নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Shondhi Muhid

সন্ধি মুহিদ

ভেতরে বৈরাগ্য, বাইরে সংসারী মুখোশ!

সন্ধি মুহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকালবেলার কর্কশ কা-কা

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৯

কিছু লোক আছে যারা সুখে থাকার ভাণ করে। মানুষকে দেখায়, "দ্যাখ, আমি কত সুখী!" কিন্তু তারা যদি অসুখী হয়েও সুখের ভাণ করে, আমি মাঝে মাঝে সেটা টের পেয়ে যাই। অনেকেই টের পেয়ে যায় হয়তো। আবার কিছু লোক আছে, এরা দুঃখের ভাণ করে। হয়তো তাদের দুঃখ এতটা বেশি না। কিন্তু তারা এমনভাবে দুঃখের গল্প বলবে, আপনার চোখে জল এসে যাবে। বা তার জন্য আপনার করুণা হবে।



আমি দ্বিতীয় শ্রেণির লোক। এবং আমি মোটামুটি সফল। অনেক মানুষ ধরেই নিয়েছে, আমার ভীষণ দুঃখ। প্রেম করে ছ্যাঁকা খেতে খেতে আমি বিদ্ধস্ত! আমার কোনো প্রেমই টিকে না, এই ধরণের একটা ধারণা তারা করে ফেলেছে। কয়েকজন এসে আমাকে বলেছে, "আর প্রেম না করলে হয় না? এত ছ্যাঁকা খেয়েও তোর মন ভরে না? টায়ার্ড লাগে না? প্রেম ছাড়া লাইফে আর কিছু নাই, এইবার ক্ষ্যান্ত দে!" আমিও বিভ্রান্ত হয়ে যাই, আসলেই কি সব প্রেমেই আমি ছ্যাঁকা খেয়েছি নাকি?



আমি আবিষ্কার করেছি, খুব নরমাল জীবনযাপন করে আমি মজা পাই না। আমার দুঃখ, বিপদ, ঝামেলা এইসব না থাকলে ভাল লাগে না। আমি দেখেছি, যেই মেয়েটাই আমাকে উজাড় করে ভালোবাসার চেষ্টা করেছে, আমি তার প্রতি কোনো আগ্রহ বোধ করিনি। নিতান্ত আমার ভেতরে মায়া বেশি বলে তাকে ফট করে ছেড়ে চলে যেতে পারি নি! তাকে এমন সিচুয়েশনে ফেলেছি, যাতে সে নিজেই আমাকে ঘৃণা করে এবং ছেড়ে চলে যায়। চলে যাওয়ার পরে আমি কষ্টও পেয়েছি। কষ্ট পেয়ে কান্নাকাটিও করেছি। উপায় ছিল না।



আগুণ যে জ্বালায়, সে নিজেও পোড়ে। আমিও পুড়েছি। আমি সবসময় দাবী করেছি, আমার প্রথম প্রেমিকা, যার সঙ্গে আমার দুই বছর (এখন পর্যন্ত সবচে দীর্ঘ) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, সে আমাকে কাঁদিয়ে চলে গেছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে সে আমাকে কাঁদিয়ে চলে গেছে। কিন্তু তাকে চলে যেতে বাধ্য করেছিলাম আমি। এটা খুব বেশি লোকে জানে না। আপনি আমাকে খারাপ ভাবতে পারেন বাইরে থেকে। কিন্তু আমি তাকে অকারণে বাধ্য করি নি। আমাদের ভেতরে ভয়াবহ সমস্যা ছিলো বলেই বাধ্য হয়েছি, বাধ্য করেছি পুড়তে এবং পোড়াতে।



'লুতুপুতু' নামক শব্দটার সাথে আমার পরিচয় ফেইসবুকে এসে। ইতোমধ্যে আমার বয়স প্রায় ২০ বছর হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমার সকল রসকস শুকিয়ে আমি কাঠখোট্টা হয়ে গেছি। লুপুপুতু প্রেমের জিনিসটা আমার মধ্যে আর নাই। এটা আসলে ভালই হলো। এখন যুক্তি দিয়ে বিচার করতে শিখেছি। আমি দেখেছি, প্রেমে সিরিয়াস হলেই সমস্যা হয়। তাই এখন প্রেমে নির্লিপ্ত থাকতে শিখে গেছি। এখন যুক্তি দিয়ে এমন কারো প্রতীক্ষায় আছি, যে আসার পরে আমার মনে হবে, আর কাউকে খোঁজার দরকার নেই। এক্সপ্লোরেশন শেষ! আমার মনে হয়, তাকে আমি শীঘ্রই পেয়ে যাবো। ইঙ্গিত পাই।



যেটা বলছিলাম, আমি কিন্তু কখনো কারো কাছে নিজের খারাপ কাজগুলো লুকিয়ে রাখি নি। সব সময় প্রকাশ করেই দিয়েছি। যারা আমাকে খারাপ বলে বেড়ান, তারা নিজেরাও যে খুব ভালো লোক নন, তা তারা নিজেরাও জানেন। খারাপ সবার মধ্যেই আছে। কেউ লুকিয়ে রাখে, কেউ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে, কেউ বলে বেড়ায়। তবে আমি বলে বেড়িয়েছি এই কারণেই যে, দোষ স্বীকার করলে শাস্তি কম হয়। আবার, দুঃখ দেখালে মানুষের সহানুভূতিও পাওয়া যায়। একটা গ্লাস ভেঙে আমিই যদি কেঁদে ফেলি, আপনি আমাকেই সান্ত্বনা দেবেন, গ্লাস ভাঙার জন্য বকবেন না!



আমার এখন কোনো দুঃখফুঃখ নেই। আমি প্রায় ১৫ দিন যাবত নতুন কোনো কবিতা লেখার উৎসাহ পাচ্ছি না। বরং গদ্য লিখে মজা পাচ্ছি। তবে এ - সব লেখাই পরীক্ষামূলক। আমার মনে হচ্ছে, ঈশ্বর যেন আমাকে ঠিক পথেই পরিচালিত করছেন। উনি যা করেন, ভালোর জন্যেই করেন আমার মনে হয়। আচ্ছা, আমি অনেক আজাইরা প্যাচড়প্যাচড় করি তাই না? আপনি বিরক্ত হন? এটা ভাল। বিরক্ত করতে পারাও মহৎ গুণ। সবাই শৈল্পিকভাবে বিরক্ত করতেও জানে না। আমি জানি। -_-



১৬-৭-১৪

'সকালবেলার কর্কশ কা-কা' / সন্ধি মুহিদ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

আকিব আরিয়ান বলেছেন: যাক! ফেবুর স্ট্যাটাস পড়তে পড়তে অনেক কিছুই আমার দৃষ্টিতে এসেছিল, এখনও ফেবু স্ট্যাটাস মনে করে পড়ে নিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.