![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুল জীবনে এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক একিদন ক্লাসে একটি গল্প বলেছিলেন, গল্পটি হলো গ্রাম্য কিছু মহিলা আছে যাদের কাজ কর্ম বলতে অন্যের সমালোচনা করা বা এক খবর অন্যকে না বলা পর্যন্ত স্বস্তিতে না থাকা... তেমনিই একটি গল্প...
একটি গ্রামের পাশে একটি পুকুর শান বাধানো ঘাট, সেখানে আশে পাশের সকল পরিবার তাদের থালা বাসন, হাড়ি-পাতিল সামগ্রী প্রতিদিন ধৌত করতে একত্রিত হয় বয়স্কা ধরনের মহিলারা, আর যখন তারা একসঙ্গে হয় তখন সারা গ্রামের কোন বাড়ীতে কি হয়েছে চলে আলোচনা-সমালোচনা।
-ঐ গ্রামেরই এক ব্যক্তি একদিন কবুতরের মাংস খেয়েছেন, কবুতরের মাংসে কবুতরের ছোট পালক এর একটি অংশ ছিলো সেই ব্যাক্তি পরদিন টয়লেট করতে গিয়ে দেখতে পান সেই পালক এর অংশ আর সেটা বাড়ীতে বলে দেন.. !
-এই খবরটি তিনি যার সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি একজন তেমন বয়স্কা মহিলা,
-সেই মহিলা এই খবরটি অন্য একজনকে বলেন একটু বাড়িয়ে...!
-সেই অন্য একজন মহিলা আবার এটিকে বাড়িয়ে বলতে বলতে একটি কবুতর বানিয়ে ফেলেন.!
-তেমনি ভাবে এই খবরটি একজন থেকে অন্য জনে যেতে একটু একটু করে বেড়ে গিয়ে শেষের যে মহিলা গল্পটি বানিয়েছেন সেটা হলো এক ব্যক্তি কবুতর খেয়ে পরদিন টয়লেট করতে গিয়ে দেখেন টয়লেট করার পর একটি কবুতর উড়ে গেল.... !!!
এখানে একটি কবুতরের ছোট্ট পালকে এর অংশে থেকে শেষ পর্যন্ত সেটা পুরো একটি জ্যন্ত কবুতরের জন্ম নিল... !
এই খবরটি মনে হলো আমাদের দেশে শত শত অনলাইন সংবাদপত্র (অনেকেরই ঠিকানা পর্যন্ত দেয়া নাই !) , প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার হাজারো বিনোদন সাংবাদিক রয়েছেন। তাদের সম্মান দিয়েই বলছি , আমরা দেখতে পাই কে কার আগে লাইভ বা লেটেস্ট সংবাদ প্রকাশ করবে এটা হার্ড প্রতিযোগিতা ! আমরা দেখতে পাই বিদেশী কোন সেলিব্রেটিদের ছোট্ট কোন বিষয়ই অনেক রং চং মাখিয়ে আকর্ষনীয় করে হেডিং দিয়ে অনেক প্রথম সারির পত্রিকাতেই প্রকাশ করতে. . . ,
অথচ প্রায় 9 বছর হতে চললো এমনকি একটা কিউট জল জ্যন্ত বাচ্চা পর্যন্ত হয়ে গেল , ভারত থেকে বাচ্চা নিয়ে এদেশে এল আর ঐ সব সাংবাদিকরা কিছুই বুঝতে পারলো না !! আজকের রাত তাদের জন্য সত্যিই অনেক ব্যার্থতার একটি রাত বটে, আমি নিশ্চিত যে আজকে তাদের অনেকেরই ঘুম পর্যন্ত হবে না!!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: সেটাইতো দেখলাম
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন ।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৭
আল-তাকবীর মাহিম বলেছেন: অপু বিশ্বাসের চোখের পানিতে, চাপা পড়ে গেলো তিস্তার পানি।
(চলবে)
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৮
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন:
(চলবে)! চলুক ...
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন ।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের বাড়ির সামনে হাট বাজার সাথে
কয়েকটি চায়ের দোকান। সুর্য উঠতে উঠতে
চায়ের দোকান গুল বেশ লোক জনের
সমাগম হয়। চার পাঁচ গ্রামের লোক চায়ের
দোকানদার হিম শিম খায় কার থেকে কার
চা আগে দেবে। দোকান গুলতে নেতা গোছের
লোক হলে তাকে চা খাওয়ানোর হিরিক পড়ে
কে তাকে আগে চা খাওয়াবে। সেই সাথে
রাজনৈতিক আলাপ আলোচনার সাথে সব
গ্রাম গুলর গরম গরম খবর কে বউ পিটাল
কার মেয়ে প্রেম করছে কার ছেলে কত
টাকা উপার্জন করে এরম নানা বিধ আলোচনার সাথে কখনও হাতাহাতি মারামারি
পর্যন্ত হয়ে যায় সকাল বেলায় চার পাঁচ
গ্রামের সব খবর চায়ের দোকানেই পাওয়া
যায়।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৮
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ, ভালো বলেছেন,
এটা একটি বাস্তব চিত্র অনেক জায়গায় আমিও এমন দেখেছি চায়ের দোকানে আড্ডা, সমালোচনা তবে এখন সবাই ব্যস্ত মানুষ , এখন এটা কম দেখা যায়.
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি আমার ঐ বয়স্ক মহিলাদের নিয়ে কিছু বলায় এমনটা শোনালেন।
যাইহোক সমাজে ভালো-মন্দ মানুষ থাকবেই। সবার চিন্তা চেতনা এক না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এতেই বোঝা যায় তেনাদের সাংবাদিকতার দৌড় কতটুকু। এর আগে ইমনেরও বউ বাচ্চার খবর বের হয়েছে প্রায় ৬/৭ বছর পর। কিন্তু চটি সাংবাদিকরা কিছুই জানতে পারেননি...
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:২২
সমীর কুমার ঘোষ বলেছেন: এমন সাংবাদিক লইয়া আমরা এখন কি করিব ! হা হা , এটা একটা উক্তি রবীন্দ্রনাথের গল্প থেকে নেয়া হয়েছে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুধু টক না রীতিমত ইস্যু দাড়ায়া গেছে সব খবর বাদ!!