নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১ টি। (৮টি কবিতার বই, ২টি উপন্যাস ও একটি ছোটগল্পের বই।)

সানাউল্লাহ সাগর

সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা

সানাউল্লাহ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক সাহিত্যচর্চা ও লিটলম্যাগ আন্দোলন

১৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১০


বর্তমানে আমরা এক ধরনের ফেইসবুকীয় সাহিত্য চর্চা দেখি। অনেকেই ফেইসবুকে লেখা শুরু করেছেন। ফেইসবুকে লিখে চলছেন। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ প্রতিদিন একাধিক কবিতাও লেখার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন গ্রুপের কল্যাণে তারা লিটলম্যাগের আদলে ম্যাগাজিন প্রকাশ করারও চেষ্টা করছেন। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুর আমন্ত্রণে এমন একটি গ্রুপের আয়োজিত প্রোগামে কৌতূহলবশত গিয়েছিলাম। সেখানে একদল কবিতাকর্মীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। যাদের কাউকেই আগে থেকে চিনতাম না। আড্ডা দিতে-দিতে বুঝতে পারলাম, বাংলা কবিতার এই দুর্দিনে তাদের ছাড়া বাংলা কবিতার উপায় নেই! কবিতা নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনার কথা শুনে মনে হলো, বাংলা কবিতার ভবিষৎ নিয়ে তাদের ছাড়া চিন্তা করার আর কেউ নেই। আড্ডা দিতে দিতে তারা লিটলম্যাগ প্রকাশের আলোচনা শুরু করল, এক শ কবির কবিতা আর কয়েকটি গল্প, প্রবন্ধ গোছানো হয়ে গেছে। ব্যস, হয়ে গেল, লিটলম্যাগের কাজ!

আরেক দিন তো ফেইসবুকীয় কবি সম্প্রদায়ের এক সদস্য বাংলাদেশের লিটলম্যাগের গোষ্ঠী উদ্ধার করছিলেন। রীতিমতো আমাদের চার জনকে লিটলম্যাগের ওপর টিচিং দিচ্ছিলেন। জানালেন, তাদের একটা গ্রুপ আছে। সেখান থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিটলম্যাগ প্রকাশ করবেন। বর্তমান সাহিত্য সমাজে সেটা সাড়া ফেলে দেবে।ওই আড্ডায় আমি নতুন আর তিনি আমার অপরিচিত। তাই চুপ করে শুনছিলাম। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর তিনি যখন থামলেন, তখন বাংলাদেশের কোন কোন লিটলম্যাগ পড়েন জানতে চাইলে তিনি কোনো লিটলম্যাগের নাম বলতে পারলেন না। সময়ের কয়েকটি ভালো লিটলম্যাগের নাম বলে তাদের কোনো লিটলম্যাগের চেহারা দেখেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি সামনে একটি কাগজ দেখিয়ে বললেন, এটা আমার দেখা প্রথম লিটলম্যাগ। দেখলাম ওই কাগজটি নতুন, যেটা লিটলম্যাগের আদলেই প্রকাশিত। যার সম্পাদনায় যুক্তরাও ফেইসবুকের পরিচিত নাম।

যাদের সঙ্গে কিছু দিন আগে আমার পরিচয় হয়েছে, তবে তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করছেন। এবার ভাবুন, এই লিটলম্যাগ বিশেষজ্ঞ যখন কোনো লিটলম্যাগ প্রকাশ করবেন, তখন ওই কাগজটির চেহারা কেমন হবে! আমি ফেইসবুকে কবিতা চর্চাকারীদের মোটেই অনুৎসাহিত করছি না। কিন্তু যেখানে কোনো রকম মান না দেখেই, এডিট ছাড়াই লেখা প্রকাশের সুযোগ থাকে, সেখানে লেখার মানোন্নয়ন করা আমার কাছে কষ্টকর বলেই মনে হয়। আর ফেইসবুকীয়ে এইসব গ্রুপ ভিত্তিক কবিতাচর্চায় ভালো লিটলম্যাগের পাঠ যেমন অবদান রাখতে পারে, তেমনি প্রত্যাশা করি ফেইসবুকে সাহিত্যচর্চা আর লিটলম্যাগের আদলে করা কাগজগুলোর উদ্যোক্তারাও ফেইসবুক গ্রুপের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আরও গোছানো কাজ করতে পারলে, তাদের সাহিত্য আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
.............
২১ সেপ্টেম্বর , ২০১৫/ চিন্তাসূত্র

পুরো লেখাটি পাঠ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
www.chintasutra.com/2015/09/ফটোসপ-রুচি-বনাম-ফেসবুকীয়/

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত

২| ১৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরা লেখাটাই এখানে জুড়ে দিতে পারেন।

আপনার লেখাটা ২০১৫ সালের। এরপর প্রায় ৬ বছর চলে গেছে। ৬ বছরে ফেইসবুকেরও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ফেইসবুক এখন সাহিত্যচর্চার মূল প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। ফেইসবুকের কয়েকটা গ্রুপ ইতিমধ্যে খুবই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, আগের দিনের বড়ো কাগজ ও ছোটো কাগজের লেখকরাও এখন ফেইসবুকেই থিতু হয়েছেন, হয়ত অল্প কিছু ছাড়া। বড়ো পত্রিকাগুলোরও এখন অনলাইন ভার্সনও হচ্ছে। কাজেই, অফলাইন লিটল ম্যাগাজিনের উপর ফেইসবুকের প্রভাব এড়ানো এখন খুব কঠিন। আমি নিজেও ২০০৩ থেকে ২০১২/১৩ পর্যন্ত 'সবুজ অঙ্গন' নামক একটা লিটল ম্যাগ বের করেছি (ওটার মান এমনিতেই উন্নত না)। শেষের দিকে আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে ফেইসবুক আর ব্লগের লেখকদের উপর।

ফেইসবুক আসার আগেও লিটল ম্যাগ যারা করেন, তাদের মধ্যে গ্রুপিং/দলাদলির অন্ত ছিল না। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে সহ্য করতে পারতেন না, এখনো না। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের লেখাকে লেখা মনে করতেন না, লেখা ছাপতেনও না। তাদের সাহিত্য আড্ডাও ছিল গ্রুপ ভিত্তিক। এখন সেই দলাদলি অফলাইন আর ফেইসবুকে একীভূত হয়েছে, এই আর কী।

দলাদলি খারাপ কিছু না, যদি তা থেকে উন্নত মানের সাহিত্য সৃষ্টি হয়।

পোস্টের শেষের দিকের কথাগুলো খুব ভালো বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.