নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মিলে মরিতে হইবে

জ্যাকেল

ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮

জ্যাকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা বরাবরই সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের কাজ হলো সত্য প্রকাশ, জনমতের প্রতিনিধিত্ব এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশের দুই প্রভাবশালী পত্রিকা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার ভারতের নীতি এবং আগ্রাসনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে।




ভারতীয় আগ্রাসন এবং আসাম রাজ্যের প্রসঙ্গ
ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি রাখা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ। করিমগঞ্জ জেলার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যাকে উপেক্ষা করে এমন নাম পরিবর্তন ভারতের সাম্প্রতিক হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিরই প্রতিফলন। নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে সেখানে বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর ইতিহাস এবং পরিচিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকায় এ বিষয়টি আলোচিত হলেও, প্রথম আলো এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। তাদের নিরবতা কেবল অস্বাভাবিক নয়, বরং গভীর সন্দেহের জন্ম দেয়। ডেইলি স্টারও এই ইস্যুতে কার্যত কোনো সাড়া দেয়নি। এটি এমন একটি সময় যখন প্রতিবেশী ভারতের কার্যকলাপ নিয়ে সচেতন থাকা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



গণমাধ্যমের নিরবতা: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?
প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার দীর্ঘদিন ধরেই তাদের কিছু রিপোর্টিংয়ের জন্য সমালোচনার মুখে পড়ছে। তাদের নীতি, কভারেজ প্যাটার্ন এবং বিশেষ করে ভারতের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে নিরবতা বা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বেশ পুরোনো।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ হলো, এই পত্রিকাগুলো এমন একটি "এজেন্ডা" বাস্তবায়ন করছে যা বাংলাদেশের স্বাধীন স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করে। তাদের দাবি, এই গণমাধ্যমগুলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তির চাপে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করে।

ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো নিয়ে আরও একটি অভিযোগ হলো, তারা ধর্মীয় মুসলমানদের প্রায়শই "জঙ্গি" হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন কোনো ধর্মীয় সংগঠন দেশের পক্ষে একটি যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে, তখন এই পত্রিকাগুলো তা প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিকৃত করে উপস্থাপন করে।

শাহবাগী বয়ান তৈরির অভিযোগ
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, এই দুটি গণমাধ্যম শাহবাগ আন্দোলনের সময় থেকে একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। শাহবাগ আন্দোলনের সময় এ দুটি পত্রিকা একতরফা রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। ফলে গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

শাহবাগ আন্দোলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল জনমত তৈরি করা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই জনমত কি বাস্তবতা তুলে ধরেছিল, নাকি একটি বিশেষ পক্ষের বয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল?

বাংলাদেশের গণমাধ্যম: আসল চ্যালেঞ্জ
গণমাধ্যমের উচিত দেশের স্বার্থকে সবার ওপরে রাখা। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিবেশী যেখানে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করছে, সেখানে বাংলাদেশি গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা অটুট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার যদি সত্যিই ভারতের আগ্রাসনের পক্ষে কাজ করে থাকে, তবে তা দেশের জন্য বিপদজনক। কারণ একটি দেশের গণমাধ্যম জনগণের চিন্তাধারাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন
১. কেন করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তনের ইস্যুতে প্রথম আলো নিরব?
বাংলাদেশের জনগণ এবং গণমাধ্যমের একটি অংশ যদি এ বিষয়ে সরব হতে পারে, তবে প্রথম আলো বা ডেইলি স্টার কী কারণে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি?

২. কেন এ দুটি গণমাধ্যম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীকে অপমান করার মতো নীতি গ্রহণ করে?
সমালোচকদের মতে, এই গণমাধ্যমগুলো পশ্চিমা এবং ভারতীয় শক্তির প্রভাবাধীন। তারা বাংলাদেশের জনগণের বাস্তব চাওয়া-পাওয়ার বিপরীতে অবস্থান নিচ্ছে।

৩. গণমাধ্যম কি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে?
গণমাধ্যমের কাজ হলো সত্য উন্মোচন করা। পক্ষপাতমূলক রিপোর্টিং বা নিরবতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু তাদের নিরপেক্ষতা এবং জাতীয় স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ভারতের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আগ্রাসনের মুখে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক।

এ অবস্থায় গণমাধ্যমের উচিত দেশের জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। কোনো পক্ষপাতমূলক বয়ান বা নিরবতা যদি এই দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তবে তা শুধু গণমাধ্যমের জন্য নয়, বরং দেশের জন্যও ক্ষতিকর।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে- ওরা বদলাতে পারবেনা। কারণ, ওদের নাটাই ওদের হাতে নাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক। ওদের এমনভাবে নারীঘটিত কেলেংকারি দিয়ে বাইন্ধা রাখা হইছে যে নড়তে পারতেছে না।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনার শিরোনামের সাথে একমত। এই দুই পত্রিকার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা স্বছতার সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। বিচারের মুখোমুখি করা হোক এদের। '' জঙ্গী তকমা '' লাগিয়ে বাংলাদেশি মুসলিমদের বিশ্বব্যপী আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ফেলে দিয়েছিল এরা ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২০

জ্যাকেল বলেছেন: পুরো বাংলাদেশের মানুষদের স্বার্থের বিপক্ষে এই ঘসেটি দ্বয় কাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে, যতই দিন যাইতেছে এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো হচ্ছে।
ভাল কিছু ঘটবার আশায় আছি।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

অধীতি বলেছেন: ওদের মত কম্প্লিট পত্রিকা পাওয়াটাই হচ্ছে সমস্যা। অবশ্যই ওনাদের এই বিষয়ে পরিস্কার বয়ান প্রমাণ সহ উপস্থাপন করা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

জ্যাকেল বলেছেন: ২০১৩ সালে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয় র এর নির্দেশনায়। দেশি কোন মিডিয়া/পত্রিকা যাতে না দাঁড়াতে পারে সেসব ব্যবস্থা আমাদের ব্যুরোক্রেটরা করে রেখেছেন। ১৭ বছরের জন্জাল সাফ করা সহজ কোন কম্ম না।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছ, গত কাল রংপুরে সরাতনীদের ওপর হামলা, প্রতিদিন এত ঘটনা হত্যাকান্ড নিয়ে প্রথম আলো ডেইলী স্টার কোন নিউজ ই করছেনা। এরা জামাতের দালাল। এখন উপরি নাটক কেন করছে জানিনা হেফাজতি রা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

জ্যাকেল বলেছেন: এটা ঐ শুয়োরের বাচ্চাদের কৌশলী অবস্থান। এটা না বুঝতে পারলে গাছবলদ থাকেন। আরেহ! আপনে তো ছুপা রুস্তুম, ফ্যাসিবাদের বিচ্ছু!

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে কে কার দালাল তাই বুঝে আসে না!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

জ্যাকেল বলেছেন: কেমনে বুঝবেন, আপনে তো দুই নৌকায় পা দিবার ভান করে মূলত ফ্যাসীবাদের দোসর হিসাবে ভুমিকা পালন করতেসেন।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ভুল ভেঙে যাবে দ্রুতই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

জ্যাকেল বলেছেন: হ বুঝতে পারতেসি। কে কার দালাল বুঝে আসে না সেই কারণেই।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: ওদের দেশের ভেতরের সিদ্ধান্ত আপনি এ দেশ থেকে আবেগ দিয়ে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারবেন ? আপনি তাহলে পুরানো ঢাকার অমুসলিম নাম পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য আদালতে রিট করুন।

প্রথম আলো কমপ্লিট প্যাকেজ, সৈয়দ কুতুব যা বললো। এরা দুই যুগে আস্তে আস্তে নিজেদের এস্টাবলিশ করেছে। এদের নিজেদের এজেন্ডা আছে অবশ্যই। অস্বীকার করার উপায় নেই। যায়যায়দিনের সাথে প্রথম আলোর দ্বৈরথ দেখার মতো ছিল, এরপর যায়যায়দিন যে কোথায় হারিয়ে গেল !

ভারত বিরোধীতা এখন বাস্তবতা নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারছে। ভারতেরও উচিত আওয়ামীলীগের নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসা। আমাদেরও উচিত ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভারত থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

জ্যাকেল বলেছেন: ইনিয়ে বিনিয়ে আপনে পচা আলুকে ধোয়া তুলসি পাতা বানাইতে চাইতেছেন। ভারতের র এর ডাইরেক্ট এসেট দিল্লি স্টার, পঁচা আলু সবসময় থার্ড ক্লাস জাতি ইন্ডিয়ান কালচারকে হাইলাইট করে, বলিউড প্রমোট করে, আইপিএল প্রমোট করে অথচ ঐতিহাসিকভাবেই আমরা বাংলাদেশিরা নিরীহ ভদ্র নিজের চরকায় তেল দেওয়া জাতি। আমাদের সমৃদ্ধির কারণেই আমরা ইনভেডার হইতে চাহিনি।
মিডিয়া জাতির কথা বলবে, কিন্তু এই দুই দোসর কি করে? ১/১১ সরকার চালিয়েছিল তারা, এখন আবার ডঃ ইউনুস স্যারের লাই পেয়ে মাথায় ওঠে বসেছে। তাদের লোকেরাই তাই সরকারে।
### ভারত বিরোধীতা এখন বাস্তবতা নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারছে।
মেরুদন্ড ছাড়া দল/লোকই এমন ভাবনা মাথায় নিতে পারে। হাসিনাকে ভারত অষ্টাংগ সাপোর্ট দিয়েছে, কি হয়েছে লাস্টে?
বালির বাঁধের মতই ভেসে গেছে। জনগণের ভয়েস নিয়ে যারা রাজনীতি করবে, তাদের হাতেই ক্ষমতা যাবে, সেটা বুঝার মত রাজনৈতিক দল এখনো আমাদের দেশে দেখা যাইতেছে না ঠিক, তবে আসবে এইরকম দল আমাদের সামনে, এটাই প্রত্যাশা।

তাই বলে কি আমরা দিল্লীর চাওয়া মত চলব? কোথায় স্বাধীনতা, ২৪ বলেন, ৭১ বলেন সার্ভভৌমত্ব কোথায় তখন?

আসুন আপনে আমি অন্তত বিবেক খাটিয়ে বলি-

ভারতের গোলামী আর নয়, ডাইল/দিল্লিস্টার আর নয়, এখন শুধুই বাংলাদেশ!!

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনি তো ছপা জঙ্গি। গুলশানে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কে নিউজ হয় না সেটা বলেন। নাটক কম করেন। বন্দুকের ডগার নিচে মিডিয়া নিউজ করতেসে সেইটা বোঝাই যায়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: যুক্তিতে না পারলে জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া, রাজাকার ট্যাগ দেওয়া কাদের কাজ ইহা জাতির জানা আছে। দিল্লী স্টার, পচা আলুর পার্ফেক্ট শাগরেদ পাওয়া গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.