![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ ভাত মাছ খাওয়া বাঙালী। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে চাকরি করছি। ভালোবাসি বই পড়তে, গান শুনতে, ম্যুভি দেখতে এবং ঘুরে বেড়াতে।
মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ সেই সুপ্রাচীন। একদা মানুষের মহাকাশের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হতো। আজো হয়। মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ এতটুকু কমে যায়নি। মহাকাশকে জানার প্রচেষ্টা এখনও অব্যহত আছে। আসুন মহাকাশ সম্পর্কে কিছু মজার এবং আকর্ষণীয় তথ্য জানা যাক।
মহাকাশে প্রথম প্রাণী ফলের মাছি৷ হ্যাঁ, ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিকিরণের প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য ভি-টু রকেটে মানুষ না পাঠিয়ে এক ধরণের মাছিই পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ দু’বছর পর শুরু হয় বানর পাঠানো৷ ঊনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে ইঁদুর এবং কুকুরও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন, অর্থাৎ আজকের রাশিয়াও মহাকাশে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাণী পাঠিয়েছে বেশ কয়েকবার৷ তবে ১৯৫১ সালে প্রথম তাদের পাঠানো দু’টি কুকুর মহাকাশ থেকে জীবিত ফেরে৷ তবে কোনো প্রাণীই মহাকাশে গিয়ে অরবিট প্রদক্ষিণ করেনি৷ ১৯৫৭ সালে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নেরই আরেক কুকুর লাইকা৷ লাইকা অরবিট থেকে ফেরায় মানুষেরও মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন জাগে৷
মহাকাশ ঘুরে আসা প্রথম মানুষ ইউরি গ্যাগারিন৷ ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভস্টক নভোযানে চড়ে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে আসেন তিনি৷ ছবিতে স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তে ইউরি গ্যাগারিন৷
মহাকাশে প্রথম নারী পাঠাতেও দেরি করেনি সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ ১৯৬১ সালেই ৪০০ আবেদন থেকে বেছে নেয়া হয় ভ্যালেন্টিনা টেরেশকোভাকে৷ ভস্টক চালিয়ে মহাকাশে গিয়ে ভেলেন্টিনা টেরেশকোভা সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থাতেই ফিরেছিলেন নিজের দেশে৷
কয়েকদিন আগেই পাওয়া গেছে মজার এক খবর৷ মহাকাশে এবার ফুল ফুটেছে৷ জিনিয়া ফুল৷ মহাকাশে মাটিই নেই৷ তারপরও সেখানে ফুল ফোটানো কিন্তু মহাবিস্ময়েরই ব্যাপার৷ নাসার নভোচারীরা এবার তা-ও সম্ভব করেছেন৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এর নভোচারী স্কট কেলি টুইটারে একটি জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, এটা মহাকাশে প্রথম ফোটা ফুল৷
নভোচারীরা ধীরে ধীরে মহাকাশে খাদ্যশস্য ফলানোর দিকে এগিয়ে যেতে চান৷ সেই লক্ষ্যের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই আসলে জিনিয়া ফোটানো৷ ইতিমধ্যে খুব ছোট আঙ্গিকে লেটুস চাষের চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ খুব শিগগির নাকি তাজা টমেটোও দেখা যাবে মহাকাশে!
বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে বিজ্ঞানের অবদানকে খাটো করে দেখতে চাওয়া মুর্খতার নামান্তর। তবে মহাকাশে শস্য উৎপাদনের পিছে উন্নতদেশসমূহ যে পরিমান অর্থ খরচ করছে তা দিয়ে পৃথিবীতে চাষ না হওয়া জমি সমূহে চাষের ব্যবস্থা করলে পৃথিবীর জন্যই তা মংগলজনক হবে।
আশা করি আপনাদের কিছু অজানা তথ্য জানালাম। অথবা জানা তথ্য নতুন করে মনে করিয়ে দিলাম। আপনাদের মন্তব্য জানাবেন।
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
সরদার ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
বিজন রয় বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট।
+++