নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ই উদাস, কই যে যাই কি যে করি..

সামদ

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে... বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে

সামদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবদেহের সাত চক্র - রত্না অধিকারী

১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৬









মানবদেহের সাত চক্র

রত্না অধিকারী:

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম





খাদ্যচক্র, ঋতুচক্র, বিষ্ণুচক্র এরকম অনেক চক্রের কথা আমাদের কানে আসে। কিন্তু দেহচক্রের কথা শুনলেই আমরা একটু চিন্তিত হয়ে যাই। মনের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন উকিঁঝুকি দিতে থাকে। আমাদের দেহে আবার চক্র আসবে কোথা থেকে? এ চক্রগুলো কোথায় থাকে, এ চক্রগুলোর কাজ কী ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেকেই জানি না, আমাদের দেহে একটি দুটি নয়, সাত সাতটি চক্র আছে।



আমরা বেশির ভাগ সময় অনেক গোপন সত্য জানা থেকে পিছিয়ে থাকি। আমাদের দেহের নিম্নাঙ্গে, তলপেটে, নাভিতে, হৃদয়ে, কণ্ঠে, দু চোখের মাঝে ও মাথার ওপরে আছে সাতটি চক্রের অবস্থান। চক্রগুলো হলো, মূলাধার চক্র, স্বাধিষ্ঠান চক্র, নাভিচক্র, হৃদচক্র, বিশুদ্ধ চক্র, আজ্ঞা চক্র ও সহস্রার চক্র।



দেহ একটা রঙের বাক্সের মতো। দিব্যশক্তি শিশুর মতো এ দেহে রঙতুলি নিয়ে নানা ভঙ্গিমায় খেলা করতে থাকে। খেলার জন্য তার পছন্দের জায়গা ‘চক্র’। এক-একটি চক্র তার কাছে এক-একটি প্লে-গ্রাউন্ড। খামখেয়ালিভাবে সে চক্রে চক্রে নেচে বেড়ায়। তার নৃত্যের তালে তালে আমাদের জীবন হয়ে উঠে ছন্দোময়, প্রেমময় ও আলোময়। তাই ইংরেজি ‘হিউম্যান বিইং’ শব্দটি মানুষের জন্য সঠিকভাবে প্রযোজ্য। Human Being=`Hue+ Man+ Being’ where Hue means Color, Man means Manifestation and Being means Light. অর্থাৎ হিউম্যান বিইং অর্থ ‘রঙরূপ আলো’।



প্রতিটি চক্রের সাথে দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জড়িত। যখন যে চক্রে দিব্যশক্তি খেলা করে তখন সে চক্রের ওপর ভাল-মন্দ দুরকমের প্রভাব পড়ে। যেমন, বিশুদ্ধ চক্রে খেলা করলে কথা বলার শক্তি ও গানের সুরধারা আসে। আবার সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও মন খারাপ হয়ে থাকে। এভাবে অন্যান্য চক্রের ওপরও প্রভাব ফেলে থাকে।



ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ দিব্যশক্তির এই খেলায় এক পর্যায়ে সব মন্দ হয়ে ওঠে ভালো। এমনকি রোগ সারানোসহ বিভিন্ন মিরাকলও ঘটে।



আসুন, এবার জানা যাক সেই অজানা ও কাঙ্থিত চক্র বিষয়ে :



* মূলাধার চক্র (Root/Ovaries/Taste)seven circle of life



মূলাধার চক্র দেহের মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তে বা নিম্নাংশে অবস্থিত। এটিকে কুণ্ডলিনী বলে। এ চক্রের চারটি দল। এর রঙ লাল। এটি আমাদের চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ চক্রটি চেতন থেকে অবচেতন পর্যন্ত বিস্তৃত। জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি- এ চারটির নিয়ামক এ চক্র। কামশক্তির আধার এটি। এটিতে আছে অস্থিধাতুর শক্তি। এ চক্রে দিব্যশক্তি খেলা করলে কামনা বাড়ে। জন্ম হয়। মৃত্যু হয়। রোগ হয়।



* স্বাধিষ্ঠান চক্র (Abdomen/Pancreas glands)



স্বাধিষ্ঠান চক্র দেহের তলপেট বা অগ্নাশয় নিয়ে গঠিত। এ চক্রের ছয়টি দল। এর রঙ গাঢ় গোলাপি। এটি আমাদের লোভ, কামনা, বাসনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটিতে আছে মেদ ধাতুর শক্তি। এ চক্রে দিব্যশক্তির নৃত্যে কামনা বাড়ে। বাসনা বাড়ে। লোভ বাড়ে। বমি হয়। ডায়ারিয়া হয়। ভয় কাজ করে।



* মণিপুর বা নাভিচক্র (Solar plexus/Adrenal glands)



মণিপুর চক্র দেহের নাভি বা বৃক্কাশয় বা পাকস্থলির নিচের শিরাজাল নিয়ে গঠিত। এ চক্রের দশটি দল। এটির রঙ বেগুনি। এটি আমাদের উচ্চ চেতনা, জীবনীশক্তি, আবেগ, বাসনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটিতে আছে মাংসধাতুর শক্তি। তেজশক্তির আধার এটি। এ চক্রে দিব্যশক্তি মণিপুরি নৃত্য করে। দিব্যশক্তির উন্মাদ নাচের তালে দেহের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। পেটের পীড়া হয়।



* অনাহত বা হৃদচক্র (Heart/Thymus gland)



হৃদচক্র আমাদের বুকের মাঝখানে অবস্থিত। এ চক্রের বারটি দল। এর রঙ সোনালি-গোলাপি। এটি আমাদের আবেগ, রাগ-অনুরাগ, প্রেম, বিরহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটির অনেক গভীরে আত্মা থাকে। এটিতে আছে রক্ত ধাতুর শক্তি। এ চক্রে দিব্যশক্তির খেলায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। প্রেম-ভালবাসা হয়। বিরহ আসে। বুক-পিঠ ব্যথা করে। হৃদরোগ হয়।



* বিশুদ্ধ চক্র (Throat/Thyroid gland)



বিশুদ্ধ চক্র আমাদের কণ্ঠে অবস্থিত। এ চক্রের ষোলটি দল। এর রঙ ধূসর। এটি আমাদের ভাবপূর্ণ মন ও বাহির মনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ চক্র মানসিক শক্তি ও মনের সব ভাব প্রকাশ করে থাকে। এটিতে আছে স্নিগ্ধশক্তি। এ চক্রে শিশু খেলা করলে কথা বলার শক্তি আসে। গানের সুর আসে। সর্দি, কাশি, গলা-ঘাড় ব্যথা ও মন খারাপ হয়।



* আজ্ঞা চক্র (Third Eye/Pineal gland)



আজ্ঞা চক্র আমাদের দু ভুরুর মাঝখানে অবস্থিত। এ চক্রের দুটি দল। এর রঙ সাদা। এটি আমাদের গতিময় মন, ইচ্ছা, দিব্যদৃষ্টি, মানসিক গঠন ও মনের সব চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটিতে আছে মজ্জা ধাতুর শক্তি। এ চক্রে দিব্যশক্তির খেলায় মন কাজ করে। চিন্তাশক্তি আসে। ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা আসে। কবিতা, উপন্যাস লেখাসহ সব সৃষ্টিশীল কাজ করার ক্ষমতা আসে। মাথা ঘোরায়। কখনও কখনও মাথা চিন্তাশূন্য হয়ে পড়ে।



* সহস্রার চক্র (Crown/Pituitary gland)



সহস্রার চক্র আমাদের মাথার ঠিক ওপরে অবস্থিত। এ চক্রের সহস্রটি দল। এটিতে নির্দিষ্ট কোনো রঙ নেই। এটি আমাদের উচ্চ চেতনা বা অধিচেতনা, অর্ন্তদৃষ্টি, বোধিসত্ব চেতনা, দিব্য চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটির তিনটি অংশ আছে : সচ্চিদানন্দ (সৎ, চিৎ, আনন্দ), নিচ থেকে উপরে আনন্দ অংশ, এর উপরে চিৎ (দর্পণ) অংশ এবং এরও উপরে সৎ (মহাশূন্যতারুপী অন্ধকার) অংশ। এ চক্রে দিব্যশক্তির খেলায় দিব্যজ্ঞান আসে। মানুষ জাগতিক ও মহাজাগতিক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে জানতে পারে। মাথার তালু জ্বলে যায়।



এই চক্রগুলো ছাড়াও পায়ের নিচে একটি চক্র আছে যেটিকে আমরা ‘পদচক্র’ বলতে পারি। এই চক্র অবচেতনার সাথে জড়িত। এই চক্রে দিব্যশক্তি খেলা করলে দেহের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। হতাশা আসে। জীবনটাকে নিরস ও অর্থহীন মনে হয়। জড়তা আসে। জীবন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।



আমাদের দেহের চক্রগুলো একই সাথে গোলাকার ও লম্বাকার। সব চক্রের কেন্দ্র হৃদয় বা অনাহত বা হৃদচক্র। চক্রগুলো সবসময় দেহের মধ্যে সক্রিয় থাকে। প্রতিটি চক্র অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটিতে কাজ হলে অন্যটির উপরও প্রভাব পড়ে। প্রতিটি চক্র দেহের সক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষের ইচ্ছানুযায়ী দিব্যশক্তি কাজ করে থাকে, অন্যদিকে উল্টাটাও সত্য।



বিভিন্ন যোগী, ঋষি, সাধক-সাধিকারা এই চক্রের অনুশীলন করে থাকেন। সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি করা কঠিন। কেউ যদি নিজে নিজে এটি করতে চান, করতে পারেন কিন্তু এতে ঝুঁকি থেকে যায়। এজন্য একজন গুরু বা অভিজ্ঞ ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা প্রয়োজন।



বাংলাদেশ সময় ১৪১৩, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩০

সামদ বলেছেন: আত্মিক উন্নয়নের দশ উপায়
রত্না অধিকারী
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আত্মিক উন্নয়নের দশ উপায়

মন ও দেহ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে, আবার শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। দেহের সুস্থতার থেকে মনের সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি। কারণ আমাদের মনই যে কোনো ব্যাপারে প্রথমে সাড়া দেয়। আর তাই শুধু শারীরিক সুস্থতা ও কায়িক পরিশ্রম দিয়েই একজন মানুষ সবসময় ভালো থাকতে পারে না, যদি তার আত্মিক বা মানসিক উন্নতি না হয় । আসুন আমরা জেনে নিই আত্মিক উন্নতির দশটি উপায়।

ক্ষমা
মন পরিষ্কার রাখার জন্য ‘হওয়াইন বা হুপোনোপোনো’ অনুশীলন করুন। ‘হওয়াইন বা হুপোনোপোনো’ অনুশীলনের চারটি মূল কথা হচ্ছে : ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি; আমি দুঃখিত; তোমাকে ধন্যবাদ; আমাকে ক্ষমা করো’।

ধরুন আপনার সঙ্গে একজনের খারাপ সম্পর্ক আছে । আপনার মনের মধ্যে তার ছবি কল্পনা করে ও আপনার উচ্চ সত্তা থেকে ভালোবাসার শক্তি নামিয়ে এনে আপনি উপরোক্ত কথাগুলো বার বার বলে চলুন। এক পর্যায়ে আপনি মনে মনে চিন্তা করতে থাকুন যে এই সমস্যাটা ঠিক হয়ে গেছে এবং আপনি লোকটিকে ক্ষমা করতে পেরেছেন ।

দ্বিতীয়বার যখন আপনি এটি করতে যাবেন দেখবেন আপনার মধ্যে লোকটির প্রতি একটু হলেও ভালোবাসা এসেছে । আর যদি ভালোবাসা নাও আসে তবে আবার আপনি একইভাবে এটি করতে থাকুন। একসময় দেখবেন সত্যিই আপনি তাকে ক্ষমা করতে পেরেছেন। যে কোনো বিষয়ে আপনি এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন ।

শান্ত থাকার যোগ
আমরা বেশির ভাগ সময় আমাদের নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ি। সবসময় আমাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করে : ‘আমার কী হবে? আমি এটি পাব কি পাব না? এটি পেতে আমার কী করা উচিত বা অনুচিত?’ কিন্তু এটা না করে স্থির থাকুন। নিজেকে আট বছরের বালক বা বালিকা ভাবুন। নিজের দোষ-গুণ সম্পর্কে নিজেকে নিরপেক্ষ কিন্তু নরমভাবে প্রশ্ন করুন। নীরবতাকে মনের মধ্যে আহ্বান করুন এবং বলতে থাকুন :‘নীরবতা এসো’,‘শান্ত হও’। একটু পরেই দেখবেন আপনার মন শান্ত হয়ে গেছে। যখনই অশান্ত হয়ে পড়বেন তখনই এটি করতে থাকবেন।

স্থির হওয়ার ব্যায়াম
একটি চেয়ারে বসুন ও পা দুটিকে মেঝেতে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন ও মনে মনে চিন্তা করুন যেন আপনার মেরুদর শেষ প্রান্তে ,যোগের ভাষায় যাকে কু-লী বলে, সেখানে একটি বৈদ্যুতিক তার লাগানো রয়েছে। এই বৈদ্যুতিক তার আপনার মাথার ওপরের শান্ত সাগরের মতো পৃথিবীর ঠিক মাঝখান থেকে ঝরনাধারার মতো নেমে এসেছে। এটি আপনার দেহে ঢুকে আপনার দেহের সকল বর্জ্যপদার্থ ও খারাপ কিছু চুষে নিচ্ছে। আপনি নিজেকে খুব হালকা বোধ করছেন। প্রথম প্রথম এটি করতে শান্ত জায়গার প্রয়োজন হবে। পরে, আপনি এটি আয়ত্ত করতে পারলে যে কোনো স্থানে বা জায়গায় যেমন- অফিসে, রাস্তায়, লোকালয়ে করতে পারবেন। মন শান্ত রাখার জন্য এটি একটি মহাষৈৗধ। এটির উপকারিতা আপনি প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারবেন।

তিন চক্রকে সক্রিয় রাখা
বিশুদ্ধ চক্র, অনাহত চক্র ও মণিপুর চক্রের মধ্যে দিব্য আলো, আনন্দ, চেতনা খেলা করতে থাকে। তাই এই চক্রগুলো সক্রিয় রাখা খুব জরুরি। কণ্ঠ, হৃদয় ও প্লীহার ওপরে চাপড়াতে থাকুন। এতে এই চক্রগুলো সক্রিয় হবে। দিনে দু মিনিট করে আপনি এটি করতে থাকুন।

স্নায়ু উত্তেজক ব্যায়াম
জড়তা কোনো ভালো জিনিস নয়। এটিকে যোগের ভাষায় ‘তামসিক ভাব’ বলা হয়ে থাকে। স্নায়ু উত্তেজিত করতে ও জড়তা দূর করতে আপনি বিভিন্ন যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন, আপনার এক হাতের তালুর একটু ওপরে অন্য হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন। আস্তে আস্তে আঙ্গুলগুলো দিয়ে বুড়ো আঙ্গুলের দিকে নামিয়ে আনুন। পনের বার এটা করুন। এতে আপনার জড়তা দূর হবে।

‘কি ফো’ ব্যায়াম
কি ফো নিতে মাত্র দু মিনিট লাগবে । আপনার দু হাত হালকাভাবে মুঠো করুন এবং আপনার স¤পূর্ণ দেহের ওপর চাপড়াতে থাকুন। মাথা থেকে আরম্ভ করে খুলি, মগজ ও ঘাড় ছাড়িয়ে স¤পূর্ণ দেহে এটা করতে থাকুন । এতে আপনার রক্তচলাচল বেড়ে গিয়ে আপনার দেহে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করবে। আমাদের মাথা চিন্তা করার স্থান। মন সবসময় কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করেই চলেছে এবং একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তা সে ভালো হোক বা খারাপ।

কুকুর অথবা বিড়াল পোষা
বেশির ভাগ মানুষ স্বার্থপর হয়ে থাকে। আবার অনেকের মধ্যে পশুবৃত্তি আছে। প্রাণীদের আচার-আচরণ সংক্রামক। কুকুর প্রভুভক্ত। এদের নিস্বার্থ ভালোবাসা, শিশুসুলভ আচরণ, খেলাপ্রিয়তা ও অল্পে সন্তুষ্ট থাকার প্রবণতা আপনার মধ্যেও সংক্রামক রোগের মতো প্রবাহিত হয়ে থাকে। তাই, স্বার্থপর ও পশুর মতো মানুষের সঙ্গ না দিয়ে প্রাণীদের সঙ্গ দেওয়া অনেক ভালো।

সাগরের পানিতে সাঁতার
আমাদের সম্পুর্ণ দেহের ওপর একটি বলয় আছে যেটিকে ‘সূক্ষ্ম দেহ’ বলে । এই সূক্ষ্ম দেহ অলৌকিক আভা দিয়ে তৈরি, যেটি আমাদের দৈহিক ও আত্মিক সুস্থতা প্রকাশ করে থাকে। আমাদের দেহকে এই অলৌকিক আভা প্রকাশের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আর তাই প্রতিদিন ভোরে সাগরের পানিতে স্নান করতে হবে। কারণ লবণাক্ত পানিকে প্রাকৃতিক পরিষ্কারক বলা হয়। দেহের অতিরিক্ত বর্জ্যপদার্থ বের করে দিতে ও দেহে মিনারেলের সমতা আনতে লবণের গুরুত্ব অপরিসীম। দেহ পরিষ্কার না থাকলে রোগ দেহে বাসা বাঁধবে ও জীবনটাকে বোঝা ও বিরক্তিকর মনে হবে ।

রঙতুলি ব্যবহার
ছোট শিশু মানেই নিষ্পাপ ও পবিত্র কিছু। ছোট শিশুদের মতো রঙপেন্সিল নিয়ে আঁকতে আরম্ভ করুন। চোখ বন্ধ রেখে কিছুক্ষণ ধ্যান করে মন শান্ত করুন। এরপর, আপনার মস্তিষ্ক সচল করার জন্য কাগজের ওপর একটি বৃত্ত আঁকুন এবং এটিকে আট ভাগে ভাগ করুন। এই আট ভাগে আপনার ইচ্ছামতো রঙ দিয়ে বৃত্তটি পূরণ করুন। ছবি আঁকার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি জানুন বা না জানুন এসব নিয়ে কোনো চিন্তা করবেন না।


গাছ লাগানো

গাছ লাগানো খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাগান করা মনের খোরাক জোগায়। গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যা আপনাকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাবে, প্রকৃতিপ্রেমিক করে তুলবে, প্রকৃতির মতো উদার হতে সাহায্য করবে। বাড়িতে করা বাগান থেকে আপনি সতেজ বাতাস পাবেন । তাছাড়া, আপনি রান্নার জন্য তাজা সবজি পাবেন।

আমাদের মন খুব অশান্ত। এই অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য আপনি যোগ ব্যায়ামসহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। মন শান্ত হলে ঘরে-বাইরে আপনার জীবনের সব ক্ষেত্রে সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। শান্ত মন সুস্থতার পরিচায়ক। মন স্থির থাকলে কর্মক্ষেত্রে, সংসার জীবনে, আধ্যাত্মিক জীবনে আপনি সুচিন্তা ও সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটাতে পারবেন। জীবন তখন অর্থময়তায় ভরে উঠবে।

বাংলাদেশ সময় ১১৫২, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৩

নষ্ট কবি বলেছেন: মাত্র নয়বার পড়া হয়েছে এই পোষ্ট- দেশে কেউ ভল কিছু জানতে চায়না,,,,

২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১০

সামদ বলেছেন: এটা আসলে প্রথম পাতায় দেইনাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.