নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা
করপোরেট
এমন নুইয়ে গেছি
জ্বলছে ছিন্ন পারাপার, শুয়ে গেছি ঘাসে…
অথচ নিষ্পাপ,
প্রখর জেল্লায়
গেয়ে যাচ্ছিলাম নদী।
বর্ণে স্বৈরিতা ছিল
পথের পতাকায় উঁচু ছিল সন্ধ্যের ধূপ
বিছানাবন্দি অক্ষরে স্নান শেষে
পুড়ে উঠতো পরান, ইচ্ছে হতো যদি—
আহারে—এমন ভেঙে যাচ্ছি
ফুলেল গৌরবে ভাসিয়ে নিচ্ছি বৈরিতা।
অন্য সময় চশমা ছিল
বুদ্বুদ ফুটতো চোখে
না বলে চলে যেতো হাওয়ায়…
নাব্যতা ফুরিয়ে স্রোত উঠছে হাতে
পায়ে পায়ে সরে যাচ্ছে মুখ
এই তো এখন কুকড়ে এমন
মিশে যাচ্ছি চাওয়ায়—
পৌষের রাখাল
বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে
মনে হয় হেসে ফেলি
হঠাৎ কেঁদেও ফেলতে ইচ্ছে হয়
জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে চুপ হয়ে যাই
পৌষের রোদ মুখে নিয়ে হইহই করে
এগিয়ে যাই
মনে মনে
ভাবতে থাকি রোদ বিচ্ছিন্নতা;
কখনো বদলে যায় নিরবতার রঙ
কচি সন্ধ্যার মুখে পরি’র কবুতর খেলে
মুহূর্ত অনেক
হিসেব থাকে না কোনো...
মায়ের কাছে চিঠি লিখি—
মাগো আমি রোজ বিক্রি হচ্ছি
মাগো আমি মাথা থেকে ছিলা’র সুবাস হারাচ্ছি
মাগো আমি আর ফিরবো না...
একটি বিশেষ মুহূর্ত
নিদ্রিত গানের মতো হেঁটে হেঁটে তব্দা খেয়ে যায়
মুঠো থেকে ছড়িয়ে পড়ে কাগজের পিঁপড়া
অনেক মুহূর্ত;
কোনো হিসেব থাকে না
চিতই পিঠার ভাপে উড়ানো হেঁসেলের
হদিস থাকে না
শিশির ঠোঁটে শহরে আসা যুবকের...
বাঁশি
ভাবছো হেরে গেছি
ছিঁড়ে গেছি কাঁটাতারে
গণনা করে দেখো প্রকৃত আমি
জিতে গেছি কবেই; ছুটি দিয়ে করতালি
অকারণে ডাকিনি বাঁশির মুখ
সীমানা থেকে হাত তুলে ডাকো
পৌষ এলো বলে
ধানের গন্ধে ছড়িয়ে পরবো
প্রার্থনার মাংসে—
ঘর পুড়ে গেছে জেনেছো ঠিক
আমিও খড় জমা করছি এখন
পুড়িয়ে দিতে কাফনের বুক...
কানাকানি
ফুরায় না কিছুই
প্রাপ্তিও রয়ে যায় বিশ্বাসের ঘরে;
না যাওয়ার মতো এসেছিল যে
সেও থেকে যায় মুগ্ধ স্বাদের ঘোরে…
বিচ্ছিন্ন হয়ে ওঠা স্বদেশ কখনো
লেপ্টে থাকে চোখের সীমানায়;
গন্ধের লোভে—
কিছু তো এমন ভিন বাহাসে রটে যায় বেঘোর
সমাপ্তি টানে না কোথাও;
স্পর্শ মুখর ঠিকানা থেকে ফিরে এলেও
জটিল করে না দৌড়,
অস্ত্রের ঠোঁট তাক করে থাকে
না হওয়া খবরের শার্টে; তবু
স্তব্ধতা এলে ঘুম ভেঙে যায়
বৃক্ষের গোপনে লুট হয় দিন—
অথচ কোথাও থেকে যায় দূরে যাওয়া রাত
সরে যাওয়া মাটি!
ফেইক আইডি
কার শরীরে জড়িয়ে পড়েছে আলোহীন ছায়া;
এতিম বরফের পাশে
আমিও উপবাসী—
ক‚লে ক‚লে সাঁতরে সমুদ্রের কি আর চেনা যায়!
যদিও চোখের অতলে ডুবিয়েছি
ছেঁড়া আসবাব।
মিহি স্পর্শে ভয়রঙা অন্ধকার—তুমিও জেগে আছো!
কী বিনিময় আছে এসবের?
লালশব্দে মুছে দিলাম।
পিছনের আয়না—এবার ইচ্ছে মতো ঘুড়ি ভাসাও;
ঘড়ির কাটা গুনে অতি সাবধানে আসছে ভোর
বৈভব দাঁড়িয়ে আছে মিত্রে!
শেষ রাতে এ্যাম্বুলেন্স বাজিয়ে
কার অসুখের কথা জানিয়ে গেলো...
প্রিয়তমা তুমি ভালো আছো তো?
#সানাউল্লাহ_সাগরের_কবিতা
#মেঘের_কার্তুজ২০২২
#অমর_একুশে_গ্রন্থমেলা_২০২৩
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কবিতাগুলো সুন্দর। এগুলো ব্লগের সম্পদ।