরি।
আমি জীবনের এক নাম,
আমি সৃষ্টির অকল্যান।
আমি বাতাস,
মৌনতা আমার উচ্ছ্বাস,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি বাতাস,আমি
জীবনে রং বারাই,
আমি ক্ষূদ্রের মাঝে
বিশালতা খুজে পাই।
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
আমি অনাসৃষ্টির কারিগর,
আমি প্রেম,আমি যান্ত্রীকতা,
আমি কোলাহল, আমি অবসর।
আমি বাধনহীন, আমি শপথ।
আমি ক্ষেপে উঠি,হই বিপদ।
আমি নিরবিচ্ছিন্ন মুখরতা,
আমি জামীনির নিরবতা।
আমি রোশানলে পুড়ে খাক।
আমি ভালবাসার আস্বাদ।
আমি বাতাস, মৌনতায় উচ্ছ্বাস,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি বাতাস, আমি বেচে থাকার খোরাক,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
অঅস্বাভাবিক এক মানুষ আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার নিজেরই খুবই প্রিয়।
শুভকামনা জানবেন।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা।
১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
অঅস্বাভাবিক এক মানুষ আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
েমাঃ নূরুজ্জামান বলেছেন: পুরোটা পড়া হয়নি। খানিক পড়ে বুঝলাম এটা কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার অনুকরেণ। ভাল চেষ্টা। পরামর্শ হলো কবিতা যথাসম্ভব ছোট করার চেষ্টা করেবন। ভাল থাকুন।
১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯
অঅস্বাভাবিক এক মানুষ আমি বলেছেন: কথাটা ঠিক না ভাই,
বিদ্রোহীর বিষয়বস্তুর সাথে কোনই মিল নাই।
প্যাটার্নএর দিক দিয়া কিছুটা মিল আছে কিন্তু মোটেই অনুকরন না।
আর সব কবিতাই যে ছোট হতে হবে তাও কিন্তু না।
লেখা হল ভাই নিজের কবি সত্তার খোড়াক, সীমা পরীসীমা দিয়া কবিতারে অন্তত বেধে দেয়া যাবে না।
ও আরেকটা ব্যপার, বিদ্রোহী কবিতা এই কবিতার প্রেরনা হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু অনুকরন মোটেই না।
শুভকামনা জানবেন।
১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
অঅস্বাভাবিক এক মানুষ আমি বলেছেন:
অস্বাভাবিক এক মানুষ আমি,
আমি এক সত্যিকারের কবি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: আমি বাতাস, মৌনতায় উচ্ছ্বাস,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই পরে গেল সব দ্বন্দে।
আমি বাতাস, আমি বেচে থাকার খোরাক,
আমি চলি আপন ছন্দে,
তাই দেখে সব পরে গেল দ্বন্দে।
বাহ.....!
দারুন লিখনি ....!
বড় হলেও কবিতাটি ভালো লাগলো কবি হে। এগিয়ে যান, শুভাশিস রইল।