নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট+মেজাজটা এত বিলা হয় ক্যারে?+সচেতনতামূলক পোস্ট: অন্তর্জালে প্রেম জাল! দুটি মন, কিছু প্রেম এবং অনেকটা ধোঁকা!

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মেয়েরা কিভাবে অনলাইনে অত্যাচারিত হচ্ছে সেটা নিয়ে লিখলে কমেন্ট সেকশনে পুরুষেরা লিখবে যে ছেলেদের পক্ষেও কিছু বলেন। আবার শুধু ছেলেদের নিয়ে লিখলেও একই ব্যাপার হবে। তাই নারী পুরুষ দুজনকে নিয়েই লিখব তবে শুরুটা পুরুষকে দিয়ে করছি। স্বজাতিকে নিয়ে আগে লিখলে পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন উঠত। ;)



-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পূর্বের রোস্ট পোস্ট!
রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!
রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!
রোস্ট পোস্ট (৩) - বিবাহ বানিজ্য, পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা - ঝলমলে লাইটিং এর পেছনের অন্ধকারের গল্প!
রোস্ট পোস্ট (৪) - সোশ্যাল মিডিয়া- আমাদের মন মানসিকতা কি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে? সুস্থ হবার উপায় কি?
রোস্ট পোস্ট (৫): বাংলাদেশী ধারাবাহিক ভার্সেস ইন্ডিয়ান সিরিয়াল! আমরা কেন জনপ্রিয়তায় এত পিছিয়ে? সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাঁচার উপায় কি?
রোস্ট পোস্ট (৬): কোভিড ১৯ এর রিক্যাপ - কমাসে বেড়িয়ে আসা জাতীয় চরিত্রগুলো! আমরা এতো খারাপ? X(

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দুটি মন ও কিছু প্রেম!

রফিক এক ২৫ বছরের টগবগে যুবক। স্বপ্নপূরণে দেশ ছেড়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। ভোরে উঠে রেডি হয়ে কাজে যায়, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি শেষে ছোট্ট কুটিরে ফেরে। এভাবেই বিরস দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল।
এক রাতে ফেসবুকে এক অজানা মেয়ে তাকে নক করল, "আপনার প্রোফাইল টা তো খুব সুন্দর! স্বচ্ছ নীল আকাশ। আপনার হৃদয়ও কি এমনই?"
রফিক এমন রুচিশীল ম্যাসেজ পেয়ে প্রোফাইল চেক করতে গেল। দেখল গোলগাল মুখের মিষ্টি চেহারা একটা মেয়ের ছবি। পৃথিবীর সকল সরলতা আর মায়া যেন তার চেহারায় ভর করেছে! মনের অজান্তেই রফিক যেন প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়ে গেল।
সাথে সাথে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে রিপ্লাই দিল - হৃদয় আকাশের মতো কিনা জানিনা, কিন্তু আকাশ আমার খুব ভালো লাগে। আচ্ছা এত লোক থাকতে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেন যে?
মেয়ে - বলব তবে ফোনে, আপনার ইমো নাম্বার দেন।
রফিক - সাথে সাথে নাম্বার দিল।
মেয়ে - আপনার মতো আকাশ আমারো প্রিয় তাই নক দিয়েছি।

কথায় কথায় সেদিন সারারাত পার হয়ে গেল। রফিক আজকাল অনেক হাসিখুশি থাকে। সারাদিন কাজের ফাঁকে ভাবে কখন সন্ধ্যা হবে, বাড়ি যাবে আর পিংকির সাথে কথা হবে! মাত্র এক সপ্তাহের পরিচয়ে ওরা অনেক কাছাকাছি এসে গিয়েছে। পিংকি হুটহাট নিজের গোপন ছবি ওকে পাঠায়। রফিকের বিশ্বাস আরো বেড়ে যায়, ভাবে একটা মেয়ে এতটা বিশ্বাস শুধু ভালোবাসার মানুষকেই করতে পারে। মনে মনে রফিক পিংকিকে নিজের বউ ভাবতে শুরু করে দেয়।

পিংকিও অনলাইনে বউয়ের দায়িত্ব পালন করে যায়। রফিক কি খাবে, কি পড়বে সবকিছু ঠিক করে দেয়। সোনালী সংসারের স্বপ্ন বোনে দুজনে মিলে। মেয়েটি নিজের বড় দুই বোনের সাথেও কথা বলিয়ে দিয়েছে রফিককে। রফিকের মনে আর কোন সন্দেহ থাকেনা পিংকিকে নিয়ে। শুধু একটা বিষয়, যখনই রফিক ভিডিও কল করতে চায় পিংকি বাঁধা দেয়। বলে সামনাসামনি দেখার উত্তেজনা এভাবে কমে যাবে, পুরোন দিনের মতো প্রেম করবে ওরা। রফিক অবাক হয়, আজকালকার যুগেও এমন সুন্দর করে কোন মেয়ে ভাবে?

পরিচয়ের একমাস পেরিয়ে গেছে। একদিন পিংকি বলল, আগামি মাসে তার জন্মদিন, সে কি কোন উপহার পাবেনা? রফিক জানতে চায় কি উপহার লাগবে? পিংকি বলে দেয় একটা ল্যাপটপ, ফোনে চ্যাট করতে করতে চোখ আর আঙ্গুলের খারাপ অবস্থা। প্রথমবার পিংকি কিছু চাওয়ায় রফিক মানা করতে পারেনা। সাথে সাথে পাঠিয়ে দেয়।
এরপরে ভালোই চলছিল সবকিছু। একদিন পিংকি জানায়, ওর বোনের বড় অসুখ ধরা পড়েছে। চিকিৎসার জন্যে প্রচুর টাকা দরকার। তার বাবা ও ভাই মিলে অর্ধেক জোগাড় করেছে। পিংকির এক কাজিন আছে। সে প্রস্তাব দিয়েছে, দেনমোহর হিসেবে এই টাকা দিয়ে দেবে পিংকির সাথে বিয়ে দেওয়া হলে। বোনের জন্যে পিংকি নিজের ভালোবাসা কোরবান করতে প্রস্তুত।
এটা শুনে রফিকের পাগলপ্রায় অবস্থা। ও পিংকিকে ছাড়া বাঁচবে না। ও সাথে সাথে বলল, "যা টাকা লাগে আমি দেব, তুমি আমার বউ, আমার দায়িত্ব!"
রফিক নিজের বোনের বিয়ের জন্যে টাকা জমাচ্ছিল, সেই পুরো টাকাটা পিংকিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করল। মনকে স্বান্তনা দিল এই বলে যে; বোনের পড়াশোনা শেষ হতে কিছু বছর বাকি, তার মধ্যে আবারো টাকা জমিয়ে ফেলবে। পরিবারের সুখের জন্যে প্রবাসে আসতে গিয়ে সে তার প্রথম প্রেমকে হারিয়েছে, আবারো হৃদয় ভাঙ্গলে সে বাঁচতে পারবেনা। জীবনে প্রথমবারের মতো স্বার্থপর হলো রফিক, নিজের পিংকির জন্যে।
পিংকির বড়বোন রফিককে অনেক দোয়া করলেন, ফোনে কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন! পিংকির বাবাও কথা দিলেন, দেশে ফিরলেই ওদের বিয়ের সানাই বাজবে। দেনমোহরের টাকা মাফ করে দেওয়া হবে।
রফিক স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলল। এখন আর রফিক পিংকিকে আটকায় কে? ওরা আরো বেশি কাছাকাছি এসে গেল। প্রতিরাতে তাদের কথোপকথন গভীর থেকে গভীরতম হতে থাকল।
কয়েক সপ্তাহ পরে পিংকি বলল, আপুর অপারেশন সাকসেসফুল হয়নি, ভারতে নিয়ে যেতে হবে। তার জন্যে টাকা লাগবে। রফিকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, ওর কাছে যা ছিল সব তো দিয়ে দিয়েছে। আর কিছুই যে নেই। তবুও সে ওখানকার বন্ধুদের কাছে ধারদেনা করে সেবারের মতো পিংকির চাওয়ার অর্ধেক টাকা পাঠাল। রফিককে অনেক ছোট হতে হয়েছে এই টাকা জোগাড় করতে, অনেকের হাতেপায়ে ধরে তারপরে ম্যানেজ করেছে। সে ভেবেছিল পিংকি অনেক খুশি হবে।
কিন্তু এতদিন মিষ্টি কথা বলা পিংকি হুট করে কর্কশ গলায় বলল, "এত কম টাকায় কিভাবে হবে? এটুকু করতে পারলেনা আমার জন্যে?"
রফিক হতবাক হয়ে গেল, যার জন্যে সে এতকিছু করে এসেছে সে আজ এমন ব্যবহার করল তার সাথে? বুকভরা অভিমান চেপে রেখে পিংকিকে মানানোর চেষ্টা করল। অনেকভাবে বোঝাল যে তার কাছে আর কিছুই নেই কিন্তু পিংকি কিছু বুঝতে নারাজ।
রফিক ভাবল কদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, বড়বোনের চিন্তায় তার পিংকি খিটখিটে হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু তা আর হলোনা। পিংকি আজকাল যোগাযোগ করতেই চায়না। করলেও শুধু বাকি টাকাটুকু পাঠানোর কথা বলে। রফিক বোঝাতে শুরু করলে অফলাইনে চলে যায়। একসময়ে ওরা দৈনিক ৭-৯ ঘন্টা কথা বলত, এখন সপ্তাহে ৭ মিনিটও কথা হয়না। একদিন হাল ছেড়ে রফিক জানতে চাইল, "তুমি কি আর সম্পর্ক রাখতে চাওনা!?"
পিংকি - এটুকু বুঝতে তোমার এতদিন লাগল? কোন ফকিরের সাথে আমি রিলেশন রাখতে পারবনা, কোথায় আমার কাজিন আর কোথায় তুমি?
রফিকের মনে হলো কেউ ওর বুকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। দপদপ করে জ্বলতে লাগল ওর মাথা, বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে গেল। চিৎকার দিয়ে কাঁদতে থাকল। অনেকক্ষন নিস্তব্ধ বসে থাকার পরে ও কিছু একটা লিখতে যাচ্ছিল পিংকিকে কিন্তু ততক্ষনে রফিককে সবখানে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

রফিকের শরীর দিনদিন খারাপ হতে থাকে। সারাক্ষন ওর বুকে যেন পাথর চেপে বসে থাকে। ও কোন হিসেব মেলাতে পারেনা। ও একবারের জন্যেও পিংকিকে খারাপ ভাবতে পারেনা। এত ভালোবাসা, এত আদর মিথ্যে হতে পারেনা। ভালোবাসা না থাকলে কোন মেয়ে এতটা ঘনিষ্ঠ হতে পারেনা, ওমন ছবি পাঠাতে পারেনা। কাজে মন না বসায় বারবার মালিকের কাছে অপমানিত হয়। অর্থ, মন, স্বাস্থ্য সবকিছু হারিয়ে ফেলে সতেজ, সবল এক যুবক।
রফিক তবুও অপেক্ষায় থাকে, ওর মনে হয়, কোন একদিন সকালে উঠে ম্যাসেজ পাবে, "সরি বাবু, আমাকে মাফ করে দাও। আপুর শরীর খারাপ বলে আমি তোমার সাথে এমন অন্যায় করে ফেলেছি। আমি আগের মতোই ভালোবাসি তোমাকে!"
কিন্তু রফিকের এই অপেক্ষা আর ফুরোয় না...........

অনেকটা ধোঁকা!

অবশ্য ফুরোবে কি করে? যাকে ও ১৯ বছরের যুবতী মেয়ে ভাবছিল সে তো ৩৭ বছর বয়সী লুৎফুর নাহার; দুই বাচ্চার মা। ফেসবুকে যেসব ছবি দিয়ে রেখেছে সেসব ওর নিজের না, অন্য কোন প্রোফাইল থেকে জোগাড় করেছে। নিজের স্বামীর সাথে মিলেই এই ব্যাবসায় নেমেছে। বোনের গলাটাও ওর নিজেরই ছিল। নানা গলায় কথা বলার অনন্য গুন ও রপ্ত করেছে এই রাস্তায় নেমে। আর পিংকির বাবার গলা দিয়েছে ওরই স্বামী। "প্রজেক্ট রফিক" সাকসেসফুল।
পিংকির স্বামী - আমার বউয়ের মধুর প্রেমের জাল ছিড়ে কে বেড়োতে পারে! ঐ বেটা রফিক তো আধমরা হয়ে গেছে বউ! হাহাহা!
স্বামীর কথায় হাসিতে ফেটে পড়ে পিংকি। হাসতে হাসতে দ্রুত হাত চালায়, টাইপ করে - "আপনি ভাইবোনদের অনেক ভালোবাসেন না? আমিও পরিবারকে অনেক ভালোবাসি!"

মহসিন এক মেয়ের ম্যাসেজ পেল ফেসবুকে। তার প্রোফাইল পিকটা পরিবারের মানুষের সাথে, মেয়েটি সেটাই হয়ত নোটিশ করেছে। ইন্টারেস্টিং তো। সে দ্রুতই রিপ্লাই দেয়! অজান্তে পা বাড়াতে থাকে মরণফাঁদের দিকে.........

সচেতনতা!

ওপরের গল্পটি নিছক গল্প হলে আমার ভালো লাগত কিন্তু এমন ঘটনা চারিপাশে ঘটছে। পেপার বা টিভি নিউজ খুললেই দেখা যায়। হয়ত আপনার কোন পরিচিতর সাথেও এসব হয়েছে! শুধু স্থান, কাল, পাত্র পাল্টেছে কিন্তু প্রেম ও প্রতারণার গল্পটি একই!

এই গল্পে পিংকি ও তার স্বামীর মতো অমানুষগুলোর কথা বাদই দিলাম কিন্তু রফিকের কি কোন ভুল ছিলনা? ওরও কিছু ভুল ছিল।
কি করে বাঁচা যায় রফিকের মতো পরিণতি থেকে সেসব দেখে নেই।
প্রথমত অনলাইনে ডেটিং অনেক বিপদজনক। কিন্তু আমার এই কথায় প্রযুক্তির যুগে তো আর আপনারা সব বন্ধ করে দেবেন না, তাই অনলাইনে কিভাবে নিরাপদে মানুষের সাথে মেশা যায় সেটা জেনে নিন।

১) নিজের ব্রেইন ব্যবহার শুরু করুন। কনসিসটেন্সি খুঁজুন মানুষটির মধ্যে। অর্থ্যাৎ, একটা মানুষ এক দিন/সপ্তাহ/মাস নকল ভালোমানুষী দেখাতে পারে। কিন্তু তার বেশি নাটক করা কঠিন, সে কোন না কোন ভুল করবেই। তাই একটু সময় নিয়ে তাকে জানার চেষ্টা করুন। বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধকে দূর্বল হতে দেবেন না আবেগের সামনে।

২) সাধারণত স্ক্যামাররা খুব জলদি ঘনিষ্ঠ হতে চায়। পরিচয়ের প্রথম দিনে প্রেম, দ্বিতীয় দিনে বিয়ে, তৃতীয় দিনে বাচ্চার মা/বাবা ডেকে ফেলবে। বেকুব ছেলেটি ভাবে সে স্বামী হয়েই গেছে! ধুর! উপদেশ দিতে এসেও মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে! কুল সামুপাগলা কুল!
যদি কাউকে এত জলদি কাউকে ক্লোজ হতে দেখেন বুঝে নেবেন মেয়েটি সুবিধার না। যে সিরিয়াসলি বিয়ের কথা ভাবছে সে দুইদিনের মধ্যে প্রপোজ করবেনা। মানসিকভাবে দূর্বল করে দেবার জন্যে এটা জাস্ট একটা ট্র্যাপ।

৩) রফিক নিজেও মেয়েটির সাথে অশালীন কথাবার্তা বলেছে, তার অশালীন ছবি দেখেছে। অনেকে বলবেন, "মেয়েটি আহবান জানালে ছেলেটি আর কি করবে?" আরেহ! আপনাদের ভালো মন্দ মেয়েদের ওপরে নির্ভর করবে? কোন ধর্মে বলা আছে যে একটা ছেলের ওপরে পবিত্রতা শুধু ততক্ষন পর্যন্ত ফরজ যতক্ষন মেয়েটি বাজে ইঙ্গিত না দেয়!? আপনার চারিপাশের মেয়েরা ভালো হোক/খারাপ হোক, আপনার ভদ্রতা, মূল্যবোধ আপনার হাতে। আপনি যদি একটা মেয়ের খারাপ স্বভাব দেখেও মিশে যান, প্রশয় দেবার দোষ আপনারো।
একটা মেয়ে কদিনের পরিচয়ে না চাইতেই গোপন ছবি দেওয়া শুরু করার মানে সে ভীষন অভিজ্ঞ। এসবই তার পেশা। সত্যিকারের প্রেমিকা এমন করবে নাকি?

৪) মেয়েটির শহরে নিজের পরিচিত কাউকে পাঠিয়ে, সে যেসব তথ্য দিয়েছে সব ঠিক কিনা যাচাই করে নিন। সম্পর্ক অনেকদূর যাবার পরে নয়, যখন মনে হবে মেয়েটিকে প্রপোজ করা যায় তখনই এই কাজটি করে ফেলুন। পরে পস্তানোর চেয়ে আগে খোঁজ নেওয়া উচিৎ।

৫) অনলাইনের পরিচয়ে কাউকে কোনভাবেই উপহার, টাকা দেবেন না! নেভার এভার। যদি অপর পাশের মানুষ অভিমান দেখায়, চলে যাবার হুমকি দেয় তবুও না। মনে রাখবেন, যে আপনাকে ভালোবাসে সে একটা উপহার না পাবার জন্যে চলে যাবেনা। তার বোনের অসুখ করুক, বাপের ব্যাবসার ভাটা পড়ুক, দুলাভাইয়ের বোনের মেয়ের কিডনিতে সমস্যা হোক - ডোন্ট সেন্ড মানি! বিয়ের আগ পর্যন্ত এসব দেখা আপনার দায়িত্ব না। ভালো কথা আমার নেক্সট পয়েন্ট বিয়ে নিয়েই।

৬) বিয়ে না করে একটা মেয়েকে বউ মানা বন্ধ করুন। বাংলা সিনেমায় আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে বিয়ে হলেও ধর্ম ও সমাজ এমন বিয়ে মানেনা। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তিনবার কবুল বলে দেনমোহর দানে, অথবা সাতপাঁকে বাঁধা পড়ে বা চার্চে গিয়ে আই ডু বলে যাহা হয় তাহাকে বিবাহ বলে। অনলাইনে বউ বউ/ঝন্টু মন্টুর মা ডাকা অপ্রয়োজনীয় নেকামি। এতে করে শুধু আপনার মন অজান্তেই আরো দূর্বল হবে। আপনি ভাবতে থাকবেন স্বামীর মতো অর্থনৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।



সর্বোপরি, সবার আগে নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপকার করাটা ভালোমানুষী না বোকামি। কেননা আপনার আপনজনেরা শুধু আপনার খুশি চাইবে। তাদের কথা ভেবে হলেও সাবধান থাকুন। সকল প্রকার সমস্যা এড়িয়ে চলুন। সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করুন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শেষ কথা: আপনারা ভাবতে পারেন যে আমি কেন যারা ধোঁকাবাজ তাদেরকে কিছু না বলে ভিক্টিমদেরকে বকলাম? কেননা যারা এতটা জঘন্য তাদের বিবেকে পাথর বসে গিয়েছে, ওদেরকে আর কিছু বলে কোন লাভ নেই। একটি ব্লগ পোস্ট দিয়ে কিছু সরল মানুষকে সচেতন করা যায়, কিন্তু অমানুষকে মানুষ করা যায়না। মুভিতে যতোই শেখাক যে ভালোবাসা শুধু মন দিয়ে হয়, ব্রেইন দিয়ে না, এসব ফাউল কথা। প্রেমের আগে চিন্তাভাবনা করে আপনার মন আর ব্রেইন দুটোই যাকে ভালো মনে করবে সেই শুধু ভালো। আপনারা যদি এসব স্ক্যামারদের থেকে বাঁচার আরো আইডিয়া দিতে পারেন তবে কমেন্ট সেকশনে এড করুন। ধন্যবাদ।

আমার স্বজাতিদের বুদ্ধি বিবেক দেখে তো আরোই মেজাজ বিলা হয়। সেসব নিয়ে আসছি পরের পর্বে........

ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫

আকন বিডি বলেছেন: ১ম,

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অভিনন্দন! :)

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯

আকন বিডি বলেছেন: আজ সকালে মশারী গোছাতে গিয়ে সিলিং ফ্যানে হাতের বারটা বাজছে। তাই আর কিছু লিখলাম না। বাসায় বসে আছি কিন্তু কিছু লিখতে পারছি না। X(( :((
হাত ব্যাথা। :((

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! সরি টু হেয়ার দ্যাট। রেস্ট নিন!
দেশে এখনো মশারী ব্যবহার করে? এরাসল সহ মশা মারার কত আধুনিক জিনিস বাজারে এসেছে কিন্তু মশারি এখনো যায়নি জেনে ভালো লাগছে।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৮

আকন বিডি বলেছেন: সাময়িক সময়ের জন্য ভালো। কিন্তু লং রানে ভালো না।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কি লং রানে ভালো না? বুঝলাম না!

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৬

আকন বিডি বলেছেন: "এরাসল সহ মশা মারার কত আধুনিক জিনিস"
চা ভালো হইছে। তবে চায়ে মুঘলাই চুবিয়ে খেতে কেমন যেন লাগলো। :D :-&

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যাই বলুন না কেন, প্রতিদিন মশারি টাঙানো, ভাজ করা একটা এক্সট্রা কাজ। গরমও লাগে।
একদিন চায়ে মোগলাই দিয়ে খেতে হবে তো! খারাপ লাগবে না মনে হয়। পুরি চা তো অসাধারণ লাগে।

পোস্ট নিয়ে নিজের মহামূল্যবান বক্তব্য পেশ করুন। ;)

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো ভালো উপদেশ । মানলে ভালো

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মানলে ভালো, না মানলে মরণ - মন টাকা সব হারিয়ে পথের ফকির হতে হবে। আশা করি এই পোস্টটি সবাইকে সচেতন করবে অন্তর্জালের প্রেম জাল নিয়ে।

সুন্দর মন্তব্য প্রেরণা পেলাম।
ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২০

আকন বিডি বলেছেন: view this link
বেশি কিছু লিখতে পারি না। সরি ম্যাম। হাতে ব্যাথা।
চা এর মধ্যে চানাচুর দিলে স্পাইসি চা হয় আমার বেশ লাগে। চায়ে পাউরুটি, পরোটা, পুরি (সিলেটি না কিন্তু) বেশ মজার। :P

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখাটি শেয়ার করার জন্যে থ্যাংকস এ লট। মত দিয়ে এসেছি।
ইটস ওকে, নো প্রবলেম। টেক রেস্ট।

চা চানাচুর!!! নতুন জিনিস শিখলাম, এটাও ট্রাই করতে হবে একদিন। ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বেশ অভিজ্ঞ মানুষ।

আজ আর বার্গার কোক চাইবো না। রোজ রোজ চাইলে আমি ছেছরা ভাববেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ! ছ্যাচড়া ভাবব কেন? আপনি না চাইলেও বার্গার দিতাম, আপনার যেহেতু এত পছন্দের! :)

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ঠিক এক্কেবারে আমার মনের কথা বলেছেন। দুঃখের কথা আর কী বলব, আমার নিজের চোখে দেখা হিসেবে বলছি, উচ্চশিক্ষিত লোকজন ও কিন্তু এই টাইপের মানসিকতা থেকে বাংলাদেশে বের হতে পারছে না। এখানে সময় নেয়া বলতে কোনও হিসাব নেই। সবকিছুই হওয়া চাই চোখের পলকে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এসব স্ক্যাম শুধু প্রবাসী মধ্যবিত্তের সাথে হচ্ছে তা কিন্তু নয়। যেকোন দেশ ও ক্লাসের মানুষের সাথে হতে পারে। প্রবাসী ভাই বোনেরা একাকীত্বে ভোগেন পরিবার ও দেশ থেকে দূরে, তাই তাদেরকে ফাঁসানো সবচেয়ে সহজ। দেশে বসে থাকা স্ক্যামারেরা ভাবে যে প্রবাসী হলে বড়লোকই হবে। সেজন্যে উদাহরণের গল্পটিতে একজন প্রবাসী পুরুষকে ব্যবহার করেছি।

পোস্ট উপযোগী মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা!

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
একজেক্টলি দেশের বাহিরে অবস্থানরত রফিকের মতো কিছু
সরল টাইপের পুরুষরা খুব প্রতারিত হচ্ছেন। তারচেয়েও
খুব দুঃখের হচ্ছে পত্র-পত্রিকা যখন দেখি ,দশ/বারো বছর
সংসার করার পর প্রবাসীর বউ সমস্ত অর্থ নিয়ে অন্য কারো
সাথে পলায়ন ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রামিসা আপু, খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্যে।

একদম, দেশের বাইরে থাকা এসব মানুষের দেশের প্রতি মায়া ও আবেগ অন্য লেভেলে থাকে। কেউ বাংলায় দুটো মিষ্টি কথা বললেই গলে যান। সারাদিন অমানুষিক পরিশ্রম, মালিকের কটু কথায় এমনিতেই তারা ভেঙ্গে পড়েন। দেশে আমাদের আঙ্গুল কেটে গেলেও আমরা মা মা বলে চিল্লাই। কিন্তু প্রবাসী ভাইয়েরা অনেক বড় বড় দুঃখ চেপে রেখে হাসিমুখে পরিবারের সাথে কথা বলেন। কেননা তারা পরিবারকে দুঃশিন্তায় রাখতে চান না, সব জানলেও অতদূর থেকে পরিবার কিছু করতে পারবেনা। এজন্যে কেউ দুটো মায়ার কথা বললেই, সব বোধ বুদ্ধি হারিয়ে পাগলের মতো ভালোবাসেন।

প্রবাসী বউদের মধ্যে খারাপ ভালো আছে। অনেকেই স্বামীর পথ চেয়ে বসে থাকেন। স্বামীর অবর্তমানে তার পরিবারের খেয়াল রাখেন। অনেক যুদ্ধ করে বাচ্চাদের মানুষ করেন।
কিন্তু আপনি যা বললেন তেমনও আছে কিছু। স্বামীর টাকায় নিজে আয়েশ করে, বয়ফ্রেন্ডের পকেটও ভরে। ছি ছি ছি। স্ক্যামারেরা তো তাও অপরিচিত মানুষকে ধোঁকা দেয় কিন্তু যেসব ছেলেমেয়েরা নিজের জীবনসঙ্গীকে ধোঁকা দেয় তারা আরো নিকৃষ্ট।

খুব ভালো একটি মন্তব্য করেছেন আপু, আলোচনার সুযোগ পেলাম। থ্যাংকস।
ভালো থাকুন।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫২

সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: অসাধারন ও ভীষণ জরুরী পোস্ট।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। সামনে রোস্ট পোস্ট লেখার সময়ে আপনার কথাটি অনেক প্রেরণা দেবে।
সুস্থ ও সুখে থাকুন।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: খু-উ-ব ভালো লাগলো। একেবারে প্রেসক্রিপশন সহ!

গুছিয়ে-বুঝিয়ে বলেছেন, তারপরও কেউ কেউ আছেন যারা প্রতারিত হওয়ার জন্য আকুলিবিকুলি করতে থাকবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই নন্দিনী আপু! এত গুণী লেখিকাকে নিজের ব্লগবাড়িতে পেয়ে খুবই ভালো লাগল।

হাহা, তা একেবারে ঠিক বলেছেন। কিছু কিছু মানুষ ধোঁকা খাবার পথে পা বাড়াতে ওস্তাদ। যতোই বোঝান কেন ওনারা কোন কথা কানে তুলবেন না। তবে আশা করছি কিছু মানুষকে এই পোস্টটি সচেতন করবে। যারা অন্তর্জালে নতুন বা এসব ঘটনার ব্যাপারে জানতেন না তাদের চোখ খুলবে।

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে।
শুভকামনা।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: Pinki catfished.....

Google says: Catfishing means
lure (someone) into a relationship by means of a fictional online persona.
Example: "he was being catfished by a cruel prankster"

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এবসোলুটলি রাইট। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ক্যাটফিশ, রোম্যান্স স্ক্যামের মতো শব্দগুলোকে ডিফাইন করব পোস্টে। তারপরে মনে হলো, নাম/সংজ্ঞায় পোস্ট ভরিয়ে ফেললে আসল কথাগুলোই পেছনে পড়ে রইবে। তাই গল্প আকারে সবকিছু লিখলাম যেন বেশি মানুষ রিলেট করতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ তথ্য শেয়ারে।
ভালো থাকবেন।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সম সাময়িক প্রযুক্তি এবং তার অন্ধকার ব্যবহারের একটা অংশ নিয়ে দারুন রোষ্টিং এর জন্য ধন্যবাদ।

অর্থনৈতিক নি:স্ব হওয়াতো আছেই এছাড়াও বহু রকম মানসিক পীড়নও কম হয়না।
এবং যা থেকে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নেয় অনেকে।
বেশী আবেগময় মূহুর্তে ব্যাক্তিগত ছবি শেয়ারের বিপর্যয়ও ভয়াবহ!
কখনো সেই ছবি দিয়ে বা ছবির গলাকেটে/ টেম্পারীং করে এডাল্ট প্রেজেন্টেশনে ব্লাকমেইল শুরু করে।
কখনো অর্থ কখনো দৈহিক সম্পর্ক কখনো অন্যায় সুবিধা আদায় এরকম বহু বহু অপরাধের কিসসা কান পাতলে অন্তর্জালেই পাওয়া যাবে।

সতর্কতা, জ্ঞান এবং বিবেক ব্যবহারের যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছে সখী তার অনুসরন -
অনেকটাই নিরাপদ রাখবে ব্যবহারকারীদের।
সকলেই সচেতন হোক নিরাপদে থাকুক।
সকল আবিস্কারেরই কুফল থাকে্ অন্তর্জালের এই কুফল থেকে সকলেই নিরাপদ থাকুক।

শুভেচ্ছা অবিরাম
ভাল থেকো জনম জনম।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

অর্থনৈতিক নি:স্ব হওয়াতো আছেই এছাড়াও বহু রকম মানসিক পীড়নও কম হয়না। এবং যা থেকে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নেয় অনেকে।
আসলেই! অনেকেই ভালোবাসার মানুষটির ধোঁকা সহ্য করতে পারেনা। নিজেকে বোকা মনে করেন, অপরাধবোধে ভোগেন, অপমানিত বোধ করেন। সবমিলে যাচ্ছেতাই মানসিক অবস্থায় কাউকে পাশেও পান না, কেননা এসব কথা সবার সাথে শেয়ার করা যায়না। শেয়ার করলেও মানুষ বিদ্রুপ করতে পারে। পাগলের মতো ভালোবাসতে পারা মানুষগুলো যে সবার কাছে অবহেলিত রয়ে যায়। তাই সবদিক দিয়ে একা হয়ে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ করে বসেন।
এমন সময়ে অন্তর্জালের প্রেম জাল নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাবা মা/শিক্ষকদের বন্ধুর মতো এসব বিষয় ব্যাখ্যা করতে হবে।

বেশী আবেগময় মূহুর্তে ব্যাক্তিগত ছবি শেয়ারের বিপর্যয়ও ভয়াবহ!
এসবের মধ্য দিয়ে মেয়েরা বেশি হেনস্থা হয়, ছেলেরাও হতে পারে যদিও। পরের পর্বে সেসব নিয়ে আসছি।

কখনো অর্থ কখনো দৈহিক সম্পর্ক কখনো অন্যায় সুবিধা আদায় এরকম বহু বহু অপরাধের কিসসা কান পাতলে অন্তর্জালেই পাওয়া যাবে।
যথাযথ লিখেছেন।

আপনার কথা আমারো - "সকলেই সচেতন হোক নিরাপদে থাকুক।"

ভীষন ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন সকল অশুভ হতে দূরে।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহ হা!
কি যে করেন আপনি! লজ্জা লাগছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লজ্জার কি আছে? মেহামান আসলে আপ্যায়ন তো করতেই হয়। :)

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাকু হাসান বলেছেন:

এগুলো হচ্ছে। বিশষে করে প্রবাসীরাই টার্গেট থাকে। তাদের প্রবাসী জীবনের দুর্বলতা পুঁজি করে এসব হচ্ছে। বাট মানুষ তো সচেতন হয় নি। আমাকেও প্রস্তাব দিয়েছিল এক তরুণী । পরিচয় দিয়েছিল কোস্টারিকার,তার বাবা সেনা কর্মকর্তা ছিল ,কোন কারণে সরকার তাকে আটক করছে ,পরে ফাঁসি দিয়েছে। সে অন্য দেশে থাকত ,তাই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তার নামে ব্যাংকের টাকা আমার হিসাবে ট্রান্সফার করার অফার দিয়েছিল এবং বলিছিল ,তার জন্য ভিসার ব্যবস্থা করতে । সে নাকি শরণার্থী শিবিরে থাকত এক পর্যায়ে। এক পর্যায়ে ইমলের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম।

যদি হয়েই যেত 'শিরোনাম হত - রাকুর টানে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তরুণী বাংলাদেশে । B-)) =p~ :P
দেখতে কিন্তু সুন্দর ছিল......হাহাহাহহাহাহাহ । কি একটা মিস করলাম যে =p~ B-)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অসাধারণ একটি মন্তব্য। বাস্তব অভিজ্ঞতা অনেকেই শেয়ার করতে চান না, কিন্তু একের অভিজ্ঞতা অন্যকে সচেতন করতে পারে। আপনি তাও সময় থাকতে বুঝেছিলেন যে মেয়েটি সব বানানো কথা বলছে কিন্তু অনেকে এসব গল্পে বোকা বনে লাইফ সেভিংস হারিয়ে ফেলে। আপনার গল্পটি একেবারে প্রচলিত স্ক্যামারদের বলতে শোনা যায়। এটা খুবই কমন। একটা বড় বিপদের ভান করবে পরিচয়ের কিছুদিনের মধ্যেই। সেটা যত অবাস্তবই হোক না কেন, দূর্বল মনের মানুষেরা বিশ্বাস করতে শুরু করে।

'শিরোনাম হত - রাকুর টানে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তরুণী বাংলাদেশে ।
হাহাহাহা এটুকু পড়ে হাসতে হাসতে শেষ!

হুমমম, মিস কে মিস করে ঠকে যাওয়া মিস করলেন! লল।

অভিজ্ঞতা/ঠাট্টা সবমিলে চমৎকার কথাগুলোর জন্যে ধইন্যাপাতা।
ভালো থাকবেন।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: শুধু প্রবাসী নয় শিক্ষিত মানুষও ধরা খায় প্রতারকদের দ্বারা। আমার এলাকার এক সরকারি চাকুরিজীবী সিনিয়র এমন প্রতারনার ফাঁদে পড়েছিলেন।যদিও তারটা ভিন্ন ঘটনা। ঘটনার শুরুটা পোস্টে উল্লেখিত ঘটনার মতোই। মেয়েটা গোপন ছবি পাঠা্নোর পর সেই লোকও আবেগের ঠ্যালায় নিজের গোপন ছবি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপরই তার জানপাখি আজরাইলের রূপ ধারন করেছে। গোপন ছবি পরিবারের কাছে পাঠানোর কথা বলে টাকা দাবি করতে থাকে।এক কিস্তি দেয়ার পর দ্বিতীয়বার চাইলে উনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষা পান। উল্লেখ্য,সেই লোক বিবাহিত ছিলেন।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম! স্বদেশ-প্রবাস, শিক্ষিত - অশিক্ষিত, বড়লোক - গরীব, শহর-গ্রাম যেকেউ এসবের মুখোমুখি হতে পারেন।
আগে এধরণের ব্ল্যাকমেইলের শিকার শুধু মেয়েরা হতো, এখন ছেলেরাও হচ্ছে। মান সম্মানের ভয়ে প্রচুর টাকা দিয়ে দিচ্ছে। তবুও সেই লোকটি বুদ্ধি করে পুলিশকে সব জানিয়ে ভালো করেছেন। কেননা কোন ব্ল্যাকমেইলারকে খুশি করার মতো টাকা বিল গেটস এরও নেই। যতই দেন না কেন, যতদিন পর্যন্ত ব্ল্যাকমেইল হবার বিষয়টি বেঁচে আছে, ততদিন মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।

আপনার দেওয়া ঘটনাটি পড়ে ভেবেছিলাম, আহারে বেচারা! শেষে সেই লোক বিবাহিত ছিলেন জেনে মনে হচ্ছে জুতা পেটা করি। যে লোক বউকে ধোঁকা দেয় তার সাথে এমনই হওয়া উচিৎ। জানোয়ার কোথাকার।

মোস্ট ওয়েলকাম! আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনতামুলক এ পোস্টের জন্য।

যদি একজনও এ লেখাপড়ে সচেতন হয় তাহলে আপনার এ লেখা সফল।

আর নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষন দূর্নিবার।দেখিনা কি হয় / কৌতুহল টাইপের ঘটনা থেকে এ জাতীয় ঘটনা গুলি বেশী ঘটে। আর জরিনা-সখিনা বা রহিম-রুপবান যখন রাতের আধারে তাদের যার যা সম্পদ আছে তা যখন অন্যের সামনে উজার করে মেলে দিয়ে ঢেলে দেয় তখন আসলে তখন এগুলি পুরোপুরি সত্য নয় জেনেও নিজেকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা মুশকিল হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যনত যতক্ষন না বাঁশ খায়।
আর যখন হুশ হ্য় তখন আর কিছু করার থাকেনা শুধু দীর্ঘশ্বাস ছাড়া।
আর একটা কথা ,যখনি কেউ কারো জীবনে হঠাৎ এসে অতিরিক্ত আদর-ভালবাসা,যত্নশীল হত্তয়া,জানু-সোনা ,যাদু-চাদের কনা টাইপের কথা শুরু করে তখনই সতর্ক প্রত্যেকের সতর্ক হওয়া উচিত " ডালমে কুচ কালা হে " ভেবে।

কাজেই সাধু সাবধান অতিরিক্ত,মাত্রাধিক্য এবং না দেখা প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসা থেকে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ সচেতনতামুলক এ পোস্টের জন্য।
মোস্ট ওয়েলকাম।

যদি একজনও এ লেখাপড়ে সচেতন হয় তাহলে আপনার এ লেখা সফল।
এক্স্যাক্ট এই লাইনটি আমি সবসময় বলি, আমার যেকোন পোস্ট একটা মানুষের কাজে লাগলেও আমার ব্লগিং জীবন সফল!

আপনি খুব ভালো কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। কৌতুহলই যত নষ্টের মূল। মনের ভেতরে ঠিকই জানেন যে কিছু একটা গড়মিল আছে তবুও কৌতুহলের দাস হয়ে ছুটে যেতে থাকেন বিপদের দিকে। আর ঘনিষ্ঠ ছবি/কথাও অনেক পুরুষকে আকৃষ্ট ও দূর্বল করে ফেলে।

যখনি কেউ কারো জীবনে হঠাৎ এসে অতিরিক্ত আদর-ভালবাসা,যত্নশীল হত্তয়া,জানু-সোনা ,যাদু-চাদের কনা টাইপের কথা শুরু করে তখনই সতর্ক প্রত্যেকের সতর্ক হওয়া উচিত " ডালমে কুচ কালা হে " ভেবে। কাজেই সাধু সাবধান অতিরিক্ত,মাত্রাধিক্য এবং না দেখা প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসা থেকে।
আপনার মতো আমিও এই লাইনগুলোকে বোল্ড করেছি। এই কথাগুলো সবার ভাবার, জানার, মানার সময় এসেছে নির্মম অন্তর্জালীয় দুনিয়াতে।

চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন, এধরণের মন্তব্য পোস্টের মান বাড়িয়ে দেয়। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাস্তবধর্মী এবং সচেতন মূলক পোস্ট। আমাদের চারপাশে এমন হাজারো রফিক আছে, যারা আজোও এভাবে প্রতারিত হয় এবং হচ্ছেও।‌আর পিঙ্কি! সে তো বান্টি-বাবলির ই মুখে মুখে জেরক্স কপি।
পোস্টে অষ্টম লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ, মন্তব্য এবং লাইকের জন্যে প্রথমেই ধন্যবাদ নিন।

বাকি যা বলেছেন ঠিকই। কোটি কোটি রফিক আর লাখ লাখ পিংকি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমাদেরই চারিপাশে। সচেতনতার শুরুটা হোক ঘর থেকেই!

নিলাম এবং আপনার দিকে শুভকামনা পাঠিয়ে দিলাম। :)

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমি যা বলতে লগইন করলাম এসে দেখি "রাকু হাসান" আর বিদ্রোহী ভৃগু " আমার কমেট আগেই করে ফেলেছে।


অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রইল প্রিয় ।।

ভাল থেকো

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই বুবু! ভালো আছ আশা করি।
পোস্টে পেয়ে খুব খুশি হলাম।

যাদের কথা বলেছ, তারা বরাবরই দারূণ মন্তব্য করেন।

তুমিও অনেক ভালো থেকো।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাগলা আপা আপনার বিলা মেজাজের নারী পুরুষের সংঘাত পোস্ট দেখে ভয় পেয়ে পালাইছিলাম। আবার আসছি। জানাতে আসছি আমার ধারাবাহিকের নতুন পর্ব দিয়েছি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উফফ! আমি যে কতবার ঘুরে এসেছি আপনার ব্লগবাড়িতে পরের পর্ব পেতে! কিন্তু অনেকদিন নেই, শেষে হতাশ হয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম। আপনি বলতে না আসলে চোখের আড়ালেই থেকে যেত। থ্যাংকস এ লট! খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে ঝটপট পড়ে ফেলেছি! জানে শান্তি হলো কিছুক্ষন কিন্তু আবার মনে হচ্ছে "পরের পর্বে কি হবে!?" হাহা।

নারী পুরুষের সংঘাত ঠিক নয়। অনেক সময় মেয়েরা ছেলে সেজে অন্য মেয়েকে ঠকায় বা উল্টোটাও হয়। বিষয়টা আসলে সরল ও ঠকবাজের সংঘাতের, নারী পুরুষ হিসেবে ভাবিনি।

ধন্যবাদ আবারো, ভালো থাকবেন কবিতা আপু!

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ আমার ধারাবাহিকের প্রেমটিও অন্তর্জাল হতেই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমমম! দেখি তাদের পরিণতি কি হয়..........

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



পিচ্চু ভালো লিখেছো । এরকম একটা ট্রু স্টোরি ঘটনা নিয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখেছি । কিন্তু সেটা আরও ভয়াবহ ।
বাংলাদেশ থেকে এক ছেলে মেয়ে সেজে প্রবাসে থাকা এক ছেলের সাথে এই অনলাইন প্রতারণা করেছে ।
পাবলিকলি স্বীকার করেছে সবার সামনে ।
করলেই কি, যা হবার তাতো হয়েই গেছে ।
প্রবাসের সেই ছেলেকে সর্বস্বান্ত করেছে :|

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ আপু! অনেকদিন পরে। কেমন আছ? ভালো নিশ্চই!

আরজে কিবরিয়ার প্রোগ্রাম হলে সেই গল্পটি আমিও দেখেছি। প্রথমে আমারো খারাপ লাগছিল প্রবাসী ভাইটির জন্যে, কিন্তু যখন জানলাম যে তিনি বিবাহিত মনে হলো থাপ্পড় মারি। যে বউ দেশে বসে তার অপেক্ষায় থাকে, তার অবর্তমানে পুরো পরিবারের খেয়াল রাখে, তাকে ধোঁকা দিতে বিবেকে বাঁধল না? এই লোক আবার আশা করে যে কেউ তাকে ধোঁকা দেবে না! এমন পরিণতি দেখেও যদি কিছু বাজে পুরুষমানুষের শিক্ষা হয়।
দেশে থাকা একটি প্রবাসীর বউ কোন পুরুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করলেও নোংরা কথা বলা হয় তাকে নিয়ে, পুরো নারীজাতিকে নিয়ে। কিন্তু যেসকল প্রবাসী পুরুষেরা প্রবাসে বসে নোংরামি করেন তাদের সাত খুন মাফ! যত্তসব!

যাই হোক, পড়ে মন্তব্য করার জন্যে থ্যাংকস আপু।
ভালো থেকো।

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে সাথে সাথে না না সমস্যা ও তৈরি হচ্ছে। আমাদের দেশের বড় একটা অংশ বিদেশে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। এরা সারাদিন প্রচণ্ড প্রেশারে অমানুষিক পরিশ্রম করে। সারাদিন পরে যখন নিজের রুমে প্রবেশ করে দেশের নিজের আপনজনদের সাথে কথা বলে তখন বেশীর ভাগ সময় এটা নাই, ওটা নাই, এই সমস্যা, ঐ সমস্যা এসব তাকে শুনতে হয়। সারাদিনের গাধার খাটুনী, তারপর নিজের ঘামকে মাটিতে ফেলে কষ্টের উপার্জন দেশে পাঠিয়ে এত সমস্যার কথা শুনতে তার ভাল লাগে না। তারা খুব ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে এসব নিয়ে। এমন মুহূর্তে যখন নাটোর বনলতা সেই এসে দুদন্ড শান্তি দেয় তাদের।তখন তাদের কাছে সবকিছু হয়ে যায় সেই বনলতা সেন। শতচেষ্টা করলেও তাকে মন থেকে তাড়াতে পারে না, উল্টো বনলতার মায়াবী জালে এরা আর বেশি জড়িয়ে যায়। আমি শ্রমিক ভাইদের দিয়ে উদাহরণ দিলেও সবার কাহিনী প্রায় কাছাকাছি। সবথেকে লজ্জাজনক ব্যাপার হচ্ছে এসব বেশি করে বিবাহিত পুরুষেরা! অসব পুরুষের জন্য আমার বিন্তু পরিমাণ আফসোস নাই যদিও। আপনার লেখা এই শ্রেণীর কাছে পৌঁছাবে না, কারণ এই শ্রেণী ব্লগ তো দূরে থাক কোন সুশীল কাজেই তাদের মন থাকে না। তারপর ও যদি একজন ও আপনার লেখা দেখে সতর্ক হয় তবে আপনার লেখা স্বার্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.