নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরদার ভাই।

সরদার ভাই

সাধারণ ভাত মাছ খাওয়া বাঙালী। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে চাকরি করছি। ভালোবাসি বই পড়তে, গান শুনতে, ম্যুভি দেখতে এবং ঘুরে বেড়াতে।

সরদার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপিজে আব্দুল কালাম - হকার, বিজ্ঞানী, রাস্ট্রপতি

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

এপিজে আব্দুল কালাম। পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ‘ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র মানব’ বা ‘মিশাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এপিজে কালামের কিছু ছবি, তথ্য এবং বাণী দিয়ে সাজিয়েছি আজকের ব্লগ। আশা করি ভালো লাগবে।


সোমবার ভারতে তখনও সন্ধ্যা৷ মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম৷ কিন্তু কথা বলতে বলতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে৷ তবু বাঁচানো যায়নি৷ ৮৩ বছরেই চিরবিদায় নিলেন ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি৷

''স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন হল সেটাই যেটা পুরণের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।"


২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতির ছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম৷ তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমের এক মৎস্যজীবী পরিবারে জন্ম নেওয়া আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম ছোটবেলায় একসময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংবাদপত্রও বিলি করেছেন৷ সততা, অধ্যাবসায় এবং মেধা তাঁকে দেশের সবচেয়ে সম্মানজনক আসনটিতেও বসিয়েছে৷

''তুমি তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবে না কিন্তু তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে এবং তোমার অভ্যাসই নিশ্চিত ভাবে তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করবে।''


রাষ্ট্রপতি না হলে একজন বিজ্ঞানী হিসেবেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতেন এপিজে আব্দুল কালাম৷ ভারতের প্রথম মহাকাশযান তৈরিতে প্রধান ভূমিকা ছিল তাঁর৷ দেশের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র রোহিনী উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়েছিল ওই মহাকাশযানের কারণে৷ পোখরান-২ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাতেওমূখ্য ভূমিকা ছিল৷ ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত করার পেছনেও এপিজে আব্দুল কালামের অবদান অনস্বীকার্য৷

''একটি ভাল বই একশত ভাল বন্ধুর সমান কিন্তু একজন ভাল বন্ধু একটি লাইব্রেরীর সমান।''


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮৷ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে জাতীয় পতাকা রেখেছে ভারত৷ ঐতিহাসিক সেই দিনে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএসআরও-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ড. এপিজে আব্দুল কালাম৷

''সফলতার গল্প পড়ো না কারন তা থেকে তুমি শুধু বার্তা পাবে। ব্যার্থতার গল্প পড় তাহলে সফল হওয়ার কিছু ধারনা পাবে।''


সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরই প্রিয় ছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম৷ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল তাঁর৷ শ্রদ্ধা ছিল সব ধর্মের প্রতিই৷ ওপরের ছবিটি ২০০৩ সালের৷ দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারে ৬৯৯তম উরুস মুবারক উদযাপনের অনুষ্ঠানে গেলে তাঁকে ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরিয়ে সম্মান জানানো হয়৷

''যারা মন থেকে কাজ করে না, তাঁরা আসলে কিছুই অর্জন করতে পারে না। আর করলেও সেটা হয় অর্ধেক হৃদয়ের সফলতা। তাতে সব সময়ই একরকম তিক্ততা থেকে যায়। ''

জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ। - এপিজে আব্দুল কালাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.