নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১ টি। (৮টি কবিতার বই, ২টি উপন্যাস ও একটি ছোটগল্পের বই।)

সানাউল্লাহ সাগর

সৃজনশীল লেখালেখি, গবেষণা ও সম্পাদনা

সানাউল্লাহ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাবের কারণে পান্তাভাত খেলে সেটাকে কি ঐতিহ্য বলা যায়?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১২

যে কোনো ঐতিহ্য কেমন করে তৈরি হয়? এই যে ধরেন আমরা পান্তাভাতকে বাঙালী ঐতিহ্যের অংশ মনে করি। প্রশ্ন হলো, যারা পান্তাভাত খায় বা খেত তারা কি পছন্দ করে খেতো নাকি বাধ্য হয়ে খেতো? যদি বাধ্য হয়ে মানে অভাবের কারণে খায় সেটাকে কি ঐতিহ্য বলা যায়?

ধরেন একটা সময় গ্রামের অনেক মানুষই অভাবের কারণে পেটভরে তিনবেলা খেতে পারতো না এখন এটাকে কি আপনি ঐতিহ্য বলবেন?
আমিও গ্রামে বড় হয়েছি। কিন্তু পান্তাভাত যে খুব খাওয়া হয়েছে তা নয়। তবে মাঝে মাঝে খাওয়া হতো। সেটা খুব শখ করে খাওয়া হতো এমন নয়। আগের দিনের ভাত-তরকারি বেচে যাওয়ায় কোনো দিন সকালে হয়তো মা রান্না করেনি। ওটাই আমরা খেয়েছি।

এখন ঢাকার জীবনেও মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। সেটাও শখ করে নয়। খাবার নষ্ট না করার ইচ্ছে থেকে। তবে পান্তা ভাতের সাথে জ্বাল দেয়া ইলিশ মাছ, ডালের বরা, পেয়াজ, পোড়া মরিচ আর ডিম ভাজি সাথে যে কোনো ভর্তাও খেতে আমার ভালো লাগে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি অভাবকেও একটা ঐতিহ্য ধরা হয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: আমরা তো অভাবটাকে ঐতিহ্য ধরছি।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

বিটপি বলেছেন: পান্তা ভাত সবাই অভাবের কারণে খায়না। সূর্য তেতে যাবার আগে অন্ধকার থাকতেই কৃষককে মাঠে যেতে হয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে কোন নাস্তা তৈরি করা সম্ভব নয় বলেই রাতে রান্না করা ভাতে পানি দিয়ে রেখে সকালে তা পেঁয়াজ মরিচ আর লবণ দিয়ে খেয়ে মাঠে কাজ করতে চলে যায়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন:
সারা বছর পান্তা খাইতে খাইতে আমগো হয় আলছার,
বছরে একবার খাইয়াই তারা কয়, এইডা নাকি কালচার!

কোথায় যেন এমন একটা লেখা পড়েছিলাম!

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফাহামের স্টেটাসের ইফেক্ট ব্লগেও চলে এসেছে!!

সেকালে ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর ছিল না বলে আগের রাতের অবশিষ্ট ভাতে পানি ঢেলে রেখে দেয়া হতো। ভাতে পানি দিলে সেটা পঁচতো না। সেটাই সকালে খাওয়া হতো। যাদের আগের রাতে কোনো ভাত অবশিষ্ট থাকতো না, তারা নিশ্চয়ই সকালে পান্তাভাত রান্না করতো না :) আবার যাদের অবস্থা ভালো ছিল, তারা হয়ত সব বেলাই রান্না করে খেত। কিন্তু মোটের উপর, গ্রাম হোক, বা শহর হোক, সকালে ভাত খাওয়ার অভ্যাস ছিল এরকমই।

ঐতিহ্য হলো অতীতের কর্মকাণ্ড, যার অন্তর্ভুক্ত থাকে শিল্প ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যভ্যাস, পোশাক-আশাক, ইত্যাদি।

ফাহাম সাহেব হয়ত জীবনে দুইবার ডিসগাস্টিং পান্তা খেয়েছেন, কিন্তু আমাদের ছোটোবেলা কেটেছে পান্তা খেয়েই। ওটা শখ করে খাওয়া না, ওটা ছিল আমাদের নিয়তি। আমরা বাজার থেকে লাটিম কিনেছি, নিজে বানিয়েছি। তার স্টেটাসে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে, সবই ছিল খুবই সহজলভ্য, হাতের নাগালে। এগুলোর মধ্য দিয়েই আমাদের শৈশব কেটেছে। আর ওটাই হলো গ্রামীণ ঐতিহ্য।

আমরা যে আজকাল শহরের মানুষেরা ১লা বৈশাখের সকালে পান্তা ভাত রান্না করি, ভাজা ইলিশ দিয়ে খাই, এটা কখনো বাংলার ঐতিহ্য না। পান্তা রান্না করা হয় না। আর গ্রামের মানুষের ইলিশ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার কোনো ঐতিহ্যও ছিল না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

নতুন বলেছেন: পান্তা খাওয়া হতো কারন তখন রেফ্রিজারেটর ছিলো না। সকালে পান্তা ভাত, ডিম ভাজা/আলু ভর্তা আগের মানুষ অনেকেই খেয়েছে।

যাদের বাড়ীতে মেহমান বেশি আসতো সেইসব বাড়ীর মা খালারা সব সময় ভাত বাড়তি রান্না করতেন, সেটা সকালে পান্তা হিসেবে থাকতো।

যারা পান্তা খাওয়াকে ডিসগাস্টিং মনে করে তাদের মতন কুলীনদের বাঙ্গালী পরিচয় দেয়া বন্ধ করা উচিত।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: শখ করে কেউ পান্তা খায় না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমি পান্তা ভাত পছন্দ করি ।
পান্তার সাথে আলুভাজি ও ডিম ভাজা সাথে লবন ,পেয়াজ ও একটা শুকনা মরিচ । এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খাবার । গত পরশুও খেয়েছি । অন্যকিছু খেতে ভালো না লাগলেই গরম ভাতে পানি ঢেলে ঘন্টা খানেক ভিজিয়ে পান্তা ভাত তৈরি করা হয় । এর মধ্যে যারা ঐতিহ্য খোজে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১০

শায়মা বলেছেন: আমি সেই পহেলা বৈশাখ থেকে এই কয়দিন পান্তা ভাত দিয়েই সেহরী খেয়েই চলেছি। অনেক ভালো লাগছে। শান্তি লাগছে। অভাব হোক আর অভাব না হোক যা কিছু করা হয় নিয়মিত যা মানুষ করে যায় কোন এক জাতিতে পেশাতে সেটাই তো আসলে ঐতিহ্য।

কাজেই অভাবে খাক আর শখে খাক বাঙ্গালী পান্তা খাবে খেয়েছে এটাই ঐতিহ্য। :)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কয়েকজন ইতোমধ্যে বলেছেন, তাও বলি- সবাই অভাবের কারণে খায় না। অনেক সময় দেখা যায় রাতে ভাত বেশি হয়ে যায়। তখন কী করবেন? ফেলে দেবেন? না কি পান্তা খেয়ে ফেলা ভালো? পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ মাখিয়ে পান্তা খাওয়ার মাজেজা ফাহাম (মীর্জা ফখরুলের মেয়ের জামাই সম্ভবত) বা অনেকেই বুঝবে না।
আর ঐতিহ্য ব্যাপারটা গরিবি আনা থেকেই হয়। আমি ভবন করার সামর্থ্য হলেও একটা মাটির ঘট রেখে দেব। আমার পূর্বপুরুষের স্মৃতি রেখে দেব। শেকড় ভুলতে হয় না। শেকড় ছাড়া গাছ টিকতে পারে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.