![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একঃ
"কোনও সন্দেহ নেই চার মাস ধরে পুড়ে চলা এক অপমানের বৃত্ত এ দিন মীরপুর মাঠে শেষ করে ফেললেন এগারো বাঙালি। কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়ে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ‘মহাভারত’-কে ধুলোয় মিশিয়ে। কিন্তু ম্যাচের সেটা একমাত্র আঙ্গিক ভাবলে চরমতম অন্যায় হবে। বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল ফ্লুক ছিল না। দেখিয়ে দিল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জয়কে আশ্চর্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার কোনও দরকার ছিল না। এশীয় ক্রিকেটে তো বটেই, গোটা ওয়ান ডে পৃথিবীতেই তারা এখন দুর্নিবার শক্তি। যারা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে। পাকিস্তানকে পারে। ভারতকেও পারে।
পারে এক অজানা আতঙ্ককে লেলিয়ে দিয়ে।
......আসলে এটাই এখন বাংলাদেশ। যারা আর ক্রিকেটীয় হীনমন্যতায় না ভুগে নিয়মিত তুলে আনছে পরের পর প্রতিভা। কেউ বিকেএসপি থেকে উঠে আসছেন। যাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আতুঁড়ঘর বলা হয়। কেউ বা আসছেন স্কুল ক্রিকেট থেকে। নামগুলো কখনও সৌম্য সরকার। কখনও তাসকিন আহমেদ। আজকের পর বাংলাদেশের পক্ষে সিরিজটা ১-০ হয়ে গেল। অঘটন বললে যে গৌরবকে অপমান করা হবে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম তিনশো, প্রথম উইকেটে প্রথম বারের জন্য একশো রানের পার্টনারশিপ করে দেওয়া, কোনটা বাকি থাকল। ভারত শেষ পর্যন্ত সিরিজ জিতবে কি না সময় বলবে। কিন্তু এমএসডি একটা ব্যাপার বুঝে মাঠ ছাড়লেন। এটা আর অতীতের বাংলা নয়। অন্য বাংলা। নতুন বাংলা।
শের-ই-বাংলা! "
চমৎকার এই লেখাটি আমার নয়,কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়ের । সম্ভবত তিনি পত্রিকাটির ক্রীড়া সাংবাদিক। রাজর্ষির লেখাটির প্রথমাংশে "চার মাস ধরে পুড়ে চলা এক অপমানের বৃত্ত..." - এই "অপমান" শব্দটি কোন উরথে তিনি প্রয়োগ করেছেন ই-মেইলে জানতে চেয়েছি। দেখি উত্তর পাই কিনা। এখানে অপমান শব্দটির সাথে বা থেকে ''অন্যায়'' শব্দটির প্রয়োগ ই যথার্থ হত বলেই আমার ধারনা। এটাও তাকে জানালাম।
যাই হোক লেখাটা ভালো লেগেছে । বোঝা গেল , রাজর্ষি বাবু যতটা না ইন্ডিয়ান তার থেকে একটু যেন বেশী-ই বাঙালি , উদার বাঙালি।
দুইঃ
বাংলাদেশের একজন উপস্থাপক আবদুন নূর তুষার লিখছেন ঃ
"খবর: ১. প্রথমে বিরাট কোহলি বাংলাদেশে খেলতে আসতে চায় নাই।তাকে ধমকায়ে রাজী করিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
খবর: ২. বাংলাদেশ নাকি টাকার জন্য আর ড্র করার জন্য বৃষ্টির সিজনে খেলা ফেলেছে।
খবর ৩. বাংলাদেশের সাথে ভারত নিজমাটিতে খেলে না কারন স্পন্সররা ধরে নিয়েছে বাংলাদেশ শুধু হারবে তাই পয়সা পাওয়া যাবে না।
খবর ৪. মোদী ভাই থেকে যাওয়ার পরেও ভারত দলের সোনারগাঁও হোটেল পছন্দ হয় নাই।
খবর ৫. হার্ষা ভোগলে ঢাকার জ্যাম নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন।
খবর ৬. সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ও হার্ষা দুজনেই ধারাবিবরনীর সময় প্রশ্ণ করছিলেন যে ৫ উইকেট ১২৮ রানের মধ্যে নাই মানে ভারত হারবে , এটা ভাবার কারন কি? ভারত হারার মতো দল না।
.......
বাংলাদেশের খবর একটাই....বাংলাদেশ ভারতকে গিরায় গিরায় তেল মাখানো একটা আইক্কা বংশদন্ড উপহার দিয়েছে...
এইবার গান গাও..
মওকা মওকা...
বি:দ্র: বাংলাভাষায় নতুন প্রবাদ..
নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার পরিবর্তে
খেলতে না জানলে হোটেল খারাপ। "
- ঢাকার ট্রাফিক নিয়ে হর্ষ ভো গলের মন্তব্য শুনিনি । তবে ধারনা করি বিরূপ কিছু বললেও ভুল কিছু বলেননি তিনি । ঢাকার ট্রাফিক নিয়ে গর্ব করা কিছুই নেই, ট্রাফিক , রাস্তা, আবাসন কোনো দিক দিয়েই ঢাকাকে সুসস্থ বসবাসযোগ্য শহর বলার কোনো অবকাশ নেই তুষার। শুধু ভারতীয় বলেছেনবলে কথাটি মিথ্যে হয়ে যায় নাতো ! হর্ষ ভোগলে যদি বলে থাকেন ঢাকার ট্রাফিক জঘন্য তাহলে তিনি শতভাগ সত্যি কথাই বলেছেন। সমর্থন হর্ষের প্রতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর দিয়েছে , ভারতীয় 'আনহ্যাপী' খেলোয়াড়েরা নাকি সোনার গাঁ হোটেল এ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে । হোটেল এর মান নিয়ে নাকি লোকেশন নিয়ে তাদের আপত্তি তা পরিস্কার নয় -
যদি হোটেল এর মানের প্রশ্ন আসে তাহলে সবিনয় জিজ্ঞাসা , ভারত নামক যে রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ শৌচাগারের অভাবজনিত কারনে পথে-ঘাটে-মাঠেই 'প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কাজটি ' সম্পাদন কর
তে অভ্যস্ত তাদের পক্ষে সোনার গাঁ এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতখানি মানানসই?
আর যদি হোটেল লোকেশন নিয়ে তাদের আপত্তি থাকে তাহলে আমি আমার প্রথম মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।
২| ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
Nazmus Sakib বলেছেন: নাচতে না জানলে উঠান বাকা আরকি!!হাহাহাহা
৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৮
মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: খেলতে না জানলে হোটেল খারাপ। হাহাহা হিহি হুহু
৪| ২০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৩৫
মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও বলেছেন: জুতা দে একটা
৫| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
জুলহাস খান বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে ইমেইলের উত্তরের আশায় রইলাম।
৬| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
এস নূর রহমান বলেছেন: 'খেলতে নাহ জানলে হটেল খারাপ', হাহাহা
৭| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
রুপম হাছান বলেছেন: দৃষ্টি : "নাচতে না জানলে উঠোণ বাঁকা, খেলতে না 'পারলে' হোটেল খারাপ..."!
যোগ : ওরা সব যায়গায় নেতিয়ে পড়া বালক! না উঠোনে, না হোটেলে! হা হা হা।
বিশ্লেষণ : শিরোনামটি যথার্যই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আর সেটা বিশ্ব কাপের পরবর্তী ম্যাচে (বাংলাদেশের সাথে ভারতের) খেলা দেখেই মনে হয়েছে। তখনো যেমন অন্যায় করে ম্যাচ জেতার স্বপ্নে বিভোর ছিল ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম ঠিক তেমনি এখানে একই পন্থা অবলম্বন করে জেতার চেষ্টা! খাঁটি বাংলায় একটি কথা আছে- কুকুরের লেজ এক যুগ বাঁশের চুঙ্গার ভিতরে রাখলেও সোজা হয় না! ঠিক তেমনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের বহুদিনের অন্যায়ের মাধ্যমের জিতার অভ্যাসও ত্যাগ করার মতো নয়। আমার মতে এর জন্য খাঁটি ওষুধ হচ্ছে-পুরো ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমকে আস্ত একটা বহু ঘিরাযুক্ত বাঁশ দেয়া। তবেই বুঝতে পারবে-বাংলার বাঁশ খাইতে কেমন লাগে!?
মন্তব্য : চরম হাসি পেলো লেখাটি পড়ে, তবে; রমজানের মধ্যে বেশি হাসা-হাসি করতে পারিনি বিধায় মন খারাপ হচ্ছে। লাইকস।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: হা হা হা হা
জেশ একটা লেখা