নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে আমি এখন একটা বিশাল মার্কেট ভবনের
সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সাধারণ মানুষ
গা ঘেঁষে চলে যাচ্ছে, কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।
আমাকে নিতান্ত
‘সাধারণ মানুষ’ ভেবে অবহেলা করছে। এসব আমার
ভালো লাগছে নাহ্। আমি কি
ওদের মত সাধারণ? অবশ্যই না, আমিতো উড়তে পারি!
সামনে আমার, বিরাট রাজপথ। তার ওপাশে মাঠ।
আমি উড়ে গেলাম...
***
আমি এখন ফার্মগেইটে। একটা ব্যাকপ্যাক কিনতে হবে। একধরণের
ঝোলার মত ছোট্ট
ব্যাগ বের হয়েছে। সেগুলোর খুব চল্।
দামাদামি করে, মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে ব্যাগটা কিনে, রাস্তায়
নামতেই নিজেকে
হালকা মনে হলো। আমাকে এখন স্কুলে যেতে হবে।
আমি ব্যাগটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভেতর দিয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ
মাটি থেকে ফুট
কয়েক উপরে উঠে গেলাম। আর বুঝতে পারলাম আমি উড়ছি।
কিছুক্ষণ এলোপাথাড়ি উড়ে বেড়িয়ে বুঝলাম ওড়ার
ব্যাপারটা অনেকটা সুপারম্যান
এর মতোই। হাত দিয়ে ‘দিক’ ঠিক রাখতে হয়।
ওহ্! ওপর থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানুষ আর রাস্তাঘাট দেখা যাচ্ছে।
ভাবছি
সামনেইতো স্কুল। এখানে নামলেই হবে। আমি নামতে যেই যাবো,
হঠাৎ ভোঁ করে
উঠতে থাকলাম সামনে- উপরের দিকে, সব
নিচে ফেলে উড়ে গেলাম।
নিচের লোকজন ভিড় করে আমায় দেখছিলো। রাস্তায়
জটলা পাকিয়ে গেছে। কারো কারো
হাতে দেখলাম মোবাইলের ক্যামেরা চালু করে আমার দিকে তাক
করে ধরা। বোধয়
টিভির খবরে টবরেও দেখাবে আজ!
***
আমি একটা জায়গায় এসে একটা ঝোপের উপর হঠাৎ সাঁই
করে পড়ে গেলাম। কিন্তু এত
উঁচু থেকে পড়েছি। হাত- পা ভেঙ্গে যাবার কথা। তবে খেয়াল
করলাম, ত্যামন
কিছুই হয়নি। আশেপাশে তাকিয়েই চক্ষু চড়কগাছ!
এমা! এটাতো একটা মেয়েদের স্কুল! এই স্কুলের মেয়েদের
নামে যা শুনেছি!
বাবারে বাবা। আমি স্মার্ট ছেলে! এখান থেকে বেঁচে, ইজ্জত
নিয়ে বেরুতে
পারবো তো?!
পালানো দরকার...
***
আমি স্কুলে।
ক্লাসরুমে ঢুকতেই দেখি আমার শত্রু “revengerz’ group”
এর খাটো ছেলেটা
স্যারের সাথে কথা বলছে। ভাবলাম বুঝি নালিশ-ফালিশ দিচ্ছে।
স্যার ফোঁসফোঁস করে বেরিয়ে গেলেন। এরপর দেখলাম
দলে দলে সব স্যাররা
এদিকে আসছে, ভাবলাম কি না জানি করবে। হয়তো বিচার
সভা বসিয়ে আমার বাপ ডাকাবে!
আমাদের দেশে একজন খুব বড় মাপের বিজ্ঞানী আছেন।
তিনি একবার একদল বিদেশী
সৈন্যের কাছ থেকে কায়দা করে রক্ষা পেয়েছিলেন। তার উপর
বানানো
প্রামাণ্যচিত্র এখন স্কুলে-কলেজে দেখানো হয়।
তিনি বর্তমানে দেশের
বিজ্ঞান- মন্ত্রী।
পরে জেনেছিলাম, আমাদের স্কুলে ওই বিজ্ঞানী সম্পর্কে ‘ভিডিও
ফুটেজ’ দেখানো
হত নাকি।
তাই স্যাররা দলে দলে আসছিলেন। বিজ্ঞান মন্ত্রীও নাকই
আসবেন।
আমি বেরিয়ে পড়েছি ততক্ষণে স্কুল পালানোর জন্য। কিন্তু
বাইরে বেরোতেই
দেখি পুলিশ!!! বিজ্ঞান মন্ত্রী নাকি বলেছেন সেই উড়তে-পারা-
ছেলেটাকে ধরতে।
আমি ছুটলাম মাঠের দিকে। মাঠ থেকে উড়তে চেষ্টা করি। হয়না।
পারিনা।
বিজ্ঞান মন্ত্রী তার আগেই আমার সামনে চলে আসেন।
তিনি আমায় বললেন, “এতো অস্থির কেনো তুমি? এরকম সব
ব্যাগেই উড়ার ব্যবস্থা
আছে। বানানো হয়েছিলো সামরিক বিভাগের সৈন্যদের জন্য। ভুল
করে বাজারে
সাপ্লাই করা হয়ে গেছে। কোনোদিন কেউ ওড়ে নি। এখন তোমার
কাজ দেখে সবাই যদি
উড়তে থাকে ভাবো তো কি হবেখন? তবে যাই হোক, ওড়ার মেথড
আবিষ্কার এর জন্য
পুরস্কার হিসেবে তোমায় ওটা দিলাম। তবে মিসইউজ কোরো না...
”
***
অবশ্য এর পর শত চেষ্টা করেও আমি উড়তে পারিনি। প্রথম
দুবার কীভাবে কীভাবে
যেনো হয়ে গিয়েছিলো বলে উড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন
তো আমি আবার আগের মতই,
স্বাভাবিক ভাবেই সব চলছে। কিন্তু তাই বলেই
কি আমি সাধারণ??? আমিতো উড়তে
পারতাম...
----
গল্প শেষ. এই গল্পটি আমি স্বপ্নে পেয়েছিলাম। ক্লাস টেনে থাকতে লেখা এই গল্পটি আমার জীবনে লেখা প্রথম গল্প
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৪
সন্ধি মুহিদ বলেছেন: :/
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪
নিলিমা আকতার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম