নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ই উদাস, কই যে যাই কি যে করি..

সামদ

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে... বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে

সামদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়ার সম্পদের পরিমান জানুন উনার নিজেরই সম্পত্তির বিবরণী থেকে

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮





২০০৭ সালের ৭ই আগষ্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আযম খান দুদক সচিব মো. মোখলেস-উর-রহমানের কাছে সম্পত্তির হিসাবের বিবরণী দাখিল করেন। দৈনিক ইত্তেফাক ৭ই আগস্ট, ২০০৭ সালে "খালেদা জিয়ার দুটি বাড়িসহ ৪ কোটি টাকার সম্পদ" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। সেদিনের অন্যান্য পত্রিকা থেকেও জানা যায় যে খালেদা জিয়া ১ কোটি ৩২ লাখ কালো টাকা সাদা করেছেন যেটা একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার জন্য মোটেও সন্মানের নয়। আজকের পোষ্ট সেখবর গুলোকে ভিত্তি করেই। পোষ্টের শেষে সূত্রগুলো উল্লেখ করা হল।



সম্পদের বিবরণী অনুযায়ী জানা যায় -



১. খালেদা জিয়ার নামে রাজধানী ও সাভারে দুটি বাড়ি ও দুটি জমি রয়েছে।



দুটি বাড়ি ও জমির মূল্য তিনি দেখিয়েছেন ১২ হাজার ৪ শ’ টাকা। কিন্তু এ দুটি বাড়ির প্রকৃত মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।



ক. ক্যান্টনমেন্টের ৬, শহীদ মইনুল রোডে ২ দশমিক ৭২ একর জমির ওপর একটি বাড়ি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি ১০১ টাকায় পেয়েছেন।



খ.গুলশানে এক বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমির ওপর আর একটি

বাড়ি।গুলশানে দেড় বিঘা জমিসহ বাড়িটির জন্য সরকারকে দিয়েছেন ১০১

টাকা।এ দুটি বাড়ির প্রকৃত মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।



গ. সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় ১০ কাঠার একখণ্ড জমি ও উত্তরখানে ৮

শতাংশ জমি রয়েছে। ১৯৭০ সালে জিয়াউর রহমান ৯ হাজার টাকা দিয়ে

সাভারের জমিটি এবং ৩ হাজার ৩ শ’ টাকা দিয়ে উত্তরখানের জমিটি

কিনেছিলেন।



২.তার নিজ নামে অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ও ২টি স্থায়ী আমানত রয়েছে।



১১টি এফডিআরে লাভসহ তিনি এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ টাকা, ৮টি ব্যাংক স্থিতি ও সঞ্চয়পত্রে দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৯ টাকা।



৩. তার নামে চারটি গাড়ি রয়েছে।



ক. এর মধ্যে একটি নিশান পেট্রোল গাড়ির দাম ২২ লাখ ২৪ হাজার এবং দু’টি টয়োটার দাম ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। টয়োটা ১৩০০ সিসি গাড়িটি ১৯৯৫ সালে এমপি কোটায় কিনেছিলেন



খ. ১৯৯০ সালে দু’টি টয়োটা জিপ ও নিশান জিপ ১৯৯১ সালের নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য কিনেছিলেন।



৪.মইনুল সড়কের বাসায় পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে



যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া আরো ৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ৭ সেট সোফা, ২০টি ল্যাম্প, একটি খাট, ৩টি কার্পেট, ৩টি টিভি, ৫০ তোলা স্বর্ণেরও হিসাব দেখিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণী রয়েছেন।



আযম খান আরো জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার কার্যক্রমের সুযোগ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার জন্য ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ টাকা আয়কর দিয়েছেন।



জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় অর্জিত সম্পদ



সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় যেসব সম্পত্তি রেখে গেছেন, তারও একটি হিসাবের বিবরণী দাখিল করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় ১০ কাঠা জমি, যার মূল্য ৯ হাজার টাকা। বঙ্গভবন সংলগ্ন জনতা ব্যাংকে ২ হাজার ৩৫৯ টাকা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নামে একই ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন।



কালো টাকা সাদা করেছেন খালেদা জিয়া ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান!!



সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার কর অঞ্চল-২ এর ২১ নং সার্কেল অফিসে গিয়ে এনবিআর নির্দেশিত ফরমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আজম খান। সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস তা গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার সমপরিমাণ অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার আয়কর প্রদানের আবেদন করেন। কিন্তু নির্ধারিত ফরমে এই আবেদন না করায় এনবিআর তা গ্রহণ করেনি। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে।



সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, এনবিআরের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই আবেদন করা হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস গ্রহণ করেছে।



অন্যদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান যথাযথ নিয়ম মেনে জরিমানাসহ আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ায় তার অঘোষিত আয় বৈধ করেছে এনবিআর। গত ৩১ জুলাই কর অঞ্চল-৮ এ সাবেক অর্থমন্ত্রী তার অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩১ লাখ টাকা আয়কর প্রদান করেন



--------------------



পোষ্টের অন্যান্য সূত্র



১. Khaleda avails NBR amnesty (ডেইলী স্টার - ১/৮/২০০৭)



২. Khaleda's properties worth Tk 3.54cr (ডেইলী স্টার - ৭/৮/২০০৭)



৩. Khaleda owns Tk 3.54cr in bank accounts ( নিউ ঈজ - ৭/৮/২০০৭)



৪. Khaleda pays Tk 33 lakh tax ( নিউ এইজ - ১/৮/২০০৭)



৫. খালেদা জিয়ার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার আবেদন গ্রহণ

(দৈনিক সমকাল- ৭/৮/২০০৭)



৬. খালেদা-সাইফুর ৬৪ লাখ টাকা কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন

( সমকাল- ১/৮/২০০৭)





মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১২/-৬

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০

সামদ বলেছেন:
এডিট করতে গিয়ে ৩ জন সহ-ব্লগারের মূল্যবান কমেন্ট মুছে গিয়েছে। তাদের কাছে আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪

জুজু বুড়ি বলেছেন: খালেদা একটা মিথ্যুক।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সামদ বলেছেন: সেসময় (২০০৭ এ) বেশ শোরগোল হয়েছিল যে একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যেখানে কালো টাকা সাদা করছে সেখানে অন্যদের কিভাবে সৎ থাকতে বলতে পারে?

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ক্রিস্টিয়ান বলেছেন: যার জন্মেরই ঠিক নাই, (সে নিজেই বলে তার ৩ টা জন্মদিন!), তার লজ্জা যে হবে না, এটা আর এমন কি। খালেদার কাছে, কালা-সাদা বড় না, টেহাই বড়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সামদ বলেছেন:
আরে উনার জন্মদিনের কাহিননির কথা তো ভূলেই গেছিলাম।

আর ২০০৭ সালে বাড়ী দুটির আনুমানিক মূল্য ছিল ৮০ কোটি টাকা। উনি দেখিয়েছেন সেদুটির মূল্য মাত্র ১২ হাজার ৪ শ’ টাকা!!!! সততা আর কারে বলে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নিশম বলেছেন: গুলশানে এক বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমির ওপর আর একটি
বাড়ি।গুলশানে দেড় বিঘা জমিসহ বাড়িটির জন্য সরকারকে দিয়েছেন ১০১
টাকা



আমি ২০২টাকা দিমু, দিবো আমারে ????

একটু হাসি ????

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সামদ বলেছেন:
ভাইরে এই কথা মুখেও আইনেন না, ঢাকা শহরে বাড়ি বানানোর একটা ইটের দামও এর চেয়ে বেশী মনে হয়। আর ক্যান্টনমেন্ট ও গুলশানের মত জায়গায় বিঘার উপরে বাড়ি?

খোয়াবেও কয়জন মানুষ এত কিছু পাইতে পারে?

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

আমি অবুঝ বলেছেন: নিশম বলেছেন: গুলশানে এক বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমির ওপর আর একটি
বাড়ি।গুলশানে দেড় বিঘা জমিসহ বাড়িটির জন্য সরকারকে দিয়েছেন ১০১
টাকা


আমি ২০২টাকা দিমু, দিবো আমারে ????

একটু হাসি ????

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সামদ বলেছেন: হাসেন। আমরা আম পাবলিক আর কি করতে পারব বলেন হাসা ছাড়া?

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫২

সামদ বলেছেন:

শহীদ মঈনুল রোডের সেই বাড়িতে কিছুক্ষণ



ছবি: ফিরোজ আহমেদ
রহমান মাসুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি


>> বাড়ির মূল দরজা পার হওয়ার পর কিছুটা গেলেই হাতের ডান পাশে ঘাসের লনের পাশে এল আকৃতির গ্যারেজ। সেখানে রাখা আছে জিয়া পরিবারের ব্যবহৃত সাতটি মূল্যবান গাড়ি। যার নম্বরগুলো হলো ঢাকা মেট্রো ঘ-০২-০৯৩৯, ঢাকা মেট্রো চ-১৩- ৩০০২, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২৬০০, ঢাকা মেট্রো-গ-১১-২৬০০, ঢাকা মেট্রো-ক-০৩-৯৫৮৫ ও ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৬৭১৫।

>> বেগম জিয়ার ঘরের পুরু বাদামী কার্পেটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে খাটের, সোফার, দরজা-জানালার পর্দা, এমনকি সকল আসবাবের রঙ। বাথরুমে রাখা আছে ছোট ফ্রিজ। যাতে সাজানো আছে জুস, বিস্কিট, চকলেটসহ কয়েক প্রকার দামী খাবার ও পানীয়।


ঢাকা: বোববার দুপুর দেড়টায় আইএসপিআরের সংবাদ সম্মেলন ডাকে আইএসপিআর। সেখানে আগের দিন খালেদা জিয়ার করা অভিযোগগুলো অস্বীকার করা হলো। সাংবাদিকদের বলা হলো, ‘মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর করা সব অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট।’

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলো, ‘যদি তাই হয় তাহলে মিডিয়াকর্মীদের কেন শহীদ মঈনুল রোডের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে না। সেখানে গেলেই তো জানা যায় আসল ঘটনা কী?’

আইএসপিআরের পরিচালক শাহীনুল ইসলাম জানালেন, ‘শিগগিরই তা করা হবে।’

সেখানে বসেই শুরু হলো সেনানিবাসের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ। আকারে ইঙ্গিতে জানানো হলো, আজই সাংবাদিকদের নেওয়া হবে ৬ মঈনুল রোডের বাড়িতে। এরপরই সাংবাদিকেদের অপেক্ষা করার পালা শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটে। বেলা সাড়ে তিনটায় ৩০ সদস্যের সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে নিয়ে যাওয়া হয় মইনুল রোডের বাড়ির সামনে।

এবার বাড়ির মূল দরজায় অপেক্ষা। স্টেশন সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) ওয়ালিউল্লাহ সাংবাদিকদের রেখে প্রথমে প্রবেশ করেন ১৬৮ কাঠা আয়তনের আলিশান বাড়িটিতে। ১৫ মিনিট পর তিনি ফিরে এসে বললেন, বাড়িতে প্রবেশের সময় সবার ক্যামেরা বন্ধ রাখতে হবে এবং দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তাদের ছবি তোলা যাবে না।

এরপর তিনি আবারও প্রবেশ করলেন বাড়ির ভেতর। আবারো ১০ মিনিট সাংবাদিকদের অপেক্ষা।

এবার তিনি এসে জানান, টেলিভিশনকর্মীদের সবার আগে প্রবেশ করানো হবে। হলোও তাই। কিন্তু দায়িত্বরত মেজর সাঈদ কিছুক্ষণ পর সবাইকে বাড়ির ভেতর ডেকে নিয়ে যান।

বাড়ির মূল দরজা পার হওয়ার পর কিছুটা গেলেই হাতের ডান পাশে ঘাসের লনের পাশে এল আকৃতির গ্যারেজ। সেখানে রাখা আছে জিয়া পরিবারের ব্যবহৃত সাতটি মূল্যবান গাড়ি। যার নম্বরগুলো হলো ঢাকা মেট্রো ঘ-০২-০৯৩৯, ঢাকা মেট্রো চ-১৩- ৩০০২, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২৬০০, ঢাকা মেট্রো-গ-১১-২৬০০, ঢাকা মেট্রো-ক-০৩-৯৫৮৫ ও ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৬৭১৫।

বাড়িতে এখন জিয়া পরিবারের কেউ নেই। কিন্তু আছে কড়াকড়ি নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের বাড়িতে প্রবেশ করানোর আগে আইএসপিআর’র উপ-পরিচালক ওবায়েদ সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, ‘এটা সাবেক সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাবেক বাসভবন। তাই বাড়িতে প্রবেশের পর এমন কিছু করা যাবে না যাতে তাদের অবমাননা হয়।’

এরপর বাড়ির নীচতলার প্রতিটি ঘর সাংবাদিকদের ঘুরে ঘুরে দেখান মেজর সাঈদ ও অন্য সেনা কর্মকর্তারা। আগের দিন বিরোধীদলীয় নেত্রী এ দরজার নেট ও গ্রিল কেটে প্রবেশের কথা বলেছিলেন। তবে এমন কোনো চিহ্ন চোখে পড়েনি।

ভবনে প্রবেশের পর বাম পাশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ড্রইং রুম আর ডান পাশে ডাইনিং। ড্রয়িং রুমের সামনে দুইটি ডাবল সিটের সোফার সঙ্গে ছয়টি সিঙ্গেল সিটের সোফা। অন্য পাশে বিশাল সাইজের সেন্টার টেবিল এবং ডায়নিং রুমে ১০ চেয়ারের টেবিল।

এরপর আর একটি বসার ঘরও দামী আসবাবে সাজানো। প্রায় প্রত্যেক ঘরেই রয়েছে নানা আকারের কাগজের কার্টনে প্যাক করা এবং নম্বর দেওয়া প্যাকেট।

এরপর বাম দিকে মোড় নিয়ে এগোলে আর একটি বড় আকারের বসার ঘর। এটাও মূল্যবান বিদেশি আসবাব-শোভিত। এ ঘরের সঙ্গেই খালেদা জিয়ার শয়নকক্ষ। ঘরের দরজার চৌকাঠে শাবল জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাতের (ভাঙ্গার) স্পষ্ট চিহ্ন। মনে হলো, কয়েকটি স্থানে সাদা রঙের আস্তর বুলোলেও দুইটি আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট।

বেগম জিয়ার ঘরের পুরু বাদামী কার্পেটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে খাটের, সোফার, দরজা-জানালার পর্দা, এমনকি সকল আসবাবের রঙ। বাথরুমে রাখা আছে ছোট ফ্রিজ। যাতে সাজানো আছে জুস, বিস্কিট, চকলেটসহ কয়েক প্রকার দামী খাবার ও পানীয়।

ফ্রেশরুমে ছোট এক বইয়ের তাক। যা নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ম্যাগাজিন, বইয়ে ঠাসা। এর মধ্যে একটি আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা ‘বর্ষকন্যা’। আছে স্টিম বাথ, শাওয়ার ও দামী বাথটাব।

বেগম জিয়ার শোয়ার ঘরেও আছে নানা ধরনের পত্র-পত্রিকা ও বই। আছে আলাদা স্টাডি রুমও।

এ বাড়ির অন্য ঘরগুলো দোতলায়। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাড়ি ছাড়ার আগে দোতলা সম্পূর্ণ তালাবদ্ধ করে গেছেন বলে বাংলানিউজকে জানান সেনা কর্মকর্তা সানজিদা।

বাড়ির ভেতরে কোথাও নেই এ বাড়ির স্টাফদের থাকার স্থান। অথচ খালেদা জিয়া আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্টাফরা এ বাড়িতেই স্থায়ীভাবে থাকতেন।

বেডরুমের বারান্দায় ঝুলছিলো শুকাতে দেওয়া শাড়িসহ অন্যান্য কাপড়।

বাগানের দোলনার নিচে জন্মেছে ঘাস। পচন ধরেছে বসার কাঠের আসনটিতে। বাগানের এক পাশে অনেকগুলো অনাদৃত টব। দেখেই বোঝা যায়, এগুলোতে যতœ বোলানো হয়নি অনেকদিন। এর গাছগুলোও যেনো মৃত প্রায়। পড়ে আছে অব্যবহৃত দুইটি বাথটাবও।

এক সময় সদা প্রাণচঞ্চল এ বাড়িটিতে এখন সুনসান নীরবতা। জিয়া পরিবারের ৪০ বছরের ইতিবৃত্ত যে বাড়িটির প্রতিটি ইটের সঙ্গে ওৎপ্রোত, সে ইতিবৃত্তের আপাত যবনিকা ঘটে গেছে শনিবার নানা নাটকীয়তায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী ৬ শহীদ মঈনুল রোডের এ বাড়িটি একদিনের ব্যবধানে আজ জিয়া পরিবারের কাছে হয়ে গেছে কেবলই স্মৃতি।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৮

সপ্রতিভ বলেছেন: বাড়ি নেওয়ার পুরো কাহিনী পড়েন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.