নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Shondhi Muhid

সন্ধি মুহিদ

ভেতরে বৈরাগ্য, বাইরে সংসারী মুখোশ!

সন্ধি মুহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব্যোমা ৩১

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০২

১.
চায়ের কাপে চুবিয়েছি বরফের চাঁদ
চারপাশে উড়ে যায় বরফের ধোঁয়া।
চাঁদের রোঁয়ায় হাত ছোঁয়াতেই
অট্টকান্নায় ভেঙে পড়লো আকাশ।

২.
মেয়েটা মোমের মত, তার ঠোঁটে ঠাণ্ডা কিছু ছিলো।
হাতে হাত রেখে মনে হত গলে যাচ্ছে মোলায়েম মোম।
মেয়েটা বুকের ভেতর শীতলতা জমা করে রেখেছিলো।
তার কাছাকাছি যেতেই শীতে কাঁপতাম আমি।
তবু তার বুকে মুখ লুকিয়ে উষ্ণতা খুঁজে পেতাম প্রতিদিন,
আমার জন্যেই জমিয়ে রেখেছিলো সে সবটুকু প্রেম।

৩.
কবিতা কখনো ভুল বোঝে না,
দুঃসময়ে ঠিকই এসে কাঁধে হাত রাখে।
মমতাময়ী স্ত্রীর মত বুক পেতে দেয়,
বলে, "এসো, বুকে মুখ গুঁজে কাঁদো!"

কবিতা তবুও কতটা নিষ্প্রাণ, তুমি জানো!
আর তুমি মানুষ হয়েও আমাকে বোঝো না।
অথচ তুমি আমার কাছে কবিতা থেকেও প্রিয়,
কবিতার থেকে তোমাকেই অধিক ভালোবাসি।

তুমি তবে কবিতাই হও!

৪.
আমার বুকের ভেতরে জমেছে বারুদ,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালেই জ্বলবে আগুন!

৫.
তোমাকে না পেয়ে শেষে
বুকের বারুদ পোড়াতে আজ-
চুমু খেলাম সিগারেটের ঠোঁটে!
ধোঁয়া হয়ে উড়ে গেলো প্রেম।

৬.
আজ আকাশে ছিলো এক বরফরঙা চাঁদ,
চাঁদ দেখে উদাস পাখি হবার আগেই
মেয়েটি আমার পিছু ডেকেছে।
হাতে আমার বেঁধেছে রাখী।

হাতে তার একফালি রূপালি আয়না!
মেয়েটি আয়না এনে দেখালো আমায়,
"দেখুন, হাতে করে চাঁদ এনেছি!"
মুচকি হেসে মুখ ফিরিয়ে চাঁদ দেখেছি।

দেই নি উড়াল, মেয়েটি আমায় বেঁধেছে মায়ায়,
মাঝে মাঝে বায়না হয়েছে চরে বেড়াই
এখান থেকে, ওখান থেকে কুড়িয়ে খাই।
মেয়েটি আমায় ত্যাগ করে নি তবু!

৭.
তোমার জন্য আমার কেবল ঘেন্না হয়,
আর কান্না পায়।

যখন মনে পড়ে-
আমাকে ভুলে তুমি এখন
অন্য কারো কাছ থেকে খুঁজে নিচ্ছো
যা যা তোমার প্রয়োজন।

তুমি এখন ভুলে গেছো
একদিন আমাকেই ছিল তোমার সবচে বেশি প্রয়োজন!
আজ আর আমাতে তোমার রুচি নেই।

৮.
ঈশ্বর আজকাল উদার হয়ে গেছেন।
মেয়েটি আমার গালে চুমু খাবার পর-
বোনাস হিসেবে পেয়েছি কমলালেবুর ঘ্রাণ!
অথচ তার ঠোঁটে সেঁটে ছিল গোল্ফলিফ।

এতদিনের জমানো ভালবাসার খানিকটা
আজ উজাড় করে দিলাম,
তার হাতের পিঠ আর আমার ডান গাল
সে সব চুমুর সাক্ষী ছিলো!

৯.
আমার জ্বর,
তুমি ফিরে তাকাও একবার।
কপালে ছুঁইয়ে যাও...
তোমার অধিকারবোধের শীতল স্পর্শ!

পথে প্রান্তরে অলিখিত ভাঙচুর,
দানবের মত যানের আঘাতে ল্যাপটানো
মানবদেহের রক্তাক্ত অংশসমূহ রাজপথে।
এদিকে ব্যতিব্যস্ত সবাই নিজস্ব মল প্রসবে।

আমি বিছানায় ভেঙেচুরে শেষ,
তোমার পরিত্যক্ত খোলসে অপরিচিত ঘ্রাণ!
আমার কপালে তোমার চুমুর ছাপ!

১০.
হাল ছেড়ো না, হাত ছেড়ো না প্রিয়, দুঃসময়ে তোমার প্রেমের পরম পরশ দিও!

১১.
আমার সমস্ত অন্তর ছেয়ে ফেলেছে নিকোটিন,
এভাবেই একটু একটু করে ফিকে হচ্ছি প্রতিদিন!

১২.
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একদিন একটা ট্রাকের নিচে পড়ে যাবো।
মড়াৎ মড়াৎ করে আমার হাড়্গুলো ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবে।
কিন্তু হৃদয়টা ফুড়ুৎ করে উড়ে যাবে।
উড়তে উড়তে কোথায় যাবে জানি না।
আমার হৃদয়টার কোনো আশ্রয় নেই।
অতৃপ্ত আত্মা হয়ে আমার হৃদয়ের হাহাকারসমগ্র এই আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াবে।
পুরনো প্রিয়তমাদের বারান্দায় তাদের ভেজা অন্তর্বাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে চেনা গন্ধ অন্বেষণ করে বেড়াবে।
কিন্তু সেখানেও সে অনাহূত।
সেখানেও সে দেখবে যে তার সেই চেনা প্রেমের ছিঁটেফোঁটা অবশিষ্ট নেই।
আকাশে বাতাসে কান্না শোনা যাবে।
আমার হৃদয়ের হুহু কান্না।

১৩.
আমাদের চুম্বন মুহূর্তে -
অরণ্যের আর সব থেমে যাক,
আমাদের ঘিরে উড়ে যাক,
চুমুভোজী দু'একটা কাক!

(সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ২০১৪)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

মামুনূর রহমান বলেছেন: সবগুলোই সুন্দর । ++++

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

 বলেছেন: +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.