নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা
জোছনার গান
ধরুন প্রিয় কোনো গাছের পাশে চাঁদটা নেমে এলো
আপনার গলায় তখন নজরুলের গান
খালি রাস্তায় নীরব আলোর নাচন দেখতে দেখতে
রিকশাটা হেঁটে যাচ্ছে
সামনের গলি থেকে ঢেউ এসে সময়কে উড়িয়ে নিয়ে গেল...
তারপর কানামাছি খেলা;
লাটিম খেলার সতীর্থরা আমাদের হাত ধরে কোনো এক
বিকেল পালানো মাঠে নিয়ে গেল—
...সমুদ্রের কাছাকাছি।
পাহাড় দেখার সব ইচ্ছেগুলো পাশাপাশি রিকশায়
হাতে হাত ধরে হাঁটছে
তখনো আপনার গলায় ভেজা চোখের নজরুল;
ভেতরে অস্ফুট তোলপাড়
উদাস দৃষ্টিতে গোপন নেয়াশ।
ধরুন দৌড়ে আসা সন্ধ্যাটা মধ্য রাতেই থেমে থাকলো
আড়ালে জীবননান্দ একা একা হারানো হাসির তরজমা করছে
আবুল হাসান চিৎকার করে কাঁদছে
আপনি কি তখনো নজরুল গাইবেন?
না আমার হাত থেকে আপনার হাতকে আরো দূরে সরিয়ে নিবেন...
তিলোত্তমা, প্রযত্নে আড়িয়াল খাঁ
ছুটি হয়ে গেছে। স্থির আওয়াজ; কোকিল-জন্ম হারিয়ে যাচ্ছে আজ।
হইচই থেমে গেলে বেহালা তবুও বেঁধে রাখে কুঠারের তাল। বাজখাঁই ছবি থেকে মাটির সুবাস—পকেটভরতি তৃতীয় মুখের একান্ত উচ্চারণ—বিকল রেখেছে যৌগিক স্রোত। ঢেঁকির পাহাড়ায় গ্রামরোড; থেমেথেমে রসশ্রম—তলিয়ে যাচ্ছে কেউ!
তিলোত্তমা—তাবিন্দা নামের যে মেয়েটির নাম শুনেছিলাম এক বন্ধুর মুখে; বাংলা বলতে ইংরেজি বলে ফেলে। আজ তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। দেখতে ইচ্ছে করছে শাদা পৃষ্ঠার এই চিঠিখানা সে কিভাবে পড়ে! তার মুখে ছুটি শব্দটি কেমন শুনায়...
আঙুল থেমে গেছে—কথারাও থামিয়ে রেখেছে পথ। ঘুমন্ত আড়িয়াল খাঁ—কাউকে বলুন আমার খু-উ-ব তৃষ্ণা পেয়েছে; আমি আর উবু হতে পারবো না।
রাত্রি বিভ্রম
তোমার প্রশ্ন ছিল—মাছদের শীত নিয়ে হাঁসের এতো কৌত‚হল কেন! আমি বাবুই-জ্বরে নিমগ্ন তখন;
পুকুরে বিস্তর জলখেলা।
স্বাদে তুলনা তোমার—জুঁইয়ের কাছাকাছি। শহরের রঙ জ্বেলে ভেসেছো বেশ; কেন খোঁজো ঘুম। প্রশ্নটা তবু তোমার বাহুতে থেমে আছে ভ‚ক! তিলোত্তমা—আমি কালোসুখে শোক পুষি; আন্ধরে বিছানা কাঁদেনা আর...
কবিতা নিভে না মোমের অসুখে;
তোমার জংশনে লিখেছিলাম—সে কুয়াশা-গাড়ি।
রিমুভ রোডে রিকশা তোমার এলোমেলো খুব; সেই তো শহর—আমাকে চেনে বেহুশ ব্রা’র শরম।
—জানে না বহুরাত আমিও
ঘুম বেচে শিশিরোগ ছানি...
রূপের শহর কাছে-দূরে থাকে; পিঁপড়া-শিশু কাউকেই ভাঙিনা আর—বিনাবাক্যে একটা বালিশ খুঁজি
যার নরম পালিশে জড়িয়ে থাকবে তিলোত্তমার হাত
—রূপকথার ছবি!
নিমগ্নতা
বলুনতো এতো রাতে কেন আবার আপনাকেই মনে পড়ছে
আপনিতো দূরে থাকেন—
দূরে হাঁটেন
অন্য সিনেমার গানে গলা মেলাতে
খুউব ভালোবাসেন...
পুরানো তালে আমার ঘড়িতে
বেসুরো আগুন কেন কেঁদে ওঠে...
বুকের ঘড়িতে তৃষ্ণার্ত চোখ
এলোমেলো বাক্যে কেন আপনাকেই ডাকে!
আমৃত্যু মৃত্যুর মোলাকাত
এভাবে আর কতো দিন বিবেকের বেতাম খোলা রেখে তাকিয়ে কাটবে গোধূলি। জীবনের অহম পুড়ে পুড়ে অশ্লীল রৌদ্রের পুস্তকে নির্বাসিত হবে।
জোড়া হাত—
আয়ু বাড়ছে
আয়ু কমছে
রেগে উঠছে কলহের নগর।
সদর দরজায় খিল এটে খিড়কিতে মৃত্যুর মক্তব খুলে রেখেছো ইতিহাস; তালুতে এঁকেছো বাতাসী রঙের শ্লেট। নিভৃত ভাষার দুর্বৃত্তায়নে কেঁপে যাচ্ছে জীবনের সকাল। আমরা ভুলে গেছি আহত বৃক্ষের আয়তন, মসনদী অসুখে লাল চোখ আমাদের শাসিয়ে শিখিয়েছে সত্যের সীমারেখা! শহরের ফ্লাপে মৃত্যুর খড়গ
আমাদের তাড়া করে ফেরে,
দেশের পথে পথে
অবুঝ আগাছার মাতাল নৃত্য।
পাপের ট্রাক এড়িয়ে সবুজ ঘাসের কাছাকাছি থাকতে দাও প্রভু। মৃত্যুর মিছিল হেঁটে হেঁটে ততদিনে ক্লান্তি নামাক। আমরাও গুছিয়ে রাখি জলজ নির্মাণ, পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিবাদের রক্ত। পরি চলো আর একবার শহর—গ্রামে মানুষের সাহস ফিরিয়ে আনি, ফসলের হাতে হাত রেখে রুখে দাঁড়াই বৃত্তবদ্ধ চিন্তার বিপরীত দরজায়।
(`উপাসনা শেষ হলে‘ বই থেকে পাঁচটি কবিতা)
#অমর_একুশে_গ্রন্থমেলা_২০২৩
#সানাউল্লাহ_সাগরের_কবিতা
বাউণ্ডুলে প্রকাশন, স্টল নং ১৩৮
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুখপাঠ্য কবিতা। অবশ্য মনে যদি সুখ থাকে তবে।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: হুম, ভালোই লাগলো
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা ভালোই হয়েছ্বে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ। সবগুলোই ভালো লেগেছে।
কৌতূহল, বোতাম বানান ভুল আছে ভেতরে।
ভালোবাসা নেবেন।