নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোস্ট+সচেতনতামূলক পোস্ট: নীলাভ রশ্মির সামনে স্বইচ্ছায় বিবস্ত্র নারী - প্রেম, মোহ নাকি প্রেম জাল?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১



পূর্বের রোস্ট পোস্ট!
রোস্ট পোস্ট (১) - "আপনি কি কালো, বেঁটে, মোটা? তাহলে আপনার বেঁচে থাকা অর্থহীন!" ওহ মিডিয়া প্লিজ শ্যাট আপ!
রোস্ট পোস্ট (২) - বাংলাদেশী বিয়ে - দুটি মনের মিলন নাকি অপসংস্কৃতি, অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা প্রকাশের মাধ্যম? শেম শেম!
রোস্ট পোস্ট (৩) - বিবাহ বানিজ্য, পাত্র পাত্রীর নির্বাক অসহায়ত্ব, অশ্লীলতা - ঝলমলে লাইটিং এর পেছনের অন্ধকারের গল্প!
রোস্ট পোস্ট (৪) - সোশ্যাল মিডিয়া- আমাদের মন মানসিকতা কি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে? সুস্থ হবার উপায় কি?
রোস্ট পোস্ট (৫): বাংলাদেশী ধারাবাহিক ভার্সেস ইন্ডিয়ান সিরিয়াল! আমরা কেন জনপ্রিয়তায় এত পিছিয়ে? সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাঁচার উপায় কি?
রোস্ট পোস্ট (৬): কোভিড ১৯ এর রিক্যাপ - কমাসে বেড়িয়ে আসা জাতীয় চরিত্রগুলো! আমরা এতো খারাপ? X(
রোস্ট+মেজাজটা এত বিলা হয় ক্যারে?+সচেতনতামূলক পোস্ট (৭): অন্তর্জালে প্রেম জাল! দুটি মন, কিছু প্রেম এবং অনেকটা ধোঁকা!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফেসবুকে অনেক ছেলেই নক করে। কেউ আজেবাজে ম্যাসেজ দেয় তো কেউ কবিতা লিখে পাঠায়। কোনটাকেই পাত্তা দেয়না অস্পর্শী! কিন্তু অদ্ভুত একটা ম্যাসেজ মানে প্রপোজ পেয়েছে রিসেন্টলি। একটি ছেলে লিখেছে; "জান্নাতে আমার সাথী হবে? সবসময় সঠিক পথে চলার প্রেরণা দেবে?"

অস্পর্শী! আহামরি সুন্দরী না হলেও গজ দাঁতের মিষ্টি হাসিতে অনেককেই পাগল করে দেয়। বাবা একটি নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান এবং মা করেন সরকারি ব্যাংকে চাকরি। ভাই ইংল্যান্ডে পড়াশোনার জন্যে গিয়েছে কয়েক বছর হলো। বন্ধু বেশিরভাগই ছুটে গেছে স্কুলের পরে, ভার্সিটিতে সেভাবে কোন গ্রুপে ঢুকতে পারেনি। তাই ফ্রি টাইমে ফেসবুকিং করেই সময় কাটে ওর।

ম্যাসেজটি পেয়ে কেমন যেন একটা কৌতুহল মেশানো ভালো লাগা কাজ করল অস্পর্শীর মনে। সাথে সাথে চেক করল ছেলেটির প্রোফাইল। নাম স্পন্দন হক! টল, ডার্ক, হ্যান্ডসাম বলতে যা বোঝা একেবারে তাই! কথা ও ছবিতে যে ও দূর্বল হয়ে গিয়েছে, সেটা গোপন করে লিখল: না চিনে না জেনে এমন প্রস্তাব? সস্তা হয়ে গেল না বিষয়টা!?
স্পন্দন: যতটুকু জানার জেনে, ভেবে প্রস্তাব দিয়েছি। এযুগের সস্তা বিএফ জিএফ কালচারে বিশ্বাসী নই, তাই বউ হবার প্রস্তাব দিয়েছি!
অস্পর্শী: কি জেনেছেন?
স্পন্দন: এই যে, আপনার দুটো গভীর চোখ আর মিষ্টি হাসি সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে পারে। পড়াশোনা করছেন ভালো একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে। পরিবারের সবাই প্রতিষ্ঠিত। মোটকথা, ভালো পরিবারের লক্ষ্মী একটা মেয়ে যাকে আমার পছন্দ এবং আমার মায়েরও!
অস্পর্শী: আপনার মা আমাকে চেনেন?
স্পন্দন: জ্বি হ্যাঁ ম্যাডাম, আপনার প্রোফাইলের সবকিছু দেখিয়েছি আর জানিয়েছি যে তার ছেলে ২৮ বছর বয়সে প্রথমবার কোন মেয়ের প্রতি এতটা সিরিয়াস হয়েছে। এখন শুধু মেয়েটির হ্যাঁ বাকি! মেয়েটি কি হ্যাঁ বলবে?
অস্পর্শী: আপনার মতো আমিও সস্তা সম্পর্কে বিশ্বাস করিনা, তাই আপনাকে জানতে চাই। আমার প্রোফাইলে সকল তথ্য দেওয়া থাকলেও আপনার ব্যাপারে তো জানার কোন উপায় রাখেন নি।
স্পন্দন: আচ্ছা ঠিক আছে। আমি স্পন্দন হক, আমেরিকায় থাকি। এখানে একটা ছোটখাট ফার্মে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছি। বাকি যা জানার জেনে যাবেন, তবে আজ আমার জরুরী কাজ আছে যেতে হবে। জলদিই আবার জানাশোনা হবে। আপনার মন জয় করার জন্যে যা করার আমি সব করব।

অস্পর্শীর সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। ও কি স্বপ্ন দেখছে? সবসময় যেমন ভদ্র, সুদর্শন, রোমান্টিক জীবনসংঙ্গী চেয়েছে, সে আজ এত সহজে ধরা দিল!??
এরপরের দিনগুলোয় হাওয়ায় ভাসতে লাগল অস্পর্শী। দিনরাত চ্যাটিং করতে করতে মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে ও হ্যাঁ বলে দিল পাগলটাকে। আজকাল স্পন্দন ওকে অস্পর্শী না ডেকে স্পর্শা ডাকে। স্পন্দনের কথা হচ্ছে, অন্য সবার জন্যে অস্পর্শী হলেও স্পন্দনের পুরো অধিকার আছে নিজের বউকে স্পর্শ করার।
এসব শুনে লাজুক ভাবে জানতে চায় স্পর্শা: তো মশাই আমি বউ কবে হলাম!?
স্পন্দন: যেদিন আমার মাও তোমার ছবি দেখে পছন্দ করল সেদিন!

এই কথার পরে স্পর্শা আর কোন ডাকে বাঁধা দিতে পারেনা। অবশ্য দিতে চায়ওনা, ওর বেশ লাগে ডাকগুলো। প্রথম প্রথম খুব সাধারণ কথাবার্তা হতো দিনে, এবং রাতে স্পন্দন রোমান্টিক গান, কবিতা শেয়ার করত।
কিন্তু আজকাল প্রায়ই একটু বেশিই রোমান্টিক কথা বলছে স্পন্দন! লজ্জা মেশানো ভালো লাগা কাজ করে স্পর্শার। এমনই ভালোবাসা মাখা সংসারের স্বপ্ন দেখত ও। প্রথম প্রথম কথাগুলো অগভীর ছিল - রান্নার সময়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরা, হুট করে খোঁপা খুলে দেওয়া!! কিন্তু একসময়ে সেসব অনেক গভীরে চলে গেল! স্পর্শাও সায় দিতে থাকল।
এরই মধ্যে একদিন জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্পন্দন কিছু ব্যক্তিগত ছবি চাইলে ভয় পেয়ে যায় স্পর্শা। ছবি দেবার পরে যদি সেটা অন্য কারো হাতে চলে যায়? নাহ! স্পনদকে সন্দেহ করছেনা, কেউ হ্যাকও করতে পারে।

মনে আসা ভয় স্পন্দনের সাথে শেয়ার করলে, স্পন্দন বলল, "এত যে চ্যাট কর, সেসবও তো কেউ হ্যাক করতে পারে! করেছে কোনদিন? ওসব শুধু সেলিব্রেটিদের সাথে হয়। আর পাগলী! আমিও আমার বাবুর মায়ের ছবি কোথাও ছড়িয়ে বেড়াব না। ওসব একান্ত আমার!"
এমন একটা ম্যাসেজে স্পর্শার সবকিছু গুলিয়ে গেল। "বাবুর মা" কথাটা শুনে শরীর অবশ হয়ে এলো। এত সিরিয়াস স্পন্দন ওকে নিয়ে?
আবেগী মনে ঘরের দরজা বন্ধ করে, বিবস্ত্র হয়ে টিভিতে দেখা মডেলদের মতো অঙ্গভঙ্গিতে বেশ কিছু ছবি তুলে নিল স্পর্শা। তার মধ্যে পছন্দসয়ী ছবিগুলো স্পন্দনের কাছে পাঠিয়ে দিল।
ছবিগুলো পেয়ে স্পন্দন আনন্দে আত্মহারা, সাথে সাথে ম্যাসেজ পাঠাল: আমার বউটা এত সেক্সি! তোমার শরীরের বাঁকে বাঁকে থাকা এই রূপ যৌবন আমাকে দিয়ে দাও সুন্দরী! হাহাহা!
এমন প্রশংসাময় মজার কথায় স্পর্শা হেসে ফেলল। সেদিন দুজনে ফোনে অন্তরঙ্গতার চরম সীমা ছুঁয়ে ফেলল!

এরপরে এলো স্পন্দনের আরেক আবদার। ভিডিও কলে অন্তরঙ্গ হতে হবে। রাতের পর রাত শুধু ফোনে অন্তরঙ্গ হয়ে মন ভরছে না ওর। স্পর্শাও কোন বাঁধা দিলনা। ও স্পন্দনকে স্বামীর জায়গা দিয়েছে মনে মনে, তাই স্পন্দনকে আদর করতে ওর কোন দ্বিধা হয়না আর। বরং আজকাল ও নিজেও খুব নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছে স্পন্দনের সাথে থাকতে থাকতে।

মেঘে ঢাকা এক দিন ছিল। স্পর্শার বাবা মা যে যার অফিসে। পুরো ঘর অন্ধকার হওয়ায়, লাইট জ্বালিয়ে দিল দিনের বেলাতেই। ভিডিও কলে একে অপরকে নিষ্পলক দেখে যাচ্ছে। ধ্যান ভাঙ্গতেই আবারো স্পন্দনের আবদার, আমার সুন্দরী বউটাকে পুরোপুরি কখন দেখব?? কিছুটা লজ্জা পেল স্পর্শা, একটু আগেও আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু স্পন্দনের সামনে অস্বস্তি লাগছে কেমন যেন। স্পন্দন ভরসা দিল নানা কথায়। সাহস পেয়ে স্পর্শা নিজের ওড়নাটা মেঝেতে ফেলে দিল। ওদিকে চরম কৌতুহলী, দুষ্টু দুষ্টু চোখে তাকিয়ে রয়েছে স্পন্দন। তারপরে কামিজটা ওঠাতে লাগল, বেড়িয়ে আসল ওর মেদহীন পেট, গভীর নাভি..............

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সেদিনটা স্পর্শার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন ছিল এবং স্পন্দনের সাথে কাটানো ভালোবাসায় মাখামাখি শেষ দিনও! যত জলদি প্রেম ও ভার্চুয়াল সংসার হলো, তত জলদি ভেঙ্গেও গেল। সেদিন রাতেই স্পন্দন ওকে একটা ফাইল পাঠিয়েছিল, যাতে ওর সকল অশ্লীল ছবি, ভিডিও সাজানো। সেসব দেখে স্পর্শা অবাক হয়ে গেল। স্পন্দন তো বলত, দেখেই সব ডিলিট করে দেয়! তাহলে? জিজ্ঞেস করতেই স্পন্দন যা বলল তাতে আকাশ ভেঙ্গে পড়ল স্পর্শার মাথায়।
স্পন্দন: তুই কি পাগল? এমন ছবি কোন ছেলের হাতে পড়লে সে ডিলিট করে? তোর বাপ মা দুজনই কামায়। আমার প্রয়োজনটা তাই খুব সহজেই পূরণ করতে পারবে। তুই টাকার ব্যবস্থা কর, নাহলে তোর হট ছবিগুলো নেটে ঘুরবে।

এসব পড়ে কেঁপে উঠল স্পর্শা! ওর স্পন্দন এত বাজে ভাষায় কথা বলতে পারে? অনেকক্ষন বিশ্বাসই করতে পারেনি, ভেবেছে দুঃস্বপ্ন দেখছে। যখন বুঝতে পারল সবই সত্যি, রীতিমত ঘরের টাকা চুরি করে স্পন্দনকে পাঠিয়ে দিল। পাঠাতে গিয়ে বুঝল আমেরিকা নয়, দেশেই থাকে স্পন্দন হক মানে মোজাম্মেল আলী! ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল কিন্তু এক নারী কান্ডে জড়িয়ে যাবার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বয়স ২৮ নয় ৩৮! যুবক বয়সের সুদর্শন চেহারাকে ব্যবহার করে এভাবেই একটি গ্যাং এর সাথে মিলে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে যাচ্ছে।

অস্পর্শী ভাবে যেদিন থেকে ওর নামটা পাল্টে দেয় স্পন্দন, সেদিন থেকে ওর চরিত্রও পাল্টে গিয়েছিল। এতটা নির্লজ্জ, বোকা হলো কি করে ও? নাওয়া খাওয়া ছেড়ে সারাদিন হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর বাবা মা, বিদেশে থাকা ভাই সবাই দু:শ্চিন্তায়। বাবা ওর প্রিয় ফুচকা আনে তো মা কাস্টার্ড বানায়। ভাই বিদেশে টানাটানির মধ্যেও টাকা জোগাড় করে উপহার পাঠায়। এসব দেখে আরো কান্না পায় অস্পর্শীর। এতসব ভালোবাসা তো জীবনে ছিলই। কেন তবে মরিচিকার পিছে ছুটল? স্পন্দনের ওপরে নয়, নিজের শরীরের ওপরে ঘৃণা চলে এসেছে ওর। এই শরীরই তো দিনের পর দিন ভার্চুয়ালি বিলিয়ে দিয়েছিল ফালতু ছেলেটাকে। শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করতে থাকে। ভেবে নেয় এই ওর পাপের শাস্তি!

এভাবে মাস কেটে যায়। আবারো স্পন্দন টাকার ফরমায়েশ করে। অস্পর্শী বুঝে যায় এসব থেকে আর বাঁচা সম্ভব নয়। ও যতো টাকাই দিক জানোয়ারটার মন ভরবে না। সে আর নিজের আব্বু আম্মুর কষ্টার্জিত অর্থ ওর হাতে তুলে দেবেনা। পরিবার ও দুনিয়া ওর নগ্ন ছবি দেখুক সেটাও ও হতে দেবেনা। এই অবস্থা থেকে বাঁচার একটা উপায় খুঁজে পেল অস্পর্শী!

মেয়ের জন্মদিনে মেয়ের প্রিয় চকলেট কেক বানিয়েছেন অস্পর্শীর বাবা ও মা। ওপাশ থেকে ভাই ভিডিও কলে উত্তেজিত হয়ে অপেক্ষা করছে। রাত ১২ টা বাজা মাত্র "সারপ্রাইজজজ!!" বলে রুমে ঢুকে সবাই পেলেন ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত একটি লাশ! একমাত্র কন্যা সন্তান ও বোনকে হারিয়ে সেদিন থেকে আরো তিনটি প্রাণ যেন ভেতরে ভেতরে জীবন্ত লাশ হয়ে গেল! ধ্বংস হয়ে গেল গোছালো, ছিমছাম একটি পরিবার.......

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কিভাবে বাঁচবেন এবং বাঁচাবেন আপন মেয়ে/বোন কে এমন করুণ পরিণতির হাত থেকে?

১) অস্পর্শীর/মেয়েদের দায়িত্ব!

সবার আগে তো স্বজাতিকে ঝাড় দেব। বোনেরা, হ্যাভ সাম ব্রেইন। কোন ছেলে বাবুর মা ডাকলে এত আবেগী হয়ে পড়েন কেন? ওদের কাছে এসব এত বড় ব্যাপার না। এতটা বোকা কেন? মাত্র সপ্তাহ/মাসের পরিচয়ে কারো সামনে নগ্ন হয়ে যান কি করে? অনেকে বলে, না দিলে প্রেমিক ছেড়ে যাবার হুমকি দেয়। আরেহ! যে প্রেমিক, এমন কারণে ছেড়ে যাবার কথা বলে, সে তো ছবি পেলেও ছেড়ে যাবে। এক মেয়ের শরীরে তো এমন ছেলেদের মন ভরে না। আপনাকে মন্টুর মা বানালে অন্য কাউকে পিন্টুর মা বানাচ্ছে। যে কথায় আপনি আবেগের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন, সেই একই শব্দ/বাক্য কপি পেস্ট করে অন্য কাউকেও দেওয়া হচ্ছে।
আমি বলছি না যে কাউকে কখনো ভালোবাসবেন না, বিশ্বাস করবেন না - কিন্তু তার আগে কিছু ব্যাপারে সচেতন হোন;
১) অনলাইনে নিজের ও পরিবারের সকল তথ্য দেওয়া বন্ধ করুন। সেসব দেখে স্ক্যামাররা আঁচ করে ফেলে, কোন ধরণের কথা ও কোয়ালিফিকেশন আপনাকে দূর্বল করবে।
২) খেয়াল করুন, ছেলেটি যেকোন সাধারণ কথাকেও ডাবল মিনিং এ নেবার চেষ্টা করছে কিনা। আপনার গোপন ছবি চাইছে কিনা। এগুলো হলে আর সামনের দিকে যাবেনই না। কথা বন্ধ করে দেবেন।
৩) অনলাইনে পরিচিত ছেলের সাথে দেখা করতে গেলে, নিজের পরিচিত জায়গায় বান্ধবীদের নিয়ে যান।
৪) নির্জন জায়গায়/ফ্ল্যাটে নেবার কথা বললে মানা করুন। জন্মদিনের পার্টির কথা বলেও যদি বাড়িতে দাওয়াত করে, তাহলে নিজের ৩/৫ টা কাজিন/বান্ধবীদের নিয়ে যাবেন। মনে রাখবেন - যেই মুহূর্তে গাড়ির/বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে গেল, হাজারটা চিৎকার করেও কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারবেন না। খোলা আকাশের নিচে নিজেকে বাঁচানোর নানা রাস্তা থাকে।

দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আস্তে ধীরে মানুষটিকে জানুন। খারাপ সাইন দেখলেই সরে পড়ুন। সবসময় নিজের আত্মসম্মান এবং পরিবারের সম্মানকে প্রায়োরিটি দেবেন। তাহলে অন্তর্জালের প্রেম জাল আপনাকে স্পর্শ করবে না।

২) পিতামাতার দায়িত্ব!

বাবা মা হওয়া এমনিও কঠিন, প্রযুক্তি যুগে আরো কঠিন হয়ে গিয়েছে। আগেকার দিনে, বাচ্চা বাড়িতে থাকলে মা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারতেন যে বাচ্চা ভালো আছে, নিরাপদে আছে। কিন্তু আজকাল সন্তান ঘরের মধ্যে বসে বসেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর স্ক্যমারের খপ্পড়ে পড়তে পারে!
সন্তানের অনলাইন একটিভি চেক করা খুব জরুরী। পাশাপাশি তাদেরকে অনলাইনে হওয়া নানা রকমের স্ক্যাম সম্পর্কে খোলাখুলি শিক্ষিত ও সচেতন করতে হবে।

৩) সমাজের দায়িত্ব!

স্লাটশেমিং বন্ধ করতে হবে। স্লাটশেমিং অর্থ: একজন নারীর চরিত্র নিয়ে কটু কথা বলা কেননা সে সমাজের প্রত্যাশা অনুযায়ী পোশাক/প্রেমিক/বিয়ে ইত্যাদি রক্ষা করতে পারেনি। আমাদের দেশে তো একজন ধর্ষিতা নারীকেও স্লাটশেমিং এর মুখোমুখি হতে হয়। "শরীর দেখাইছে বইলাই তো ওমন হইছে" সহ বাজে বাজে গালি খেতে হয় অনলাইনে/অফলাইনে। অপরাধ যাই হোক না কেন, সবসময় গালিগুলো স্লাটশেমিং এর দিকে গড়ায়। আমাদের সমাজ ভাবে একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় ফেইলিউর শরীর রক্ষা করতে না পারা।

একজন পুরুষ কোন মেয়ের দ্বারা ধোঁকা খেলে সমাজ বলে, "মেয়েরা ছলনাময়ী।" একজন নারী কোন পুরুষের দ্বারা ধোঁকা খেলে সমাজ বলে, "মাইয়া মানষের বুদ্ধি নাই। ওগো তো ওমন খারাপ পোলাই পছন্দ। উচিৎ শিক্ষা হইছে!"
নারী পরকীয়া করলে, "নোংরা মেয়েমানুষের এক পুরুষে মন ভরে না। নারীগো ঘরের বাইরে যাইতে দেওন উচিৎ না!"
পুরুষ পরকীয়া করলে "বউয়েরও দোষ আছে, স্বামীর মন ভোলাইতে পারেনাই! আর দ্বিতীয় নারীটা তো পুরাই প্রস্টিটিউট! মেয়েরাই মেয়েগো শত্রু, পোলাগো দোষ দিয়া লাভ নাই!"
ধর্ষককে সমাজ বলে, "ছেলে মানুষ তো, কম বয়স একটু আকটু!!! ভুল করে ফেলেছে! মাইয়া মানষে আশকারা দেয় বলেই এসব হয়।" এই স্লাটশেমিং এর ভয়েই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন অনেক নারী। কখনো শুনেছেন ধর্ষক আত্মহত্যা করে? নাহ! উল্টো ধর্ষিতারা নিজের প্রাণ নেয়।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে মেয়েরা অপরাধ/ভুল করলে কিছু বলা যাবে না? অবশ্যই যাবে এবং উচিৎও। তবে ভদ্রভাবে। কোন মেয়ে প্রেমে পড়ে ধোঁকা খেলে - তাকে রেপ থ্রেট দেবেন না, গালিগালাজ করবেন না। কে জানে? আপনার বোনও নিজের প্রেমিকের সাথে নোংরা আলাপ করেনা?

প্রথমে মেয়েদেরকে সচেতন ও শিক্ষিত করতে হবে। কিন্তু তারপরেও কোন মেয়ে ভুক্তভোগী হলে - তাকে গালি দিয়ে চরিত্রের দিকে আঙুল তুললে, মেয়েটির পরিবারকেও হেনস্তা করলে - মেয়েটি তো নিজের জান নেবেই। ১৮/২০ বছরের মেয়েগুলোর একটা ভুল ডিসিশন যেন মৃত্যু ডেকে না আনে, তাকে সামনের দিকে এগোতে সাহায্য করুন। আপনার পরিবারের কোন মেয়েও একই ভুল করতে পারে সেটা ভুলবেন না।
সমাজ যেদিন নারী পুরুষ দুজনকেই সমানভাবে অপরাধী করবে যেকোন অপরাধে, সেদিন সমাজ সুস্থতার দিকে এগোবে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

শেষ কথা: পোস্টে কিছু গভীর কথা থাকলেও ১৮+ দেইনি কেননা প্রযুক্তির যুগে ছোটরা এরচেয়ে অনেক গভীর কিছু হাতের মুঠোয় দেখতে/শুনতে পারছে। উপরন্ত, স্ক্যামাররা আন্ডারএজ ছেলেমেয়েদেরও এটাক করে। এসব পড়লে ওরা সচেতন হবে। সবাই আবেগী হয়ে বিপথে যাবার আগে গল্পের নায়িকার পরিণতির কথা ভাবুক সেই কামনায় শেষ করছি।

ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: হায়রে এ বোকা মেয়েগুলো কখন যে বুঝবে। কিন্তু বুঝেবে না রে, বুঝবে না। এগুলো এখন ফেসবুকের মোহে অন্ধ হয়ে গেছে........

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সোহানী আপু, চিন্তা করবেন না। আমরা লিখতে থাকব, আমাদের অগোচরেই অনেক নীরব পাঠক/পাঠিকা সাবধান হতে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, আমার এই লেখাটি ঠিক মানুষের হাতে পৌঁছাবে আজ বা কাল। একজনের চোখও যদি খুলতে পারি, কম কি? তাই সচেতন করে যেতে হবে সব প্ল্যাটফর্মে।
যেকেউ ইচ্ছে হলে ফেসবুকে/অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় ঢুকে পড়তে পারে, এটা অনেক আনহেলদী একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে সমাজের জন্যে। আমার তো মনে হয়, ফেসবুক ব্যবহারের পূর্বে একটা কম্পালসারি কোর্স থাকা উচিৎ যেখানে অনলাইন স্ক্যামিং নিয়ে বিস্তারিত শিক্ষা ও সচেতনতা দান করা হবে।

মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস আপু।
ভালো থাকবেন অনেক।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষের সহজাত প্রবণতা নিজেকে প্রকাশ করা।
তাই যে কোন উপায়ে মানুষ নিজেকে প্রকাশ করতে চায়। আগে বিষয়টা ছিল গুনের উপর ভিত্তি করে।
গান, নাচ, আবৃত্তি সহ শিল্পকলার নানা মাধ্যমে। তখন সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুশাসনে মেয়েদের গন্ডী সীমাবদ্ধ হলেও
প্রকাশ বাসনা ছিল একই রকম। তবে ধরনটা ছিল ভিন্ন। নক্সী কাথা, সেলাই কারুকার্য, রন্ধন শিল্প ইত্যাদি।

সময়ের বদলে অধিকারের ম্যানিপুলেটেড সংগায়নে নারী মুক্তির নামে নারীকে উন্মুক্ত করাই এক শ্রেণীর মিশন ভিশন হয়ে গেল্
জোয়ারের জলের তোড়ে নারীও অবাধ স্বেচ্ছাচারীতাকেই মুক্তি ভেবে ঝাপিয়ে পড়লো! নিজের অজান্তেই হয়ে গেল পণ্য।
অথচ তার চিরকালীন রন্ধন শিল্প কর্পোরেট উপস্থাপনায় মাষ্টার শেফ নামে শিল্প হলেও, মূল সংগায় তাকে পিছিয়ে পড়ার তালিকায়ই রাখা ছিল। ধর্মীয় চেতনাকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ধর্মহীনতাকেই সো কলড স্ট্যটাসে উন্নীত করে দিল। হাই সোসাইটি, পার্টি, ডিজে, নেশা, হয়ে গেল স্মার্টনেস আর মুক্তমনা আধুনিক নারীর সিম্বল!

এরপর এলো প্রযুক্তির টাচ টাইম। ছুলেই খুলে যায় সিম সিম ফাক... আলিবাবার গোপন দরজা
পুরো পৃথিবী মুঠোয়! ভাল মন্দ সব এক সাথে তীব্র স্রোতে আছড়ে পড়লো...
দিশাহারা তরুন তরুনী ভেসে গেল, যাচ্ছে টিকটক, লাইকি, আর স্মার্টফোনের স্মার্টনেসের ঢেউয়ে
ভেঙ্গে গেছে লজ্জ্বা, জড়তা, ভয়! কৌতুহলী মন জিতে যাচ্ছে সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় অনুশাসন নীতি নৈতিকতাকে হারিয়ে!

একজন অস্পর্শী রোগর উপসর্গ মাত্র। আর রোগটাকে ক্লারিফাই করার সামান্য চেষ্টা করলাম। আর পোষ্টে সখীর ট্রিটমেন্ট তো বলাই আছে। তবে শুরুতেই যদি আমরা সবার যার যার ধর্মীয় মৌলিক সুন্দর শিক্ষা গুলো দিতে পারি, তা ফাউন্ডেশন মজবুত করে বৈকি। আর পিতা মাতা যদি জড়তা ভুলে সন্তানদের খোলামনে সব বুঝিয়ে বলে এটা সবচে কাজে দেয়। যেহেতু আগের মতো একান্নবর্তী পরিবার নেই- যেখানে দাদী, নানীর কাছ থেকে অনেক এডাল্ট বিষয়ে বাচ্চারা দুষ্টুমিচ্ছলে জ্ঞান পেত, তাই পিতামাতাকেই সেই শুন্যস্থান পূরণ করতে হবে।

প্রেম আর কাম- লাভ এন্ড সেক্সের পার্থক্য বুঝতে হবে সকল তরুন তরুনীদের। মজা লাগা আর দায়িত্ব পূর্ন গভীর অনুভবকে পৃথক করতে শিখতে হবে। আর পোষ্টে বলা সচেতনতাতো মাস্ট।

দারুন রোষ্টিং এ অনেক গুলা ++++++
সরি বিষয়টা এত গভীর যে বলে গেল লিখতে গেল বলতেই হয় অনেক কিছু।
বলতে বলতে দেখি পোষ্ট প্রায় ছুঁই ছুঁই ;) তাই ক্ষান্ত দিলাম সখি

প্রযুক্তির কল্যান আমাদের ছুঁয়ে থাক সৎ, সত্য শুভ আর সুন্দরে
অসুন্দরের বিনাশ হোক অসূর নাশের দৃঢ়তায়
জ্ঞান প্রজ্ঞা আর অনুভবে শুদ্ধতায় এগিয়ে যাক জীবন
প্রেম, ভালোবাসা, ভরসা আর স্বর্গীয় আনন্দের পূর্ণতায়।

শুভকামনা অন্তহীন
সকল জনম হোক রঙিন।।





০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সময়ের বদলে অধিকারের ম্যানিপুলেটেড সংগায়নে নারী মুক্তির নামে নারীকে উন্মুক্ত করাই এক শ্রেণীর মিশন ভিশন হয়ে গেল। জোয়ারের জলের তোড়ে নারীও অবাধ স্বেচ্ছাচারীতাকেই মুক্তি ভেবে ঝাপিয়ে পড়লো! নিজের অজান্তেই হয়ে গেল পণ্য
আমাদের নারীদের তো অনেক সমস্যা সখা। যদি শরীর ঢাকি তবে বোকা, অনাধুনিক, পুরুষের পায়ের তলায় থাকতে চাওয়া দূর্বল মনমানসিকতার প্রজাতি, যদি শরীর না ঢাকি তবে বোকা, আধুনিক, পুরুষের পায়ের তলায় থাকতে চাওয়া দূর্বল মনমানসিকতার প্রজাতি!
যখনই একজনের মূল্যবোধের সাথে নারীর চালচলন, পোশাক আশাক না মেলে - তাকে বোকা/দাসী ইত্যাদি বলা হয়। সে নারী অধিকার কি বোঝেনা সেটা বলে প্রতিবাদ করা হয়। নারীরা নারী অধিকারের কিছুই বোঝেনা - আর পুরুষেরা বেশিই বুঝে ফেলে! যেটা একজনের কাছে ধর্ম, তা অন্যের কাছে অধর্ম হলেই সে কিছু না বুঝে ঝাপ দেওয়া প্রাণী! সমস্যা হচ্ছে, এখানে জেতার মতো কোন সিচুয়েশনই নেই। একজন নারী যাই করুক না কেন, শরীর ঢাকুক/খুলুক - কোন এক পক্ষের মানুষ তাকে নিন্দা করবেই।

পার্টি, নেশা শুধু মেয়েদের জন্যে স্মার্টনেস নয়, ইয়াং ছেলেদেরকেও একই স্ট্যান্ডার্ডে মাপা হয়। অবজেক্টিফিকেশন বোকামি হলে জীমে ঘন্টার পর ঘন্টা বডি বানিয়ে, বুকের বাটন খুলে বডি দেখানো ছেলেগুলো কি বোকা নয়? কিন্তু সেসব নিয়ে কখনো কথা হয়না। তখন বলা হয়না যে বোকা ছেলেগুলো নারীর পায়ের তলায় থাকার জন্যে শরীর দেখাচ্ছে! একটা ছেলে ধর্মীয় পোশাক আশাক পড়লেও কেউ বলে না যে বোকা ছেলেগুলো দাসত্বকে আপন করে নিচ্ছে।

এসব কথায় অনেকে লজিক দেবেন যে পুরুষের তো আর ক্ষতি হয়না যতোই শরীর দেখাক না কেন, তাই তাদের কিছু বলা হয়না। আই মিন হোয়াট? পুরুষের ক্ষতি হয়না মানে? পুরুষেরা সেক্সুয়ালি এবিউজড হয়, ইকোনমিক্যালি স্ক্যামড হয়, সবচেয়ে বড় কথা একজন পুরুষ ধর্ষক হলেও তো তার/তাদেরই ক্ষতি। পুরুষ জাতটার রেপুটেশন বাজেভাবে খারাপ হয়ে আছে সমাজে। "মেন উইল বি মেন, পুরুষ মানুষ একটু ওমনই হয়!" কথাগুলো শুধু আশকারা নয়, অপমানেরও। এগুলোর মানে এই দাড়ায়, পুরুষ মাত্রই খারাপ! তাহলে পুরুষেরও ক্ষতি হচ্ছে, তারাও নিত্য বোকামির প্রদর্শন ঘটিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার নামে!
মোট কথা - আল্লাহ নারী পুরুষ উভয়কেই বুদ্ধি দিক। সমাজের দু চোখই খুলে দিক।

দিশাহারা তরুন তরুনী ভেসে গেল, যাচ্ছে টিকটক, লাইকি, আর স্মার্টফোনের স্মার্টনেসের ঢেউয়ে ভেঙ্গে গেছে লজ্জ্বা, জড়তা, ভয়! কৌতুহলী মন জিতে যাচ্ছে সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় অনুশাসন নীতি নৈতিকতাকে হারিয়ে!
তীব্রভাবে সহমত।

তবে শুরুতেই যদি আমরা সবার যার যার ধর্মীয় মৌলিক সুন্দর শিক্ষা গুলো দিতে পারি, তা ফাউন্ডেশন মজবুত করে বৈকি। আর পিতা মাতা যদি জড়তা ভুলে সন্তানদের খোলামনে সব বুঝিয়ে বলে এটা সবচে কাজে দেয়।
আমিও তেমনই লিখেছি। প্রথমে সচতন ও শিক্ষিত করতে হবে। তারপরেও কেউ ভুল পথে পা দিলে, সাহস দিয়ে সামনে এগোতে সাহায্য করতে হবে। আর বাবা মা ও শিক্ষকের ভূমিকা ভীষনই গুরুত্বপূর্ণ।

মজা লাগা আর দায়িত্ব পূর্ন গভীর অনুভবকে পৃথক করতে শিখতে হবে।
দামী কথা সখা! কারো শরীরের অধিকারের সাথে প্রচুর দায়িত্বও ফ্রিতে চলে আসে। এই বিষয়টা ছোট বয়স থেকেই শেখাতে হবে।

দারুন রোষ্টিং এ অনেক গুলা ++++++
থ্যাংকু থ্যাংকু থ্যাংকু! :)

সরি বিষয়টা এত গভীর যে বলে গেল লিখতে গেল বলতেই হয় অনেক কিছু।
বলতে বলতে দেখি পোষ্ট প্রায় ছুঁই ছুঁই ;) তাই ক্ষান্ত দিলাম সখি
কেন ক্ষান্ত কেন দিলেন? বলে যেতেন, ভালোই তো লাগছিল...... :)

প্রযুক্তির কল্যান আমাদের ছুঁয়ে থাক সৎ, সত্য শুভ আর সুন্দরে
অসুন্দরের বিনাশ হোক অসূর নাশের দৃঢ়তায়
জ্ঞান প্রজ্ঞা আর অনুভবে শুদ্ধতায় এগিয়ে যাক জীবন
প্রেম, ভালোবাসা, ভরসা আর স্বর্গীয় আনন্দের পূর্ণতায়।

শেষের এই লাইনগুলোর অপেক্ষাতেই তো থাকি! সত্যিই এগুলো ছাড়া আপনার মন্তব্য আর আমার পোস্ট জমেনা।

আপনার জন্যেও রইল সকল সুখ, শান্তি, সাফ্যলের কামনা, দোয়া।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোস্ট টি স্টিকি করা যেতে পারে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই রাজীব নুর!

অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটির ব্যাপারে এতবড় পজিটিভ কথা বলার জন্যে।

কিছু খাবেন? বার্গার নাকি অন্যকিছু? :)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

শোভন শামস বলেছেন: সচেতনতা জরুরী, কত যে সময় নষ্ট হয় বাচ্চাদের/অনেকের
সুন্দর সচেতনতামুলক পোস্ট

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একেবারে সঠিক বলেছেন। অর্থ, সময়, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য - কত কিই না খারাপ হচ্ছে অন্তর্জালের প্রেম জাল সহ নানা জালে। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বেঠিক বোঝার মানসিকতা দিক। আশা করি আমার পোস্টটিও কাউকে না কাউকে সাহায্য করবে।

পজিটিভ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেসবুকে অনেক ছেলেই নক করে। কেউ আজেবাজে ম্যাসেজ দেয় তো কেউ কবিতা লিখে পাঠায়। স্বাভাবিক ভাবে কোনটাকেই পাত্তা দেয়নি মেয়েটি।
কিন্তু ধর্মিয় ফ্লেভার দিয়ে যখন বলা হল "জান্নাতে আমার সাথী হবে"? তখনি সে গলে গেল'

অতিরিক্ত ধার্মিকতা, সব ধার্মিকরা সৎ ও ভাল মানুষ ধরে নেয়া এক ধরনের অন্ধত্ব।
ধর্মান্ধতা মানুষের হিতাহিত জ্ঞ্যান লুপ্ত করে ফেলে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আই এম সোওওও গ্ল্যাড দ্যাট ইউ পিকড দ্যাট পয়েন্ট। আমি ইচ্ছে করে দেখিয়েছি কিভাবে ছেলেটি ধর্মের কথা বলে মেয়েটিকে পটাল। অনেক সাধারণ, ধার্মিক মেয়ে যারা প্রতিজ্ঞা করে জীবনে প্রেম করবে না, সমাজে পরিবারের সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে হিসেবে পরিচিত - তারাও নানা ধরণের নোংরামীতে জড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে কিছু বোঝার আগেই।
ধর্ম, ধার্মিকতা ভালো কিন্তু ধর্মান্ধতা বিষের চেয়েও ভয়ংকর। কেউ দুটো ধর্মের কথা বললেই মন গললে চলবে না। দেখতে হবে সে আসল ধার্মিক নাকি লোক দেখানো।

আরেকটি পয়েন্ট হচ্ছে, আমার মা/পরিবার তোমাকে পছন্দ করে। এসব শুনেও মেয়েরা গলে যায় ভাবে ছেলেটা সিরিয়াস। কিন্তু আজকাল তো মা বাবা, ছেলে পুরো পরিবার কোম্পানী হয়ে স্ক্যামিং করে। তাই এসব শুনে খুশি হবার কিছু নেই। ভালো ভাবে নিজের পরিবারকে দিয়ে খোঁজ খবর নেওয়াতে হবে, যাচাই বাছাই করতে হবে। একটা একা মেয়েকে ঠকানো সহজ, কিন্তু একটি মেয়ে যার পরিবার/বন্ধুর গ্রুপ আছে, তাকে ঠকানো কঠিন। কেননা সন্দেহজনক কিছু থাকলে কারো না কারো চোখে পড়বেই। যে প্রেমে পড়েছে সে তো ভালোমন্দ বুঝবেনা, তাই পরিবার/বন্ধুদের জানানো উচিৎ সবকিছু।

চমৎকার মন্তব্যটিতে কৃতজ্ঞতা।
সকল শুভেচ্ছা।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সচেতনতামূলক সুন্দর পোস্ট। পটানোর ব্যাপারটা বাস্তবসম্মত। তবে এসব কবিতা গল্প ,ধর্মের সাথে এখন যোগ হয়েছে এস্থেটিক তত্ত্ব।ফেইসবুকের ক্রিয়েটিভ গ্রুপে মেয়েটা দেখলো ছেলেটা ভালো ছবি আঁকে ,গান করে,মোটিভেশনাল পোস্ট দেয়।এসব দেখেই পটে যায় কিছু মেয়ে।তারা সেসব প্রতিভাবান সেলিব্রিটিদের নক দেয়, কথা হয়,শেষ পরিণতি হয় আপনার পোস্টের ঘটনার মতো। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে অর্থনৈতিক আর ক্ষমতার দিক।আজকে নিউজে দেখলাম এক লোক ভুয়া এ এসপি পরিচয়ে ২৭ জন নারীর সাথে যৌন সম্পর্কিত অপকর্ম করেছে।শুধুমাত্র লোভে পড়েই এই অপকর্মের শিকার হলো নারীরা।ভুয়া পরিচয়েই এই অবস্থা,যারা সত্যি সত্যিই ক্ষমতাবান তাদের কাছে কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নারীরা সেটাই চিন্তার বিষয়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সচেতনতামূলক সুন্দর পোস্ট।
ধন্যবাদ, প্রেরণা পেলাম।

আপনার মন্তব্যগুলো সবসময় খুব কাজের হয়। আমি একটি গল্পে স্বাভাবিকভাবেই অনেককিছু টাচ করতে পারিনি। কিন্তু আপনি সেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন।
আসলেই, একটা ছেলে/মেয়ে ভালো নাচতে/গাইতে/লিখতে জানলেই হলো। অনলাইন/অফলাইনে তাদের পিছনে লাইন পড়ে যায়। ইয়াং বয়সে এত এটেনশন অনেকে ভালোভাবে সামলাতে পারেনা। একই সাথে অনেকের সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়। আবার অনেকে ইচ্ছে করেই গুণগুলো প্রকাশ করে স্ক্যাম করার জন্যে।

ভুয়া পরিচয়েই এই অবস্থা,যারা সত্যি সত্যিই ক্ষমতাবান তাদের কাছে কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নারীরা সেটাই চিন্তার বিষয়।
ভীষন রকম মূল্যবান একটি কথা লিখেছেন। ভাববার মতো বিষয়। সফল পুরুষদের তো জাল ফেলতেও হয়না, কিছু কিছু নারী নিজেরাই জাল তৈরি করে ফেঁসে যায়। দুঃখজনক!

চমৎকার মন্তব্যটির জন্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন নিশ্চই।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে, মেয়েদেরকেই সাবধান হতে হবে, মেয়েরাই পারে নিজেদেরকে বাচাতে। মোহতে পা রাখার আগে যেন দশবার ভাবে। নিজেকে এভাবে বিবস্ত্র করার মাঝে ভালোবাসা থাকে না। কেনো যে মেয়েরা বুঝে না বুঝি না :(

ভালো লাগলো পোস্ট

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আপু, যেখানে ফোর্স/রেপ/ইভটিজিং/এসিড এটাক/ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর ব্যাপার থাকে আমি নারীকে ১% দোষও দেবনা। সেগুলোতে তাদের হাত থাকেনা। শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে নির্যাতন করা হয়।
কিন্তু প্রেমের জাল হোক সেটা অন্তর্জালে/বাস্তবে - সেটা থেকে বাঁচতে মেয়েদেরও কিছুটা দায়িত্ব থেকে যায়। সুশিক্ষা, সচেতনতা, আত্মমর্যাদা, আত্মসম্মান, বুদ্ধিমত্তার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে বাস্তবজীবনে অনুশীলন করতে হবে প্রতিটি নারী ও পুরুষকে এধরণের স্ক্যাম থেকে বাঁচতে।

বোঝে রে আপু, ব্রেইনের একটা সাইড নিশ্চই তাদেরকে কন্টিনিউয়াসলি বলে যায় "সামনে বিপদ!" আপনি একটা মেয়ে, আমিও একটা মেয়ে। আপনিও মানবেন, আমাদের একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকে। সেটা রেয়ারলি ভুল হয় এবং আমাদেরকে ঠিক পথে গাইড করে যায় প্রতিনিয়ত। যেমন অস্পর্শীও প্রথমে ছবি দিতে চায়নি ,ওর মনে হয়েছিল খারাপ কিছু হতে পারে। কিন্তু প্রেমের ফাঁদে পড়ে সেই ইন্দ্রিয়কে মেরে তাড়িয়ে দেয় অনেকে। আর তার পরিণতি হয় ভয়াবহ!

পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে অনেক প্রেরণা দিলেন।
কৃতজ্ঞতা।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: যা বলার সবই উপরে বলা হয়ে গেছে।
আমি শুধু এটাকে ব্লগে পিন পোস্ট হিসেবে একমাস দেখতে চাই। এই পোস্ট সেটা হবার অবশ্যই যোগ্য।
দারুন লিখেছেন। প্রিয় তে নিয়ে রাখলাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ অনেক ধন্যবাদ! আপনার এমন ভাবনা/কথায় আমাকে মারাত্মক রকম উদ্বুদ্ধ করেছে।
ভালো থাকুন।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কি এটা সোসাল মিডিয়াতে আমার পেজ থেকে শেয়ার করতে পারি?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অফ কোর্স! কেন নয়? আমার খুবই ভালো লাগবে এধরণের পোস্ট বেশি বেশি টার্গেট অডিয়েন্সের হাতে পড়লে।
এই গল্পের মেল ভার্সনটি আগের রোস্ট পোস্টে ছিল, সেটার লিংক পোস্টে দেওয়া আছে। চাইলে সেটাও শেয়ার করতে পারেন যাতে কিছু ভাইয়ের অন্তত চোখ খোলে।

ধন্যবাদ অনেক ফিরে আসার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগি পোস্ট। আমার কাছে মনে হয় ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার এ দেশে সবচাইতে বেশি। অপরিপক্ক ছেলে মেয়েদের হাতে ডিভাইস তুলে দেয়ার আগে প্যারেন্টিং-টা খুব জরুরী। যাদের বাবা-মা উভয়েই চাকরি করেন তাদের অনেক অনেক বেশি সচেতন হতে হবে- চোখের আড়ালে নিরাপদ নয় একটি শিশুও।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: রাইট ইউ আর। একদম ঠিক। আজকাল বাবা মায়েরাও গর্ব করে, "জানেনন ভাবী আমার ৫ বছরের বাচ্চা কি সুন্দররর ল্যাপটপ চালায়? ও এটুকু বয়সেই সবব বোঝে!" আরেহ এটা গর্বের না দুঃখের ব্যাপার যে এটুকু বয়সে সব বুঝে যাচ্ছে। আসলে প্যারেন্টিং এর ওপরেও কোর্স দরকার। হাহা।
তবে সত্যিই, প্রথমে ট্রেইনিং তারপরে টেকনোলজি।

চোখের আড়ালে নিরাপদ নয় একটি শিশুও।
বাঁধাই করে রাখার মতো লাইন।

চমৎকার, সচেতনী মন্তব্যটিতে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হেই রাজীব নুর! অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটির ব্যাপারে এতবড় পজিটিভ কথা বলার জন্যে। কিছু খাবেন? বার্গার নাকি অন্যকিছু?

ক'দিন ধরে থাই স্যুপ আর, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই খেতে ইচ্ছা করছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমারো খেতে ইচ্ছে করছে! এইসব খাবার এবং আরো অনেককিছু রয়েছে এখানে - :) view this link

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়লাম। সচেতনতামুলক পোস্ট। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন অনুসারে মনে হয় পোস্টটি আরো কিছুটা গোছানো বা কেস স্টাডি সম্পন্ন হতে পারত। তাছাড়া শিরোনামের সাথে পোষ্টের বিষয়বস্তু কিন্তু বিভ্রান্তির অবকাশ সৃষ্টি করে। নীল ছবি বা নীল পর্দায় বলতে মুলত পর্নোগ্রাফি বুঝায়। ফলে শিরোনাম দেখে আমি প্রথমে ভেবছিলাম, কেন একজন নারী নীল ছবির জালে স্বেচ্ছায় আসছেন সেই বিষয়ে আপনি লিখেছেন। কিন্তু পোস্ট পড়ে দেখলাম এটা ভিন্ন একটি বিষয়।

আপনি এখানে যা উল্লেখ্য করেছেন, সেটা মুলত পর্দার এক পিঠ। এই ধরনের প্রতারনার ক্ষপরে নারী পুরুষ উভয়ই পড়ছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে এই দেশের বহু নারীকে দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং এটা বর্তমানেও ঘটছে। এরপর পত্র মিতালী যুগ থেকে হালের চ্যাটিং, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক বা লাইকির মাধ্যমে এই ধরনের হাজারো ঘটনা ঘটছে। একটা বড় অংশ স্বেচ্ছায় এই সব অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে আরেকটা অংশ ফাঁদে পা দিচ্ছে। যেমন প্রায় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় - সুন্দরী মেয়ের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীর লাখ লাখ টাকা গায়েব।

বলা যায়, আমাদের সমাজে বহু আগে থেকে প্রচলিত প্রতারনার এনালগ ভার্সনের ডিজিটাল ভার্সন হলো এই অনলাইন প্রতারনা। আমরা চাইলে বিভিন্ন ছদ্মবেশী নামকে দায়ী করতে পারি কিন্তু সেটা খুবই যুক্তি হিসাবে খুবই শ্যালো বা দুর্বল। কেন আমাদের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এই ধরনের ঘটনার সুত্রপাত হচ্ছে? বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় বক্তারা বার বার যে প্রসঙ্গগুলো টেনেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ

১। আইনের শাসনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়া।
২। অশ্লীলতা বা অবক্ষয়ের জন্য প্রথমেই নারীদের দায়ী করা।
৩। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ প্রয়োগ করতে না পারা।

একটু ব্যাখ্যা করি - আপনি কানাডাতে যে কোন পোষাক পড়ে হাটতে পারেন। কাপড় ছাড়াও আপনি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে পারেন। সেখানে কেউ যে কোন মেয়েকে দেখে যৌণ তাড়না অনুভব করে না বা কামায়িত হয় না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু প্রথমত সেখানে আইনের প্রয়োগ এতটাই কড়া যে, একজন ব্যক্তি জানে, অযাচিত কাজ করলে সেটার পরিনতি কি হতে পারে।
আর দ্বিতীয়ত সেই সমাজে গণ মানুষের যে নৈতিকতা আছে, সেই নৈতিকতা চাপে অনেকেই অযাচিত কাজ করা থেকে বিরত থাকেন।

যদি কেউ আপনাকে কটু কথা যদি বলে, অফেন্স করে, আপনার অধিকার আছে আইনের কাছে এই ব্যাপারে জবাবদিহী চাওয়ার এবং আইনও বাধ্য করবে উক্ত ব্যক্তিকে যথাযত জবাবদিহী করতে। আপনি যদি মিথ্যে অভিযোগ করেন, তাহলেও সেটার পরিমান ভয়াবহ।

আইন সবার জন্য সমান - এক কথাটি বাংলাদেশে এখনও প্রমানিত হয় নি। ফলে এখানে জবাবদিহীতা নেই। একটা ক্ষমতাশীন দলের সবচেয়ে তৃণমুল পর্যায়ের নেতাদের যে ক্ষমতা, জবাবদিহীতার উর্দ্ধে উঠার যে রীতি আমাদের এখানে প্রচলিত আছে, সেটা উন্নত বিশ্বে কোথাও কল্পনাও করা যায় না। ফলে এরা যখন কোন নারীকে ইভটিজিং করবে বা নির্যাতন করবে সেটার কোন বিচার সাধারনত হয় না। এতে সাধারন তরুনরা উৎসাহ পায়! ধুর! কি আর হইব! কয়দিন পর ছুইটা যামু!

আপনি আইনের শাসন নিশ্চিত করুন। পুলিশকে স্বাধীনকে ভাবে কাজ করতে দিন। আমি বিশ্বাস করি, একটা দেশ কতখানি উন্নত তা নির্ভর করবে সেই সমাজে পুলিশ কিভাবে কাজ করছে সেটার উপর।

বাংলাদেশে নারী পুরুষের একটা বড় অংশ এখনও মেয়েদেরকে ধর্ষণ বা লাঞ্চনার জন্য প্রথমে দায়ী করে। সবার আগে পোষাক। ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে বোরকা পড়া মেয়েও এখানে নির্যাতিত হচ্ছে। মেয়ের চলন খারাপ, ইত্যাদি বহু কিছু! এই ধরনের অভিযোগ অপরাধীকে উৎসাহ দেয় অপরাধ করতে।

ছেলে মেয়ে সবাইকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। নিজ নিজ প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনে জেন্ডার ভিত্তিক যৌন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, ছেলেমেয়েকে বুঝাতে হবে কোন বয়সে কি হয়, কি করা উচিত, কি করা উচিত নয়। নীতি নৈতিকতার সাথে ধর্মীয় শিক্ষার সুত্র যোগ করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে নীতি নৈতিকতাকে যোগ করা যাবে না।

বর্তমান সমাজে কিছু তরুন তরুনী আছে যারা স্বেচ্ছায় এই ধরনের অনৈতিক কান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এদেরকে ফেরানো কঠিন। তবে উপযুক্তভাবে কাউন্সিলিং করিয়ে এদেরকে ফেরাতে হবে। তরুনদের কাছে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে, সেটাকে সম্মান করার ব্যবস্থা শেখাতে হবে। খেলাধুলা ও মননশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন অনুসারে মনে হয় পোস্টটি আরো কিছুটা গোছানো বা কেস স্টাডি সম্পন্ন হতে পারত। কেস স্টাডি ইনটেনশনালি লিখিনি। আমার মনে হয়েছে গল্প যেভাবে রিলেটেবল হয়, মানুষের আবেগ/বিবেককে নাড়া দেয় একটা ড্রাই কেস স্টাডি সেটা করতে পারতনা। একটা এভারেজ মেয়ে যেন ভাবতে পারে "আরেহ এটাতো আমার সাথে হতে পারে! এমন ম্যাসেজ তো আমিও পাই!" সেভাবেই লেখা হয়েছে।
তবে হ্যাঁ, আমি গোছালোভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। ধাপে ধাপে গল্পে, টাইটেলে সবকিছু যেন সহজপাঠ হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখেছি। কিন্তু এন্ড প্রোডাক্টকে পাঠক কিভাবে দেখবেন সেটা এই পাশ থেকে কখনোই বোঝা যায়না পোস্ট করার আগে। পোস্ট করার পরে অনেককিছু শেখা যায় সবার আলোচনা সমালোচনায়। এভাবেই অনেক বছর সামু আমাকে শিখিয়ে যাচ্ছে, যার জন্যে আমি অনেক ঋণী। আপনাকে ধন্যবাদ, দেখি এই বিষয়টি সামনে ইমপ্রুভ করা যায় কিনা! :)

তাছাড়া শিরোনামের সাথে পোষ্টের বিষয়বস্তু কিন্তু বিভ্রান্তির অবকাশ সৃষ্টি করে। নীল ছবি বা নীল পর্দায় বলতে মুলত পর্নোগ্রাফি বুঝায়। ফলে শিরোনাম দেখে আমি প্রথমে ভেবছিলাম, কেন একজন নারী নীল ছবির জালে স্বেচ্ছায় আসছেন সেই বিষয়ে আপনি লিখেছেন। কিন্তু পোস্ট পড়ে দেখলাম এটা ভিন্ন একটি বিষয়।
কি? নীল পর্দা লিখেছি, নীল ছবি নয়। কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ফোন/ডিজিটাল ডিভাইসেস এর স্ক্রিন থেকে যে আলোটা আসে তাকে নীল আলো বলে। স্ক্রিন এর আবিধানিক মানে পর্দা। নীল পর্দা মানে ডিজিটাল ডিভাইসের সামনে। আমার কল্পনাতেও আসেনি এটা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে বা অন্য মিনিং নেবার সুযোগ আছে। সেটা আমার ব্যর্থতা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি তোলার জন্যে - অন্য যাদের মনে বিভ্রান্তি ছিল সেটা চলে যাবে।

আপনি এখানে যা উল্লেখ্য করেছেন, সেটা মুলত পর্দার এক পিঠ। এই ধরনের প্রতারনার ক্ষপরে নারী পুরুষ উভয়ই পড়ছে।
আমি পূর্বের পর্বে এমন গল্পের পুরুষ ভার্সন লিখেছি। আপনার সাথে পূর্ণ সহমত পোষন করছি।

২। অশ্লীলতা বা অবক্ষয়ের জন্য প্রথমেই নারীদের দায়ী করা।
পোস্টে কভার করেছি।
৩। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ প্রয়োগ করতে না পারা।
সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের বিষয় টেনেছি।

১। আইনের শাসনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়া।
এটা পোস্টে লিখিনি কেননা একেবারেই আশেপাশের মানুষগুলোকে সচেতন করার পোস্ট। আইন/রাজনীতি টানতে গেলে অনেক বড় হয়ে যেত এবং পোস্টের মূল ভাবনা ও উদ্দেশ্য থেকে সরে আসত।
কিন্তু আপনি সেই অভাবটুকু পূরণ করে দিয়েছেন। থ্যাংকস এ লটটটট!

কানাডা/কানাডার মতো দেশ নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষন ঠিক।

আপনি আইনের শাসন নিশ্চিত করুন। পুলিশকে স্বাধীনকে ভাবে কাজ করতে দিন। আমি বিশ্বাস করি, একটা দেশ কতখানি উন্নত তা নির্ভর করবে সেই সমাজে পুলিশ কিভাবে কাজ করছে সেটার উপর।
বাংলাদেশে নারী পুরুষের একটা বড় অংশ এখনও মেয়েদেরকে ধর্ষণ বা লাঞ্চনার জন্য প্রথমে দায়ী করে। সবার আগে পোষাক। ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে বোরকা পড়া মেয়েও এখানে নির্যাতিত হচ্ছে। মেয়ের চলন খারাপ, ইত্যাদি বহু কিছু! এই ধরনের অভিযোগ অপরাধীকে উৎসাহ দেয় অপরাধ করতে।

এবসোলুটলি কারেক্ট। সহমত সহমত সহমত!
ছেলেমেয়েদের শিক্ষা/সচেতনতা/কাউন্সিলিং নিয়ে যা লিখেছেন সেখানে এড করার কিছুই থাকেনা।

অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য রেখে যাবার জন্যে। এমন বিস্তারিত মন্তব্যে পোস্টের মান বাড়ে। আপনার সমালোচনা/আলোচনায় ভীষন রকম অনুপ্রেরণা পেলাম।
শুভকামনা সকল!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কারো যেন পোস্টের নাম নিয়ে কনফিউশন না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ আবারো।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




০০৭, আমি সঠিক জানি না আপনি আমার লেখা পোস্ট ও মন্তব্য আগে কখনো পড়েছেন বা লক্ষ্য করেছেন কিনা? আমি সব সময় অন্যায় কে অন্যায় মনে করি আর ন্যায় কে ন্যায়।

প্রসঙ্গে আসা যাক, এই পোস্টটিতে ব্লগে প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক যে কোনো মন্তব্য আসতে পারে এবং তা দেখার এখতিয়ার রাখেন ব্লগ এডমিন। ব্লগ এডমিন চাইলেই যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু লেখাটি যখন ফেসবুক বা যে কেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাবে তখন এই পোস্ট লাগামহীন হয়ে যাবে। এখানে আমি একমাত্র নিজের পরিচয়ে ব্লগে মন্তব্য করেছি আর কারো কোনো সমস্যা থাকার কথা না - কারণ বাকি নামগুলো ছদ্মনাম। - আশা করি সমস্যাটুকু বুঝতে পেরেছেন। ঠাকুরমাহমুদ ছদ্মনাম না। আর আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না।

আমি আপনাকে অনুরোধ করেছি মন্তব্য মুছে দিতে - আমি ধরেই নিয়েছি আপনি যা বুঝার বুঝতে পেরেছেন। ব্যাখ্যা চাইবেন এবং আপনার সময়ের মূল্য জানাবেন - এটি আশা করিনি। আমাদের সম্ভবত সকলেরেই সময়ের মূল্য আছে।

মন্তব্যগুলো মুছে দিলে উপকৃত হবো। আপনার জন্য সব সময় প্রেরণা ও শুভ কামনা থাকবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার! আমি তো ভাবলাম, আমি আবার এমন কি করলাম যে আমার পোস্টের মন্তব্য মুছে দিতে হচ্ছে! কি এমন ভুল হয়ে গেল আমার দ্বারা!
কেন ধরে নিলেন যে আমি এমনিতেই বুঝে যাব? না বললে তো এতকিছু জানা সম্ভব না যে আপনি পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গেলে স্বস্তি বোধ করবেন না। আমি তো আর ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে জানিনা। আপনার সাথে অনেক বেশি আলাপ পরিচয় থাকলে আপনি "হা" করলেও বুঝে যেতাম কিন্তু তেমন তো নয়।
অবশ্যই মুছে দেব, ইভেন আপনি ব্যাখা দিতে অরাজী হলেও মুছে দিতাম। যার মন্তব্য সে না চাইলে রাখা শোভন ও না। আমি ব্যাস ভেবেছিলাম যে আমার কোন কাজে/কথায় মাইন্ড করে আপনি এমনটা বলছেন। তাই শিওর হয়ে নিলাম যে অন্য ব্যাপার। এখন আমি নিশ্চিন্ত বাবা!

ওহ! ব্লগের যেকোন পোস্টই কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারড হবার সুযোগ থাকে। একজন নন ব্লগার পারমিশন না চেয়েও লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনার অজান্তেই হয়ত আপনার কোন মন্তব্য ইভেন পোস্ট অন্যকোথাও যেতে পারে। সোশাল মিডিয়ার পেইনফুল দিক!

প্রতিমন্তব্যও কি মুছে দেব + আপনার শেষ/এই মন্তব্যটিও কি মুছে দেব? ধন্যবাদ।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫১

আনমোনা বলেছেন: 'না' বলাও শিখতে হবে। নইলে মিষ্টি কথার তোড়ে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ কোথায় ভেসে যাবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মনা আপু, এক কথায় অনেক কিছু বলে ফেলেছ। একেবারে ঠিক। অনেক মেয়ে না বলতেই পারেনা! দশটা প্রপোজ পেলে সবগুলোই এক্সেপ্ট করবে এমন! আবার অনেকে বেশি সরল, বয়ফ্রেন্ড ছেড়ে যাবার কথা বললে বা হাত কেটে দেখালে, জীবনও দিয়ে দেবে তার জন্যে! মিষ্টি কথা নয়, সুচরিত্র দেখে মেয়েরা সম্পর্কে জড়াক নাহলে তোমার ভাষায় সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভেসে যাবে!

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: একটা বয়স আছে যখন মানুষের শরীরে হরমোন প্রবল প্রভাব বিস্তার করে। পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকায় হরমোন এর কিক সামলানো অসম্ভব হয়ে ওঠে কিছু কিছু কিশোর-কিশোরী আর তরুন-তরুণীদের জন্য। যারা তাল সামলাতে পারে না তারা অনেক ভুল করে বসে। ঐ বয়সে একটা ছেলের ভুল তেমন পাপের চোখে দেখা হয় না বরং বয়সের দোষ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে একি ভুল করা কিশোরী-তরুণী এর জন্য হয়ে যায় ব্যাপারটা অনেক অনেক জটিল। ব্যপারটা এত বেশি জটিল করে ফেলে আশেপাশের মানুষ যে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পায় না। আত্মহত্যা কোন সমাধান নয় যদিও। কিশোরী-তরুণীদের এর থেকে বাঁচাতে পারে পারিবারিক শিক্ষা আর মূল্যবোধ। আপনার লেখা অনেক বোনদের সচেতন করে তুলবে আশাকরি। এসব সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে চারিদিকে।

১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা এখানে আমাদের গ্রুপে জনসচেতনতার জন্য শেয়ার করা হয়েছেঃ
https://www.facebook.com/groups/2705932176199252/
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.