নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১ টি। (৮টি কবিতার বই, ২টি উপন্যাস ও একটি ছোটগল্পের বই।)

সানাউল্লাহ সাগর

সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা

সানাউল্লাহ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাসন / সানাউল্লাহ সাগর

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

তোমার সাথে চলো আমিও পালাই। তুমিতো বেশ পালাতে পারো- মেঘের কোলে মাথা রেখে হারিয়ে যাও আনমনে স্বপ্নীল দেশে। ঘুড়ে বেড়াও দেশ থেকে দেশান্তরে আমি বাঁকা পথের আলে পিপড়ের মতো হেঁটে বেড়াই। সলাজ ঐশ্বর্য বুকে চেপে। ইদানিং সকালগুলো নতুন হাসি শেখা কিশোরীর মতোন দরজা খুলে আমাকে ডেকে যায়। আমি অলস বিছানায় উবু হয়ে ছাই হওয়া স্বপ্নের উরু কামড়ে পড়ে থাকি দিকহীন পথিকের মতোন।



কতোগুলো ক্লান্ত বাসনা মাঝ রাতে আমাকে টেনে তুলে নিয়ে যায় দিগন্ত প্রসারী দৃশ্যের অন্তরালেÑ যেখানে শতাব্দী থেকে শতাব্দী বাস করে নিন্দিত আখ্যান। যাদুবলে টিকে থাকা বিদ্রুপের পায়রা ডানা ঝাপটে স্মরন করিয়ে দেয় কালান্তরে পার পাওয়া ইবলিসের কথা। যার ধোকাবাজি পর্দায় আততায়ীরা সর্বদাই হামাগুড়ির কসরত নিয়ে বেঁচে আছে।



এায়ার সার্ট খুলে বুকের জার্নালে স্রষ্টা বন্ধনার তাসবিহ জপছে যে আত্মা সেও কি পাপ থেকে দূরে! আর আমি জন্ম পাপী- প্রতিনিয়তই ভারী করছি পাপের পাল্লা। শৈশব থেকে বন্ধ্যা যৌবন অ-সৃষ্টির মহুয়ায় যদিও পড়ে থাকে র্নিঘুম। তবুও অলস মস্তিস্ক খুটিয়ে খায় স্রষ্টা বিশ্বাসীদের সৃষ্টিকরা বার্তাপ্রবাহ।



এতাসব অন্ধ জ্যোতিষীদের ছোবল থেকে নিস্কিৃতি পেতে পালাতে চেয়েছিলাম অধ্যায়নের প্রথম পাঠেই। তখনই মহামানবের সোনালি আর্কাইভ নিয়ে হাজির শয়তান। যদিও স্রষ্টাকে তখনও দেখেছিলাম প্রতিটি ধ্যানী আর সমাজ সংস্কারকদের ইতিহাসে। অনুপস্থিত ছিলো না দূর্ঘটনায় পা হারানো যুবতীর কাছ থেকেও যার আপন বলতে কেউ নেই।



তারপরও মহামানবের মোহ আমাকে টানলো তার ঐশ্বর্য প্রীতির বাহানায়। আর পালাতে পারলাম কই! জড়িয়ে পড়লাম কল্পলোকে তৈরি হওয়া হাজার পিপাসার উপশমের লোভে পানীয়র রাজ্যে। ধ্যানী পুরোহিতের মজমা থেকে অদূরেই গড়ে উঠলো আমার স্বপ্নকাতর বেহালার রিয়ের্সেলের স্টুডিও। সব চলছে আর চলছে আমি ঘুমাচ্ছিÑহাঁটছি অথবা গিলে যাচ্ছি জ্যোৎস্নার মাতাল শুরা। তবুও লক্ষ্মী চাঁদ আমার থেকে দূরে হাঁটেনি।



দেখেছি উদভ্রান্ত জীবনের উলঙ্গ উৎসবে কিভাবে উড়ছে সাদা পায়রা। ব্যাথাতুর আত্মার দহনে কিভাবে হেসে উঠছে জীবিত কঙ্কাল। কিভাবে নাচছে জন্ম তাড়না নিয়ে সমাজ নিষিদ্ধ আর্তনাদ। বৈধতার প্লেকার্ড উচিয়ে মানুষ্য সমাজে আবাসের অধিকার রপ্ত করতে কত উৎসুক এখনও কাতরায়। আর-উঁচু দালান, তাও কম দেখিনি।...সংসদ-রাজনৈতিক ইস্তিহার- সমকামী রাষ্ট্রের চৌকাঠ-বলতে পারেন কোথায় আছে মানবতা! কোথায় সভ্যতার উচ্ছ্বাস-শান্তি নিবির ছোঁয়া!



গাঙের জলে শরীর ভিজিয়ে যদি শুদ্ধ হতো মানুষের অভ্যন্তর তাহলে প্রতিনিয়তই সাদা মানুষে ভরে যেত পৃথিবী। অমানুষের রক্তচোখে শিউড়ে উঠতো না গোটা জমিন।



এতাসব দেখে দেখে নির্বাসিত আত্মা আমার পাপী থেকে আরো পাপী হচ্ছে! কখনওবা বিশ্বাসী থেকে অবিশ্বাসী হচ্ছে! অতি ক্রোধে- ক্ষোভে খুঁজে চলছে পালানোর বোরাক।

২০-০৪-১৩

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

২| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন লেগেছে ----অনিন্দ সুন্দর

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.