নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমীর কুমার ঘোষ

লেখা এমন একটা বিষয় যেটা লেখার উদ্দ্যেশে চিন্তা করার থেকে যখন মনে যা আসে তখনই লিখে ফেলা উচিৎ

সমীর কুমার ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেলপথমন্ত্রী জনাব মুজিবুল হককে বহিস্কার !‘চিরকুমার সমিতি’ হতাশ! :(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯

অবশেষে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ৬৮ বছর বয়সী রেলপথমন্ত্রী জনাব মুজিবুল হক । রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন খবর সস্তি আনে বটে। কারন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা নিশ্চিত করেছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের ৫ ও ৬ তারিখে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। আর আমরা নিশ্চই সেদিন অল্প সময়ের জন্য দেখতে পাবো সকল ভেদাভেদ ভুলে সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে এক সঙ্গে ।



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখলা গ্রামে। এসএসসি পাস করেছেন ২০০০ সালে। এলএলবি পাস করার পর এখন চাকরি করছেন একটি নাম না–জানা সংস্থায়। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই নাকি ওই চাকরি ছেড়ে দেবেন। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে চেনা–পরিচয় রেলপথমন্ত্রীর।



এটাতো গেল সার সংক্ষেপ। কিন্তু হেডিংটা দেখে সত্যিই ঘাবড়ে যাওয়ার কথা সবার। ইদানিং কিছু অনলাইন সংস্করন পত্রিকা আমরা দেখি । সেখানে পুরোনো খবর হেডিং টা আকর্ষনীয় করে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যেন সবাই একটু হলেও বিচলিত হয়। আর ভিতরে গিয়ে দেখা যায় কি বিষয় আর কি হেডিং। কোনো মিল নেই। এটা জাস্ট একটা আকর্ষন করা সবাইকে।



আমি নিউজটি পড়লাম প্রথম আলো পত্রিকা থেকে। প্রথম আলো একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন নির্ভরযোগ্য পত্রিকা। আর তাই এই খবরটি আগে শুনলেও আজকে বিশ্বাস করলাম যে, আমাদের মন্ত্রী সাহেব নতুন জীবনে পদার্পন করতে যাচ্ছেন।

তিনি ছিলেন কুমিল্লার ‘চিরকুমার সমিতি’ এর প্রধান উপদেষ্টা। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে ‘মর্মাহত’ হলেও কুমিল্লার ‘চিরকুমার সমিতি’ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে শেষমেশ। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে দিয়েছে, খুব শিগগির সমিতি থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হবে তাঁকে!!!

এখান থেকেই নেয় হয়েছে হেডিং টা। হয়তো কোন একটি ঐ ধরনের পত্রিকা এমনই হিডিং দিয়ে একটা খবর বের করবেন।



‘চিরকুমার সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ২০০১ সালে কুমিল্লার অবিবাহিত পুরুষদের নিয়ে চিরকুমার সমিতির পথচলা শুরু। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রেলপথমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত বিয়ে করেন। সংগঠনের নিয়মানুযায়ী, কোনো সদস্য বিয়ে করলে তাঁকে ‘অব্যাহতিপত্র’ তুলে দেওয়া হয়। সেদিন কুমিল্লা ক্লাবে আয়োজিত ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে তপন সেনগুপ্তকে অব্যাহতিপত্র তুলে দেন স্বয়ং রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এবার সেই মন্ত্রীর বিয়ের খবরে স্বভাবতই সংগঠনের সদস্যরা হতাশ!



এমনই একটি নাটক আছে মোস্থফা কামাল রাজ এর সম্ভবত "চিরকুমার সংঘ" নাম । সেই নাটকটিতেও একই ধরনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি অনেক মজার।



আসলে মন্ত্রী হিসেবে জনাব মুজিবুল হক হয়তো অনেক ভালো কারন এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির কথা আমরা জানতে পারিনি।

আর তাই আমরা এখান থেকে নবদম্পতিকে অগ্রীম শুভেচ্ছা জানালাম। নতুন দম্পতি চিরসুখী হোক।



কৃতজ্ঞতাঃ প্রথম আলো



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: রেলমন্ত্রী ঘুষ হিসেবে ভায়াগ্রার বোতল পেয়েছে অনেকগুলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.