![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন।
জন্ম
শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। কৃষ্ণের জন্মদিনটি কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বা জন্মাষ্টমী নামে পালিত হয়। কৃষ্ণ যাদব-রাজধানী মথুরার রাজপরিবারের সন্তান। তিনি বসুদেব ও দেবকীর অষ্টম পুত্র। তাঁর পিতামাতা উভয়ের যাদববংশীয়। দেবকীর দাদা কংস তাঁদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। একটি দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তাঁর মৃত্যু হবে। এই কথা শুনে তিনি দেবকী ও বসুদেবকে কারারুদ্ধ করেন এবং তাঁদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন। দেবকী তাঁর সপ্তম গর্ভ রোহিণীকে প্রদান করলে, বলরামের জন্ম হয়। এরপরই কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন।
কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে বসুদেব তাঁকে গোকুলে তাঁর পালক মাতাপিতা যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন। কৃষ্ণ ছাড়া বসুদেবের আরও দুই সন্তানের প্রাণরক্ষা হয়েছিল। প্রথমজন বলরাম (যিনি বসুদেবের প্রথমা স্ত্রী রোহিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন) এবং সুভদ্রা (বসুদেব ও রোহিণীর কন্যা, যিনি বলরাম ও কৃষ্ণের অনেক পরে জন্মগ্রহণ করেন)। ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, কোনো প্রকার যৌনসংগম ব্যতিরেকেই কেবলমাত্র "মানসিক যোগের" ফলে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, সেযুগে এই ধরনের যোগ সম্ভব ছিল।
বাল্য ও কৈশোর
নন্দ ছিলেন গোপালক সম্প্রদায়ের প্রধান। তাঁর নিবাস ছিল বৃন্দাবনে। কৃষ্ণের ছেলেবেলার গল্পগুলি থেকে জানা যায়, কিভাবে তিনি একজন রাখাল বালক হয়ে উঠলেন, কেমন করে তিনি মাখন চুরি করে দুষ্টুমি করতেন, কেমন করে তিনি তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টাগুলিকে বানচাল করে দিতেন এবং বৃন্দাবনবাসীর জীবনরক্ষা করতেন। কৃষ্ণের প্রাণনাশের জন্য কংস পুতনা সহ অন্যান্য রাক্ষসদের প্রেরণ করলে, সকলকে বধ করেন কৃষ্ণ। কালীয় নামে একটি বিরাট সাপ যমুনার জলকে বিষাক্ত করে রেখেছিল। এই জল পান করে রাখাল ও গোরুর মৃত্যু হত প্রায়শই। কৃষ্ণ এই কালীয় নাগকে দমন করেন। হিন্দু চিত্রকলায় অনেক স্থানেই বহুফণাযুক্ত কালীয় নাগের মাথার উপর নৃত্যরত কৃষ্ণের ছবি দেখা যায়। কৃষ্ণের গোবর্ধন গিরি ধারণ করার উপাখ্যানটিও বহুপরিচিত। কৃষ্ণ বৃন্দাবনবাসীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, অকারণে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রের পূজা না করে পশুর দল ও পরিবেশের যত্ন নিতে। তাঁর মতে, এগুলিই বৃন্দাবনের সম্পদের উৎস। বৃন্দাবনবাসী ইন্দ্রের পূজা বন্ধ করে দিলে, ক্রুদ্ধ ইন্দ্র বৃন্দাবনকে প্লাবিত করতে চান। কৃষ্ণ গোবর্ধন গিরিকে এক আঙুলে ধারণ করে সমগ্র বৃন্দাবন ও তার সকল অধিবাসীদের রক্ষা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, প্রথাগত বৈদিক ধর্ম ও তার দেবদেবীর বিরুদ্ধে কৃষ্ণের এই অবস্থান, আধ্যাত্মিক ভক্তি আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে।
বৃন্দাবনে গোপীদের নিয়ে কৃষ্ণের লীলাও ভারতীয় সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় বিষয়। রাধার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গীতগোবিন্দম্ রচয়িতা জয়দেব সহ অসংখ্য কবি প্রণয়মূলক কবিতা রচনা করেছেন। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিতে কৃষ্ণের পূজা কৃষ্ণভক্তি আন্দোলনের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৪
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ...
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকেই ভালো রাখুন....
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৮
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সকল সৃষ্টির মঙ্গল কামনা করছি। শুভদিনে সকলে আনন্দে থাকুন এটাই প্রত্যাশা রইলো।
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৮
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকেই ভালো রাখুন....
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৮
চ্যালেন্জার বলেছেন:
বৃন্দাবনে গোপীদের সাথে লীলা.............
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১০
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: Follow 4 no. Comments of Mr. Nasto Kobi...
So.....
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪১
নষ্ট কবি বলেছেন: ছাগু দের আক্রমন কে পাত্তা দেবেন না-
সবাইকে আজ ক্ষমা করে দিতে হয়।
সবার জন্য শুভকামনা
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০০
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: আপনার শূভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকেই ভালো রাখুন....
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৫
শিবলী নোমান বলেছেন: আর কতো লীলা দেখাবেন আপনারা____
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১১
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: Follow 4 no. Comments of Mr. Nasto Kobi...
So.....
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২০
হারানোপ্রেম বলেছেন: শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলের প্রতি রইল শুভেচ্ছা।
২২ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২১
গুরুদেবজী বলেছেন: বৃন্দাবনে গোপীদের নিয়ে কৃষ্ণের লীলার স্বরুপ:
ভাগ্নে কৃষ্ণ তার মামী রাধে কে বলছে-"রাধে, তোমার এই নব যৌবনের সুষমা অহরহ আমার মনে জাগিতেছে। তাহাতে আবার তোমার সহিত রমণেচ্ছা প্রবল হইয়া আমার হৃদয়কে অতিমাত্রায় কর্ষণ করিতেছে।" অ হ্যাঁ বলছিলাম কি, কৃষ্ণ রাধার ভাগ্নে হল কি করে? এমন ডাহা মিথ্যা কথা কি করে বানাও তুমি?
- নাহ্, কিছু না... অ হ্যাঁ বলছিলাম কি, কৃষ্ণ রাধার ভাগ্নে হল কি করে? এমন ডাহা মিথ্যা কথা কি করে বানাও তুমি?
- সেটাই তো বলতে চাচ্ছিলাম... চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন এর বৃন্দাবন খণ্ডে পাওয়া যায় :
.............................................
এ তোর নব যৌবনে ল
আহোনিশি জাগে মোর মনে।
তাহাত তোক্ষা রমণে ল
খেতি করে আক্ষার পরাণে
.............................................
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন (চণ্ডীদাস বিরচিত) : বৃন্দাবন খণ্ড পৃষ্ঠা-৮৯
(শব্দার্থ : আহোনিশি- অহরহ, তোক্ষা - তোমার, খেতি করে - কর্ষণ করে বা আঘাত করে, আক্ষার - আমার)
অর্থ : "রাধে, তোমার এই নব যৌবনের সুষমা অহরহ আমার মনে জাগিতেছে। তাহাতে আবার তোমার সহিত রমণেচ্ছা প্রবল হইয়া আমার হৃদয়কে অতিমাত্রায় কর্ষণ করিতেছে।" (শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : ভাষাসবর্্বস্ব টীকা-২৫২পৃষ্ঠা)
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের যমুনা খণ্ডে বলা হয়েছে :
আহা।
গোপীর বসন হার লয়িআঁ দামোদর।
উঠিলা গিআঁ কদম্ব তরুর উপর
তথাঁ থাকী ডাক দিআঁ বুইল বনমালী।
কি চাহি বিকল হঅ সকল গোআলী ১
নিকট আইস মোর মরণ সব গোপীগণে।
আজি কথা সুণ মোর মরণ জীবনে ধ্রু
দেখি[ল] হরষে তা সব গোপযুবতী।
গাছের উপরে কাহ্নাঞিঁ উল্লাসিত মতী
হরিআঁ গোপীর হার আঅর বসনে।
হাসে হাসি খলখলি কাহ্নাঞিঁ গরুঅ মনে ২
কুলে পরিধান নাহি দেখি গোপনারী।
হৃদঞঁ জানিল তবে নিলেক মুরারী
তবে বড় গল করী বুইল জগন্নাথে।
তোক্ষার বসন হের আক্ষার হাতে ৩
যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর।
তাবত বসন নাহি দিব দামোদর
এহা জাগী তড়াত উঠিআঁ নেহ বাস।
বাসলী শিবে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস৪
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খণ্ড পাহাড়ীআরাগ পৃষ্ঠাঃ ১০২
- এখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের বর্ণনা করা হয়েছে। রাধা তার অষ্টসখিদের নিয়ে পুকুরে স্নান করতে যায়। সখিরা তাদের নিজ নিজ বসন খুলে বিবস্ত্র হয়ে জলেতে নামিল। বিবস্ত্র হয়ে জলে নামার কথাটা উল্লেখ আছে পরের শ্লোকে। পৃষ্ঠা : ১০৩, ধানুষীরাগ : একতালী
.............................................
আল বড়ায়ি
সাত পাঁচ সখিজন লআঁ।
জলেত ণাম্বিলী লাঙ্গট হআঁ ল
.............................................
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খন্ড : পৃষ্ঠা : ১০৩ : ধানুষীরাগ :
(শব্দার্থঃ কদম্ব তরুর- কদম গাছ, তোক্ষার- তোমার, আক্ষার- আমার, যাবত- যতক্ষণ, উঠিবেঁহে- উঠিয়া আসিবে, জলের ভিতর- জল থেকে, তড়াত- তাড়াতাড়ি করে, বুইল- বলল, দিআঁ- দিয়ে, গিআঁ- গিয়ে, দামোদর - কৃষ্ণ, করী- করে, লআঁ- নিয়ে, ণাম্বিলী- নামিল, লাঙ্গট- উলঙ্গ।)
এখানে, তোক্ষার বসন আক্ষার হাতে ৩
তোমার কাপড় আমার হাতে।
যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর।
যতক্ষণ না উঠিয়া আসিবে জল থেকে।
তাবত বসন নাহি দিব দামোদর
ততক্ষণ কাপড় নাহি দিবে কৃষ্ণ।
সখিসব স্নান শেষে কূলেতে তাকিয়ে দেখে তাদের পরিধানের বসন নেই। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে শ্রীকৃষ্ণ তাদের বসনগুলো নিয়ে কদম গাছের ডালে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। বসন চাইলে কৃষ্ণ তাদেরকে জলের ভিতর থেকে উঠে আসতে বলে। সখিসব বিবস্ত্র অবস্থায় কূলে উঠতে ইতস্ততঃ বোধ করল। কিন্তু না উঠে উপায় কি? যতক্ষণ পর্যন্ত তারা জল থেকে না উঠে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষ্ণ তাদেরকে বসন ফিরিয়ে দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।
কৃষ্ণকে কাহ্ন, কাহ্নাঞিঁ, বনমালী, জগন্নাথ, দামোদর বলা হয়। জাননি না কোনো কারণে পবিত্র দেবতা যিনি সকল ভগবানের স্রষ্টা তাঁর প্রেমের কাহিনী রচনা করেছেন চণ্ডিদাস? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তো ঐসব গালগপ্প থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত-পবিত্র। তিনি তো কোনো স্ত্রী গ্রহণ করেননি আবার কোনো সন্তানও জন্ম দেননি। না তাঁর কোনো বংশ আছে না তাঁর কোনো অংশ আছে।
''এই জগতে তাঁহার প্রভু কেহ নাই, নিয়ন্তাও কেহ নাই। এমন কোনোও লিঙ্গ বা চিহ্ন নাই যাহাদ্বারা তাঁহাকে অনুমান করা চলে। তিনি সকলের কারণ; তাঁহার কোনোও জনক বা অধ্যক্ষ নাই।''
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদঃ অধ্যায়-৬ :৬, শ্লোক- ৯, অতুল চন্দ্র সেন, সীতানাথ তত্ত্বভূষণ ও মহেশচন্দ্র ঘোষ কতর্ৃক সম্পাদিত)
চন্ডিদাস যে কৃষ্ণের প্রেমকাহিনী রচনা করেছেন হয়ত তা অন্য কোনো কৃষ্ণ হবে? যিনি এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে এমন সব লীলা করেছিলেন। তবে নিশ্চিত ভাবেই বলা চলে, এমন কাহিনী পরমেশ্বর কৃষ্ণের (কৃষ্ণ অর্থ কালো, অন্ধকার, ঘোর-অন্ধকার; অর্থাৎ যাকে দেখা যায় না, না দেখে যার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা হয় তিনিই হলেন কৃষ্ণ অর্থাৎ নই যার আকার কোনো কিছুর মতো যা আছে এই বিশ্বচরাচরে 'ন তস্য প্রতিমা অস্তি।' অর্থ : কাহারও সহিত তাঁহার তুলনাও হয় না।) জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলে শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনে কোনো কৃষ্ণের কথা বলা হয়েছে - এ প্রশ্ন করেছিলাম মাস্টার মশাইকে। তিনি তো রীতিমতো চেঁচিয়ে উঠে বলেন-কৃষ্ণ আবার দুইটা হলো কোনো দিন থেকে? আমিও বললাম- এমন চিরসত্য কি কেউ অস্বীকার করতে পারে। কৃষ্ণ তো একজনই... কৃষ্ণের তো কোনো অংশ বংশ নেই, তিনি তো বৈসাদৃশ্য, পরমেশ্বরের স্বরূপ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, কেহই ইহাকে চক্ষুদ্বারা দর্শন করিতে পারে না। আমি আর সামনে বাড়লাম না। আশা করছিলাম মাস্টার মশাই হয়ত আরো কিছু বলবেন কিন্তু মাস্টার মশাইও চুপ মেরে গেলেন। আমি তো ভাবলাম যত জোড়ে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন হয়ত এবারে মতো মাস্টার মশায়ের কন্ঠস্বরই আলাদা হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ বাদেই বলে উঠলেন, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখলে তোমার সমস্যা কোথায়?
- নাহ্, কোনো সমস্যা নেই... তবে সমস্যাটা দেখা দিবে যদি শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের স্রষ্টা কৃষ্ণ তার কোনো পুরুষ বান্দাকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে থাকেন আর একবার যদি তা কোনো মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়ে যায় তখন পশ্চিমা দেশগুলো ভাবতে পারে শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের স্রষ্টা তো 'গে' (সমকামি) হয়ে গেছেন। আর সেই দেখাদেখি যদি পৃথিবীর সব মানুষ সমকামি হয়ে যায় তবে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তার চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে আর এমনিভাবে একদিন পৃথিবী হয়ে যাবে মানুষশূন্য। শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনে যে কৃষ্ণের কীর্ত্তন গাওয়া হয়েছে চণ্ডিদাসের গলায় সে কৃষ্ণ কেবলমাত্র নারীদের বিবস্ত্র স্নান দর্শন করিতেছিলেন, কেননা চণ্ডিদাসের বর্ণনায় পাওয়া যায় এ কৃষ্ণ ছিলেন পুরুষ। কিন্তু পরমেশ্বর কৃষ্ণ নারী-পুরুষ লিঙ্গের ঊধের্্ব। তিনি তা থেকে পবিত্র। এ জগতে তাঁহার তুলনা কোথায়?
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনে যে কৃষ্ণেরই কথায় বলা হোক; তবে চন্ডিদাসের ঐ কৃষ্ণের মতো প্রেমিক আমি হতে চাই না...
- ক্যান... ক্যান...?
- প্রেমের মধ্যে যদি পবিত্রতাই না থাকল, তবে সে প্রেমের মূল্য কোথায় বল? সেখানে তো রাধা একা ছিলেন না, তার অষ্ট সখীগণও বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। সেখানেই শেষ নয়? এতক্ষণ যে রাধা-কৃষ্ণের কথা বলছিলাম, তাদের মধ্যে একটা মজার সম্পর্কও আছে। রাধা হল কৃষ্ণের মামী। অর্থাৎ মামা কংসের স্ত্রী হলো রাধা। শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন দানখণ্ড : রামগিরীরাগ : পাঠ করলেই রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
মাউলানীর যৌবনে কাহ্নের মন।
বিধুমুখে বোলেঁ কাহ্নাঞিঁ মধুর বচন
সম্বন্ধ না মানে কাহ্নাঞিঁ মোকে বোলেঁ শালী।
লজ্জা দৃষ্টি হরিল ভাগিনা বনমালী
.............................................
দেহ বৈরি হৈল মোকে এরুপ যৌবন।
কাহ্ন লজ্জা হরিল দেখিআঁ মোর তন
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের দানখণ্ড : রামগিরীরাগ : পৃষ্ঠা : ২০
(শব্দার্থঃ মাউলানী- মামী, কাহ্নের- কৃষ্ণের, বোলেঁ- বলে, হরিল- হারাল, বনমালী- কৃষ্ণ, মোকে- আমাকে, দেখিআঁ- দেখে, তন- স্তন।)
এখানে, মাউলানীর (মামীর) যৌবনে কাহ্নে (কৃষ্ণের) মন। মাউলানী শব্দের অর্থ মামী। অথর্াৎ রাধা হলো কৃষ্ণের মামী। শেষ লাইনে বলা হয়েছে কাহ্ন (কৃষ্ণ) লজ্জা হরিল (হারাল) দেখিআঁ (দেখে) মোর (আমার) তন (স্তন)।
এই যদি হয় প্রেমের উপাখ্যান, তবে এমন প্রেম করার চাইতে আত্মহত্যা করাই ভালো। তাও আবার সাধারণ মানুষের প্রেম হলে এক কথা, এ যে দেবতাদের প্রেমলীলা! এই রূপ নর-নারী যদি প্রেমের দেবতা হয় তবে সাধারণ মানুষ কিসের দেবতা? এমন কাহিনী কি করে ধর্ম গ্রন্থগুলোতে স্থান পায়? এ তো লেখকগণের কল্পনার অতি আদিখ্যেতা ছাড়া কিছুই নয়।
- হায় রাম! এমন কথা বুঝি শাস্ত্রে লিখা থাকে? তোমার মুখে রক্ত উঠবে দেবতাদের অভিশাপে পঁচে যাবে... দোহাই তোমার, অমন কথা আর বল না...
- তা নয় তো কি... একি আমার মুখের কথা? সব তো শাস্ত্রেই আছে, আমি তো শুধু পাঠ করে যাচ্ছি... শুধু কি তাই!
সূত্রঃ "সত্যভূত" , খন্ড-১, লেখক- মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৬
গুরুদেবজী বলেছেন: জন্মাষ্টমীর বাণী:
"সাড়ে তেত্রিশ কোটি নয়, একজন ভগবান এই জগতের উত্পত্তি ও লয়ের কারণ!" যাহাদের বিবেক অপহৃত হইয়াছে, তাহারা নিজ নিজ কামনা-কলুষিত স্বভাবের বশীভূত হইয়া ক্ষুদ্র দেবতাদের আরাধনা করে থাকে।
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীভগবান বললেন-
"সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ ৬৬"
(সূত্রঃ শ্রীমদ্ভগবদগীতা, ১৮ তম অধ্যায়, ৬৬ নং শ্লোক)
(শব্দার্থঃ সর্বধর্মান্- সর্বধর্ম, মামেকং- কেবলমাত্র আমাকে, শরণং ব্রজ- আশ্রয় কর বা স্মরণ কর, অহং- আমি, ত্বাং- তোমাকে, সর্বপাপেভ্যঃ- সমস্ত পাপ হইতে, মোক্ষয়িষ্যামি- মুক্ত করিব, মা শুচঃ- শোক করিও না।)
অনুবাদঃ "সকল ধর্ম পরিত্যাগ করিয়া তুমি একমাত্র আমারই শরণ লও; আমি তোমাকে সকল পাপ হইতে মুক্ত করিব, শোক করিও না। ৬৬"
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা অধ্যায়ঃ ১৮, শ্লোক- ৬৬, পৃষ্টাঃ ৩৬৭, লেখকঃ শ্রীজগদীশ চন্দ্র ঘোষ)
"Sharba Dharma Paritejjaya Mamekang Sharan Braja:
Auhang twang Sharba-papoveya Makkhamiami ashucha:"
(Ref: Sloakas from Vagabat Gita: 18:66
Translation: Leaving every kind of religious worshiping (i.e. idol worshiping etc.), concentrate only in my remembrance and worship me alone. I will rescue you from every kind of sin. Have faith and do not grief.
শ্রীমদ্ভগবদগীতার সপ্তম অধ্যায় (জ্ঞান যোগ) এর ২০ নং শ্লোকেও একই কথা বলা হচ্ছে।
"ত্যক্তা কর্মফলাসঙ্গং নিত্যতৃপ্তো নিরাশ্রয়ঃ ।
কর্মণ্যভিপ্রবৃত্তোহপি নৈব কিঞ্চিত করোতি সঃ ২০ "
(এখানে, সঃ =তিনি, কর্মফলাসঙ্গং = কর্ম ও কর্ম ফলে আসক্তি, ত্যক্তা = ত্যাগ করে, নিত্যতৃপ্ত = সদা তুষ্ট, নিরাশ্রয়ঃ = নিরবলম্ব, সন্ = হয়ে)
অর্থঃ "যিনি কর্মে ও কর্মফলে আসক্তি পরিত্যাগ করিয়াছেন, যিনি সদা আপনাতেই পরিতৃপ্ত, যিনি কোন প্রয়োজনে কাহারও আশ্রয় গ্রহণ করেন না, তিনি কর্মে প্রবৃত্ত হইলেও কিছুই করেন না (অর্থাৎ তাঁহার কর্ম অকর্মে পরিণত হয়)। (শ্রীমদ্ভগবদগীতায়। অধ্যায়-৭ (জ্ঞানযোগ), পৃষ্টা নং ৯৮-৯৯, লেখকঃ শ্রীজগদীশ চন্দ্র ঘোষ)
শ্রীমদ্ভগবদগীতার সপ্তম অধ্যায় (জ্ঞান-বিজ্ঞান-যোগ) এর ৬ নং এবং ২০ নং শ্লোকে শ্রীভগবান স্বীয় অস্তিত্বের একক রুপ বর্ণনা করে বললেনঃ
etad-yonéni bhütäni sarväëéty upadhäraya
ahaà kåtsnasya jagataù prabhavaù pralayas tathä (Ref: Sloakas from Vagabat Gita: The Yoga Of Wisdom: 7:6
Translation: Of all that is material and all that is spiritual in this world, know for
certain that I am both its origin and dissolution.
এতদযোনীনি ভূতানি সর্বাণীতু্যপধারয়।
অহং কৃত্স্নস্থ্য জগতঃ প্রভবঃ প্রলয়স্তথা ৬
শব্দার্থঃ- সর্বাণি ভূতানি = চেতন-অচেতন সকল বস্তু, ইতি উপধারয় = ইহা
জানিও, অহং = আমি, কৃত্স্নস্থ্য জগতঃ = সমগ্র জগতের, প্রভবঃ = উত্পত্তির কারণ, তথা প্রলয়ঃ = এবং প্রলয়ের কারণ।
অর্থঃ সমস্ত ভূত (পরিদৃষ্ট সকল জীব-জড়) এই দু্ই প্রকার হইতে জাত, ইহা
জানিও। সুতরাং আমিই নিখিল জগতের উত্পত্তি ও লয়ের কারণ। (সুতরাং আমি প্রকৃতপক্ষে জগতের কারণ)। (সূত্রঃ শ্রীমদ্ভগবদগীতা, অধ্যায়ঃ ৭ (জ্ঞান-বিজ্ঞান-যোগ),পৃষ্ঠাঃ ১৬০, শ্লোকঃ ৬, লেখক শ্রীজগদীশ চন্দ্র ঘোষ)
এখানে বলা হচ্ছে জগতের সমুদয় সৃষ্টির স্রষ্টা যিনি তিনি এক, তিনিই এই নিখিল জগতের উত্পত্তি ও ধ্বংসের কারণ। তিনি ব্যতিত ভিন্ন কোন উপাস্য নাই। অদৃশ্য দৃশ্য জগতের তিনিই একমাত্র স্রষ্টা (কারণ)।
Kaamaistaistairhritajnaanaah prapadyante’nyadevataah;
Tam tam niyamamaasthaaya prakrityaa niyataah swayaa.
Transliteration: Those whose wisdom has been rent away by this or that desire, go to other gods, following this or that rite, led by their own nature.
কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেহন্যদেবতাঃ।
তং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া ২০
শব্দার্থঃ- তৈঃ তৈঃ কামৈঃ = সেই সেই অর্থাৎ স্ত্রী-পুত্র ধনমানাদি বিবিধ কামনাদ্বার, হৃতজ্ঞানাঃ = অপহৃতজ্ঞান ব্যক্তিরা, তং তং নিয়মম্ = সেই সেই বিবিধ নিয়ম, স্বয়া প্রকৃতি নিয়তাঃ = স্বীয় স্বীয় স্বভাবের বশীভূত হইয়া, অন্য দেবতাঃ প্রপদ্যন্তে =অন্য দেবতার ভজনা করিয়া থাকে।
অর্থঃ "(স্ত্রী-পুত্র ধনমানাদি বিবিধ) কামনাদ্বারা যাহাদের বিবেক অপহৃত হইয়াছে, তাহারা নিজ নিজ কামনা-কলুষিত স্বভাবের বশীভূত হইয়া ক্ষুদ্র দেবতাদের আরাধনায় ব্রতোপবাসাদি যে সকল নিয়ম আছে, তাহা পালন করিয়া অন্য দেবতার ভজনা করিয়া থাকে। (আমার ভজনা করে না।)
(সূত্রঃ শ্রীমদ্ভগবদগীতা, অধ্যায়ঃ ৭ (জ্ঞান-বিজ্ঞান-যোগ),পৃষ্ঠাঃ ১৬০, শ্লোকঃ ২০, লেখকঃ শ্রীজগদীশ চন্দ্র ঘোষ)
এখানে স্বয়ং ভগবান বললেন, মানুষ অল্পজ্ঞান হেতু একক আদি-আনদি স্রষ্টার আরাধনা না করে ক্ষুদ্র শক্তি, পরনির্ভরশীল, অকর্মণ্য দেবতার আরাধনা করে। মানুষ নিতান্তই মোহেবশে অথবা কামনার আসক্তিতে একক স্রষ্টার ভজনা বাদ দিয়ে অন্য নিকৃষ্ট দেব-দেবতার আরাধনা করে থাকে।
সূত্রঃ "স্রষ্টার সন্ধানে" লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
http://www.oneallah.org/
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩১
কাউছারপুর বলেছেন: তোমরা কাফির নাদানদেরকে সমর্তন করো না, আল কোরআন!
১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩২
নষ্ট কবি বলেছেন: হেইয়ও - গুরু দেবজি আইসা পড়ছে। আইসাই ৩ টা পোষ্ট দিয়া দিসে।
হে হে হে
যাই হোক- গুরুদেবজি- বাড়ূ চণ্ডী দাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কোন ধর্ম গ্রন্থ নয়। এটাকে ধর্ম গ্রন্থ ভাবলে আপনার থিসিস ভুলের পথে অগ্রসর হবে।
আর ২ নং কমেন্টে সহমত
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৫
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সকল সৃষ্টির মঙ্গল কামনা করছি। শুভদিনে সকলে আনন্দে থাকুন এটাই প্রত্যাশা রইলো।
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৯
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে....
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৬
গুরুদেবজী বলেছেন: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিপূর্ণ জীবনি - কৃষ্ণাজন্মাষ্টী ডট কম এর আদলে Click This Link
শিরোনাম: বিয়ের পিঁড়িতে ভগবান! একে বহু-বিবাহ বলব; না বিশেষ বাসরে হরণ (বি বা হ) প্রতিযোগীতা বলবো?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনি:
- আবার কেউ কেউ বলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১৬,১০৮ জন রাজকুমারীকে হরণ করেছিলেন আর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে রাজ্য হরণ করে পান্ডুপুত্রদের দান করেছিলেন (কৃষ্ণ হলেন পঞ্চপাণ্ডবদের মামাত ভাই)।
একটু খোলাসা করে বলি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ (১৯-২১ শে জুলাই) ভারতের মথুরায় বাসুদেবের ঔরস্যে দেবকীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন। ২৯ বছর বয়সে রুকমিনী এবং ৭ জন রাজকুমরীকে বিয়ে করেন। ২৯-১২৫ বছর জীবনকালে তিনি ১৬,১০০* টি বিয়ে করেন। তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন রাজকুমারী। এবং এই সংপ্তি জীবনে তিনি ১,৬১,০৮০ টি সন্তানের বাবা হন। এতগুলো সন্তানের মধ্যে একটিও কন্যা সন্তান ছিল না।
১৬,১০০ এবং রুকমিনীসহ ৭ জন মোট ১৬,১০৮ জন কুমারীকে বিয়ে করেছিলেন। তাও আবার ২৯-১২৫ বছর অর্থাৎ ৯৬ বছরের মধ্যে। ৯৬ বছর থেকে শেষের আরো ১০ বছর বাদ দিলে থাকে ৮৫ বছর। আর এই ৮৫ বছরকে ৩৬৫ দিন দিয়ে গুণন করলে হয় ৩১,০২৫ দিন। তাহলে গড়ে প্রতি দুই দিনে একটি করে বিয়ে করতে হবে। যদি তা না করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দিনে একের অধিক বিবাহ করেন তারপরও সমস্যাটা থেকেই গেল কারণ প্রতিদিন হিন্দু বিয়ের লগ্ন থাকে না। নির্দিষ্ট মাসে নির্দিষ্ট দিনে লগ্ন পাওয়া যায়। তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি লগ্ন ছাড়াই বিয়ে করতেন? ধরে নিলাম তা নয়, তিনি একই লগ্নে বহুসংখ্যক বিয়ে করতেন। কিন্তু সদ্যবিবাহিত নারীদের তিনি সময় দিতেন কিভাবে? কথা উঠতে পারে ভগবানদের সময়টা একটু ভিন্ন রকমের। আমাদের এক বছর সমান ভগবানদের ১ দিন বা তার চেয়েও কম। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালে সময়ের পার্থক্যটা এমন অবাস্তব ছিল না। আর এই স্বল্প সময়ে জন্ম দিলেন ১,৬১,০৮০ জন পুত্র সন্তানের। না জানি কি ভাবে সন্তানদের নাম মনে রাখতেন? এ পর্যায়ে শ্রীকৃষ্ণের পরিবারের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১,৭৭,১৮৮ জন। এর ফাঁকে কতটা সময় পেতেন ধর্ম প্রচারের? তারপরও তো রাধালীলা, রাসলীলা, জললীলা, নৌকালীলা, গোচারণ আর বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে সুর সৃষ্টির কাজগুলো পড়েই রইল। বাঁকি যুক্তি-তর্ক তোদের উপরই ছেড়ে দিলাম।
- না, গদা দা তুমি এসব বানিয়ে বলছ।
[* শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃতান্ত চার্টটি দেখে নিতে পারেন: Click This Link ]
- নারে না, ওসব কি আমার কথা; ওসব তো বড় বড় মানুষের কথা। শুধু কি তাই, ঐ যিনি ছিলেন কৃষ্ণের পিতা-বাসুদেব; তিনিও ১৬,০০০ নারীকে বিয়ে করেছিলেন। মহাভারতের স্বর্গারোহণ পর্বে বলা আছে :
শ্রীকৃষ্ণ পিতা বাসুদেবের বহুবিবাহঃ (১৬০০০ বিয়ে)
শুধু কি তাই, ঐ যিনি ছিলেন কৃষ্ণের পিতা-বাসুদেব; তিনিও ১৬,০০০ নারীকে বিয়ে করেছিলেন। মহাভারতের স্বর্গারোহণ পর্বে বলা আছেঃ
"বাসুদেব ছিলেন অনাদির আদি ভগবান নারায়ন (শ্রীহরি) এর অংশ। যখন তিনি নারায়নের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন তখন তিনি ১৬,০০০ নারীকে বিয়ে করেছিলেন।"
Vasudeva was a portion of that eternal god of gods called Narayana.Accordingly, he entered into Narayana. 16,000 women had been married to Vasudeva as his wives. (From Mahavharata : Svargarohanika-parva-XVIII, Krishna-Dwaipayana Vyasa, by Kisari Mohan Ganguli [1883-1896])
ভগবান রাম পিতা মহারাজ দশরথের বহুবিবাহঃ (৭৫০ বিয়ে)
অযোধ্যার রাজা কোশলপতি দশরথ ছিলেন মহারাজা অজ'র পুত্র। অকালে
পিতৃবিয়োগ হওয়ায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে দশরথ রাজপদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি অস্ত্রবিদ্যা ও রাজধর্মে ছিলেন অতুলনীয়। দেবরাজ ইন্দ্র ছিলেন তার বন্ধু। তিনি কোশলরাজ্যের কন্যা কৌশল্যাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু অপুত্রক থাকায় তিনি অতঃপর কেকয় রাজকন্যা কৈকেয়ী ও সিংহল রাজকন্যা সুমিত্রাকে বিয়ে করেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর তিনটি বিয়ে করেও রাজার পুত্র কামনা অপূর্ণ থাকায় পরে একে একে আরও, সর্বমোট সাত শত পঞ্চাশটি বিয়ে করেন। কিন্তু তথাপি রাজা পুত্রমুখ দেখতে ব্যর্থ হন। (মহামুনি বাল্মীকি পন্ডিত কর্তৃক বিরচিত, মহাকবি কৃত্তিবাস পন্ডিত কর্তৃক অনূদিত, কৃতিবাসী রামায়ন, আদিকান্ড, পৃষ্ঠ- ৬৪৬)
কুন্তি পুত্র ভগবান শ্রীঅর্জ্জুনের বহুবিবাহঃ
অর্জুন, কুন্তি দেবীর তৃতীয় পুত্র। তবে পান্ডুর ঔরস জাত নন (কারণ, পান্ডু ছিলেন সন্তান উৎপাদনে অক্ষম), তিনি হলেন দেবরাজ ইন্দ্রের ঔরসজাত। তিনি দৌপ্রদীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তিনি একা নন। পাঁচ ভ্রাতা মিলে দ্রুপদ রাজের কন্যা দৌপ্রদীকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর স্বত্ত্ব ছিল দৌপ্রদী (কৃষ্ণা) যখন কোন ভ্রাতার সঙ্গে নিভৃতবাসে থাকবেন তখন অপর চার ভ্রাতার যে কেউ শয়ন কক্ষে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। যদি করেই ফেলে তবে শাস্তি স্বরুপ তাকে ১২ বছরের বনবাসে যেতে হবে। কিন্তু ঘটনাটমে এক বাহ্মণের গোধন রক্ষার্থে অস্ত্র আনতে অর্জুন ভ্রাতা যুধিষ্ঠি ও ভার্যা দৌপ্রদীর শয়ন কক্ষে পবেশ করনে। এজন্য অর্জুনকে বনবাসে যেতে হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিনি বনবাস বা ব্রহ্মচর্য কোনটাই পরিপূর্ণভাবে পালন করেননি। ঐ সময়ে তিনি চিত্রবাহনের কন্যা চিত্রাঙ্গদা এবং কৃষ্ণ
ভগিনী (বোন) সুভদ্রাকে হরণ করে বিয়ে করেন। আর কৌরব্যনাগের কন্যা উলুপীর আমন্ত্রনে তার সাথে সহবাস করেন। উলুপী পূর্ব-বিবাহিতা ছিলেন বলে প্রথমে তিনি তাকে বিয়ে করেন নি। অবশ্য পরে তাকে পত্নীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। (সুত্রঃ কাশীদাসী মহাভারত- মহামুনি বেদব্যাস প্রণীত মূল সংস্কৃত থেকে পন্ডিত কাশীরাম দাস কর্তৃক বাংলায় অনূদিত, বেণীমাধব শীল ও প্রমথনাথ চট্টোপাধ্যায় কাব্যরত্ন কর্তৃক সম্পাদিত, মহাভারতের কাহিনী- বিধায়ক ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা নং- ১২১০-১২১৪ এবং মহাভরতের চরিতাবলী- সূর্যদাস গুপ্ত, অবলম্বনে)
- যে অর্জুন বিবাহিত নারীর সাথে অবৈধ্য কাজে লিপ্ত হয় সেই অর্জুন কিভাবে দেবতা হয়। তাছাড়া বনবাসে আরো দু'খানা বিয়ে করে তিনি কি নিয়ম ভঙ্গ করেননি। আর দেবতারাই যখন নিয়ম ভাঙ্গে তখন ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়? এরুপ দেবতার কাছ থেকে তার ভক্তরা কি শিক্ষা গ্রহণ করবে। বিবাহিত নারীর সম্ভ্রম হরণ- না আইন ভঙ্গের মূলমন্ত্র?
ঋৃষিরাজ কশ্যাপের বহুবিবাহঃ (২৭ বিয়ে)
মরীচপুত্র ঋৃষিরাজ কশ্যাপের বিয়ে করেছিলেন কর্দমমুনির কন্যা কলাকে। প্রজাপ্রতি কশ্যপ ছিলেন মরীচ-কলার পুত্র। কশ্যপ দক্ষ প্রজাপ্রতির তেরটি কণ্যাকে বিয়ে করেছিরেন। এই ত্রয়োদশ কন্যার গর্ভে কশ্যপের ঐরসে জগতের সমস্ত প্রাণীর জন্ম হয়েছে। (এই ত্রয়োদশ কন্যার মধ্যে ছিল বিনতা, কুদ্র, সতী, দিতি ও অদিতি। বিনতার গর্ভ থেকে গরুড় এর জন্ম, কুদ্রের গর্ভ থেকে নাগগণের (সাপ) সৃষ্টি, দিতি গর্ভ থেকে দৈত্যের জন্ম, অদিতি গর্ভ থেকে দেবতাদের জন্ম। সতী, যার অপর নাম পার্বতী, দূর্গা; তিনি মহাদেব শিব কে পতি হিসেবে পান।-পদ্মপুরাণের র্বর্ণনা)
(মহামুনি বাল্মীকি পন্ডিত কর্তৃক বিরচিত, মহাকবি কৃত্তিবাস পন্ডিত কর্তৃক অনূদিত, কৃতিবাসী রামায়ন, আদিকান্ড, পৃষ্ঠ- ৬৪৫)
চন্দ্রের দেবের বহু পত্নীগ্রহণঃ
কশ্যপের বংশকথা করিনু কীর্ত্তন।
চন্দ্রবংশ কথা এব করহ শ্রবণ
মৃগশিরা, পুনর্ব্বসু, বিশাখা, অশ্বিনী।
ভরণী, অম্লেষা, হস্তা, শ্রবণা, রেবতী।
পূবের্বাত্তরভাদ্রপদী আর মূলা সতী
অনুরাধা, জ্যেস্ঠা, চিত্রা, পূর্ব্বাষাঢ়া, আর।
উত্তর-আষাঢ়া, পুষ্যা অতি চমৎকার
শতভিষা, আর্দ্রা আর কৃত্তিকা, ফল্গুনী।
এই সপ্তবিংশ হয় চন্দ্রের রমণী
(ব্রহ্ম বৈবর্ত্ত পুরাণ, ব্রহ্মখন্ড, নবম অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৫৭, লেখক-ব্যাসদেব, সুবোধচন্দ্র মজুমদার কর্তৃক সম্পাদিত এবং শ্রীঅরুণচন্দ্র মজুমদার কর্তৃক দেব সাহিত্য কুটীর প্রাইভেট লিমিটেড, ২১ ঝামাপুকুর লেন, কলিকাতা-৯ থেকে প্রকাশিত)
ইনি সেই চন্দ্র দেব যিনি অত্রি মুনির পুত্র ও বৃহস্পতি মুনির সুযোগ্য শিষ্য। ঘরে ২৭ জন অপরুপা স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বের তিনি তারাদেবীর রুপে মোহিত হয়ে তারাদেবীর সাথে জোড়পূর্বক রতিটীড়া করেছিলেন। চন্দ্রের এই হীন ব্যবহারে তারা চন্দ্রদেবকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। কিন্তু শাস্ত্র এখানে যে চন্দ্রের বর্ণনা করেছে তা ৩৪৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের, ২,৩৮,৮৫৭ মাইল দূরের, পৃথিবীগ্রহের কোন উপগ্রহ নয়, বরং তিনি ২৭ জন পত্নীগ্রহণকারী মহাপুরুষ।
সূত্র: "সত্যভূত" এবং "ভ তে ভগবান ল-তে লীলা" লেখক: মো: মোস্তাফিজুর রহমান http://www.oneallah.org/
১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৬
চ্যালেন্জার বলেছেন:
আমাদের গ্রাম এলাকায় এক বাউল গান গাইতো, মামী পাগল করলো
ভাইগ্নায়রে..............
একদিন ডাইকা কইলাম, এই সব বাল্ছাল তোমারে আবার গাইতে শুনলে
এলাকা ছাড়া করমু|
কথা শুইনা সেই বাউল ডাইকা একপাশে নিয়া কৃষ্ন লীলা নিয়া যে বয়ান দিল তাতে জিহ্বায় কামড় দিয়া দ্রুত স্হান ত্যাগ করলাম|
বাউল আবার হেড়ে গলায় গান ধরলো , মামী পাগল করলো
ভাইগ্নায়রে..............
১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪১
গুরুদেবজী বলেছেন: @নষ্ট কবি: এখানে শুধি শ্রীকৃষ্ণকৃর্তনেরই নয় বরং মদভগবদ্মগীতার কথাও বলা হয়েছে পবরর্তী মন্তব্যে.....তাছাড়া এখনো তো শেষই করিনি....মন্তব্য করা....আরো আসেছে.....দেখতে থাকুন।
১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪৯
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: উপরের অনেককেই দেখছি একটা সাধারণ পোস্টে ফালতু কথা বলতে , এখানে একটা লোক তার ধর্মের একটা অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে , আর কিছু অসুস্থ মানুষ এসে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
এদের জন্য আসিফ মহিউদ্দিনরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বলে পারে।
লেখককে বলছি অসুস্থ ব্লগারদের কথায় কান দেবেন না। ওরা ইসলাম ধর্মালম্বী না ,ইসলাম ব্যবসায়ী
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৬
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫১
গুরুদেবজী বলেছেন: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরমগীতার কিছু চরম কথা: পুণ:জীবন
বলি স্বর্গে বসে থেকে কি আপনাদের আর কোনো কাজ নেই? এই দেখার জন্যই কি আপনারা স্বর্গে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন?
বাসাংসি জীর্ণনি যথা বিহায় নবানি গৃহ্নাতি নরোঃ পারানি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী ২২
(এখানে, বাসাংসি : বস্ত্র, জীর্ণানিঃ জীর্ণ বা ময়লাযুক্ত, সংযাতিঃ গ্রহণ করা বা পরিগ্রহ করা, গৃহ্নাতিঃ গ্রহণ করে বা গৃহীত হয়)
অর্থ : "যেমন মনুষ্য জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে সেরূপ আত্মা জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করে অন্য নতুন দেহ পরিগ্রহ করে।" ২২। (সূত্র : শ্রীমদ্ভগবদগীতা, লেখকঃ শ্রীজগদশ চন্দ্র ঘোষ এবং শ্রী স্বামী শিবানানন্দ, অধ্যায়ঃ২- সংখ্যাযোগ, পৃষ্ঠাঃ ৩১, শ্লোক-২২)
জাতস্য হি ধ্রুবো মৃতু্যধ্রুর্বং জন্ম মৃতস্য চ।
তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি ২৭
আরো বলা হয়েছে : "যে জন্মে তার মৃত্যু নিশ্চিত, যে মরে তার জন্ম নিশ্চিত; সুতরাং অবশ্যম্ভাবী বিষয়ে তোমার শোক করা উচিত নয়।" ২৭। (সূত্রঃ শ্রীমদ্ভগবদগীতা, লেখকঃ শ্রীজগদশ চন্দ্র ঘোষ এবং শ্রী স্বামী শিবানন্দ, অধ্যায়ঃ ২-সংখ্যাযোগ, পৃষ্ঠাঃ ৩৩, শ্লোক-২৭)
অর্থাৎ কিনা যার জন্ম আছে তার মৃতু্যও আছে-চিরন্তন কথা। অনেক গবেষণার পর গীতাতে একটি চরম সত্য কথা পাওয়া গেল। কিন্তু পরের শ্লোকটা গীতাকে পিতাহারা করেই ছাড়ল। মৃতু্যর পর এই ধরাধামে বারবার ফিরে আসার ভিসা দিয়ে দিল। শুধু কি তাই, বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীদে সকল প্রমাণাদি ভুল প্রমাণিত করল গীতা- তাও আবার খ্রিস্টের জন্মের ৩১৩৮ বছর আগেই - যখন বিজ্ঞান শব্দেরই উৎপত্তি হয়নি। সত্যিই গীতা বিজ্ঞানে ভরা এক মহাগ্রন্থ। এই পৃথিবীর লীলা নিয়ে সবচাইতে বড় গবেষণা হলো - বিগ্-ব্যাং থিওরি। অসংখ্য পর্যবেক্ষণ ও পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে এই মহাবিশ্বের শুরু ও শেষ আছে এবং একটি কেন্দ্র থেকে বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরণের এই কেন্দ্রকে বিজ্ঞান শূন্য বা কিছুই না (Zero Volume) বলে আখ্যায়িত করেছে। বস্তুত এটা ছিল বিগ-ব্যাং সূত্রের দাবি। বিগ্-ব্যাং থিওরি প্রসঙ্গে পদার্থবিজ্ঞানী স্টেফেন হকিংস ((Stephen Hawking) এ ব্রিফ হিসট্রি অব টাইমস (A brief History of Time: page-181)) গ্রন্থের ১৮১ পৃষ্ঠায় বলেনঃ "মহা বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের সমপ্রসারণ মাত্রা যদি এক সেকেণ্ড বা তার শতলক্ষভাগের এক ভাগও হেরফের হতো তাহলে তা আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছার পূর্বেই নতুন করে পূর্ণাঙ্গভাবে পুনর্গঠন করতে হত।" (ব্রিফ হিসট্রি অব টাইমস : পৃষ্ঠা -১৮১)
এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারণ হচ্ছে। প্রত্যেকটি গ্রহ-নক্ষত্র একে অপর হতে দূরে সরে যাচ্ছে। আর এই সমপ্রসারণশীলতাই বলে দেয় যে একদিন এই মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে। একটি বেলুনের কথাই ধরি, যখন বেলুনে বায়ুর সঞ্চার করা হয় তখন বেলুনের গায়ের বিন্দুগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় এবং বেলুনটি আকারে বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে এমন একটা পর্যায়ে উপনীত হয় যখন বায়ুর চাপে বেলুনটি ফেটে যায়। ঠিক তেমনি সম্প্রসারণশীল এই মহাবিশ্বও একটি চরম সীমায় উপনীত হবে। আর সেই দিনই হবে তাবত জগতের ধ্বংস। এটা বিজ্ঞানের কথা।
এছাড়াও রয়েছে গ্রীনহাউস ইফেক্ট (Green House Effect); যার মূল উপাদান হল ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (CFC) গ্যাস। যা ওজোন স্তরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর এই ওজোন স্তরটি সূর্য হতে নির্গত অতি বেগুনী রশ্মিকে বাধা প্রদান করে। যা ওজোন স্তর ভেদ করে পৃথিবীতে পতিত হলে বাসযোগ্য এই পৃথিবী মনুষ্য বাসের অযোগ্যে পরিণত হবে। অধুনা বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO2), নাইট্রোজেন (N) এবং মিথেন (CH4) গ্যাসের আধিক্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে পৃথিবীর ওজোনস্তরে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। পৃথিবী প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। বিগ্-ব্যাং এবং গ্রীনহাউস ইফেক্ট মতে এই পৃথিবী একদিন না একদিন ধ্বংস হবে।
তখন গীতার এই শ্লোকের সত্যতা কোথায় দাঁড়াবে? তাহলে কালের প্রবাহে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে গীতার শ্লোকগুলো? তখন জন্মান্তবাদের পুনঃ পুনঃ জন্ম কোথায় সংঘটিত হবে?
ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত দশরথপুত্র ভরতের পুনঃজন্ম এবং কৌরব জননী গান্ধরীর ৫০ বার পৃথিবীতে ফিরে আসার সত্যতা কিভাবে প্রমাণ করবে-ধর্মগ্রন্থ গুলো? যেখানে বিগ্-ব্যাং এবং গ্রীনহাউস ইফেক্টের সত্যতা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।
পৃথিবী ধ্বংসের পর গীতার জন্মান্তরবাদ কোথায় ঘটবে? পৃথিবী ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে সকল জীবের মৃত্যু ঘটবে, গ্রহ-নক্ষত্রের অস্তিত্ব থাকবে না। গীতা মতে পুনঃজন্ম যদি সত্য হয় তবে আত্মা নবদেহ ধারণ করে কোনো পৃথিবীতে আসবে? যেখানে গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য, গ্র্যালাক্সির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ধরে নিলাম, বারবার ফিরে আসে এই ধরাধমে তবে যেরূপে যায় সেরূপে নয়- হয়ত বা জীবনানন্দের মত শালিক হয়ে, হয়তবা দশরথপুত্র ভরতের মত হরিণ হয়ে। কিন্তু এ আসার মধ্যে সার্থকতা কোথায়? উৎকৃষ্ট জীব নিকৃষ্ট হয়ে ফিরে আসবে, এবং পূর্ব জীবনের কোনো কথাই তার স্মৃতিতে থাকবে না। এমনকি সে বুঝতেও পারবে না যে তার পূর্ব রূপ কেমন ছিল, কোনো অপরাধে এমন হীনজীব হয়ে আসতে হল? হয়ত পাপের দরম্নণ এমন হীন জীব হয়ে পুনঃ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে পূর্বের জন্মের কৃত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে। কিন্তু দশরথপুত্র ভরত তো কোনো পাপ করেননি। রামায়ণের চরিত্রগুলোর মধ্যে ভরতের চরিত্রই ছিল সর্বোৎকৃষ্ট এবং তিনি ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ভ্রাতা। যার প্রতি ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ সর্বদাই ছিলেন সন্তুষ্ট। একজন ভগবানের ভ্রাতা, কি এমন পাপ করেছিলেন যে তাকে হরিণ হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে হল? আর ভগবানের ভ্রাতাকে তো ভগবানই বলা যায়। কারণ, মানুষের পেট থেকে মানুষই জন্মে; গরু-ছাগল তো নয়। যার যেমন বৈশিষ্ট্য সে সেরূপই জন্ম দেয়। যেহেতু রাজা দশরথের ঘরে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্ম সেহেতু রাজা দশরথের ঔরস্যে কৈকয়ী, এবং কৌশলা দেবীর গর্ভ থেকে উৎপন্ন সকল পুত্রই ভগবান হওয়ার দাবি রাখে। সুতরাং বলা চলে ভগবান ভরতেরও ভুল হয়েছিল। ভগবানরাও তাহলে ভুল করেন?
ধর্ম মতে কেউ কেউ নাকি মানুষ হয়েও পুনঃ জন্ম গ্রহণ করেছেন। যেমন দশরথপুত্র ভরত মৃত্যুর পর হরিণ হয়ে পুনঃজন্ম লাভ করার পর মুনি-ঋষিদের বেদ শ্রবণে পুণ্যি অর্জন করে বামন হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মৃতু্যর পর এই পুনঃ পুনঃ ফিরে আসাকে জাতিস্মর বলে ব্যাখ্যা করেছে ধর্মশাস্ত্রগুলো।
এখন প্রশ্ন হল- পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মানুষ গত হবার পর তার পূর্ব স্মৃতি নিয়ে পূর্ব রূপ নিয়ে ফিরে এসেছে কি? সত্যিই যদি সেরূপে ফিরে এসে তার পূর্বের জন্মের সব কিছু সবিস্তারে বর্ণনা করতে পারত, তবে আজ ইতিহাসের দরকার হত না, দরকার হত না এতসব কাগজ-পত্রের প্রমাণাদি। মিথ্যা হয়ে যেত নৃ-বিজ্ঞান, বস্তুবিজ্ঞান, জোতির্বিজ্ঞান। পুনঃজন্মা ব্যক্তিই বলে দিতে পারত তার যুগে কৃষ্ণ ছিল, কৃষ্ণের ১৬,১০৮ জন স্ত্রী ছিল অথবা রাক্ষস রাবণের দশ মাথা ছিল? তাহলেই তো আজ সে সব বিষয়ে প্রশ্নের অবতারণা হত না।
আমার তো মনে হয় গীতার ঐ শ্লোকের সঠিক অর্থ ভিন্ন রকম হওয়া উচিত। হয়ত অর্থটাও ঠিকই আছে কিন্তু মানুষের বুঝাতে ভুল রয়েছে। গীতার ঐ শ্লোকে তো এটা বলা হয়নি যে মানুষ মরার পর আবার যখন জীবিত করা হবে তখন এই ধরাধামে ফিরে আসবে? বরং বলা হয়েছে : যে জন্মে তার মৃত্যু নিশ্চিত, যে মরে তার জন্ম নিশ্চিত; সুতরাং অবশ্যম্ভাবী বিষয়ে তোমার শোক করা উচিত নয়। এটা তো খুবই স্পষ্ট - 'যে মরে তার জন্ম নিশ্চিত'। আর এটা পরম সত্যও বটে। নয়ত ভালো মন্দের, পাপ-পুণ্যের হিসাব নিকেশ কিভাবে হবে? পৃথিবীতে যে একটা মানুষকে খুন করে খুনের দায়ে ফাঁসিতে চড়ল আবার কেউ হাজারও মানুষ মেরে একই শাস্তি পেল-এটা কি সঠিক বিচার হলো? এটাকে কি ন্যায় বিচার বলবেন? না বলেও উপায় নেই? কারণ আদালতের উচ্চ চেয়ারে বসা ঐ লোকটার হাতে তো এমন কোনো শক্তি নেই যে, হাজার মানুষের জান হরণকারীকে হাজারও বার মারবেন আর জীবিত করবেন। আবার যে মানুষটি ক্ষমতার জোড়ে জবরদখল করে নিল অসহায়ে সকল কিছু কিংবা কেউ অপরের ভয়ে অনিচ্ছায় কোনো অন্যায় করে বসল আর তাকে শাস্তিও দিয়ে দেয়া হলো। সে প্রকৃত অপরাধীর নাম স্বীকার না করেই শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি হয়ে গেল নয়ত যে তাকে ঐ অন্যায় কাজে বাধ্য করেছে সে হয়ত তার পরিবার প্রিয়জনদের এমন কিছু ক্ষতি করবে যার ফলাফল হবে এই শাস্তির চেয়ে আরো নির্মম, আরো কঠোর, আরো হৃদয় বিদাকর। এরূপ হাজারো বিচার আদলতে উঠে আবার তার শাস্তিও হয় একতরফা কখনো টাকার জোড়ে আবার কখনো শক্তির জোড়ে। এ তো শুধুই বিচারের নামে প্রহসন। এ জীবনে অনেকে অনেক কিছুই পেল আবার কেউ কিছুই পেল না। আবার কেউ এতটাই পেল যে সেসবের ব্যবহার করল অন্যায়ভাবে আবার কেউ পাওয়ার আগেই বিলিয়ে দিল। আর যারা কিছুই পেল না কিন্তু সেই ভগবানের নাম জপতপ করতে কম করল না আবার ভগবানের নামে শিরনি দিতেও কম করল না বরং যেটুকু দিলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না সেটুকু দিয়েও ভগবানের সৃষ্টির সেবা করে এই ধরাধাম ছেড়ে চলে গেল- সেকি কিছুই পাবে না? সুতরাং এমন এক বিচারের জায়গা, এমন এক প্রতিদানে জায়গা, এমন এক স্রষ্টা থাকা দরকার যেখানে বিচারের তাগিদে মানুষকে বারবার জীবন দেয়া যাবে এবং মানুষের অন্তরের ভিতরটা যাচাই-বাছাই করে পৃথিবীতে যা জানা যায় নি বা যার প্রকাশ করা হয়নি বা প্রকাশ পাবার মতো নয় সেই সব বিবেচনা করে সঠিকভাবে বিচার কার্য সমাধা করা হবে। আবার যে পেয়ে অপব্যয় করল তার জন্যই শাস্তি আর যে না পেয়েই ওপারে চলে গেল তার জন্যও থাকবে উপযুক্ত প্রাপ্য। তা না হলে এই জীবন আর জীবনে উদ্দেশ্য সবই মিছে, সবই বিচারের নামে অবিচার, অত্যাচার। গীতাতে তো এটাই বলা হয়েছে- এই জীবনের পর আরও একটা জীবন আছে যে জীবনে প্রত্যেকের প্রতিটি বিষয়ের হিসাব গ্রহণ করার তাগিদে তাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে এবং তাদের কৃতকর্ম অনুয়ায়ী স্বর্গে বা নরকে পাঠানো হবে। আর যদি বলা হয় পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পুনরায় জীবন দান করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে; তবে নরকের কি প্রয়োজন? আর যদি বলা হয় এই পৃথিবীটাই নরক তবে স্বতন্ত্র কোনো স্বর্গের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হবে। কারণ যাকে নরক বলা হবে তাকে তো আর স্বর্গ বলা যায় না। তাছাড়া ঐ যিনি মানব ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের সবচাইতে আলোচিত খুনি হিটলার সাহেব তাকে তো তার পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য কতবার যে এই ধরাধামে আসতে হবে সেই সংখ্যাই বা কে মনে রাখবে আর কেইবা তা দর্শন করে মনে মনে আনন্দিত হয়ে উঠবে? আর বলবে ঐ যে দেখ হিটলার সাহেব আমাকে বিনা দোষে হত্যা করেছিল তাই আজ পৃথিবীতে ফিরে গিয়ে কুত্তা-বিড়াল হয়ে শাস্তি ভোগ করছে। আর যদি কোনো মতে হিটলার সাহেব কুত্তা-বিড়াল হয়ে ইউরোপে ফিরে আসেন তবেই সেড়েছে, ইউরোপের কুত্তা-বিড়ালগুলো অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়েও ভাগ্যবান বটে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে এসে যদি পূর্বের কৃত পাপের কথায় স্মরণে না থাকে তাহলে এমন প্রায়শ্চিত্তেরই কিবা অর্থ?
আর যে মানুষটি সাড়া জীবন আপনার অজান্তেই আপনার জমির আইল ঠেলে ঠেলে নিজেরটা আধ-বিঘতখানি বাড়িয়ে সেই জমিতে ফসল ফলিয়ে তা আহার করে আপন পেটপূজো করত সাঁঝের বেলায় হারিয়ে গেল মৃত্যুর সেই গলির ভিতরে আর আপনিও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন এই বলে- হে ঈশ্বর না জানি কখন তোমার ডাক এসে পড়ে? আমি তো আর এই ধরাধামে বেশি দিন নেই সুতরাং যে লোকটি গাত্র জোড়ে আমার জমির আইল ঠেলে আমার উপর জুলুম করেছে এবং ঐ জমির হতে উৎপন্ন হারাম ফসল ভক্ষণ করেছে তাকে তুমি তার পুনঃজন্ম হিসেবে আমার হালের বলদ করে পাঠাও যাতে করে আমি তাকে দিয়ে আমার সেই জমিতে চাষবাদ করিয়ে নিতে পারি এবং তাকে এই বলে স্মরণ করে দিতে পারি যে, তুমি যে ভাবে আমার উপর জুলুম করেছিলে আজ সেই জুলুমের খেসারত দিচ্ছ। এটাই তোমার প্রায়শ্চিত্ত। আর এটা যদি অসম্ভব হয়ে তাকে যে, হালের বলদ কিভাবে তার মালিকের সাথে কথা বলবে তবে তো এ জীবনে আর আপনার উপর জুলুমকারীর বিচার আপনার দেখা হবে না। যদি বললেন স্বর্গে বসে থেকে থেকে দেখতে থাকবেন কে আপনার উপর জুলুম করেছিল আর তার পাপের ফলে সে বানর হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, আর কে আপনার ঘর চুরির দায়ে অবলা জন্তু-জানোয়ার হয়ে আবার কে আপনার সাথে শঠতা কারার জন্য দুর্বল মুরগির ছানা হয়ে চাতকের সামনে এসেছে আর কেইবা আপনাকে ওজনে কম দেওয়ার দায়ে ওজনহীন ব্যাকটেরিয়া হয়ে এসেছে? বলি স্বর্গে বসে থেকে কি আপনাদের আর কোনো কাজ নেই? এই দেখার জন্যই কি আপনারা স্বর্গে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন? নিশ্চয় নয়; তাহলে? তাহলে এমন একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা দরকার যে সময়ে সকলকে একত্রিত করা হবে তাদের কৃতকর্মের হিসাব গ্রহণ করার নিমিত্তে এবং প্রত্যেকেরই কৃতকর্ম সবার সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং বিচার করা হবে সবার সম্মুখে। এবং বিচার করা হবে যা সে করেছে জীবিত থাকা কালীন আর যে কাজের ভালো অথবা খারাপ ফলাফল জারি রয়ে গেছে তার মৃত্যুর পর; সেই সব কাজের। আমার তো মনে হয় গীতার ঐ শ্লোকের বক্তব্যও এটাই।
সূত্র: "সত্যভূত" লেখক:-মো: মোস্তাফিজুর রহমান
http://www.oneallah.org/
১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৩
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সকল সৃষ্টির মঙ্গল কামনা করছি। শুভদিনে সকলে আনন্দে থাকুন এটাই প্রত্যাশা রইলো।
@মুসলিম ভাইয়েরা , আমাদের মহানবী যেখানে আন্যদের সম্যান দিতে বলেছেন, সেখানে আমাদের এধরনের কাজ করা কি ঠিক হচ্ছে???
@লেখক অহেতুক মন্তব্য মুছে ফেলুন
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৫
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৭
গুরুদেবজী বলেছেন: @কল্পবিলাসী স্বপ্ন :পারলে... অন্তত একটি লিংককে ভুল-অপব্যাখ্যা বলে প্রমাণ করুন, উক্তসূত্রগুলো কল্পবিলাসী নয় বরং দৃঢ় তথ্যসূত্র। আবার স্বপ্নেরও পাওয়া কিছু উপাত্ত নয়, বাজারে উক্ত গ্রন্থের টানপোড়নও পড়েনি যে তার দু'একটাও খুঁজে মিলবে না। অনুগ্রহ করে কল্পনায় অসার উক্তি প্রসারণ করবেন না । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১১
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: @গুরুদেবজী ঃ আমি বলেছি উপরের অনেককেই, কাউকে নির্দিস্ট করে কিছু বলি নাই। আর কথাটা আপনার গায়ে গিয়ে কেনো লাগলো বুঝলাম না । তবে আপনি উপরে কি লিখেছেন তা আমি ভালোভাবে পড়ি নাই বা এখনো পড়ার প্রয়োজন বোধ করিনা। আমাদের ধর্মে কিন্তু কোথাও বলে নাই ,নিজের ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য ধর্ম নিয়ে স্টাডি করো। আপনি করেছেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। যার যার ধর্ম তার তার কাছে । এটা একটা সামান্য শুভেচ্ছা পোস্ট ,তাতে আপনার কেনো এত চুলকানী হলো বুঝলাম না?
ধরুন , আমি যদি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা পোস্ট দেই ,সেইখানে কেউ গিয়ে যদি এইরকম চুলকানী শুরু করে সেটা কিন্তু আমার ভালো লাগবে না ,আর যে চুলকাবে সে কিন্তু নিজেকে অসুস্থ বলেই প্রমানিত করবে
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১৪
নষ্ট কবি বলেছেন: আপনি আর কি মন্তব্য দিবেন- সব তো কপি পেষ্ট- হেহে কপি পেষ্ট করেন বলেই তো এত পোষ্ট দিতে পারেন- হেহে
সমস্যা নাই- আপনি কপি পেষ্ট করতে থাকেন-
নিজের মাথা দিয়া যদি চিন্তা ভাবনা করে দিতেন তাইলে আলোচনা করতাম- কপি পেষ্ট এর সাথে তো আলোচনা চলেনা
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১৬
চ্যালেন্জার বলেছেন:
ওগো বিলাসী:
তোমারা জংগলে গোপী লীলার কথা কইবা আর কেউ রিলেটেড কিছু কইলেই তোমাগো চুলকানি মনে হইবি, এইটা কেমন কথা?
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১৯
পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: শুভ কামনা রইলো
২২ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৫
গুরুদেবজী বলেছেন: কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: @গুরুদেবজী ঃ আমি বলেছি উপরের অনেককেই, কাউকে নির্দিস্ট করে কিছু বলি নাই। আর কথাটা আপনার গায়ে গিয়ে কেনো লাগলো বুঝলাম না । তবে আপনি উপরে কি লিখেছেন তা আমি ভালোভাবে পড়ি নাই বা এখনো পড়ার প্রয়োজন বোধ করিনা। আমাদের ধর্মে কিন্তু কোথাও বলে নাই ,নিজের ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য ধর্ম নিয়ে স্টাডি করো। আপনি করেছেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। যার যার ধর্ম তার তার কাছে । এটা একটা সামান্য শুভেচ্ছা পোস্ট ,তাতে আপনার কেনো এত চুলকানী হলো বুঝলাম না? ------ "কল্পনাপ্রসূত কথা" বিস্তারিত বিশ্লষণে যাবো না, সেটা হবে অহেতুক।
চুলকানীমূলক কিছু দেওয়া হয়নি বরং তাদের পোস্টের সাথে সংগতি রেখেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণজীবনি তুলে ধরা হয়েছে--মূলত সেটা আমাদের বানোয়াটও নয় আবার নতুন করে সৃজনও নয় বরং তাদেরই সম্মাণিত লেখকবৃন্দ লিখে গেছেন তার সেসব গ্রন্থ থেকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। লিং ও দেওয়া হয়েছে স্পষ্টতাকারে....। গ্রন্থে লিখা থাকলে, নিত্য দিন মেনে চলাতে কোন সমস্যা নেই, অন্য কেউ তুলে ধরাতেই বুঝি চুলকানি হয়....!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৭
গুরুদেবজী বলেছেন: চ্যালেন্জার বলেছেন:
ওগো বিলাসী:
তোমারা জংগলে গোপী লীলার কথা কইবা আর কেউ রিলেটেড কিছু কইলেই তোমাগো চুলকানি মনে হইবি, এইটা কেমন কথা?
২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩১
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: চ্যালেন্জার বলেছেন:
ওগো বিলাসী:
তোমারা জংগলে গোপী লীলার কথা কইবা আর কেউ রিলেটেড কিছু কইলেই তোমাগো চুলকানি মনে হইবি, এইটা কেমন কথা?
যদিও এইটা আমার নাম না, তারপরো ধরে নিলাম কেউ আমাকে কথাটা বলেছে।
যদি কেউ বলে থাকে তাকে বলছি , আপনার সাথে আমার এমন কোন খাতির নাই , যার জন্য আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন , আর আপনি জানেনা আমি আপনার থেকে ছোট না বড়। আগে ভালোভাবে কথা বলতে শিখুন ,তারপর না হয় কথা হবে।
যদি আমার ধারনা ভুল হয় ,তাহলে এই মন্তব্যটা অপ্রয়োজনীয়
২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৫
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: যুগে যুগে প্রেমের জয় হোক। ভাল থাকুন আপনারাও। তবে এতো কপি পেস্ট না দিয়ে মতামতের মত করে কিছু লিখতে পারতেন।
২৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:১৪
ফারিয়া বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য,ভালো থাকবেন
২২ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...
২৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: এখানে অনেককে উদ্দেশ্য করে বলছি একটি সাধারন শুভেচ্ছা মূলক পোষ্টে এমন কি ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয়-এ এমন যক্তি-তর্ক-বিতর্ক করা কি মানায়? ধর্ম আমরা নিজেরা সৃষ্টি করি নাই এটা যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্বপুরুষ গন যেভাবে মেনে আসছেন আমরা সেটাই পালন করে আসছি...আমাদের কে পবিত্র দর্মগ্রন্থ মেনেই চলতে হবে...
কিছু লেখকগন তাদের নিজেদের মত করে ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে কিছু লিখলে সেটাই উদাহরন হিসেবে দেয়াটা বোকামী ছাড়া কিছুই নয়..নানা জনের নানা মত থাকবেই..যেটা @গুরুদেবজী দিয়ে যাচ্ছেন...
আমার কথা আমরা আমাদের নিজ নিজ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ মেনে চলবো...কোনো রকমে অন্য ধর্মের সমালোচনা ছাড়াই..
সকল ধর্মেও আছে অন্য কোনো ধর্মকে আঘাত না দিয়ে বা কুটুক্তি না করতে...
আমার কাছেও যে কোনো বিষয়ে যুক্তি-তর্ক-বিতর্ক করা অনেক প্রিয় একটি বিষয় ..অন্য ধর্ম নিয়ে আমিও অনেক কিছুই লিখতে পারি, কিন্তু লিখবো না কারন এর কোনো রেজাল্ট আসবে না..এই সব তর্কের শেষ বলে কিছু নেই...আমরা জন্ম সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হয়েছি ....আর তাই নিজ নিজ ধর্ম নিয়ে গর্বের কিছু নেই..আসল কথা আমরা সবাই মানুষ..সবাই এক...
@গুরুদেবজী আপনি যেকোনো পোষ্টে ঢুকে সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করবেন না...আপনার মত ধর্ম বিষার (অদ) ..বিশেষ অজ্ঞ কে আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত....আপনার ধর্মেরও অনেক ভাই/বোন এখানে মন্তব্য করেছেন কাজেই আপনিই সবজান্তা নন...
সকলকে ধন্যবাদ।
২৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৩
গুরুদেবজী বলেছেন: ধর্ম আমরা নিজেরা সৃষ্টি করি নাই এটা যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্বপুরুষ গন যেভাবে মেনে আসছেন আমরা সেটাই পালন করে আসছি------------------সুন্দর উক্তি আপনার সাথে সহমত "পুর্বপুরুষ এর অনুকরণ" ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
৩০| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৫
গুরুদেবজী বলেছেন: আপনার পূর্বপুরুষগণ কিভাবে এই সব আবিস্কার করলেন, সেটা জানতে চাইবেন না- জনাব?
৩১| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৬
গুরুদেবজী বলেছেন: আমিও কিন্তু আপনার মতই পূর্বপুরুষের বাধ্যগত অনুসারী ছিলাম, যখন ই আমাদের পূর্বপুরুষগণদিককে জিজ্ঞেস করে বসলুম: আপনারা এইসব কোথা থেকে পেয়েছেন তারাও উত্তরে বলেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে, তারা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, উত্তরে একই জবাব এসেছে বারবার কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোন জবাব পেলুম না; এপরই খুঁতে লাগলুম নিজের উৎসের সন্ধানে আর পেয়েও গেলুম। কিন্তু সেটা পেলুম না সেটা হল- "হিন্দু" । তবে কেন আমার পরিচয় হবে হিন্দু? হওয়া উচিত সনাতন, যা কিনা বড় ভগবান ব্রহ্মার পুত্রের নাম, এবং যিনি ছিলেন অবাধ্য। বিস্তারিত বিশ্রষণে গেলুম না। আপনিও একবার উৎসটা খুঁজে আসতে পারেন?
৩২| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৮
গুরুদেবজী বলেছেন: “আচ্ছা দাদা, নূহের নৌকাটা কত বড় ছিল? অতগুলো মানুষ, জন্তু-জানোয়ার একটা নৌকাতে কিভাবে আঁটল? একজোড়া তিমি আর দুটো হাতি হলেই তো নৌকা ডুবু ডুবু হবে তাই নয় কি?”
- আচ্ছা দাদা, নূহের নৌকাটা কত বড় ছিল? অতগুলো মানুষ, জন্তু-জানোয়ার একটা নৌকাতে কিভাবে আঁটল? একজোড়া তিমি আর দুটো হাতি হলেই তো নৌকা ডুবু ডুবু হবে তাই নয় কি?
- আমিও তাই ভাবতাম। সেদিন একই প্রশ্ন করেছিলাম মুন্সি কাকার কাছে। আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম এবার মুন্সি কাকা বুঝি নয়-ছয় কিছু বুঝিয়ে দিবে আর না হয় টাল-বাহানা করে আমার প্রশ্নটা এড়িয়ে যাবে।
- মুন্সি কাকা কি বললেন...
- যা বলেছেন তা যদি আগে জানতাম তাহলে কি এমন বোকা বোকা প্রশ্ন করে বসতাম! আমার সত্যভূটাও আমাকে কোনোদিন বলেনি...
- কি বলেছেন... সেটা তো বল আগে...
- মুন্সি কাকা আমার প্রশ্নটা ভালোমত না শুনেই উঠে দাঁড়ালেন। একটু বাদে সামনের দিকে হাঁটা দিলেন। আমিও কোনো কথা না বলে কাকার পিছন পিছন চলতে লাগলাম। মনে মনে ভাবলাম মুন্সি কাকা আমার অবান্তর প্রশ্নে চটে গেছেন বুঝি। আমিও নাছোড় বান্দা ছিলাম, প্রশ্নের জবাব না নিয়ে ক্ষ্যান্ত হচ্ছি না আজ। কয়েক কদম আগ বাড়িয়ে আবার মুন্সি কাকাকে একই প্রশ্ন করলাম বানিয়ে-ছানিয়ে। এবারও কাকা কিছু বললেন না। ততক্ষণে আমরা হাঁটতে হাঁটতে গুয়াবাড়ি ছেড়ে কোকতারায় পেঁৗছে গেছি। হঠাৎই কাকা আমাকে প্রশ্ন করে বসলেন- আচ্ছা অমিত, বলতে পার, পৃথিবীতে প্রথম মানুষ কখন এসেছিল?
- আমি তো বোকা সেজে গেলাম। কাকাকে বুঝতেই দিলাম না। চট করে বলে ফেললাম- এ আবার কঠিন কি? বাইবেলর মতে ১৯৭৫ সালের হিব্রু ক্যালেন্ডার অনুসারে ৫৭৩৬ বছর আগে।
- কাকা মৃদু হেসে বললেন, তাহলে তোমরা যে দেব-দেবীর আরাধনা কর তারা তো খুববেশি পুরাতন নয়। তাছাড়া তোমাদের শাস্ত্র অনুয়ায়ী মোট দেব-দেবীর সংখ্যা সাড়ে তেত্রিশ কোটি। ভেবে দেখ, এই সল্প সময়ে সাড়ে তেত্রিশ কোটি দেব-দেবী কিভাবে পৃথিবীতে আসবেন? প্রত্যেকদিন গড়ে ১৬০ জন করে আসলেও মোট ৫৭৩৬ বছর লাগবে। সে হিসাবে গতকালও পৃথিবীতে ১৬০ জন দেব-দেবীর আসার কথা ছিল তাই নয় কি? আর যদি বল দেব-দেবীরা এসেছিলেন পৃথিবীতে মানুষ আসার আগে? তাহলে তো পুরা ধর্মটাই পাল্টে গেল। কারণ, দেব-দেবীরা পৃথিবীতে এসেছিলেন মানুষকে পথ দেখানোর জন্য, কৃষ্ণ বল আর রামই বল; তাদরে বসবাস তো মানুষের মাঝেই ছিল?
- তাহলে কি বাইবেলের কথাটা মিথ্যা?
- ঠিক তাই...বাইবেলর কথাগুলো মিথ্যা ছিল না। যুগে যুগে মানুষ বাইবেলের কথাগুলো অদল-বদল করে বাইবেলের মধ্যে মিথ্যা ঢুকিয়ে দিয়েছে। মাইক্রোসফট এ্যানকার্টার লেখকবৃন্দ এবং নাসার বিজ্ঞানীদের মতে মানুষ প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছে আজ থেকে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বছর আগে। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানও বলতে পারেনি আদৌও কখন সৃষ্টি করা হয়েছে পৃথিবী এবং কখন থেকে পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করতে শুরু করেছে।
- তাহলে কি মনুই পৃথিবীতে প্রথম এসেছিলেন? আমি তো এমনটিই জানি।
- তোমাদের শাস্ত্র অনুসারে মনু হলেন এমন একজন দেবতা যার সময় প্রবল বন্যা হয়েছি। আমাদের একজন পয়গাম্বর ছিলেন যার নাম নূহ, তাঁর সময়ে প্রবল বন্যার ঘটনা ঘটেছিল। তোমাদের কিছু গ্রন্থে পাওয়া যায় মনু বলতে নূহকেই বোঝানো হয়েছে। কিন্তু মনু বা নূহ পৃথিবীর প্রথম মানুষ ছিলেন না।
- আমি তো মনু সংহিতায় দেখেছি
দ্বিধা কৃত্বাত্মনো দেহমর্ধেন পুরুষোহভবৎ।
অর্ধেন নারী তস্যাং স বিরাজমসৃজৎ প্রভুঃ ৩২
অর্থ : সেই প্রভু নিজ দেহ দ্বিধা বিভক্ত করে অর্ধভাগে পুরুষ হলেন, (অপর) অর্ধেক হল নারী; তাতে তিনি বিরাট (পুরুষকে) সৃষ্টি করলেন। ৩২
তপস্তপত্বাসৃজদযন্তু স স্বয়ং পুরুষো বিরাট্।
তং মাং বিত্তাস্য সর্বস্য স্রষ্টারং দ্বিজসত্তমাঃ ৩৩
অর্থ : হে ব্রাহ্মণগণ, সেই বিরাট পুরুষ তপস্যা করে যাকে সৃষ্টি করেছিলেন, সকলের স্রষ্টা আমাকে (অর্থাৎ মনুকে) তিনি বলে জানুন। ৩৩
অহং প্রজাঃ সিসৃক্ষুস্তু তপস্তপত্বা সুদুশ্চরম।
পীতন প্রজানামসৃজং মহর্ষীনাদিতো দশ ৩৪
অর্থ : আমি (মনু) লোক সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক হয়ে অতি কঠোর তপস্যা করে প্রথম থেকে দশ জন প্রজাপতি মহর্ষিকে সৃষ্টি করেছিলাম। ৩৪
(মনুসংহিতা -প্রথম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ৪৬, মূল সংস্কৃত মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়)
- তা বেশ লিখেছে মনুসংহিতা। এখন তুমিই চিন্তা করে দেখ, প্রথমে প্রভু পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করলেন; প্রভু যে বিরাটাকার পুরুষটা সৃষ্টি করলেন সেই পুরুষ মনুকে পয়দা করলেন, পরে সেই মনু অপর দশজন মহর্ষিকে পয়দা (পয়দা করা অর্থ জন্ম দেওয়া আর জন্ম বিস্তারের প্রথা তো কমবেশি সব জীবের মধ্যেই প্রচলিত আছে) করলেন। মনুসংহিতায় বলছে মনু প্রথম মানুষ নয়, মনুর পূর্বেও মানুষ ছিল। এবং যে মানুষটা মনুকে পয়দা করেছিলেন সেই মানুষটার সৃষ্টিকর্তা ছিলেন স্বয়ংপ্রভু। মনু বা নূহের পূর্বে যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি ছিলেন আদম। আদম আরবি শব্দ যার অর্থ মানুষ। আর আদম হতে নূহের সময়কাল ১০৫৬ বছর (ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত রাসূল সঃ বলেছেন- আদম থেকে নূহ আঃ এর সময়ের ব্যবধান দশ শ’ বছর।- সহী বুখারী শরীফ)। আদমের মৃত্যুর ১৪৬ বছর পর নূহ বা মনু পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন (আদমের সন্তানদের থেকে, সুতরাং নূহ বা মনু ছিলেন আদমজাত সন্তান, উল্লেখ্যঃ আদম বেঁচে ছিলেন ৯১০ বছর। সুতরাং ৯১০ বছর + ১৪৬ বছর = ১০৫৬ বছর)। আগেই বলেছি পৃথিবীতে কখন মানুষ এসেছিল এখনো তা মানুষের কাছে অজানা এবং এ নিয়ে অনেক মত-বিরোধও রয়েছে। কারণ বিজ্ঞান এমনও নমুনা খুঁজে পেয়েছে যা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বের। সুতরাং যখনই পৃথিবীতে মানুষ আসুক না কেন তা নিশ্চয় বাইবেলের দু' দশহাজার বছর আগের কথা নয়। হতে পারে সহস্র লক্ষ কিংবা কোটি অথবা মিলিয়ন-বিলিয়ন বছর আগে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। আর সেই অনুসারে নূহ বা মনু এসেছিল শুরুর দিকের। আর সেই সময় পৃথিবীতে মানুষও ছিল অল্প সংখ্যক। হযরত মুহাম্মদ সঃ যাকে তোমাদের ধর্ম শাস্ত্র কল্কি অবতার বলে থাকে, তিনি ব্যতীত সকল পয়গাম্বর ছিলেন তার নিজ সম্প্রদায়ের জন্য এবং তারা সকলেই ছিলেন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল বিশেষের পয়গম্বর বা নেতা। তেমনি নূহ যে অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন (মতান্তরে ইরাক অথবা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা), তিনি ছিলেন সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের সম্প্রদায়ের পয়গাম্বর। নূহের সম্প্রদায়ের গুটি কতক লোক নূহের অনুসারী ছিলেন। বরং তাদের অধিকাংশই ছিল নূহের প্রভুর অবাধ্য। নূহ যখন অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্য প্রভুর তরফ থেকে আযাবের আকাঙ্খা করলেন তখন তাঁর প্রভু নূহকে আদেশ করলেন একটি বৃহৎ আকারের জলযান তৈরি করতে এবং প্লাবনের পূর্ব মুহূর্তে তাঁর অনুসারী এবং কতিপয় জীব-জন্তু জোড়ায় জোড়ায় নৌকাতে তুলে নিতে। নূহ তাঁর প্রভুর আদেশ পালন করলেন। এ পর্যায়ে তোমার প্রশ্ন ছিল এত মানুষ, জীব-জন্তু কিভাবে নূহের নৌকাতে আঁটল?
প্রথমতঃ নূহের নৌকা কত বড় ছিল?
ঐতিহাসিক এবং বৈজ্ঞানিক পর্যলোচনা থেকে পাওয়া যায় নূহের নৌকার দৈর্ঘ্য ছিল ৩০০ কিউবিট (১ কিউবিট = ২২ ইঞ্চি) অর্থাৎ ৫৫০ ফুট (১৬৫ মিটার) এবং প্রস্থ ছিল ৩০ কিউবিট অর্থাৎ ৫৫ ফুট (১৬.৫ মিটার)। [সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নূহের নৌকার নমুনা পেয়েছেন তুর্কীস্থানের জুদী বা আরারাত পর্বতের পাদদেশে।]
দ্বিতীয়তঃ নূহের নৌকায় কত জন লোক উঠেছিল?
নূহ তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে ৭৮ জন অনুসারী এবং তাঁর পরিবারের ৮ জন (পুত্র কেনান ব্যতিরেকে) মোট ৮৬ জন মানুষ নৌকায় উঠেছিলেন (মতান্তর)।
তৃতীয়তঃ যে সব জীব-জন্তু পানিতে বাস করতে পারে এবং যারা উভচর প্রাণী তাদেরকে নৌকায় উঠানোর দরকার ছিল না। প্লাবনে তাদের বংশ নির্মূলের সম্ভাবনাও থাকে না।
চতুর্থতঃ নূহ সেই সমস্ত জীব-জন্তু জোড়ায় জোড়ায় নৌকায় তুলেছিলেন যারা পানিতে বাঁচতে পারে না এবং যাদের পরবর্তী বংশ বিস্তার হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। মনে রাখা দরকার, নূহ যেসব জীব-জন্তুকে নৌকায় নিয়েছিলেন সেসব ছিল নূহের অঞ্চলভুক্ত এবং নূহের তৎকালীন সময়কার। আর নূহের যুগের যে মহাপ্লাবনের কথা বলা হয় সেটা ছিল নূহের সমপ্রদায় কেন্দ্রিক। মহাপ্লাবনেরও একটা নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং সময়কাল ছিল। প্লাবন এতটাই মারাত্মক ছিল যে নূহের অবাধ্য সম্প্রদায়ের কেউ তা থেকে বাঁচতে পারেনি। বাঁচার তাগিদে অবাধ্যরা ঘর-বাড়ির ছাদে, গাছের উপরে অবস্থান নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু প্লাবনের পানি সেখানেও তাদেরকে রেহাই দেয়নি। তাদের ঘর-বাড়িগুলো প্লাবিত হয়েছিল এবং তার ভয়াবহতা ছিল মৃত্যুর মতো ; তাই একে মহাপ্লাবন বলা হয়ে থাকে।
- দাদা, তাহলে ন্যাড়াদের নূহ আর আমাদের দেবতা মনু একই ছিল...
- নাহ্...
- না কেন? তুমিই তো বললে...
- বলেছি নাকি?
- ওমা! বলতে বলতেই ভুলে গেলে... তুমিই তো বললে আমাদের মনুর সময় যেমন বন্যা হয়েছিল ন্যাড়াদের নূহের সময়ও তেমন বন্যা হয়েছিল, তাহলে এক নয় কেন?
- কারণ, ন্যাড়াদের মতে প্লাবনের পর নূহ একাই বেঁচে ছিলেন না বরং তাঁর সঙ্গীরাও বেঁচে ছিলেন। আর আমাদের মতে, বন্যার পূর্বে মনু একাই ভগবানের আদেশে নৌকায় উঠেছিলেন এবং বন্যার পর মনু একাই জীবিত ছিলেন। এরপর তিনি পানিতে মাখন আর টক দুধ দিয়ে মানুষের জন্ম দিলেন। কিন্তু, দুধ তিনি কোথায় পেলেন? ধরে নিলাম মনু নৌকায় উঠার পূর্বে দুধ নিয়ে উঠে ছিলেন। তারপরও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। পানিতে মাখন আর টক দুধ দেওয়ার পর যে মানুষের জন্ম হল; তিনি পুরুষ না হয়ে মেয়ে হলেন কেন? পানি থেকে জন্ম নিয়ে তিনি নিজেকে মনুর কন্যা বলে ঘোষণা করলেন। এর অর্থ এই নয় যে মনু তার দাদু কিংবা কাকা। তুমি কি বলো?
যেহেতু, বলা হয়েছে মানব জাতির বিস্তার হয়েছে তাদের দু'জনার থেকে। তাহলে নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু, পিতা আর কন্যার মধ্যে কিভাবে সম্পর্ক হতে পারে? কোনো পিতা কি কখনো এমন করতে পেরেছে? যদি এমনটি ঘটেই থাকে; তাহলে কি ধরে নিব আমরা সকলেই "হারামজাদা"। আমার মতে মনু সম্পর্কিত প্রথম ব্যাখ্যাটা যথার্থ ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা কিছুটা আষাঢ়ে গল্পের মতো।
সূত্রঃ "সত্যভূত" , খন্ড-১, লেখক- মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
http://www.oneallah.org/books.php
৩৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১৮
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: আমি কয়েকজনের অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট দেখে খুব অবাক হয়েছি, এবং লজ্জা পেয়েছি। আমার মনে হয় বড় বড় কমেন্ট গুলো প্রথম পেজে পোষ্ট আকারে দিলেই সবার জন্য মঙ্গল হবে। এখানে এসব বলে আদৌ কারো বিশ্বাসে কোন পরিবর্তন করা যাবে কি??
আমি নিজেও একজন গোড়া মুসলমান, তাই আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোকে আমার দ্বায়ীত্ব মনে করেছি। শুভেচ্ছা জানালে কোন ক্ষতি নেই বলেই ইসলাম থেকে শিখেছি।
ইসলাম মানুষকে উদার হতে শেখায়, মানুষকে ভালোবাসতে বলে। আগে ভালোবাসুন, তারপর নাহয় ভূলগুলো শোধরাবেন!!
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৫২
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৩
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলের প্রতি রইল শুভেচ্ছা।