নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮
তাবুক যুদ্ধ ও মক্কা বিজয় সময়কালে নাজিল হওয়া সুরাহ আত তাওবা একমাত্র সুরাহ যেটাতে বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না। এই সুরার শুরুতে কঠোরতা দিয়ে শুরু হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন এই সুরায় পরম দয়ালু (রহিম), দয়াময় (রাহমান) উচ্চারণ করে পড়আ অনুচিত।
তবে আমি আরো বিশ্বস্ত (আসলে পছন্দসই) সুত্রে জেনেছি এই সুরার আয়াতাংশ পুর্ববর্তী সুরার সাথে একই ঘটনা প্রবাহ/সময়ে নাজিল হওয়া এবং বাক্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থেই শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই।
যাক সে কথা, আল্লাহই ভাল জানেন। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হইল এই সুরা কোরআনের সর্বশেষ থেকে দ্বীতিয় সূরা যা আসলে ইসলামের ফাইনালাইজড অর্ডার সমূহ হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে।
বিশ্বজুড়ে অনেক ইসলাম বিদ্বেষী (ইউরোপিয়ানরা বিশেষত) এই সুরা নিয়ে অনেক বেশি আক্রমণ করে ইসলাম যে অশান্তির ধর্ম, তরবারির ধর্ম সেটা প্রমাণ করার জন্য। আমি এখানে অনেক বে-আক্কেল/হতবুদ্ধিকর অবস্থায় পড়ে গেছি।
কারণ কোরআনের সবচেয়ে কঠোর সুরা এটা অথচ এখানে তেমন অস্বাভাবিক/জংগিপনার কোন জায়েজ সিস্টেম এখানে আমি পাইলাম না। তো এই যে জামায়াতুল মুজাহেদিন কিংবা তালেবান এদের এই ম্যানিউপুলেশ (যদি থাকে) তার উৎস কি?
আসলে আজকের এই পোস্ট মূলত কোন ধরণের ধর্ম প্রচার/কোরআন প্রচার/ইসলাম প্রচার নহে। এই পোস্ট মুলত জিজ্ঞাসা পোস্ট। যদি পারেন তবে উত্তর দেন-
ইসলাম/কোরআনে কাফেরদের কল্লা কাটার কি কি আয়াত আছে? (সূরা এবং আয়াত নাম্বার)
মুশরেক/নাসারা/ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধাচারণ/হত্যার হুকুম আছে এমন কি কি আয়াত আছে?
মোনাফেক দের শাস্তি সংক্রান্ত কি কি আয়াত?
মুরতাদ/ইসলাম ত্যাগী সংক্রান্ত কি কি আয়াত আছে?
ভিন্নমত দমনে কি কোন আয়াত পেয়েছেন?
আরো প্রশ্ন আসতে পারে তবে আপাতত আমার কিউরিয়াস মন ওয়ান্টস টু নো যে ইসলামের/কোরআনের বিরুদ্ধে অসভ্যতা/আধুনিক ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক কি কি আয়াত আছে।
অবশ্যই কোরআন থেকে মেনশন থাকতে হবে। যতই সহিহ হাদীস দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য ক্ষতিগ্রস্থ করতে চান করেন বাট এই পোস্ট স্পেসিফিক কোরআন ভিত্তিক আলাপ। আস্তিক, নাস্তিক সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেহ উত্তর দিতে পারেন, কোন রেস্ট্রিকশন নেই।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জ্যাকেল বলেছেন: অভিনন্দন ভাইসাহেব।
২| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আত তাওবা সূরাটি কোরআনের নবম সূরা। এই সূরার মানে- অনুশোচনা।
এই জন্যই মৃত্যুর আগে মুসলমানরা তওবা করে। মন্দ না সারা জীবন পাপ করে তওবা করে মৃত্যুর আগে ক্ষমা চাওয়া।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জ্যাকেল বলেছেন: ওকে, কিন্তু আপনার কাছ থেকে ধর্মের সবক নেওয়া বিপদজনক।
৩| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আপনি কি এই আয়াতটির বিষয়ে জানতে চাইছেন ?
সূরা তওবা থেকে
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক।
কিভাবে এর পক্ষে বলা যায় ?
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০১
জ্যাকেল বলেছেন: আংশিক সত্য। তবে আমি আর কি কি কনফ্লিক্টিং আয়াহ আছে সেইগুলা জানতে আগ্রহী।
৪| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা মাদানী সূরা। কোরআনে যেসব সূরা মাদানী সূরা আছে এবং সেগুলোতে যে কামন্ড গুলো আছে সেগুলো শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় শাশক ও শাসন ব্যবস্থার জন্য প্রযোজ্য। এই কামন্ড গুলো রাষ্ট্র কার্যকর করতে পারবে কোনো ব্যক্তি বা বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর জন্য এসব কমান্ড নয়।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০২
জ্যাকেল বলেছেন: নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা মাদানী সূরা। কোরআনে যেসব সূরা মাদানী সূরা আছে এবং সেগুলোতে যে কামন্ড গুলো আছে সেগুলো শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় শাশক ও শাসন ব্যবস্থার জন্য প্রযোজ্য। এই কামন্ড গুলো রাষ্ট্র কার্যকর করতে পারবে কোনো ব্যক্তি বা বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর জন্য এসব কমান্ড নয়।
এই উইজডম আপনার কাছে দেখে আমি আশান্বিত।
৫| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৭
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: এই সুরাটি নাজিলের একটা ঐতিহাসিক ইতিহাস আছে। আপনি কি পড়েছেন?
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৩
জ্যাকেল বলেছেন: আমি ঐ সময়ের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে অনেক (আসলে সামান্যই) স্টাডি করেছি। এ থেকে জেনে এই অর্বাচীনের মনে কিছুটা বিস্ময় কাজ করতেছে।
৬| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১:৫৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা একটা যুদ্ধকালিন যুদ্ধক্ষেত্রের আয়াত নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
যুদ্ধ শেষে এই হুকুম বাতিল ন্যাচারালি হওয়ার কথা।
হজরতের মৃত্যুর পরও কোরান লিখিত অক্ষরে আসে নি দির্ঘদিন, দির্ঘ বছর। হাফেজদের মুখে মুখে ছিল
একজন খলিফা কোরান সংকোলন কালে বিতন্ডার ভেতর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর ভেতর কয়েক দফা যুদ্ধও হয়।
অনেক পরে মক্কা মদিনার বাইবে মিশরে, বসরায় ও আজারবাইজানের একটিশহরে ৩ স্থানে কোরান লিখিত ভাবে আসে।
আমরা যেই কোরান দেখি সেটা মিশরের টা।
তবে যেখানেই সঙ্কলিত হউক কোরানের কোন আয়াত ভুল ভাবে লেখা হয়নি। একটি শব্দও বাদ যায় নি, কারনটা হচ্ছে কোরানের আয়াতগুলো খুব সুন্দর সুরালো কবিতার ছন্দে রচিত এবং বংশানুগত ভাবে হাফেজদের মুখে মুখে ছিল। তবে সম্পাদকের অসতর্কতায় যুদ্ধকালিন আয়াত আগে পরে হতেই পারে।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৬
জ্যাকেল বলেছেন: একজন খলিফা কোরান সংকোলন কালে বিতন্ডার ভেতর কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্পষ্টতই ইসলাম বিদ্বেষের খন্ডাংশ প্রকাশ। আপনার কাছে ধ্রুব সত্য বলিয়া যাহা প্রতিভাত হইতেছে ঐখানে অ-নেক গ্যাপস আছে। এইগুলা আপনি কনসিডার না করে হড়হড় করে সব বলে দিলেন যা আপনার ধারণাকে সমর্থন করে কেবল তাহাই।
যদি ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবে ধারণা না রাখেন তবেই ইসলাম কিংবা কোরআনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ থাকার সম্ভাবনা আছে।
৭| ১৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৩
এভো বলেছেন: সুরা তওবা আয়াত নং ৫ (৯:৫)
“অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
এই আয়াতের যদি আক্ষরিক অর্থ করা হয় তাহলে এর দ্বারা আল্লাহ কর্তৃক নিম্নক্ত নির্দেশাবলী প্রতীয়মান হয়ঃ
আল্লাহ মুসলিমদের মুশরিকদের হত্যা করতে আদেশ দিয়েছেন, পৃথিবীর যেখানেই তাদের পাওয়া যাক না কেন।
মুশরিকদের হত্যা করার জন্য বসে না থেকে সক্রিয় ভাবে তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করতে হবে।
তাদের বন্দী বা হত্যা করার জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকতে হবে।
তাদের আবাসস্থল অবরোধ করতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে যাতে ইসলাম গ্রহন ছাড়া আর কোন উপায় না থাকে।
এই আয়াতের, “মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও” এই অংশটি কোরান শরীফের সবচেয়ে অমানবিক ও বর্বর আয়াত কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে এই আয়াতকে মানবিক প্রমান করতে বা নিদেন পক্ষে এই আয়াতে যে নির্বিচারে সকল কাফির- মুশরিকদের হত্যা করতে বলা হয় নাই এটা প্রমান করতে মোডারেট ইস্লামিস্ট ভাইদের (Muslim apologists) শত শত লেখা আর ইউটিউব ভিডিও আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন। অপরপক্ষে, এই তরবারির আয়াত জঙ্গি-জিহাদি ও ইসলামি রাজনৈতিক দলদের বহুল ব্যাবহারিত মূলমন্ত্র। সুরা তাওবা নবি মোহাম্মদ (দঃ) এর মাদানি জীবনের শেষ দিকে নাজিলকৃত প্রধান সুরা বিধায় এর নির্দেশনা নবির তথা আল্লাহর চূড়ান্ত নির্দেশ বলে মেনে নিতে হবে। এই সুরায় নবি মোহাম্মদ (দঃ) মুমিন মুসলমানদের সাথে কাফির- মুশরিক বা অমুসলমানদের কি সম্পর্ক হবে, তাদের খুন করবার বিধান , জিহাদের গুরুত্ব ও একটি ইসলামি রাষ্ট্র বাবস্থার ধারনা দিয়েছেন। ইসলামে পুরুষদের উপর জিহাদের গুরুত্ব আর নারীদের উপর পর্দার গুরুত্ব হযরত ওমরের নিচের এই ফরমানেই সহজে বোধগম্য।
তরবারির
(সুত্রঃ তাফসীরে জালালাইন দ্বিতীয় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬১৯, প্রকাশনায় ইসলামিয়া কুতুবখানা, প্রকাশকাল ২০১০)
সুরা তওবার এই অপরিসীম গুরুত্ব ও বর্তমান জামানায় এর প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে এই সুরার ৫ নং আয়াতের বিস্তারিত তাফসীর ও কার্যকারিতা একটি পূর্নাঙ্গ আলোচনার দাবি রাখে। এই বিবেচনায়, এই তরবারির আয়াতের প্রেক্ষাপট, আগের আয়াত, পরের আয়াত পাঠকদের কথা স্মরণ রেখে সহজ ভাবে উপস্থাপনা করাই আমার এই লেখার উদ্দেশ্য। সন্মানিত পাঠককুলকে অনুরোধ করব দয়া করে তথ্যসুত্রে দেওয়া রেফারেন্স সমুহ অধ্যয়ন করে আরও বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করবেন ও আমার লেখাটির বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করবেন।
নবী মহাম্মাদ (দঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও টাইম লাইন
৫৭০ – মক্কায় জন্ম
৫৭৬ – মাতার মৃত্যুর পর এতিম
৫৯৫ – ধনী ব্যাবসায়ী খাদিজার সাথে বিবাহ
৬১০- ৪০ বছর বয়সে প্রথম ওহী নাজিলের খবর
৬১৯ – নবির নিরাপত্তা প্রদানকারী চাচা আবু তালিবের মৃত্যু
৬২০ – বোরাকে চড়ে মিরাজ গমন ও আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ
৬২২ – মক্কা হতে মদিনায় হিজরত ও আশ্রয় লাভ
৬২৩ – মক্কার বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা ও লুট করার আদেশ প্রদান
৬২৪ – বদরের যুদ্ধ (জয়লাভ)
৬২৪ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু কাইনুকাকে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ
৬২৪ – নবী মহাম্মাদ (দঃ) এর বিরুদ্ধে কবিতা লেখায় ইহুদি কবি আবু আফাক এর হত্যার আদেশ
৬২৪ – কবি আবু আফাক এর হত্যার বিরুদ্ধে কবিতা লেখায় মহাম্মাদ (দঃ) কর্তৃক কবি আসমা বিনতে মারওয়ানকে হত্যার আদেশ
৬২৪ – নবি মহাম্মাদ (দঃ) কর্তৃক ইহুদি কবি কাব বিন আশরাফকে হত্যার আদেশ
৬২৫ – উহুদের যুদ্ধ (পরাজিত)
৬২৫ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু নাদিরকে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ
৬২৭ – খন্দকের যুদ্ধ (জয়লাভ, প্রকৃত অর্থে কোন যুদ্ধ হয় নাই)
৬২৭ – মদিনার ইহুদি গোত্র বানু কুরাইযার ৯০০ পুরুষ হত্যা। নারি ও শিশুদের মালে গনিমত হিসাবে ভাগ বাটোয়ারা ও ইয়ামেনে দাস-দাসীর বাজারে বিক্রয় বিনিময়ে মুসলিমদের জন্য অস্ত্র ক্রয়
৬২৮ (৬ হিজরি) – মক্কায় হজ্জ পালনের নিরাপত্তার জন্য মক্কার মুশরিকদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর
৬২৮ – খাইবার আক্রমন, ইহুদি নিধন ও জীবিতদের উপর জিজিয়া কর আরোপ
৬২৯ – খ্রিস্টান ভুমিতে মুতা যুদ্ধের আদেশ (পরাজিত)
৬৩০ (৮ হিজরি) – আকস্মিক হামলায় মক্কা বিজয়
৬৩১ (৯ হিজরি) – খ্রিস্টান ভুমিতে দ্বিতীয় অভিযান তাবুকের যুদ্ধে নেতৃত্ব দান (কোন যুদ্ধ হয় নাই, কোন শত্রু সেনা ছিল না )
৬৩২ (১০ হিজরি) – নবীর ইন্তেকাল
উপরে বর্ণিত ঘটনার আলোকে তরবারির আয়াত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ঃ
মাদানি সুরা তওবার প্রথম অংশ নাজিল হয় যখন নবি তাবুক যুদ্ধের অভিযান থেকে ফিরে আসছিলেন।
ইমাম বুখারির মতে এটি নবির উপর নাজিলকৃত সর্বশেষ সুরা (অন্য বর্ণনায় সুরা নাস সর্বশেষ সুরা)
(সুত্রঃ তাফসীর ইবনে কাসীর,চতুর্থ সংস্করণ জানুয়ারী ২০০৪, অনুবাদক ঃ ডাঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান, প্রকাশক ঃ তাফসীর পাবলিকেশন কমিটি, ৮,৯,১০,১১ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৩৩)
কোরানের একমাত্র সুরা যার শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই। কিছু সাহাবী এটিকে সুরা আনফালের সাথে এক সুরা মনে করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হযরত আলির বরাত দিয়ে বলেন ঃ বিসমিল্লাতে রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা, আর এই সুরাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে তরবারি ব্যাবহারের আদেশ রয়েছে এজন্য বিসমিল্লাহ লিপিবদ্ধ হয়নি যেন আল্লাহপাকের গজবের নিদর্শন প্রতিভাত হয়।
সুরা তাওবার প্রায় ১২ টি নামের বর্ণনা তাফসীরে জালালাইনে আছে। এই সুরার অন্য প্রচলিত নাম বারাআত বা সম্পর্কছেদ, মোকাশকাশা বা ঘৃণা সৃষ্টিকারী ইত্যাদি।
সুরা তওবার নং ৫ আয়াত কি যুদ্ধকালীন আয়াত?
প্রশ্নঃ তরবারির আয়াত (The sword verse) বা সুরা তওবার নং ৫ আয়াত কি যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত ?
উত্তরঃ না, এটি মোটেও যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত নয়। তরবারির আয়াতটি নাজিল হয় নবম হিজরিতে ও নবি যখন তাবুকের যুদ্ধ হতে মদিনায় ফিরছিলেন। এই আয়াতটিতে “মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও” বলতে নবি মক্কা ও এর আশেপাশের কাফিরদের বুঝিয়েছেন। এর আগের বছর অর্থাৎ অষ্টম হিজরিতেই প্রায় বিনা যুদ্ধে নবি মক্কা বিজয় করেছেন আর সেখানকার কাফির- মুশরিকরা বিনা শর্তে মুসলিম বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এবং মক্কায় নবির হুকুমতই জারি ছিল, নবির পক্ষ থেকে আত্তাব ইবনে আসিদ ছিলেন মক্কার দায়িত্বপ্রাপ্ত ১। কাজেই এই তরবারির আয়াতটি নবির সাথে সম্পূর্ণ শান্তি অবস্থায় থাকা কাফিরদের বিরুদ্ধে একতরফা হত্যার হুমকি। এই আয়াতটি মোটেও তাবুক যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত আয়াত নয়, উপরুন্তু তাবুক যুদ্ধে বাস্তবিক কোন যুদ্ধ হয়নি, যা পরে আলোচনায় আসবে।
তাবুকের যুদ্ধ
(তাবুকের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য আহ্বান, সাহাবীদের জিহাদে যেতে গড়িমসি ইত্যাদি বিষয় সুরা তওবায় উঠে আসলেও তরবাবির আয়াতের সাথে এর সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই, পাঠক যারা শুধু তরবাবির আয়াতের তাফসীরের ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক তারা তাবুকের যুদ্ধের এই অধ্যায় বাদ দিয়ে যেতে পারেন)
অষ্টম হিজরিতে নবি মোহাম্মাদ (দঃ) মক্কা বিজয়ের পর অত্র ও আশেপাশের এলাকায় মুসলিম বাহিনীর আধিপত্য নিশ্চিত হয় ও হুনায়ুনের যুদ্ধ ও অন্যান্য ছোট ছোট যুদ্ধের মাধ্যমে পুরা অঞ্চল মুসলিম বাহিনীর করায়াত্ত হয়ে যায়। এর বেশ আগে থেকেই নবি মোহাম্মাদ (দঃ) বিভিন্ন দেশে দুত পাঠিয়ে উনার নবুয়ত ও আল্লাহর আনুগত্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান, এই সব দেশের মধ্যে বাইজেনটাইন বা রোমান সম্রাট হেরাক্লিস, পারশ্য সম্রাট, মিসরের মুকাওকিস, হাবাসা সম্রাট, বাহারাইনের গভর্নর অন্যতম। বলা বাহুল্য ইনারা কেও নবি মোহাম্মাদ (দঃ) এর এই দাবি মেনে নেন নি। তবে নবি ও তার সাহাবীরা রোমান সম্রাজ্য থেকে হামলার ভয়ে ভীত থাকত। এর পূর্বে জর্ডানের নিকট মুতার যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী রোমানদের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছিল যেই যুদ্ধে মোহাম্মাদ (দঃ) এর পালক পুত্র ও নবিপত্নি জয়নাব বিনতে জাহাশের প্রাক্তন স্বামী জায়েদ ইবনে হারিথা, নবির চাচাত ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব সহ বহু সাহাবী নিহত হয়, পরিশেষে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃেত্ব মুসলিম বাহিনী প্রান রক্ষা করে মদিনায় ফিরে যায় এবং ফিরে আসা সেনারা বিদ্রুপের মুখে পড়ে। এক সময় মদিনায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে রোমানরা মদিনা আক্রমন করতে পারে। এইসব মাথায় রেখে নবি মোহাম্মাদ (দঃ) সকল মুসলিমকে জান-মাল কোরবানি করে তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন এবং নবি জীবনে সর্ববৃহৎ ৩০,০০০ সেনা নিয়ে তাবুক যাত্রা করেছিলেন। তবে বিবিধ অজুহাতে মুসলিমরা এই যুদ্ধে না যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। রোমানদের ব্যাপারে ভীতি ছাড়াও যে সব কারন ছিল তার মধ্যে উত্তপ্ত আবহাওয়া, যাত্রা দূরত্ব, সেই সময় খাদ্য সল্পতা, খরা ও খেজুর পাকার মৌসুম ইত্যাদি। নবি রোমানদের কাছে পরাজিত হবেন এই মর্মে মুনাফিকদের রটনাও নবিকে বিচলিত করে তুলেছিল। সুরা তওবার বিভিন্ন আয়াতে তাই এই জিহাদে সামিল হওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি, লোভ,ভয়, হুমকি সবই ফুটে উঠেছে।
“আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে।”
( সুরা তাওবা ৯:৪৯ )
আয়াতটি নাজিল হয়েছে জাদ ইবনে কাইস এর ক্ষেত্রে, যিনি মুসলমান হলেও তাকে মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয় কিন্তু তিনি তার নিজ গোত্রের গুরুত্বপূর্ণ লোক । নবি যখন তাবুকের যুদ্ধের জন্য সকলকে জান মাল কোরবান করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, এরই অংশ হিসাবে নবি জাদ ইবনে কাইসকে বলেন “ওহে আবু ওয়াহাব (জাদ ইবনে কাইস এর নাম) তুমি কি কিছু রোমান নারিকে যৌন দাসী ও পুরুষদের দাস হিসাবে লাভ করতে চাও?” উত্তরে জাদ ইবনে কাইস বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার লোকজন নারিদের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির কথা জানে। আমি আশঙ্কা করছি যে শ্বেতাঙ্গ রোমান রমণীদের দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারব না। কাজেই আমাকে আর লোভ দেখাবেন না, বরং আমাকে যুদ্ধে যাওয়া থেকে অবহতি দিন, আমি আমার সম্পদ দিয়ে আপনার জিহাদে সাহায্য করব।২
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।“ ( সুরা তাওবা ৯:৩৮ )
“যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।“ ( সুরা তাওবা ৯:৩৯ )
“তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।“ ( সুরা তাওবা ৯:৪১ )
“পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে থাকতে পেরে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান ও মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করতে অপছন্দ করেছে এবং বলেছে, এই গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না। বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত।“ ( সুরা তাওবা ৯:৮১ )
নবি মোহাম্মাদ (দঃ) তাবুকে পৌছিয়ে সেখানে কোন রোমান সৈন্য সমাবেশ দেখতে পাননি এবং বুঝতে পারেন যে রোমান আক্রমনের গুজবটি অতিরঞ্জিত। (Ref: The Life of Muhammad: Al-Waqidi’s Kitab Al-Maghazi (Routledge Studies in Classical Islam ) Edited by Rizwi Faizer, Published by Routledge 2011. Page 16451.Kindle version; Baladhuri, Ansab I, 368. ). নবি তাবুকে ১০ দিনের কম অবস্থান করেন এবং উমরের সাথে পরামর্শ করে কোন যুদ্ধ না করেই মদিনা প্রত্যাবর্তন করেন, তবে পথে বেশ কিছু গোত্রকে জিজিয়া করের আওতায় নিয়ে আসেন। (হালের বানানো নবির জীবনী যেমন মুবারকপুরি রচিত আর- রাহীকুল মাখতুম কিতাব ও বিভিন্ন ইসলামি বক্তা দাবী করেন যে রোমান বাহিনী নবির বাহিনী দেখে পালিয়ে গিয়েছিল, এটা পুরোটাই গাঁজাখুরি ধাপ্পাবাজি, এর কোনই ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। প্রদত্ত রেফারেন্স ছাড়াও ইবনে ইসহাক বা আল তাবারির লেখায় তাবুকে বাইজেনটাইনদের সাথে যুদ্ধের অথবা রোমান সেনাদল পালিয়ে যাওয়ার কোন বর্ণনা নাই , আধুনাকালের সিরাত লেখক আর প্রায় সব ইসলামিক ওয়েব সাইট সমুহ সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাবুক অভিযানকে ইসলামের গৌরবগাঁথা হিসাবে বর্ণনা করেন)
নবির মদিনায় ফিরে আসার খবরে তাবুক যুদ্ধে না যাওয়া সাহাবীগণ নবি মোহাম্মাদ (দঃ) এর রোষানলে পড়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন এবং নবির কাছে নানা অজুহাত পেশ করতে থাকেন। ইসলামে ও নবির কাছে জিহাদ যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, এই অজুহাতকারিদের প্রতি নাজিলকৃত আয়াতগুলো লক্ষ্য করলে বুঝা যায়।
“তুমি যখন তাদের কাছে ফিরে আসবে, তখন তারা তোমাদের নিকট ছল-ছুতা নিয়ে উপস্থিত হবে; তুমি বলো, ছল কারো না, আমি কখনো তোমাদের কথা শুনব না; আমাকে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে দিয়েছেন। আর এখন তোমাদের কর্ম আল্লাহই দেখবেন এবং তাঁর রসূল। তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে। “( সুরা তাওবা ৯:৯৪ )
“এখন তারা তোমার সামনে আল্লাহর কসম খাবে, যখন তুমি তাদের কাছে ফিরে যাবে, যেন তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা কর-নিঃসন্দে হে এরা অপবিত্র এবং তাদের কৃতকর্মের বদলা হিসাবে তাদের ঠিকানা হলো দোযখ।“ ( সুরা তাওবা ৯:৯৫ )
নবি অবশ্য তিন জন মুমিন সাহাবী কাব বিন মালিক, মোরারা বিন রাবি ও হেলাল বিন উমাইয়ার তাবুক যুদ্ধে না যাওয়ার তওবা গ্রহন করেন, তবে এর আগে তাদেরকে ৫০ দিনের জন্য নিজ বিবি, পরিবার-পরিজন ও সমাজ থেকে বয়কট মানসিক শাস্তি দেওয়া হয়। সুরা তওবা নামকরনের এটাই শানে নাজুল। কাজেই নবি জেহাদকে কতোটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এ থেকেই পাঠকরা অনুধাবন করতে পারবেন।
প্রেক্ষাপট ও তাফসীর বিশ্লেষণ
তরবারির আয়াত (The sword verse) বা সুরা তওবা আয়াত নং ৫ এর প্রেক্ষাপট ও তাফসীর বিশ্লেষণ
সুরা তওবার আয়াত ১ থেকে ৪ঃ
১। সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।
২। অতঃপর তোমরা পরিভ্রমণ কর এ দেশে চার মাসকাল। আর জেনে রেখো, তোমরা আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদিগকে লাঞ্ছিত করে থাকেন।
৩। আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর, আর যদি মুখ ফেরাও, তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও।
৪। তবে যে মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তি বদ্ধ, অতপরঃ যারা তোমাদের ব্যাপারে কোন ত্রুটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে কৃত চুক্তিকে তাদের দেয়া মেয়াদ পর্যন্ত পূরণ কর। অবশ্যই আল্লাহ সাবধানীদের পছন্দ করেন।
সুরা তাওবার প্রথম ৫ টি আয়াতে বর্ণিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও বাক্যের বিশ্লেষণঃ
“সম্পর্কচ্ছেদ”
সুরা তওবা শুরু হয়েছে নবি তথা আল্লাহর তরফ থেকে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার মাধ্যমে এবং ৫ নং তরবারির আয়াতে কতল করার হুমকির পূর্বে ৪ মাসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আলোচনায় দেখা যাবে যে আল্লাহ ও নবির সাথে এই সম্পর্কচ্ছেদের আওতায় চুক্তি ভুক্ত বা অচুক্তিভুক্ত সকল বিধর্মীই অন্তরভুক্ত, যেমনটি বলা হয়েছে নিম্নে বর্ণিত তাফসীরে মাযহারিতে। তবে এই তাফসিরে ভুলে তাবুক যুদ্ধের চুক্তি ভঙ্গকারী বলা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে হবে হুদাইবিয়ার চুক্তি । চুক্তির বিষয়টি পরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনায় আসবে।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১১
জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে একমাত্র আপনিই আমার কিউরিয়সিটি নিয়ে এখানে তথ্য দিলেন। আমার অনুরোধ থাকবে- আর কি কি আয়াহ আছে যেখানে হত্যার বৈধতা আছে কিংবা দাস/দাসী তথা গণিমত কিংবা অসভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়, যদি থাকে প্লিজ মেনশন করে দিবেন। আমি এইগুলোর স্যাটিসফায়েড উত্তর না পাইলে হতাশ হইয়া যাইতে পারি এবং বলা যায় না ইসলাম ত্যাগ করার সম্ভাবনাও খানিক আছে। আমার গন্তব্য হচ্ছে সত্য জানা, এবং এই পথে চলতে আমি উদার এবং সরল মনেই যাত্রা করিয়াছি।
৮| ১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জেনে ভাল লাগলো।
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১১
জ্যাকেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইসাহেব।
৯| ১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আংশিক সত্য। তবে আমি আর কি কি কনফ্লিক্টিং আয়াহ আছে সেইগুলা জানতে আগ্রহী।
.....
বিশাল ব্যাপার ,,সব জানা নেই তবে আপনি যদি বা কেউ যদি এই আয়াতটি দিয়ে বুঝতে চায় (এমন আয়াত আরো আছে ,যে কোনো আয়াতেই প্রযোজ্য ) কোরানে/হাদিসে অন্যায় বা ধ্বংসাত্মক কাজ কর্ম করতে বলেছে।
(আমি যা করি ) -কোরান ও হাদিস বিষয়ে যেহেতু তেমন জানিনা, তবে বিশ্বাসে অবিচল। অর্থাৎ প্রথমেই ধরে নেই -
কোরানে এমন কিছুই থাকতে পারেনা যা অকল্যাণ বা ধ্বংসাত্মক। নিশ্চই যে আয়াত বা বাক্য বলা হচ্ছে তার আগে পিছে আরো আয়াত বা বাক্য অবশ্যি আছে এবং আছে এবং থাকবেই।
একটি উদাহরণ দেই -
তোমার হাত কেটে দেব, কথাটি বলেছি আমি ,তবে কথাটি ছিল -
যদি তুমি চুরি করে ধরা পর তবে তোমার হাত কেটে দেব।
এবার আসি কোরানের সেই আয়াত বা বাক্যতে
সূরা তওবা থেকে ৯ নম্বর সূরা
৯.১ ৯.২ ৯.৩ ৯.৪ ৯.৫ ৯.৬ ৯.৭ ৯.৮.......৯.১২৯ পর্যন্ত
অথচ ৯.৫ অংশ বলেছে তও আবার প্রথম লাইন বাদ দিয়ে,দেখুন -
[অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক।]
মনে হচ্ছে কি ভয়ংকর কথা ,কিভাবে এমন কথা কোনো শান্তির ধর্ম বলতে পারে ?না না ইসলাম ভুল বলে কেন ,অশান্তির কথা কেনো বলে .....ইত্যাদি
এবার দেখি কোরান আগে পরে কি বলেছে
এখন ৯.৫ এর মূল অংশ দেখুন
৯.৫ অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এবার ৯.১ থেকে ৯.৮ পর্যন্ত দেখুন বা ৯.৪ থেকে ৯.৬ দেখুন
৯.১ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা মুশরিকদের মধ্য থেকে সে সব লোকের প্রতি, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। ৯.২ সুতরাং তোমরা যমীনে বিচরণ কর চার মাস, আর জেনে রাখ, তোমরা আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না, আর নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে অপদস্থকারী।৯.৩ আর মহান হজ্জের দিন মানুষের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা, নিশ্চয় আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়মুক্ত এবং তাঁর রাসূলও। অতএব, যদি তোমরা তাওবা কর, তাহলে তা তোমাদের জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা ফিরে যাও, তাহলে জেনে রাখ, তোমরা আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না। আর যারা কুফরী করেছে, তাদের তুমি যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।৯.৪ তবে মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছ, অতঃপর তারা তোমাদের সাথে কোন ত্র“টি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করেনি, তোমরা তাদেরকে দেয়া চুক্তি তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত পূর্ণ কর। নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন। ৯.৫ অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।৯.৬ আর যদি মুশরিকদের কেউ তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনে, অতঃপর তাকে পৌঁছিয়ে দাও তার নিরাপদ স্থানে। তা এই জন্য যে, তারা এমন এক কওম, যারা জানে না। ৯.৭ কীভাবে মুশরিকদের জন্য অঙ্গীকার থাকবে আল্লাহর কাছে ও তাঁর রাসূলের কাছে? অবশ্য যাদের সাথে মসজিদে হারামে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের কথা আলাদা। অতএব যতক্ষণ তারা তোমাদের জন্য ঠিক থাকে, ততক্ষণ তোমরাও তাদের জন্য ঠিক থাক। নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন।৯.৮ কীভাবে থাকবে (মুশরিকদের জন্য অঙ্গীকার)? অথচ তারা যদি তোমাদের উপর জয়ী হয়, তাহলে তারা তোমাদের আত্মীয়তা ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখে না। তারা তাদের মুখের (কথা) দ্বারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তর তা অস্বীকার করে। আর তাদের অধিকাংশ ফাসিক
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৫৯
জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।
১০| ১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:১২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে একমাত্র আপনিই আমার কিউরিয়সিটি নিয়ে এখানে তথ্য দিলেন। আমার অনুরোধ থাকবে- আর কি কি আয়াহ আছে যেখানে হত্যার বৈধতা আছে কিংবা দাস/দাসী তথা গণিমত কিংবা অসভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়, যদি থাকে প্লিজ মেনশন করে দিবেন। আমি এইগুলোর স্যাটিসফায়েড উত্তর না পাইলে হতাশ হইয়া যাইতে পারি এবং বলা যায় না ইসলাম ত্যাগ করার সম্ভাবনাও খানিক আছে। আমার গন্তব্য হচ্ছে সত্য জানা, এবং এই পথে চলতে আমি উদার এবং সরল মনেই যাত্রা করিয়াছি।
সর্বনাশ
* মুরতাদ/ইসলাম ত্যাগী সংক্রান্ত কি কি আয়াত আছে ?
কোরানে কল্লা কাটার কথা উল্লেখ নাই কিন্তু হাদিসে আছে হত্যা কর এবং সেইটই্ ব্যবহার করে যাদের কল্যা কাটা দরকার তারা।
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৫৯
জ্যাকেল বলেছেন: আপনি হাদিস মেনশন করতেছেন অথচ এ ব্যাপারে আমি পোস্টের শেষাংশে পরিস্কার করে দিয়েছিলাম।
১১| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।
(বিষয়টা ইসলামের ,তাই সময় ব্যায় করেছি ,নিজের মতো বলেছি )
জেনে রাখুন ,না জেনে ধর্ম পরিবর্তনের উস্কানিতে যোগ দেয়া বোকামি
আল্লাহ সহায়
[প্রতিউত্তর প্রয়োজন নাই ]
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২০
জ্যাকেল বলেছেন: জেনে রাখুন ,না জেনে ধর্ম পরিবর্তনের উস্কানিতে যোগ দেয়া বোকামি
হাঃ হাঃ হাঃ
এই বয়সে এসে ধর্ম পরিবর্তন মোটামুটি অসম্ভব। তবে সত্য জানা যদি উদ্দেশ্য হয় তবে প্রি-কন্টেক্সট বাদ না দিয়ে উপায় নাই। আগের জানা সব কিছু রিসাইকল বিনে রেখে পরে না হয় রিস্টোর করে তুলনা করে সিদ্বান্ত নেওয়া যাবে।
তবে ইসলামের সবথেকে বেশি অভিযোগ কৃত অংশগুলো নিয়ে আমি নিজের আত্মার উন্নতির স্বার্থেই স্টাডি করতেছি। আশা করি আমার বিবেক-বুদ্ধি আমাকে আসল সত্য থেকে বিরত হতে দিবে না।
১২| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩২
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: প্রথম যে মন্তব্য করেছি সেটা পড়ুন দয়া করে।
আমি যা করি -
যে কোনো আয়াত বা বাক্য নিয়ে অন্য ধর্মীরা যাই বলুক।
প্রথমেই ধরে নেই -
সেই ব্যাকের বা আয়াতের আগে পরে অবশ্যি কিছু বলা আছে.
অসম্পূর্ণ বাক্য বা আয়াত বলে ঝামেলা তৈরী করা উস্কানি দাতাদের কাজ।
আল্লাহ সহায়
২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৭
জ্যাকেল বলেছেন: পড়েছিলাম।
আমি জানি ভাই, যেখানে পাও হত্যা কর এর আগে কন্ডিশন আছে। এইগুলা নিয়ে জল কম ঘোলা হয় নি। তবে আমার কথা হচ্ছে আপত্তিজনক আর কি কি আছে প্রথমে সেগুলো সনাক্ত করা এরপরে শানে নুযুল জানা, এইগুলার এপ্লিকেশন কিভাবে রাসুল সাঃ করেছিলেন সেটা জানা। যদি বিবেক বিরুদ্ধ হয় তবে ভিন্ন ভাবনা আসতে পারে, জাস্ট। তবে আশার কথা হইল এখন পর্যন্ত আমি কোরআনে অমানবিক কিছুই আবিস্কার করতে সক্ষম হই নি।
চিন্তা কইরেন না। প্রত্যেক মানুষকে নিজ আমলের জবাবদিহি করতে হবে তাই না?
আর আমার অধ্যয়ণের পদ্ধতি হইতেছে আমি একেবারে লাস্ট দিক/সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াহ দিয়ে পড়া শুরু করি। এতে বুঝতে পারি একটি আয়াত কেন নাজিল হয়েছিল আর আমাদের কি শিক্ষা এখানে আছে?
১৩| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪৯
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমি জানি ভাই, ...... যদি বিবেক বিরুদ্ধ হয় তবে ভিন্ন ভাবনা আসতে পারে, জাস্ট।
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন -আমি প্রথমে বিশ্বাস রাখি যে -বিবেক বিরুদ্ধ কিছু থাকতেই পারেনা ,আমি বুঝতে ভুল করছি ,তাই আবার আগে পরে সহ পড়ি,আবার পড়ি। .. বিবেক বিরুদ্ধ দূর হয়ে যায় আল্লাহর রহমতে
লেখক বলেছেন:
তবে আশার কথা হইল এখন পর্যন্ত আমি কোরআনে অমানবিক কিছুই আবিস্কার করতে সক্ষম হই নি।
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন -অমানবিক কিছুই আবিস্কার করতে কেউ কখনো সক্ষম হবে না। অসম্ভব ,অকল্পনীয়। কারণ -অমানবিক কিছু আল্লাহ বলতেই পারেননা ,যিনি আমাদের আমাদের পিতামাতা অপেক্ষে অনেক অনেক ভালোবাসেন
.................
চিন্তা কইরেন না। প্রত্যেক মানুষকে নিজ আমলের জবাবদিহি করতে হবে তাই না?
জ্বি তাই ,আল্লাহ সহায়
২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
১৪| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৭
গরল বলেছেন: সূরা আল-আনফাল আয়াত ১২
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
when your Lord revealed to the angels, "Verily, I am with you, so keep firm those who have believed. I will cast terror into the hearts of those who have disbelieved, so strike them over the necks, and smite over all their fingers and toes.
http://www.quraanshareef.org/Surah-Al-Anfal
https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Anfal#Exegesis
২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
জ্যাকেল বলেছেন: প্লিজ সাড়ে চুয়াত্তর এর দেয়া উত্তর দেখেন।
১৫| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহতায়ালা মক্কার হারাম এলাকাকে কাফের মুক্ত করতে চেয়েছেন। এটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের কি বলার থাকতে পারে। কারণ মক্কা মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সেই আদিকাল থেকেই। পরের বছর ( সম্ভবত ৯ ম হিজরিতে) যেন কোন কাফের তাদের জাহিলি নিয়মে হজ না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যাদের সাথে স্বল্পকালীন চুক্তি ছিল তাদের ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ (সম্ভবত ৯ মাস ছিল) পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে ৪ মাস সময় দেয়া হয় মক্কা এলাকা ত্যাগের জন্য। তারপরও কেউ যেতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে বল প্রয়োগের ভয় দেখানো হয়েছে। এটাই সুরা আত তাওবার ৫ নং আয়াতের সারমর্ম। এমন না যে তাদেরকে আকস্মিকভাবে আক্রমণ করতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতি নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং সময় দেয়া হয়েছে। নোটিশের শর্ত না মানলে কঠোর হতে বলেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অস্ত্র প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি। এটা দেশের আইনের মত। কারফিউ জারি থাকলে প্রয়োজনে গুলিও করা হয় দেশের আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে। আরেক দেশের সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা মাত্র অনেক সময় গুলি চালানো হয়।
কোরআনের আয়াতের অপ ব্যাখ্যার মাধ্যমে এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোন আয়াতকে প্রয়োগ করার চেষ্টার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। অনেক আয়াত নির্দিষ্ট কোন ঘটনার কারণে নাজিল হয়েছে আবার অনেক আয়াতের অর্থ সার্বজনীন। কিন্তু ইসলাম বিরোধীরা অনেক আয়াতকে সার্বজনীনভাবে প্রয়োগ করে ইসলামকে বিতর্কের মধ্যে ফেলতে চেষ্টা করে।
ইসলাম বিরোধীরা খোলা মনে কোরআন পড়ে না। ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে কোরআন পড়লে ভালো কথাও খারাপ মনে হয়।
সুরা আনফালের ১২ নং আয়াত বদরের যুদ্ধের সময় নাজিল হয়েছে। এই আয়াতে ফেরেশতাদেরকে মুসলমানদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আল্লাহ আশ্বাস দিয়েছেন যে আমি এবং ফেরেশতারা আপনাদের সাথে আছি। তাই আপনারা আঘাত করুন শত্রুর ঘাড়ে, আঙ্গুলের অগ্রভাগে এবং হারের জোড়ায়। যুদ্ধের সময় নাজিল হওয়া আয়াতে হত্যার কথা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
রসূলের (সা) জীবদ্দশায় যে যুদ্ধগুলিতে মুসলমানরা জড়িয়ে ছিল সেই যুদ্ধ সমুহে উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ ১০১৮ (২৫৯ জন মুসলমান এবং ৭৫৯ জন কাফের/মুশরেক) জন মানুষ নিহত হয়েছে। ২০ টার মত যুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া আরও ৬০ টা যুদ্ধের অভিযান নেয়া হলেও অস্ত্র প্রয়োগ করার দরকার হয় নাই। সেই তুলনায় আধুনিক যুগের যুদ্ধে ২য় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি মানুষ নিহত হয়েছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ২ কোটি লোক নিহত হয়েছে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে থাকে যে রসূল (সা) অস্ত্রের দ্বারা ইসলাম প্রচার করেছেন। প্রায় সকল যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা কাফেরদের চেয়ে কম ছিল। অনেক ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন গুণ সৈন্য বেশী ছিল বিরোধী পক্ষের। কম সৈন্য এবং অস্ত্র নিয়ে কেউ কি যুদ্ধের বাহাদুরি করে নাকি।
২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১
জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই আলোচনায় অংশ নেবার জন্য। আপনার সাথে বিস্তারিত আলাপের প্রয়োজন আছে। আমি আরো কিছু স্টাডি করে নিই তারপরে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন হতে পারে।
১৬| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৩১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহতায়ালা মক্কার হারাম এলাকাকে কাফের মুক্ত করতে চেয়েছেন। এটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের কি বলার থাকতে পারে। কারণ মক্কা মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সেই আদিকাল থেকেই। পরের বছর ( সম্ভবত ৯ ম হিজরিতে) যেন কোন কাফের তাদের জাহিলি নিয়মে হজ না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যাদের সাথে স্বল্পকালীন চুক্তি ছিল তাদের ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ (সম্ভবত ৯ মাস ছিল) পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে ৪ মাস সময় দেয়া হয় মক্কা এলাকা ত্যাগের জন্য। তারপরও কেউ যেতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে বল প্রয়োগের ভয় দেখানো হয়েছে। এটাই সুরা আত তাওবার ৫ নং আয়াতের সারমর্ম। এমন না যে তাদেরকে আকস্মিকভাবে আক্রমণ করতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতি নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং সময় দেয়া হয়েছে। নোটিশের শর্ত না মানলে কঠোর হতে বলেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অস্ত্র প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি। এটা দেশের আইনের মত। কারফিউ জারি থাকলে প্রয়োজনে গুলিও করা হয় দেশের আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে। আরেক দেশের সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা মাত্র অনেক সময় গুলি চালানো হয়।
@সাড়ে চুয়াত্তর
সেম কাজ তো ভাই বর্তমানে ইস্রাইলিরা করতেছে 'প্রমিজড-ল্যান্ড' এর ধোঁয়া উঠায়।
২২ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২১
জ্যাকেল বলেছেন: ইজরাইলে যেটা চলছে সেটা নির্দিস্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ না। এরা প্রথমে এলাকা দখল করেছিল তারপরে দখল করেছিল রাজ্য এরপরে দেশ। ভবিষ্যতে পুরা আরব এরপরে এশিয়া মহাদেশ তারপরে ইউরোপ তারপরে দেখবেন পুরা দুনিয়া এরা দখল করে ফেলেছে। এদের নিয়ে আপনার জ্ঞান কম।
১৭| ২২ শে মে, ২০২২ ভোর ৪:৪৫
গরল বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহতায়ালা মক্কার হারাম এলাকাকে কাফের মুক্ত করতে চেয়েছেন। এটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের কি বলার থাকতে পারে।
কাফের বা বিধর্মি হলেই তাকে নিজের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে এটা তো জালিমদের মত অত্যাচার। আর সুরা আনফালে বলা হয়েছে কাফের বা বিধর্মি হলে হত্যা করতে, যুদ্ধে শত্রুর মোকাবেলার ভাষা এরকম হয় জানতাম না।
২৪ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৯
জ্যাকেল বলেছেন: আপনার অভিযোগ যুক্তিযুক্ত নহে। মক্কার ঐ সময়কার ইতিহাস আপনি জেনে বলছেন?
১৮| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কাফের বা বিধর্মি হলেই তাকে নিজের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে এটা তো জালিমদের মত অত্যাচার। আর সুরা আনফালে বলা হয়েছে কাফের বা বিধর্মি হলে হত্যা করতে, যুদ্ধে শত্রুর মোকাবেলার ভাষা এরকম হয় জানতাম না।
@ গড়ল, আপনি নিশ্চয় জানেন রাসুল সাঃ এবং তার অনুসারীদের কি নিমর্ ভা্েব হত্যা করা হয়েছিলো। তারা জীবনের ভয়ে মক্কা থেকে পালিয়েছিলো। দীর্দিন পালিয়ে থেকে মক্কা বিজয়ের পর তারা যখন ফিরে এলো তখন তো প্রতিশো্ধ নেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ হয়েছিলো। ইসলাম কিন্তু রক্তের বদলে রক্ত চোখের বিরুদ্ধে চোখ তত্ত্বে বিশ্বাস করে।
আপনার জীবনে যদি এমন নির্মমতা আসতো তাহলে আপনি কি করতেন প্রতিশোধ নিতেন নাকি শত্রুদের চুমু খেতেন? যদি আপনি
প্রতিশোধ না নিয়ে চুমু খেতেন তাহলে আমাদের বোঝা উচিত তাহলে আমাদের বোঝা উচিত আপনি ফেরেস্তা নইলে পাগল। কারন আপনার উপলদ্ধি বোধ নেই আপনি কিছু মনে রাখেন না।
২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৫
জ্যাকেল বলেছেন: এইসব নিয়ে উনার ভ্রুক্ষেপ হইবে না। কারণ এইসব বাস্তবতা আমলে নিলে ইসলামের ওপর অভিযোগ আনা সম্ভব হইবে না। কি আর করা উনার।
১৯| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১:৩০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নিমর্ ভা্েব হত্যা করা হয়েছিলো। অনিচ্ছাকৃত এই ভূলের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্ী। নিমর্ ভা্েব হত্যা করা হয়েছিলো। এই বক্তব্য না হয়ে এখানে নিমর্ ভা্েব হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো’ হবে।
২৮ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৪১
জ্যাকেল বলেছেন: আমি বানান সংক্রান্ত সমস্যাটা বুঝতে পারলাম না। যাক, আপনাকে ধন্যবাদ আলোচনায় আসার জন্য।
২০| ১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে ইসলাম বিরোধী লোকজন কমে গেল না কি?
আলগা বাতাস দেয়ার লোকজন কই?
২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪০
জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার নমানুষ পড়তেছি। দেখি কিছু বলা যায় কি-না। সময় পাই না। সমস্যা। আলগা বাতাস দেয়ার লোকজন কই? ইহারা মনে হয় এখন অফ আছে। ঘ্যাচ ঘ্যাচ আর কত করব। মাঝে মধ্যে অফ দিতেও হয় সবাইকে। তাই না?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উত্তর দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমি।