নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমীর কুমার ঘোষ

লেখা এমন একটা বিষয় যেটা লেখার উদ্দ্যেশে চিন্তা করার থেকে যখন মনে যা আসে তখনই লিখে ফেলা উচিৎ

সমীর কুমার ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে ১৭০০ কোটি কিছু না, আর মাত্র ১৭ কোটি টাকা ! মাস্টারপ্লান বটে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭

আমাদের দেশে সবই সম্ভব। আমরা এখন কাউকে কি বলতে শুনি যে, ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছো ! না, এখন মানুষ স্বপ্ন দেখে ঠিকই কিন্তু সেটা লাখ টাকা থেকে কোটি টাকায় পৌছেছে।

কিছুদিন আগে দিনে দুপুরে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চোখে ধুলো দিয়ে ডাকাতি করে নিয়ে গেল এক অখ্যাত (পরে অবশ্য অন্যভাবে বিখ্যাত) হলমার্ক গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতগুলো টাকা মেরে দিয়ে দিব্যি বেচে আছে বেচারা অবশ্য জেলখানায়। আর সেখানেতো আরও লাভ থাকা খাওয়াও ফ্রি! ;) আমাদের এমনই আইন-কানুন যে, তাকে আটকাতে নতুন করে হয়তো আইন বানাতে হবে। এতবড় অন্যায় করার পরও যখন কারও বিচার হয় না বা সেটা হতে বছর বছর সময় চলে যায় (যেখানে আমাদের কাছে মৃত্যুদন্ড পাওয়ার সমান অপরাধ) , আর এ সব দেখে কে উৎসাহ পাবে না!

তেমনি একজন সাহসী (বাপের বেটা ;) কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান হাবিব !

দীর্ঘ ২ বছরের প্লান এবং সুড়ঙ্গ খোড়ার চেষ্টা! সত্যিই মাস্টারপ্লান।

হাবিব কি একটুও ভাবেনি যে এটা করলে কি পরিনতি হবে তার ! কোটি টাকার নেশায় সামান্য ট্রাক এর হেলপারকে দিয়ে দেয় ৭ লাখ টাকা ! যেখানে ট্রাক ভাড়া মাত্র ১২ হাজার :(



হলমার্ক ঠিকই সবাইকে ম্যানেজ করে বেচে আছে কিন্তু বেচারা হাবিব পারলো না।



আমার একটাই দুঃখ আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে অসম্ভব বলে কিছু নেই তবে সেটা সৎ পথে খেকে সম্ভব নয়। সৎ মানুষরা একবেলা না খেয়েও সৎ জীবন-জাপন করে আর অসৎরা কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে গড়ার চেষ্টা করে। তবুও তারাই এগিয়ে থাকে (বিষয়টি হলমার্ককে উদ্দেশ্য করে। আমরা কবে দেখবো হলমার্কের সব টাকা আদায় হয়েছে আর ওরা রাস্তায় দাড়িয়ে ভিক্ষা করছে !!! )



(বিঃদ্রঃ আমি শুধু তুলনা করার সুবিধায় ১৭০০ কোটি উল্লেখ করেছি যদিও সেটা প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা!)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হলমার্কের সবাই ধরা পরেছে, ব্যাঙ্কের উর্ধতন কর্মকর্তা তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট, হলমার্কের ব্যাঙ্ক একাউন্ট, ডেভেলপিং করা বিপুল জমি, গার্মেন্টস ও অন্যান্য মিল-কারখানা জমি সহ বাযেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই সম্পদ বিক্রীকরে বকেয়া সঙ্কুলান না হলে ওদের গায়ের সমুদয় রক্ত বিক্রী করে হলেও টাকা উদ্ধার হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২

সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: ৫ লাখ টাকার জমির মূল্য যেখানে দেখানো হয়েছে ৯৫ লাখ সেখানে সব বিক্রি করলেও সমস্ত টাকা পাওয়া যাবে না। আর ওদের রক্ত! কি নিবে দুষিত রক্ত?
শোনাযায়, ওদের বিরুদ্ধে একশন নেয়ার আগেই কিছু সম্পদ ওদের সন্তানের নামে করে দেয় আর যেখানে কি-না আইন খাটে না! বিচিত্র না! । কি মাস্টারপ্লান ওদের।

অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সৎ পথের উপার্জন দিয়ে সুখী হওয়া যায় পরিবারের সাথে । কিন্তু কুটি প্রতি হতে হলে অবশ্যই অসৎ পথ অবলম্বন করতে হয় । আমাদের দেশে যারাই কুটি প্রতি আছে সবাই অসৎ পথের উপার্জন দিয়ে কুটি প্রতি হয়েছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: সহমত তবে ২/১ জনকে বাদ দিয়ে । যেমন সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যানকে মিডিয়ার সামনে কান্না জড়িত অবস্থায় দেখে বোঝা যায় কতটা ভালো মানুষ তিনি। পরে জানতে পেরেছি তার শ্রমিকরা তাকে কত্ত সম্মান করে। অথচ তিনি কোটি পতি। কাজেই সৎ পথেও এগুনো যায়।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.