নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৭০

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৪

মায়াময়ী,
পৃথিবীতে আসলে বেঁচে থাকার জন্য কাউকে খুব দরকার হয়।যতই মুখে আমরা বলিনা কেন,অন্তরে কারও শূন্যতা অনুভব করে সব মানুষ।
কেউ একজন থাকতে হয়,যে অকারনে হাসাবে,ইচ্ছে করেই কাঁদাবে।অথবা ঠুনকো রাগ আর অভিমানের ভাষায় ভালোবাসার গল্প শোনাবে,
কেউ একজন থাকতে হয় ঝগড়া করার মত।ইচ্ছে করে রাগানোর মত
যার অভিমানী মুখের ছায়াতে হৃদয় জুড়াবে কখনো মিষ্টি হাসির আড়ালে।
এ মনের যত দুঃখ বেদনা আনমনে পথ হারাবে!কেউ একজন থাকতে হয়
যার হাত ধরে শ্রাবণসন্ধ্যায় অনুভূতির বর্ষণে ভেজা যায়।যার জন্য একাকী রাতের নিস্তব্ধতায় নিঃসঙ্গতা গল্প কবিতা লেখা রয়।যে অপেক্ষা করে ঘরে ফেরার যার অপেক্ষায় ফেরারী সময় দিন রাত্রি ভুলে যায়!কেউ একজন থাকতে হয় যার হাসিতে হাজার জনম বাঁচতে মন চায় যার কষ্টে অস্থির মন নরম আদরে অশ্রুকণা মুছে দিতে চায়।কেউ একজন থাকতে হয়
যার ছবি ভাসে নীল মেঘ কিংবা রংধনুর অন্য পাশে আকাশ ভরা তারার ভিড়ে চোখ বুজলেও যারে খুঁজে পাওয়া যায়।কেউ একজন থাকতে হয়
কিছু না বলেই যে সব বুঝে নেয় চোখের ভাষাতে যে দূরে যায় ভালবাসার ছলে তবু সারাক্ষণ রয় ছায়ার মত কি আলো কি বা আধারে,কেউ একজন থাকতে হয় যার দুষ্টামিতে হৃদয় ভরে যায় যার কারণে ঘুম আসে।কখনোবা আদরমাখা কণ্ঠের তীব্রতায় ভোরের ঘুমও হার মানে কেউ একজন থাকতে হয় যার ছোয়াতে নতুন স্বপ্ন মিশে রয় জীবনের প্রয়োজনে নয় নিজেকে চেনার অভিনয়ে শুধু ভালবাসার সুখ পেতে নয় বিরহের আনন্দ দহনে হৃদয় পোড়াতেও কেউ একজন থাকতে হয়।কেউ একজন থাকতে হয় যার প্রতিটা চায়ের চুমুকে তার নানান রকমের কথার ভংঙ্গীমা আমাকে হাসতে শিখাবে,কাদতে শিখাবে, ভালবাসতে শিখাবে।
শিখাবে যে শুধু আমি একা নই আমার ছায়া হিসেবে তার ভুমিকাও আছে।
আর আমার সেই কেউ একজনটা তুমি হলে ভাল হয়।বড্ড বেশি ভাল হয়।কারন এটা আমার কোন চাওয়া না কোন অভাব নয় এমন কি শূন্যতাও নয়।এটা আমার অস্থিত্ব,এটা আমার সত্ত্বা।আমর নিউরন এই ধারা প্রবাহমান যার মাঝে তুমি মিশে আছো।এটা কোন ভিখেরিপনা নয় বা নয় কোন কাঙ্গালিভোজ,এটা কোন হাত পেতে চাওয়া নয়।এটা আমর জন্মান্তরের দাবী।এই একটা জীবন ভাল মন্দ,চুলার আগুন বা বসন্তের ফুল যেমনই হোক আমি তোমার সাথে কাটাতে চাই।যদি পুড়ে মরা লাগে তাই সই।যদি তীব্র ব্যাথা লাগে তাই সই।তবুও আমার এ অনন্ত কাল রাত্রীর বিদায়য়ে আগমনী যে ভোর হয় সেই প্রতিটা ভোরের সোনা রোদে,আমি তোমারই চাঁদমুখটা দেখে ঘুম থেকে উঠতে চাই।
আমি আসলে শক্ত প্রেমিক হতে চাই তোমার,না পাথরের মত নয় যা কঠিনতম করে গড়ে হৃদয়,না বরফ খন্ডের মত নয় যা সামান্য উষ্ণতার ছোঁয়ায় গলে যাবার ভয়।শীতের ভোর বেলার কুয়াশার মত বরং
লোকে দেখে বলবে এতো আবেশিত নরম,কিন্তু ভেদ করেও ছোয়া যাবে না তাকে,যে প্রতি সকালেই তার অস্তিত্ব এর প্রমাণ রাখে।
আমি চাই এমন একটা সময় আসুক যখন পৃথিবীতে সকলের সামনে দাড়িয়ে বলে দি আমি এই মেয়েটির জন্য পৃথিবীর সবথেকে বড় যোদ্ধাটার সাথেও যুদ্ধ করতে পারি,এবং সে সময়েও যেন আমার হাটু না কাঁপে।
আমি এতোটা শক্ত হতে চাই,যেন সবাইকে বলতে পারি কোন জনসভায় বা লোকারন্যে এই মায়াবতী টাকে আমি সামাজিক ভাবে গ্রহন করাস ইচ্ছে পোষন করি,যদিও বা লিপষ্টিক নষ্ট করতে পারি কিন্তু ঐ চোখের কাজলকে কখনই নয়।যদি এক মিনিট ও সেই কাঁজল নষ্ট হয় তবে আমি পুরো দেশ অঁচল করে দিব এতটুকু বলতে যেন আমার গলা না কাঁপে।
আমি শক্ত হতে চাই বলতে চাই যে,যতই তোমাকে হারাবার ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটুক না আমার ঐ চোখের মায়াতে আর কাউকে হারাতে দিব না।
না হলে আমি পাগল হয়ে যাব আমার আত্মার শান্তি হবে না।ঐ চোখের জলে আমি ডুবে,হ্যা শুধু মাত্র আমি ডুবে শহীদ হবো,এই কথাটিও চিৎকার করে বলতে যেন গলা বাষ্পরুদ্ধ না হয়।
আমি দৃঢ় হয়ে শুধু একবার বোঝাতে চাই,তোমার নিশ্চুপতায় কি অকল্পনীয় প্রহরগুলো কাটছে আমার।তবে যতই নিশ্চুপ থাক না কেন আমার সবখানেতে তুমি থাকবে।তুমি থাকবে আমার সকল সামাজিক সৌজ্যনতায়,সভা,সেমিনার, অভিজাত রেস্তোরা, আর্টগ্যালারি, বইমেলাতে যেখানে আমি যাই যতই অদৃশ্য ভাবে হোক তবু দৃঢ় ভাবে থাকবে।
এই তোমার নিশ্চুপতা নিয়ে,পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদককে নতুন লেখা পাঠাবো,ম্যাগাজিনের সৌজন্যকপি হাতে পেয়ে নিজের লেখাটাই আগে পড়বো যেখানে পৃষ্ঠা ভোরে ছাপার অক্ষরে লেখা থাকবে শুধু তোমারই নাম।নিত্যদিন বোহেমিয়ান হেঁটে যাবো পিছু পিছু ভেবে নেব তুমি আসছো।এই তুমি কিন্তু শাড়ি পড়বে,কাঁজলদেবে চোখে না হলে কিন্তু কঠোর আন্দোলন চলবে।কারন এই শাড়িতে তোমায় আমি দেখলে আমি ইহজাগতিক চেতনা লোপ পায়,আমর আমি থেকে হয়ে যাই তোমার আমি।তুমি সবজায়গায় বিরাজমান আছো আমার সদা সর্বত্র।কোন নিরিবিলি রাস্তায়, টং থেকে চা খাবো,বিলবোর্ড দেখবো সেখানেও তুমি থাকবে।থাকবো,তুমি আমি আমরা শহরের নিয়মতান্ত্রিক জটিল জীবনে,
শুধু তুমি ও আমি মিলে আমরা হবো,আর তুম আমি কুটি কুটি নিয়ে হবে হাওয়াই সংসার।
শুধু এতটাই বলি ভিক্ষা নয়,কাঙ্গালপনা ও নয়।শুধু জীবনের জন্যে তোমাকে চাওয়া।সেই যে একটা কথা আমি বলি সবসময়"প্রয়োজন বলে তোমায় ভালবাসি না,ভালবাসি বলেই তোমার বড্ড প্রয়োজন"।জন্মান্তর থেকে তোমায় চাইছি,আমার জন্ম নিয়ে তোমাকেই চাইব গ্যারান্টেড।শুধু একটুকুর অপেক্ষা করি,নীরবতা ভেঙ্গে তুমি আমায় তুমি করে বলবে আর জিজ্ঞাসিবে তুমি এত পাগল কেন?আমি সেদিনও বলব নতুন কিছু নয় গত জন্মেও এমন ছিলাম এই জন্মেও তাই আসছে জনমে আমি তোমারই জন্যে এমন পাগল হবো।
ইতি
তোমার বদ্ধপাগল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: পাগল ছাগল বদ্ধ পাগল, সেও পাগল ওঔ
ছাগল। ও না পাগল পাগল মহা পাগল
ভালবাসা গোল, প্রেমও গোল। রম্য বাদে
যাহারে চিনি সে হোল মহা জ্ঞানী, রতনে
চিনে রতন খানি। তাইতো মহাজ্ঞানী।
ধন্যবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: বাপরে মাথা ঘুরিয়ে গেল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.