![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় ছোট করে বলি। সানা হাসান। খাই, দাই,ঘুরি। নিজের স্বাধীনমত লিখি। বিশেষত তেলবাজি করা আমার একাবারেই অপছন্দ। তেলবাজরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন।।
ক্রিকেট তারকা রুবেল হুসেন ও ঢালিউডের নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী এখন টক অব দ্যা টাউন। অবশ্য বিষয়টি অনেক আগেই টক অব দ্যা টাউন ছিল। সময়ের স্রোতে বিষয়টি চাপা পড়ে গেলেও সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের জয়, বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা, সে ম্যাচে রুবেলের অসামান্য অবদানের বদৌলতে বিষয়টি আবারো টক অব দ্যা টাইমে পরিণত হয়েছে।
শুরুতে ঘটনাটি ছিল একরম। কয়েকমাস আগে আদালতে রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন, রুবেল গ্রেফতার হন, ক্রিকেট বিশ্বকাপে রুবেলের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তখন লোকমুখে চলতে থাকে রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপীর আনীত অভিযোগ সত্য? রুবেল কি ধর্ষক? চরিত্রহীন? নাকি হ্যাপী রুবেলকে ফাঁসাতে চাইছে, রুবেলকে জড়িয়ে হ্যাপী কি মিডিয়ার নজরে আসতে চাইছে? এগুলোই ছিল তখনকার আলোচনার বিষয়বস্তু। অনেকেই রুবেলকে ধর্ষক বলে স্ট্যটাস দিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন। কেউবা দুষেছেন হ্যাপীকে। কেউ বলেছেন এক হাতে তালি বাজে না।
অত:পর রুবেল জামিন পান। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিষয়টি একভাবে চাপা পড়ে যায়। কেউ আর বিষয়টি নিয়ে কথা বলে না। না হ্যাপী, না আমজনতা, না মিডিয়া।
আমজনতা, বিবেকের সংজ্ঞা কী?
বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা, সে ম্যাচে রুবেলের বিরোচিত অবদানের বদৌলতে রুবেল- হ্যাপীর অাবার টক অব দ্যা টাইম। ম্যাচ চলাকালীন সময়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিউজফিড ভরে যায় রুবেল হ্যাপী বিষয়ক নানা রঙ তামাশায়। যেগুলোর বেশিভাগই কুরুচিপূর্ন, হ্যাপীর প্রতি তিরস্কারমূলক। যেগুলো হ্যাপীকে ভীষণভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে তা স্পষ্ট প্রতীয়মান। কেউ বলে হ্যাপীর কারনেই মিস হতে পারত বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা, কেউ বলে রুবেল আজ আমি সত্যিই হ্যাপী, কেউ বলে রুবেল উইকেট আরেকটা নে, তরে ষোল কোটি হ্যাপী আইনা দিমু, হ্যাপীর চরিত্র নিয়ে নানান কুৎসিত বিশেষণ দিতে কারও একটুও গায়ে লাগেনা।
এবার ফেসবুকেই রায় হয়ে যায় হ্যাপী বাজে মেয়ে, রুবেলের মত তারকার গলায় ঝুলতেই সে এসব মামলা নাটক সাজিয়েছে। রুবেলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। ষোলকোটি মানুষের চাপ নিয়ে রুবেল খেলছে। এসময় তার মাথায় মামলা নামের বাড়তি চাপ থাকা উচিত নয়। তাদের আর খেয়াল থাকেনা কয়েক মাস আগে রুবেলকে নিয়ে কি মন্দচারী করেছেন। এসময় রুবেলকে শুভকামনা জানি্য়ে হ্যাপীর ফেসবুক স্ট্যাটাস মানুষের ভাবনার ভস্মে আরো ঘি ঢেলে দেয়। হ্যাপীর আইনজীবীও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর সিদ্বান্ত নেয়। বোঝা যায় আইনজীবীও খুব ভাল সেন্টিমেন্ট বোঝেন। তার কাছে বিচারের জন্য নড়া নয়, সময়ের স্রোতে গা ভাসানোটাই জরুরী।
মিডিয়ার নৈতিকতা কোথায়?
শুরু হয় দেশের মিডিয়াগুলোর নির্লজ্জ ভূমিকা। মিডিয়াও মানুষের সেন্টিমেন্ট বোঝে। কখন মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কাটতি বাড়ানো যায়, হিট বাড়ানো যায়, টিআরপি বাড়ানো যায়, সর্বোপরি ব্যাবসাটাকে কিভাবে সফল করে তোলা যায় সেজন্য উঠেপড়ে লাগে। রুবেলের সাথে হ্যাপীর বিষয়টি না জড়ালে যেনো মিডিয়ার কনটেন্ট তৈরি হয় না। রুবেলের সাথে হ্যাপী না থাকলে মানুষ কেন সংবাদ পড়বে? তা না হলে মানুষ কেন সংবাদ খাবে, সংবাদ না খাওয়াতে পারলে বাপু আমার ব্যবসাটা কোথায়?
তাছাড়া একটু যৌনতা, একটু সুড়সুড়ি জাতীয় কথাবার্তার মিশেল দিতে পারলে সংবাদ মূল্য দ্বিগুণ বেড়ে যায় কিনা। নিউজ ম্যাথ আর নিউজ কেমিস্ট্রির হিসেবটা কষতে কষতে নিউজ এডিটর আর চীফ রিপোর্টারেরা ব্যস্ত হয়ে উঠেন। রুবেল-হ্যাপী আর ক্রিকেটীয় আমেজের ফাঁকে মনে মনে নিজেরাও একটু যৌনতার স্বাদ চেখে নেন। বেড়ে যায় সংবাদে হিটের পরিমাণ, ব্যবসা টিকিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় দ্বিগুণ উৎসাহ পান মিডিয়া অলারা।
তাই মাঝখানে রুবেল হ্যাপীর সংবাদ চাপা পড়ে গেলেও নতুন খোড়াক হিসেবে উঠে আসতে সময় লাগে না। সংবাদের ফলোআপ তাদের কাছে বড় কোন বিষয় নয়, বড় বিষয় ব্যবসা। জনগনকে সংবাদ খাওয়ানো। সংবাদে রুবেকে সমর্থন করে এরকম এঙ্গেল রেখে দিতে পারলে লাভ বেশি, বেশিভাগ মিডিয়াও তাই করেছে, তারা জানে জনগনের সিমপেথি এখন রুবেলের দিকে। অতএব এবার প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, রুবেলকে সমর্থন করেই সংবাদটা তৈরি করতে হবে, সর্বোপরি মিডিয়াঅলাদেরওত জনগনের সমর্থন পাওয়া দরকার। জনগনই যে ব্যবসার মূল খোড়াক।রাজনীতি বিদরাও যেমন বলে আমাদের সাথে জনগন আছে এখন মিডিয়া অলারাও বলে আমাদের সাথে জনগন আছে। আদতে জনগন কোন দিকেই নাই। জনগন এখন সেন্টিমেন্টের হাওয়ায় ভাসে। সাময়িক আবেগে কখনো রুবেলকে সমর্থন করে, কখনো আবেগ যায় হ্যাপীর দিকে।
এবার আসি মত মোড়লদের কথায়
মত মোড়লরাও সুশীলদের মত স্রোতের দিকে গা ভাসান। নিজের সুবিধাই সবার আগে বিবেচনা করেন। বিশেষ করে ফেসবুকীয় মত মোড়লদের কথা না বললেই নয়। মত মোড়লরা নিজেদের লাইক কামানোর জন্য রুবেল হ্যাপী নিয়ে স্ট্যাটাস লিখেন। সময়ের হাওয়া এখন রুবেলে দিকে। তারাও বোঝেন কিভাবে লাইক কামাতে হয়। এখন যা অবস্থা, তাতে রুবেলকে সমর্থন করে স্ট্যাটাস না দিলে লাইক সংখ্যা কমে যেতে পারে। রুই, কাতল, রাঘব বোয়াল সবাই মিলেই বিশাল স্ট্যাটাস লিখেন, কেউ আবার বিশ্লেষণধর্মী লেখা লিখেন। ধরনগুলো এরকম….হ্যাপীকে আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল, আদালতের রায় পাওয়ার আগে কিভাবে রুবেল ধর্ষক হন, দেশের নায়ক রুবেল ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুক সেলিব্রেটি আর বুদ্বিজীবীরাও হাওয়ার পালে ভালই গা ভাসান বোদ্ধা পাঠকের তা বোঝার বাকী থাকে না।। তাদের ধান্ধাটাও মিডিয়া আর রাজনীতিবিদদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তা না হলে জনপ্রিয়তা হারাতে হবে যে। কোনটা নৈতিক কোনটা অনৈতিক জনপ্রিয়তা রক্ষা করতে গেলে তা ভাবা চলে না। তাদের ভাবনা আমার আমও চাই, বস্তাও চাই। ঘটেও তা। এজাতীয় স্ট্যাটাস লিখে জনপ্রিয়তাও টিকে থাকে, লাইকের দৌড়েরও হাজার পেরিয়ে যান নিমেষেই। শুধু অমূল্য সম্পদ নৈতিকতাটাই যে হারিয়ে ফেলছেন তা আর ভাবনায় থাকে না। আমরা যারা আমজনতা তারাও এ নিয়ে খুব একটা ভাবিনা।
জাগো গো ভগিনীরা
এবার আমার ভগিনীদের নিয়ে দু কথা না বললেই নয়। ক্রিকেট খেলা দেখে,দেশের জয় দেখে আবেগে তারা নিজেদের কথাই ভুলে গেছেন। নারী দিবসে, পথে ঘাটে, লোকাল বাসে নারী অধিকার, নারী অধিকার চেয়ে চিল্লাইয়া গলা ফাটান। অথচ হ্যাপীকে নিয়ে যে কথাগুলো চলছে তা কি যৌক্তিক না অযৌক্তিক সে নিয়ে কর্ণপাতও করেন না, মাথাও ঘামান না। বরং অনেক মেয়ে, মাতা ভগিনীকেউ বলতে শোনা যায়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, আরে হ্যাপী মাইয়াটাই খারাপ, সে মাইয়া জাতের কলঙ্ক, তার কারনেই আমার দেশটাও হারতে বসত। এমন মাইয়ার নিকুচি করি।
হায়রে আমার ভগিনীরা এত অধিকার অধিকার বলে চিল্লাপাল্লা করেন, হ্যাপীকে নিয়ে যে তামাশা, মশকরাগুলো চলছে তা একবারও বন্ধ করতে বলেন না। কথায় আছে ঘরের ইঁদুর বেড়া কাটলে সেই বেড়া টিকে না। আপনারা নিজেরাই নিজেদের স্বজাত্য নিয়ে সচেতন না, তবে যে অধিকারের কথা বলে তা কি কেবল ব্যক্তিস্বার্থেই? নাকি পুরুষ্য সমাজের বলে দেওয়া বুলি আওড়ান? বদলান, আওয়াজ দিন, সচেতন হোন এখনও সময় আছে।
আম নারীবাদী না। নারীর পক্ষে সাফাই গাইতে আসি নাই। সাফাই গাইতে আসি নাই হ্যাপীল পক্ষেও। কাউকে ভাল বা মন্দ বলতেও আমার এ লেখার অবতারণা নয়। রুবেল ধর্ষক নাকি ক্রিকেট জয়ের নায়ক তর্কেও যাব না। হ্যাপী মেয়েটা ভাল না খারাপ সে বিচারেও যেতে চাই না। শুধু বলতে চাই প্লিজ, রুবেল-হ্যাপীকে নিয়ে নিয়ে মিডিয়া আর আমজনতার যে রঙতামাশা খেলা চলছে তা বন্ধ করুন। এটা যেমন ব্যক্তি মানুষের জন্য ভাল হবে, তেমনি সামগ্রিক চেতনার জন্যও কল্যাণকর। আমার মত কম জানা মানুষের মিডিয়া ,মত মোড়ল, নারীনেত্রীদের নিয়া প্রশ্ন তোলা সাজে না। তারপরও অদমের কয়খানা প্রশ্ন রেখে গেলাম।
১. আমজনতার দরবারে আমার প্রশ্ন, ভাই হ্যাপী মেয়েটা যে খারাপ, তা কি আপনারা রুবেলের ভাল পারফর্মেন্সের পরে বুঝলেন? নাকি আগেও বুঝে চুপ করে ছিলেন। হাওয়া যেদিকে আপনারাও সেদিকে। কই তখন তো রুবেলকে নিয়ে কম মন্দ কথা বলেন নাই। তার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র এ কথাতো বলেন নাই। বরং পারলে রুবেলকে ধর্ষক বলেই একখানা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আদালতে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।হ্যাপীর প্রতি দরদ দেখিয়েছেন। এখন কোথায় গেল সে দরদ? হ্যাপী এখন খারাপ হয়ে গেল, রুবেল হয়ে গেল পবিত্র তারকা। বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে না যেত, রুবেল যদি খুব খারাপ খেলতো, তখন আপনারা কি বলতেন? হায়রে মানুষ, আসলে জগত বড়ই সেলুকাস। আর কেনইবা রুবেলের মামলা খারিজ করে দিতে হবে।এখনও তো প্রমাণিত হয়নি কে দোষী, কে নির্দোষ। রুবেল কি আইনের উর্দ্ধে? খেলায় ভাল পারফর্মেন্স করলেই কি সাত খুন মাফ? রুবেল যদি সত্যিই অপরাধ করে থাকেন তবে কি তার শাস্তি পাওয়ার দরকার নেই? আফ্রিকান তারকা খেলোয়ার পিস্টোরিয়াস কি বান্ধবীকে খুন করে মাফ পেয়েছেন? বলছি না রুবেল দোষী। সেটা আদালতের বিষয় । আমি চাই দুজনই সুষ্ঠু বিচার পাক। মামলা চলছে, চলুক, আদালতই সিদ্ধান্ত দিবে। আপনারা রায় দিয়ে দিলে দেশে কি আইন আদালতের কোন দরকার আছে? ভাই কোন কিছু বলার আগে নিজের বিবেক খাটান। ইশ্বর বিবেক দিয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করেন।
২. মিডিয়াঅলা ভাইয়েরা, রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপী যখন মামলা করল তখন আপনাদের ভূমিকা কী রকম ছিল? তখন আপনারা কি রুবেল ঘেষা সংবাদ করেছিলেন? নাকি হ্যাপী ঘেষা সংবাদ করেছিলেন? কেনইবা সংবাদে রুবেলের পাশে হ্যাপী –রুবেলের ব্যক্তিগত ঘটনাটাও টেনে আনেন? না টানলে কি ব্যবসাটা টিকে না? মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলতে আপনাদের নৈতিকতায় লাগে না? ব্যাপারটা কি এরকম নৈতিকতা জলে যাক, ব্যবসা টিকে থাকুক।
৩. ফেসবুক সেলিব্রেটি ভাইয়েরা, হ্যাপীর মামলার শুরুতে আপনাদের হাওয়া কোন দিকে ছিল? আপনারা কি রুবেলরে ধর্ষক বলে স্ট্যাটাস লিখেন নাই? লাইক কামানোর জন্য কি করেছিলেন তখন? আপনাদের কাছে কি লাইকই সব? আপনাদের অবস্থাটা কি এরকম, সময়ে রুবেল, সময়ে হ্যাপী, লাইক পাইলে আমি চিরকালীন হ্যাপী। এই লাইক দিয়ে কি করবেন? ভাই, নিজের চরিত্রটার একটা স্থায়ী রুপ দেন। এভাবে হলুদ হয়ে আর কতকাল বাঁচবেন। অতিকায় হস্তী লোপ পেয়ে, তেলাপোকা টিকিয়া থাকার কি খুব দরকার আছে?
৪. এবারে আমার নারীনেত্রী, নারীবাদী ভাই ও বোনেরা। কোথায় গেল আপনাদের নারী অধিকার রক্ষা? কোথায় হচ্ছে আপনাদের নারী ইজ্জত রক্ষা। রাজপথে তো মাঝে মধ্যে এত চিল্লা পাল্লা করেন, মাইক পেয়ে গলা ফাটান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নারী অধিকার চান, কই হ্যাপীকে নিয়ে যে নির্লজ্জ তামাশা চলছে, আপনারা কোন কথা বলছেন না কেনো? হ্যাপীকে নিয়ে যে তামাশা চলছে তাতে কি আপনাদের মর্যাদা বাড়ছে? আপনাদের স্বজাতীয় ভগিনীরা কেনো হ্যাপীকে গাল দিচ্ছে? হ্যাপীর দোষগুণ নিয়ে কথাবার্তা না বলেন, অন্তত বিষয়টি থামানোর জন্য কি আপনাদের কি কিছুই করার নাই? নাকি রাষ্ট্র রক্ষার দন্ডক রুবেলকে সমর্থন না করলে আপনাদের নারীবাদীতা, নারীনেতৃত্ব টেকে না। নারী অধিকারও কি সময়ের সেন্টিমেন্ট বোঝেই চাইতে হয়?
মোর্যা্ল: দিনশেষে সবাই সফলদের পক্ষে, হোক সে দোষী বা নির্দোষ।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে, একটা কুলাঙ্গার রুবেল না থাকলে যদি বাংলাদেশ হারত - তাতেও দুঃখ থাকত না। কিন্তু বাংলাদেশের জয়, তাও আবার রুবেলের অবদানে - একটা মেয়ের জীবন ছারখার হয়ে যাওয়া - এগুলো সহ্য করা খুব কঠিন ব্যাপার।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চরিত্র নিয়ে ছি ছি পড়ে গেছে - বাংলাদেশী হিসেবে যে লজ্জা আমাদের জয়লাভের গৌরবকে ছাড়িয়ে গেছে।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হ্যাপী নিজের হিট বাড়ানোর জন্য
মিডিয়াতে এক্সপোজ হননি(?)
বিষয়টি পরিস্কার হয়নি!!
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
সানাউল্লা হাসান বলেছেন: মিডিয়া যতটানা হ্যাপী কেন্দ্রিক ছিল, তার চেয়ে অনেকাংশে বেশি ছিল রুবেল কেন্দ্রিক। হ্যা, আপাতদৃষ্টিতে হয়তো মনে হতে পারে হ্যাপী মিডিয়াতে এক্সপোজ হতে চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবত মিডিয়াতে দেখুন। মিডিয়াই তার ব্যবসার স্বার্থে রুবেল হ্যাপীকে অতিরঞ্জিত করেছে। পাশাপাশি জনতা সেন্টিমেন্ট যেহেতু রুবেলের দিকে ছিল, তাদের সংবাদটাও স্লোলি রুবেলকে সমর্থন দিয়েছে। আপনি যদি মিডিয়া লিটারেসির উপাদানগুলো পড়ে থাকেন, তবে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন বলে আশাকরি। ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দিনশেষে সবাই সফলদের পক্ষে, হোক সে দোষী বা নির্দোষ...সহমত!
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা বিষয় যদি সম্ভব হয় ক্লিয়ার করুন। হ্যাপি আর রুবেলের মধ্যে প্রেম ছিল এটা শিউর। কিন্তু তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণ কী ছিল? রুবেল কি হ্যাপিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যেজন্য হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছিলেন?
আমার মিডিয়া রিডিঙের সাথে আপনার খুব একটা মিল নেই। এই ঘটনায় ব্লগ, ফেইসবুকে আগে যেমন মিক্সড রিয়্যাকশন দেখা যাচ্ছিল, রুবেল 'হিরো' হওয়ার পরও তার খুব একটা তারতম্য ঘটেছে বলে মনে হয় না।
অপরাধীর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করাই সুস্থতার লক্ষণ।
শুভ কামনা।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
সুমন কর বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে অার পড়তে ভাল লাগেনা !!!!!
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
কাবিল বলেছেন: অপরাধীর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করাই সুস্থতার লক্ষণ।
@ সোনা--ছাই এর সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:১৯
ডেড আকাশ বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে কোন প্রবলেম নাই, ব্যাপার না