নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮
আওয়াজ উডা, কথা ক, চল ভুলে যাই, বায়ান্ন হচ্ছে ২০২৪ আন্দোলনের কিছু গান। পুলিশের অমানবিক গুলির হুমকি, আর্মির বন্দুকের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা ছাড়াও; জনমানুষের এই পবিত্র আন্দোলনের জন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করেছিলেন।
যেমন শিল্পিরা করেছেন তেমন করেছেন কবি লেখকরাও।
পেছন ফিরে দেখা যাক, ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলা প্রদেশকে ইংরেজ সরকার ভাগ করতে চায়।
ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ ও আসাম নিয়ে গঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ। এর গভর্নর নিযুক্ত হন স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার। আর পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ।
বাংলা প্রদেশ বিকেন্দ্রীকরণ করলে আসলে উভয় অংশই উন্নতি লাভ করার কথা ছিল। তবে কলিকাতা শহরটির উপর যে মনোযোগ ছিল বিশাল অঞ্চলের তা কিছুটা কমে যাবারই কথা। অপরদিকে ঢাকা মুসলিম অধ্যুষিত শহর এবং স্বাভাবিকভাবেই এটা প্রদেশের রাজধানী হইলে ঢাকা শহর বিকশিত হইবারই কথা।
তাই হিন্দু জমিদারগণ বেঁকে বসলেন(তাদের অনেকের জমিদারি পুর্ববাংলায় কি-না) এবং আন্দোলন শুরু করলেন তারা। এমনই এক জমিদার ছিলেন কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মুসলমানদের প্রতি এমনিতেই বিদ্বেষ পোষণ করতেন(হ্যাঁ ইহা তেতো কিন্তু সত্য)। রবি ঠাকুর লিখে ফেলিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও পুর্ববঙ্গ ভাগ না করিবার জন্য গান, আমার সোনার বাংলা।
এই বাংলা বলতে আসলে বোঝায় ব্রিটিশদের সময়কার বাংলা প্রদেশ। গোলামির জিন্জিরে আবদ্ধ বাংলা প্রদেশকেই বোঝায়। এই বাংলা কোনক্রমেই বাংলাদেশকে বোঝায় না। বরং এই গান হইতেছে স্বাধিনতাকামী মানুষদের মুখে চপেটাঘাত।
বর্ণ হিন্দু জমিদারগণের এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সফল হয়। মুসলমানদের অধিকার হরণে তারা বিজয়োৎসব করে।
পরিশেষে বলবঃ রাষ্ট্র কোন ধর্ম না যে সংবিধান ইহার ধর্মগ্রন্থ আর জাতীয় সংগীত কোন কালেমা না। কেহ বদলালে ইহাতে বুঝদার মানুষের কিছু যায় আসে না।
তবে আসলে আমি চাই সেই সময়কার যে বাংলা প্রদেশ ছিল, সেই বাংলা প্রদেশের ভৌগলিক এলাকা নিয়ে যদি বাংলাদেশের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় তবে আমার সোনার বাংলা অবশ্যই থাকতে হবে। সেইসাথে অপরিবর্তনীয় জাতীয় সংগীত হিসাবে বিতর্কমুক্ত থাকতে আর সমস্যা হইবে না।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২
জ্যাকেল বলেছেন: তাহলে ইহা সংশোধন করা হোক, কারণ অবিকৃত এই গান ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের উদ্দেশ্যে রচিত।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১
আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: আর "আমার সোনার বাংলা" গানটা আরবীতে অনুবাদ কইরা গাওয়া যাইতে পারে, যেমন --
يا بنغالي الذهبي
أحبك
إلى الأبد، سماؤك
هوائك يضبط قلبي
كما لو كان مزمارًا
আর "বাংলাদেশ" নামের মধ্যেই কেমুন যানি একটা হিন্দুয়ানী হিন্দুয়ানী দুর্গন্ধ আছে। অনেকে কয় দেশের নাম চেঞ্জ কইরা "বাংলাস্তান" করা হউক। কিন্তু "বাংলা" শব্দটা আরবী বা ইসলামী কুন শব্দ না। প্রাচীন কালের আরবরা "বাংলা"রে কইত "বাঞ্জালা" (بانجالا)। আর "স্তান" শব্দটা আইছে আবেস্তানী (পশ্চীম সংস্কৃত/খারোষ্টী) শব্দ "স্থান" থিকা, এর অর্থ হইল এলাকা বা দেশ। তার মানে এইডাও ইসলামী কিছু না। দেশের নাম পালটাইয়া "দৌলত-উল-বাঞ্জালা" (دولة البانجالا) করা যাইতে পারে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
জ্যাকেল বলেছেন: আরে ভাদা একটু মন নিয়ে পড়লেই বুঝতে পারতে এখানে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বলা হয়নি, বলা হয়েছে ১৯০৫ সালে বর্ণহিন্দুদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। হিংসা করা হয়েছিল পুর্ববাংলার মুসলিমদের। সামান্য এই কথাটা না বুঝতে পারলে কেমন করি ভাত খাবি মনু?
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২০
অধীতি বলেছেন: এই আলাপটা আমার কাছে কেমন জানি মনে হয়। জাতীয় সংগীত হইতে হইলে একটা গানের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তবে আমার সোনার বাংলা কোনদিক থেকেই বাংলার বিরোধিতা করে না একমাত্র এর লেখার ইতিহাস ব্যাতিত।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮
জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক। যে প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছিল শুধু সে কথা বলাতেই নাস্তিকদের জেহাদি জোশ লেগে গেছে দেখছেন?
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২২
অগ্নিবেশ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কি? জানতে চাইলাম, চ্যাট জিপিটি জানাল।
পাকিস্তান ভাগে আমি ব্যথিত,
অন্তর কাঁদে দিবানিশ।
ভারত আমার চিরশত্রু,
তাদের মুখে দিই বিষ।
বাংলাদেশে ইসলাম ছাড়া,
কিছুই চলবে না।
হিন্দু খেদাও, দেশ বাঁচাও,
এই নীতিতেই থাকব আমরা।
গজওয়াতুল হিন্দ করবই,
জিহাদীদের আহ্বান।
দলে দলে এসো ভাই,
মরলে জান্নাত, বাঁচলে মালামাল।
গণিমতের মাল হাতে,
বিধর্মীদের করব শেষ।
এই পথে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,
আমার বাংলাদেশ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯
জ্যাকেল বলেছেন: হাঃ হাঃ লুঃ খুঃ লুঃ গেঃ
২০২৪ এর টা শুনবেন না?
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে নয়, তার লেখা "আমার সোনার বাংলা...."- জাতীয় সংগীত হিসেবে আমার কাছে যথার্থই মনে হয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
জ্যাকেল বলেছেন: ১৯০৫ সালে বাংলা বলতে আসাম টু বিহার পর্যন্ত সীমানা বোঝান হইয়াছিল তবে গান হিসাবে খারাপ না। কিন্তু গানটি রচনার যে কারণ ছিল সেটা ভুলে যাওয়া মানে সেই সময়ের ঢাকাবাসি নেতৃবৃন্দের সাথে বেঈমানি করা।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: আরে ভাদা একটু মন নিয়ে পড়লেই বুঝতে পারতে এখানে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বলা হয়নি, বলা হয়েছে ১৯০৫ সালে বর্ণহিন্দুদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। হিংসা করা হয়েছিল পুর্ববাংলার মুসলিমদের। সামান্য এই কথাটা না বুঝতে পারলে কেমন করি ভাত খাবি মনু?
বুজছি ভাই, বুঝছি, তয় আরেকটা ব্যপার,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুসলিম না হইলেও উনি আছিলেন তাওহিদী মতবাদে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি। উনি ব্রাহ্ম সমাজের একজন সদস্য আছিলেন। ব্রাহ্ম সমাজরা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। সুতরাং উনাকে ৫০% হালাল ধরা যাইতে পারে। কিন্তু সমস্যা হইলো উনার নাম, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" -- এইডা খাস হিন্দুয়ানী মালাউনী নাম। কিন্তু সুখবর ইহলো এই নামরে আরবীকরণ করা যাইতে পারে।
যেমন,
রবীন্দ্রনাথ = রবি + ইন্দ্র + নাথ = সূর্য + ইন্দ্র + প্রভু = সূর্যের মহাপ্রভু = سيد الشمس العظيم (সাইয়িদুল-শামসুল-আযীম)
ঠাকুর = নেতা, গুরু = الرئيس (আল-রইস)
তার মানে হইল,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর = سيد الشمس العظيم الرئيس = সাইয়িদুল-শামসুল-আযীম আল-রইস
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গানের যে প্রেক্ষাপট তাতে বিকল্প ভাবা যেতেই পারে তবে প্রেক্ষাপট বাদ দিলে যথার্থই বটে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
জ্যাকেল বলেছেন: একমত।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের জাতীও সঙ্গীতে শুধু বাংলা কেন থাকবে? বাংলা আর বাংলাদেশ কী এক? বাংলা মানে ওপারের অংশও বুঝায়। কেও কি পারবেন রবীন্দ্রনাথের গান এডিট করে আমার সোনার বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালবাসি লিখতে?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
জ্যাকেল বলেছেন: না কেহ পারবেন না, কারণ উহা বিকৃতি হবে।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
আদিত্য ০১ বলেছেন: সবকিছুই পরিবর্তন করা হোক, দেশের নাম বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে বৈষম্যবিরোধিদেশ করা হোক, ঢাকা পরিবর্তন করে সারজিশনগর রাখা হোক, রাজশাহিকে পরিবর্তন করে নাহিদশাহি রাখা হোক, রংপুরকে পরিবর্তন সাইদ নগর রাখা হোক, এভাবে সব বিভাগ ও জেলার নাম হবে ছাত্রদের নামে। জাতীয় সংগীত বাদ দিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত রাখা হোক, ১৯৭১-এ দেশ স্বাধীন হয় নি, মুক্তিযোদ্ধারা সব দালাল, পাকিস্তানের সাথে তারা অন্যায়ভাবে দেশ ভাগ করেছে, এই দেশের নাম আবার পূর্বপাকিস্তান নয়ত বৈষম্যবিরোধিদেশ নাম রাখা হোক, ১৯৭১-এ যারা পাকিস্তানে পক্ষে ছিলো তারা দেশপ্রেমী ও মুক্তিযোদ্ধা।
জাতীয় ফুল পরিবর্তন করে গোলাপ রাখা হোক নয়ত হাসনা হেনা (আরবি নাম), জাতীয় ফল খেজুর রাখা হোক, জাতীয় পশুর নাম গরু রাখা হোক
এই দেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দেশ, এই দেশ তারা স্বাধীন করেছে, তাদের কথা অনুযায়ী সবকিছু চলবে, বাকি সবাই তাদের আদশে চললে চলবেন নয়ত ভারতে চলে যান, এই দেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের - আপনি ভাড়ায় থাকতেছেন এইটাও ভাবতে পারেন। আপনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কথা না শুনলে ভারত চলে যান বা অন্য দেশে চলে যান
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
জ্যাকেল বলেছেন: ম্যাৎকার চলুক
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
জটিল ভাই বলেছেন:
যাক্! ব্লগে অন্তত্য লিখার একটা টপিকতো হয়েছে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
জ্যাকেল বলেছেন: হঃ হাঃহাঃহাঃ
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
এম ডি মুসা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীলঙ্কা জাতীয় গীতিকা রচনা করেন। তিনি বিশ্বকবি। বাংলাদেশ তাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। এই জাতীয় সংগীত এর বাংলার রূপ বৈশিষ্ট্য আছে