নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধু সন্ন্যাসী, আমি নষ্ট নই, আমি বিক্রিত নই।ভালবাসি তারে, আমি ঘুমাইলে যে আমারে জাগাইয়া রাখে!

একটু স্বাধীনতা

নাম জেনে ই কি কাউকে জানা যায়? উত্তরটা হবে \"না\" যদি সেই নামটি বাবা-মায়ের দেওয়া নাম হয়। কেননা তখন তো আমি অতি ছোট্ট ছিলাম, আমার স্বভাব, প্রকৃতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, স্বপ্ন বা অপ্রাপ্তি ফুটে উঠার পূর্বেই শ্রদ্ধেয় নানুজান হুট করে সাত দিনের মাথায় আমার উপর একটা নাম ছেপে দেয় (মুস্তাফি কার্নিক আকিক)। আর আমি অনলাইনে এসে নিজে যখন সজ্ঞানে একটি নাম দিই (একটু স্বাধীনতা) নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়ে যাই, তবে কিন্তু আমি ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিই না। আমার রাখা নামের বিন্দুতে কেও আতস কাচ দিয়ে সিন্ধুর গভীরতা খুঁজতে থাকবে। কারণ, আমার দেওয়া নামটি আমার অন্তর্লোক থেকে আসে যেখানে রয়েছে আমার হাজারো ভালো-খারাপ লাগার অনুভূতি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনুভূতি, সুখ-স্বপ্নের ভাবনা, রাগ-ক্ষোভের তীব্রতা, শুন্যতা-পূর্ণতার গল্প, কল্প-গল্প ভূবন কিংবা কাছে টানার-দূরে থাকার ছন্দ। ও ভাল কথা আমি কিন্তু কবিতাও লিখতে পারি, অবস্য আমার কবিতা কোথাও চাঁপা হয়নি। আর হবে কি করে? কোথাও কি চেষ্টা করেছি? কি ভাবছেন? ডায়রীতে লিখি আমার কবিতা? আরে না; ডায়রীতে তে লিখার কাজ সেদিন থেকেই ছেরে দিয়েছি, যেদিন থেকে আমার তার দেয়া ডায়রীর তেত্রিশ (৩৩) পৃষ্ঠা টা পরতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন আর তার সাথে যোগাযোগ হয়না। কি জানি কি লিখা আছে ডায়রীর তেত্রিশ পৃষ্ঠায়। অনুমতি পেলেই পরে নিব। আমার সকল নিক নেইম সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন কারন আছে। বৃষ্টি ভাল বাসি, সেই সাথে সকালটাও ভালোবাসি। আবার বৃষ্টিতে ভেজা সকালটা আরো সুন্দর, এটা আরো পছন্দের। আমার বৃষ্টির স্মৃতিতে ভরা কৈশোর। আর রাত্রে জোনাকি এবং চাঁদ খুবই পছন্দ। চাঁদনী রাতেও আমি প্রায় প্রতিদিনই রাত ১ টা বাজার পরে ঘরে আসি। ভাবছেন কি করি এতক্ষন? আর কি? রাস্তায় একা একা হাটা-হাটি করি। মাজে মধ্যে চাঁদের সাথে নাহলে তাল গাছের সাথে গল্প-গুজব করি আর হাঁসা-হাসিঁ। সমুদ্র সৈকত খুব খুব খুবই প্রিয়, অবস্য এর স্বাদ এখনো মিটেনাই। আমি খুব বেশি ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। নিজেকে সবসময় সবার কাছ থেকে আড়ালে রাখতে এবং আড়ালে থাকতে পছন্দ করি। এই কারণেই মুলত অর্ধেক ফেক নাম ব্যবহার করেছি। ফেসবুকে আইডি খোলার আগে থেকেই ভাবছিলাম কী নামে খোলা যায়। এর মাঝে কিভাবে যেন \'একটু স্বাধীনতা\' শব্দটা মনে পড়ে। ভালো লেগে যাওয়ায় এই নামে ফেসবুক আইডি খুলি। আমি যে খুব একা বা নিজের একাকীত্বতাটাকে বোঝানোর জন্য এমন নাম সেটা একদমই নয়, বরং আমি একা হতে চাই, পরিচিত মানুষজনদের কাছ থেকে দূরে কোথাও নিজের একান্ত জগৎটা নিয়ে নিজের মতো করে থাকতে চাই, এক অর্থে প্রত্যেকটা মানুষই একা কিন্তু আবার ঠিক একাও না! আমি সম্পূর্ণভাবেই একলা হতে চাই, সেই আকাংখা থেকেই এমন নাম। মানুষের জীবনটা হচ্ছে অনেকগুলো statement এর সমাহার। উপপাদ্যতে যেমন করে আমরা statement গুলোকে প্রমান করার চেস্টা করি। মানুষের জীবনেও আমরা অনেক কিছুই প্রমান করার চেস্টা করি। আমি আমি আমার লেখায় অনেক কিছুই প্রমান চেস্টা করি। আমি সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমানের চেস্টা করি। আমি সাদাকে সাদা কালোকে কালো প্রমানের চেস্টা করি। আমার এই অবিরাম প্রমান করার চেস্টার নাম \"উপপাদ্য। আসলে নিজের অবস্থার সাথে কুনোব্যাঙের বেশ মিল আছে। দুটোরই জীবনের গন্ডি খুব সীমিত। তাছাড়া একসময় ভাবতাম ভার্চুয়াল জীবনটার সাথে বাস্তব জীবনটা মেলাবোনা। সেভাবেই ছিলাম অবশ্য অনেক দিন। তারপর কিভাবে যেন মিলে গেলো।\"ঘূণেধরা সমাজের আমি একজন ঘূণপোকা-ধংশ করে চলেছি নিজের সমাজ, রাস্ট্র, প্রিয়জনের ভালবাসা, স্বপ্ন। আমি প্রথমে অতন্দ্রিলা নাম দিয়ে নিক খুলছিলাম। কারণ ওই নামটা আমার খুব পছন্দ ছিল। তাছারা একটা বিশেষ কারণতো আছেই। আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড টাইপের মানুষ। সত্য কথা বলতে কোন দ্বিধা বোধ করি না। অনেকেই এই ব্যাপারটি জানে। তাছাড়া আমি চেয়েছিলাম যে ফেইজবুকে কেউ আমার আসল চেহারা না দেখুক। তাই নিজের স্ট্রেট ফরোয়ার্ড চারিত্রিক দিকটি কে প্রধান্য দিয়ে দিলাম। শুটকি, আমি আবার একটু চিকন, একটু না ঠিক পুরোটাই। নিজেকে ঠিক শুটকি মাছের মত লাগে। সে কারনে এই নাম দেয়া। কারণ পরে যদি কোন দিন মোটা হয়ে যাই পরেতো এই নামটা ভুলে যেতে পারি। যখন মনে হয় কোন বিষন্ন বালিকার হাত ছুঁয়ে দিচ্ছে কোন এক হলুদ প্রজাপতি, অথবা রৌদ্রক্লান্ত রেললাইনের ভাঙ্গা পুল পার হবার সময় বালিকার হাত কেউ ধরে রেখেছে পরম নির্ভরতার আশ্বাসে, বা ক্লান্ত বিকেলে ঝাপড়া কৃষ্ণচূড়ার নীচে বালিকার হাতে বেলীফুলের মালা দিচ্ছে কেউ বা ঘুম ঘুম ভোরে কেউ তার কপোল ছুঁয়ে দিচ্ছে আর বালিকার চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠছে তখন মনে হয় আজ আমি কোথাও যাবো না। চুপচাপ স্বপ্ন দেখি তাই নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ! রহস্যময়ী কন্যা নামটা রহস্যের জালে থাকে লুকিয়ে রাখার চিন্তা থেকে উক্ত নাম রাখি। তবে সত্য যে, নারী মাত্রই রহস্যময়ী। অন্যমনস্কতার কারনেই আমি লাইফে বড় কিছু হারিয়েছি তাই তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে এই \"অন্যমনস্ক\" বিশেষণটি টানি। কাণ্ডারি অথর্ব কেন বলতে পারেন? একজন মানুষ তখনই অথর্ব যখন তাকে দিয়ে কিছু আশা করা যায় না। সব কিছু চোখের সামনে ঘটে যাবে কিন্তু নিরুপায় হয়ে বসে থাকবে। পরাজয় তার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দেয়। জীবনে থাকে শুধু হিসাবের অংক না বেলাবার গ্লানি। আমিও নিজেকে তাই মনে করি। আমাদের দেশের সব চেয়ে হতাশা পূর্ণ একটি দিক হচ্ছে এই দেশে যোগ্য কাণ্ডারি বা নেতার অভাব। যারা ছিলেন তাদের প্রাণ দিতে হয়েছে। দিতে হয়েছে তাদের যোগ্যতার মূল্য রক্তের বিনিময়ে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এমন কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি যে যোগ্যতার সাথে দেশের হাল ধরবে। যারা হাল ধরেছেন তারা দেশের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেন নি। কিন্তু এই দুর্নীতি গ্রস্ত সিস্টেমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার কেউ নেই। সবাই অথর্ব, পরিণত হয়েছে অথর্ব জাতিতে। আজ তাই কাণ্ডারি অথর্ব হয়েছে। আর আমার কাল্পনিক ভালোবাসা হচ্ছে তাহসানের \'কাল্পনিক প্রেম\' শিরোনামের একটা গান। গানটা একসময় নানাবিধ কারনে আমার খুব প্রিয় ছিল, এই জন্য এই নাম। সীমার নামটা দিয়েছে যে আমাকে সবচাইতে বেশি ভালবাসতো, কিন্তু যতটা সে আমায় ভালবাসতো ঠিক ততটাই আমি থাকে Avoid করতাম, এখনো করি হয়তো অনেকটা ভালওবাসি। সব শেষে বলছি আমি গান পাগলা একজন মানুষ, সেই ঘুম থেকে উটে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত গান শুনি আর নিজে যতটুকু পারি ততটুকু করি। হয়তো আপনি যখন আমার About টা পরতেছেন তখনও আমি গান শুনতেছি বা নিজেই গাইতেছি। আমি সব সময় যাদের গান শুনি তাদের ক্ষুদ্র একটা তালিকা তৈরি করেছি। আর তালিকা টা আপনাদের জন্য নয়, তালিকা মুলতো আমার জন্যই, আমি কাদের কাদের গান বেশি গাইতাম বা শুনতাম বয়ষ বাড়লে যদি ভুলে যাই। Bangla:- 1-Arijit Sing, 2-Anupam Roy, 3-Artcell, 4-Asif Akbar, 5-Arnob, 6-Ashes, 7-Aurthohin, 8-Ayub Bachchu, 9-Azam Khan, 10-Bappa Majhumder, 11-Balam, 12-Bari Siddique, 13-Bhoomi, 14-Chirkutt, 15-Dhruba, 16-Habib Wahid, 17-Hridoy Khan, 18-James, 19-Joler Gaan, 20-Khalid, 21-Lalon Githy, 22-Manna Day 23-Mehreen, 24-Milon Mahmoud, 25-Minar Rahman, 26-Nachikata, 27-Nazrul Githy, 28-Parvez, 29-Rafa, 30-Rabindro Sangith, 31-Safin Ahmed (Miles), 32-Shahrid Belal, 33-Shireen Jawad, 34-Shawon, 35-Shironamhin, 36-Sonu Nigam 37-Tanzib Sarwar, 38-Tahsan Khan, 39-Tausif, 40-Topu. English:- 1-Adele, 2-Akcent, 3-Akon, 4-Arash, 5-Avril Lavigne, 5-Bryan Adams, 6-Celine Dion, 7-Chris Brown, 8-David Taweri, 9-Elton John, 10-Enrique Eiglesius, 11-Guns n Roses, 12-Hellena, 13-Jay Sean, 14-Justin Bieber, 15-Katy Perry, 16-Kenny Rogers, 17-Lana Del Rey, 18-Leonard Cohen, 19-Linkin Park, 20-Madonna, 21-Michael Jackson, 22-R.Kelly, 23-Rachel Platten, 24-Shakira, 25-Shayne Ward, 26-Whitney Houston. Hindi:- 1-Abhijeet Bhattacharya, 2-Adnan Sami, 3-Alisha Chinai, 4-Alka Yagnik, 5-Anuradha Paudwal, 6-A. R. Rahman, 7-Arijit Sing, 8-Asha Bhosle, 9-Atif Aslam, 10-Chinmayi Sripada, 11-Ghulam Ali, 12-Hariharan, 13-Hemanta Kumar Mukhopadhyay, 14-Himesh Reshammiya, 15-Jagjit Singh, 16-Karthik, 17-Kavita Krishnamurthy, 18-Kishor Kumar, 19-K. J. Yesudas, 20-Krishnakumar Kunnath (KK), 21-K.S. Chithra, 22-Kumar Sanu, 23-Kunal Ganjawala, 24-Lata Mangeshkar, 25-Manna Dey, 26-Mahalakshmi Iyer, 27-Mohammed Rafi, 28-Mohit Chauhan, 29-Mika Singh, 30-Mukesh, 31-Niraaj Shreydhar, 32-P. B. Sreenivas, 33-P. Susheela, 34-Rahat Fateh Ali Khan, 35-Rekha Bhardwaj, 36-Sanam, 37-Shaan, 38-Shankar Mahadevan, 39-Shilpa Rao, 40-Shreya Ghoshal, 41-S. Janaki, 42-Sonu Nigam, 43-S. P. Balasubrahmanyam, 44-Sujatha Mohan, 45-Sunidhi Chauhan, 46-Sukhwinder Singh, 47-Udit Narayan, 48-Usha Uthup, 49-Vani Jayaram, 50-Vijay Prakash.

একটু স্বাধীনতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসা

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১০

একটু আগে আমার এক ভিজ্ঞ বন্ধু আমার কাছে প্রশ্ন রেখেছে আমার কাছে, “তোমার কাছে ভালবাসার মানে কি?, ভালবাসা কাকে বলে?” হয়তো বা তার এমন ধারনা হয়েছে যে আমি ভালবাসার Meaning ই জানিনা বা বুজিনা! তাই আজকে আমি ভালবাসার Meaning নিয়েই লিখবো, জানি কেও এত বড় লেখাটা পড়বেনা তবে এটাও জানি যার জন্য এতটা সময় ধরে লিখছি সে পড়বে, এবং এতেই আমি আনন্দিত; প্রথমেই বলবো, ‘এটি একটি আবেগ যার কারণে আমাদের কাউকে ভালো লাগে।’ ‘কাউকে মন থেকে স্নেহ, মায়া, মমতা দেয়াই ভালবাসা।’ আবার অন্যভাবে ভাবলে, ‘ভালবাসা হচ্ছে সিগারেটের মত, যার পরিণাম হচ্ছে পোড়া ছাই!’ অনেকে কাউকে দেখে পছন্দ হলে বলে ফেলে, ‘আমি তাকে ভালবেসে ফেলেছি¡’ আসলে এটা ঠিক নয়; এটা ভালবাসা নয়, এটা হচ্ছে ভাললাগা! আবেগ, যেটি আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়, ত্যাগ-তিতীক্ষা-ধৈর্য্য শেখায়। ভালবাসা শুধুমাত্র প্রণয় থেকে হয়না। ভালবাসা স্নেহ, মায়া, মমতা থেকেও আসে। নতুন একটি শিশুর জন্ম হলে মা তাকে লালন পালন করে। শিশুটি সময়ে অসময়ে জ্বালাতন করে– কাঁদে, ঠিকমত ঘুমায় না, খায় না ইত্যাদি! কিন্তু, এতকিছুর পরও যে কারণে মা তার সন্তানটিকে ফেলে রেখে যেতে পারে না,
এটাই হল– ভালবাসা। অনেক সময় ভালবাসা আসে শ্রদ্ধা, সম্মান থেকে! যেমন:- আমরা আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদুকে শ্রদ্ধাভরে ভালবাসি! প্রণয় অর্থেই হোক, আর মায়া-মমতা-সম্মান অর্থেই হোক, ভালবাসা মানে হল কারও ভাল চাওয়া। প্রণয়ের দিক থেকে ভালবাসাকে চিন্তা করলে দেখা যায় যখন একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালবাসে তখন তারা একে অপরের ব্যাপারে Care করে, ভাবে! একজন আরেকজনের ব্যাপারে ছোটখাটো বিষয় নিয়েও মাথা ঘামায়। একজন আরেকজনের ক্ষতি দেখতে পারে না বরং সবসময় তার ভাল চিন্তা করে; একজন আরেকজনকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে! একে অপরকে সবসময় দেখতে ইচ্ছে করে, একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত মনের ভিতর আগলে রাখতে ইচ্ছে করে! একজন আর একজনকে দেখলে বুকের ভেতরে একটা শান্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। একজন আর একজনের দিকে তাকালে মনে হয় যেন, ‘দুচোখ ভরে দেখি।’ আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে Sacrifice. (ত্যাগ স্বীকার করা)! ভালবাসার মানুষটির জন্য অনেক সুবিধা ছেড়ে দেয়া বরং অনেকটা আনন্দের বিষয় হয়ে থাকে। যেমন: বাবা-মায়েরা নিজেদের জন্য খরচ না করে সন্তানদের জন্য খরচ করে। বাবা-মায়েদের ভালবাসা আসলে ভালবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ভালবাসা দেখানোর প্রয়োজন হয় না, ভালবাসা এমনিতেই প্রকাশ পায়। ভালবাসার জন্য তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়। চাইলেই কাউকে ভালবাসা যায় না। জোর করে কাউকে ভালবাসা যায় না। এজন্য মনের ভেতর থেকে অনুভূতি তৈরি হওয়া প্রয়োজন! ভালবাসা হলো আবেগীয় অনুভূতির নাম, এর কোন প্রকার নেই, রঙ ও নেই! ভালবাসা মানেই শুধু নারীর প্রতি পুরুষের আবার পুরুষের প্রতি নারীর নয়। এটা একটা প্রচলন হয়ে গিয়েছে যে, ভালবাসা বলতে আমরা বুঝি যে কোন ছেলের প্রতি মেয়ের আর মেয়ের প্রতি ছেলের। এটা হতে পারে একটা মানুষের প্রতি কোন প্রাণীর আবার কোনো প্রাণির প্রতি মানুষের। এমনকি একটা জড়বস্তুর প্রতিও হতে পারে। এটার সংজ্ঞার বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। ভালবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ আর আকাঙ্খিত একটি আবেদন; পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি! ভালেবাসা শব্দটি খুব সহজেই সকলের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে মিশে যায়! কেননা, জন্মের পর থেকেই মানুষের বেড়ে উঠা এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই। ভালবাসা না থাকলে কোন পরিবার থাকত না! ভালবাসা নিয়ে ছড়িয়ে আছে অনেক পৌরাণিক উপাখ্যান। সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্রই পাওয়া যায় ভালবাসার সন্ধান। ভালবাসা মানে- কাউকে ভাল লাগা, কাউকে মন থেকে বিশ্বাস করা, তাকে না দেখলে ভীষনভাবে কষ্ট পাওয়া, এমন জিনিস যা মনে করে করে আনন্দ পাওয়া, সব কয়টাই! ভালবাসা প্রথম দেখাতে হয় না! হয়তো প্রথম দেখাতে কাউকে ভাললাগে তারপর থেকেই ভালোবাসা শুরু; ভালবাসার মানুষটিকে ছাড়া যেন একমুহুর্ত থাকা যায়না। মন চায় তাকে দেখতে, মনের কথাগুলো খুলে বলতে। কিন্তু যখন সামনে যাওয়া হয় তখন কোন কথাই মুখ থেকে বের হয় না। আর একটি কথা, ভালবাসা কথাটা বিশ্বাস ছাড়া সম্ভব না। তাই ভালবাসার আগে বিশ্বাস আনা জরুরী; ভালবাসার মানুষটিকে একবার মনে পরলে সময় কিভাবে যায় বুঝা যায়না। যাকে ভালবাসা যায় তাকে একদিন না দেখলে মনে হয় কত জনম ধরে দেখি না। ভালোবাসার সংজ্ঞা দিতে গেলে বলতে হয়, বিতর্ক-অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগ-প্রবণ ভালবাসা,
কল্পনা-প্রবণ ভালবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে! সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ ওপর আর একজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারও প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারও উপস্থিতি অনুভব করা ভালবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত! ভালবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়! ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়; ভালবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়! এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে; কল্পনা-বিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালবাসা! ভালবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়। ভালবাসা- শব্দটাতো ছোটই, কিন্তু বিষয়টি কি তেমনই সহজ এবং ছোট? ভালবাসা ভিন্ন কিছু- অনেক বড় ও বিশাল কিছু। হয়তো, ভালবাসা কখনো ভীষণ ঝড়ের মুখোমুখি একা দাঁড়িয়ে থাকা। হয়তো, ভালবাসা কখনো কারো জন্য খামোখাই কষ্ট পাওয়া! নাকি অন্য কিছু? এ তো বুঝিয়ে বলার বা লেখার মত কিছু নয়; এ তো বোঝানোর বিষয় নয়; লিখলে সারা রাত লিখে পার করা যাবে! ভালবাসাটা বোধহয় সব সময় একজনেরই আলাদা ব্যাপার! একজনই ভালবাসার নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে! দু'জনের মিলিত জীবনের পক্ষে ভালবাসার মূল্য তেমন কিছু বেশি নয়। সেখানে কৃতজ্ঞতা, দায়িত্ববোধ এগুলোরই মূল্য বেশি। ভালবাসা মানে একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করা! যদিও, এই বুঝতে চেষ্টা করা অনেকটাই নিস্ফল হয়। তবে সব শেষে এটাই বলবো কোন কিছু পাওয়ার অাশা না করে প্রকাশ্যে বা গোপনে ত্যাগ স্বীকার করে যাওয়ার অর্থই ভালোবাসা। কাওকে ভালবাসলে তাকে পেতেই হবে এমন ভাবলে সেটাকে ভালবাসা বলেনা না বরং সেটা সার্থে পরিণত হয়! আর, ভালবাসায় সার্থ থাকতে হয়না! তাই আমি বলি কি কাওকে ভালবেসে তার সূখের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া প্রত্তেক প্রেমিক/প্রেমিকার দায়িত্ব ও কর্তব্য!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.