নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরোজ মেহেদী

The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)

সরোজ মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় থামবে এরদোয়ান!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪১

‘হারতে হারতে জিতে গেলেন এরদোয়ান। জিততে জিততে হেরে গেলেন পাশা’। ঠিক কোন বাক্যটি দিয়ে বুঝানো যেতে পারে দুনিয়াজোড়া দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত তুরস্কের সদ্য সমাপ্ত গণভোটকে! তীব্র লড়াইয়ের পর প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ গণভোটে এরদোয়ানের দল জিতে গেছে। তার এ জয় মানে আপাত দৃষ্টিতে তুরস্ক নামক রাষ্ট্রটি অস্থিতিশীলতার হাত থেকে রক্ষা পেল। কেউ চাক বা না চাক বিশ্বরাজনীতিতে আরও ক’বছরের জন্য শত বছর আগে সাম্রাজ্য হারানো একটি দেশ তার অবস্থান শক্তিশালী করল। কিন্তু এই গণভোট তুরস্কের সমাজে যে ক্ষতের প্রলেপ লাগিয়ে দিয়ে গেল তার কী হবে!

৫১ শতাংশ মানুষ যেখানে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন সেখানে ৪৯ শতাংশ বলেছেন ‘না’। এই পরিসংখ্যান আমাদের বলে দেয়, ‘হ্যাঁ’ জিতে গেলেও ‘না’ মোটেও দুর্বল নয়। বরং ‘না’ ওয়ালারা জিততেও পারত। তাদেরকে আসলে হারিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রের বেশধারী মানুষখেকো, ভণ্ড ও প্রতারক পশ্চিমারা। পশ্চিমা নেতাদের দরকার ছিল না তুরস্কের নিজস্ব এ গণভোট নিয়ে গায়ে পড়ে এসে কাজিয়া বাঁধানোর বা এরদোয়ান বাহিনীর হাতে ঝগড়ার রসদ তুলে দেওয়ার। একচোখা পশ্চিমা মিডিয়া গণভোটের শুরু থেকেই তুরস্ক বিরোধী অযৌক্তিক প্রোপাগাণ্ডায় নেমেছিল। যা তাতিয়ে দেয় কট্টর জাতীয়তাবাদী তুর্কিদের আর এর চূড়ান্ত রুপ দেয় ক্রিশ্চান বর্ণবাদী মগা রাজনীতিবীদেরা। ফলে তুর্কিদের অনেকের সমর্থন ঘুরে যায়। পশ্চিমাদের এ নগ্ন অবস্থান প্রবাসী তুর্কিদের এরদোয়ানের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলে। আর এ যে স্বল্প ব্যবধানে জয় তাতে কিন্তু প্রবাসী তুর্কিরাই নিয়ামকের ভূমিকা পালন করল।

এরদোয়ান তুরস্কের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় শাসক। গত ১৫ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে তুর্কিদের মধ্যে বাড়তে থাকা তার জনপ্রিয়তা থেকে আমাদের এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না, মুখের কথা না, টেকশই উন্নয়নই ছিল তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ। মুখের কথায় খুব বেশিদিন চিড়া ভিজে না, ধর্মের বাণীতেও না। মানুষ খেতে, পরতে পারতে চায়, শান্তি চায়। এরদোয়ান তুর্কিদের সে চাওয়াটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন স্বীকার করলেই কেবল অন্যান্য বিষয়ে তর্ক হতে পারে। আসলে তুরস্ক নামক দেশটি আমূল বদলে গিয়েছে তার হাত ধরে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেওয়া তার পদক্ষেপগুলো তরস্কের মাটিতে পা দেওয়া যে কারো চোখে পড়বে। ফলে নানা মতপার্থক্য সত্ত্বেও তুর্কিরা তার উপর আস্থা রেখেছে। এর প্রতিদানও সে দিয়েছে তুর্কিদের ভাগ্যের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়ে। তুর্কিরা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এরদোয়ানের দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল। তবু এ গণভোট নিয়ে এরদোয়ান বা তার দলের মধ্যে এক ধরনের আশংকা কাজ করছিল। আর এ আশংকা থেকেই তারা জোট বাঁধে বর্তমানে দেশটির সংসদে চতুর্থ বিরোধী দল এমএইচপির সাথে। আসলে তুর্কিদের অনেকেই যারা জাতীয় নির্বাচনে এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছিল তারাই যে সংবিধান পরিবর্তনের বেলা এরদোয়ানকে না বলবেন এমন একটি ধারণা নিয়েই মাঠে নেমেছিল এরদোয়ান শিবির। ফলে তারা নানারকম প্রস্তুতি নেয় এই গণভোটকে কেন্দ্র কের এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়। তবে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এরদোয়ান বা তার দল এ বার্তা পেল যে, তুর্কিরা তাদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাতে আগ্রহী হলেও এভাবে সংবিধানে হাত চালিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনটা মোটেও এনজয় করছেন না। এখন দেখার পালা এরদোয়ান তুর্কিদের এ বার্তাটা কতটুকু পড়েন এবং স্বেচ্ছায় ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরেন।

পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো খুঁচা দিতে গিয়ে এরদোয়ানকে সুলতান বলে ডাকে। তাকে একনায়ক বা স্বৈরতান্ত্রিক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে দেশে দেশে অশান্তি ফেরি করে বেড়ানো এই সাদা চামড়াধারীরা এটা ভুলে যায়, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এরদোয়ান এমন একজন নেতা যে একটি পরিবর্তনের জন্য জনরায়ের উপর নির্ভর করে। এই চ্যালেঞ্জটা নিতে সাহস দেখায়, আবার জয়ীও হয়। এরদোয়ানের এই সাহসকে সম্মান জানাতে না পারলে পশ্চিমাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। একরোখা এই সুলতানের চপেটাঘাতে ওদের দাঁতের ডাক্তারের কাছে ছুটে যেতে দেখলে অবাক হব না অদূর ভবিষ্যতে।

পশ্চিমাদের হাতে রেখে বা বাম হাত দেখিয়ে এরদোয়ানের ‘নতুন তুর্কি’ ঘোড়ার যে যাত্রা শুরু হলো তা সহজে থামবে বলে মনে হয় না। তবে এখানে একটা বড় আশংকা থেকে যায় যদি এরদোয়ান ও তার দল ক্ষত-বিক্ষত এ সমাজে মলম লাগানোর উদ্যোগ না নেন বা বেমালুম ভুলে যান ৪৯ শতাংশ মানুষের কথা। যদি এমনটা চলতে থাকে, তাহলে কে জানে হয়তো এই গভীর ক্ষতই তার ক্ষমতার মসনদ আচমকা ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়ে অবসান ঘটাবে একটি যুগের

লেখাটা দৈনিক যুগান্তর প্রকাশ করেছে,
কোথায় থামবেন এরদোগান!

প্রকাশ করেছে দৈনিক আমাদের সময়ও কোথায় থামবেন এরদোয়ান!

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৫ বছর থাকার পর, আরো ১২ বছর থাকার সম্ভাবনা আছে; যত উন্নতি হোক না কেন, ইউরোপে কেহ ১৫ বছর থাকতে পারে না; তার দলে আরো মানুষ আছে, সে একা নয়।

গত ১৫ বছরে, তার উন্নয়ন নিশ্চয় স্কেন্ডেনেভিয়ানদের মতো কিছু নয়; ওরা কেহ শাসনতন্ত্র বদলাচ্ছে না, এরদেগান কেন বদলাচ্ছে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০১

সরোজ মেহেদী বলেছেন: তুর্কি আর ইউরোপ এক জিনিস না। সেসব বাদ। আমার বক্তব্য হচ্ছে, সে যা করছে তা জনরায়ের ভিত্তিতেই করছে। ইউরোপিয়ানরা এখানে অযথা যে চুলকানি দেখাচ্ছে এটা তারা তুরস্ককে ভালোবেসে দেখাচ্ছে ভাবার কোন কারণ নেই। ইউরোপিয়ানরা শক্তিশালী তুরস্কের উত্থান নিয়ে ভীত। জুজুর ভয়টা এখানেই।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: অন্তত বাংলাদেশ থেকে ভাল আছে তুর্কীরা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ওদের সাথে তুলনা করার পর্যায়ে যেতে আমাদের এখনো বহুপথ পাড়ি দিতে হবে ভাই।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

এম এ কাশেম বলেছেন: পশ্চিমারা যার বিরোধীতা করবে - বুঝটে হবে সেি সঠিক।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ;) B-)

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কামাল হারলেন কি করে? কামাল নিজেই তো এক নায়ক। তুরস্কের অনেক অর্জন থাকলেও গনতান্ত্রয়নে তারা বরাবরই পিছিয়ে।

সবচেয়ে ভয়ানক কান্ডটি করেছিলেন সেক্যুলারিস্টরা নব্বই কালীন সময়ে। যে শিক্ষকের ক্লাসে মেয়েরা স্কার্ফ পড়ে যেত, সেই শিক্ষককে পর্যন্ত বহিষ্কার করা হত। যেন এক অন্ধকার যুগ - তাকে আবার প্রগতিশীলতার চকোলেট দিয়ে মুড়িয়ে প্রচার চালানো।

না, গনতন্ত্র ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে। এটা কোনভাবেই গনতন্ত্র নয়।

এরদোগান এতটা বাড়াবাড়ি করেন নি। তিনি সেক্যুলারদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় তেমন একটা বাধা তৈরী করেন নি। কিন্তু অটোম্যান সুলতান কিংবা কামাল পাশার মত তিনিও বিরোধিতা বরদাশত করেন না।

বিরোধী দলের লালন গনতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। এই স্তম্ভ দুর্বল হওয়াটা কোন যুক্তিতেই গ্রহনযোগ্য নয়।

তুরষ্ক গনতন্ত্র থেকে আরো এক ধাপ পিছিয়ে গেল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৯

সরোজ মেহেদী বলেছেন: কেমালকে এখানে তুলে আনছি বিরোধী মত বা এখনো পর্যন্ত দেশটি সাংবাধিনাকিভাবে যে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের উপরে প্রতিষ্ঠিত তার প্রতীক হিসেবে।

কেমাল পাশা তুরস্কের ইতিহাসে আজ অবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এরদোয়ান হল ফ্রাংকেনস্টাইনের তৈরি দানবের মতো! সে দক্ষ খেলোয়াড় কিন্তু রেফারি এখন তাকে পছন্দ করছে না। পতন বেশি দুরে নয়!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫১

সরোজ মেহেদী বলেছেন: একটু বিস্তারিত ব্যাখা করলে কৃতজ্ঞ হতাম।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: স্যালুট সুলতান। এরদোগানের অনেক দোষ থাকতে পারে , একনায়ক শাসকের থাকেই , তবু কামালের বিচিতন্ত্রের চেয়ে এরদোগানের কল্যাণমুখী একনায়কতন্ত্র অনেক ভালো। গণতন্ত্রের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো জাতিকে এক বা একাধিক দলে বিভক্ত করে রাখা। আর বাক স্বাধীনতা , সেটা পশ্চিমের কোনো দেশেই নাই। বিশ্বাস না হয় পশ্চিমের কোনো দেশে হিটলারের প্রশংসা কইরা দেখুন। এরদোগানের এই বিজয় পশ্চিমাদের এবং তাগো ঘেটুপুত্রদের পাছায় কইষা একখান লাথি মারছে। :D

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

সরোজ মেহেদী বলেছেন: তুরস্কের রাজনৈতিক সহাবস্থান অনেক শক্তাশালী। ক'দিন আগেও দেখলাম এরেদায়ান আর বিরোধী দলের প্রধানকে একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু এসব মিডিয়াতে আসে না।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

মাহিরাহি বলেছেন: তুরস্ক বিশ্বের ১৮ তম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি।

১০ বছরে মাথাপিছু আয় তিনগুন বেড়েছে (প্রায়৩ হাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার)

ফোর্বস ম্যাগাজিনের অনুযায়ী, ইস্তাম্বুলে 2013 সালে ৩৭ জন বিলিয়নিয়ার ছিল, বিশ্বের ৫ ম স্থান, এর আগে মস্কো (84 বিলিয়নিয়ার), নিউ ইয়র্ক সিটি (62 বিলিয়নিয়ার) হংকং (43 বিলিয়নিয়ার) এবং লন্ডন (43 বিলিয়নিয়ার)।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ১৭তম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি বোধহয়।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: +++

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

সরোজ মেহেদী বলেছেন: :D

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১২

মুক্তমনা বাতাস বলেছেন: বাংলাদেশ আর তুরস্কের মধ্যে বড় একটা পার্থক্য আছে। কি সেটা? তুরষ্কে সরকার নির্বাচিত হয় জনগনের ভোটে আর বাংলাদেশে গায়ের জোরে।
:-<

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৮

সরোজ মেহেদী বলেছেন: :D

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৫

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: তুরস্কে ১৫ বছর আগে per capita income ছিল ২০০০ ডলার। এখন ১০০০০ ডলার।
এটাই এরদোগানের উন্নতির সাক্ষ্য দেয়।
সমস্যা হইতেসে এরদোগানের ভক্তগণ কঠিন ভক্ত, বিরোধীগণ কঠিন বিরোধী।
আগামি ১ বছরে বোঝা যাবে এরদোগান ফাইনালি লেজেন্ড হবেন না ভিলেন হবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫০

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আসলে ১শ বছর ধরে যে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে এরদোয়ান তাকেই চ্যালেঞ্জ করছে। এটা পাশার অনুসারীদের পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আগামি ১ বছরে বোঝা যাবে এরদোগান ফাইনালি লেজেন্ড হবেন না ভিলেন হবেন। "

এক বছর পরে সেটা বোঝা নাও যেতে পারে। ক্ষমতা এভাবে আকড়ে ধরে থাকাটা ঠিক হচ্ছে না এরদোগানের। জনপ্রিয়তা থাকতে থাকতেই তার উচিত রিটায়ার করা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫২

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ওদের একটা প্রধান সমস্যা হলো এরদোয়ানের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। ফলে এরদোয়ান আপসে বা বাই ফোর্স বিদায় নেওয়ার পর নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হওয়ার প্রবল আশংকা থেকে যায়।

তৈরির কোন উদ্যোগ আছে বলেও আমার মনে হয় না।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯

তার ছিড়া আমি বলেছেন: এরদোয়ানের বিজয়ে খুশি হলাম। নেতা যদি সৎ হয়, একনায়ক হলেও সমস্যা নাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

সরোজ মেহেদী বলেছেন: তাকে পশ্চিমা মিডিয়া যেভাবে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে বাস্তবতা আসলে তেমন না।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এরদোয়ানের মত যোগ্য আরও লিডারের প্রয়োজনীয়তা পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখন্ড তীব্রভাবে অনুভব করছে।

অনেক দিন পরে। ধন্যবাদ, ভাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ
রাজনীতি খেলা না। রাজনীতিতে নেতার জনপ্রিয়তা যখন বেশি তখন কাজ করতে পারে বেশি।
এরদোগান জনপ্রিয়। কাজগুলো দেখা বাকী

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

সরোজ মেহেদী বলেছেন: সে কিন্তু ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছে। এখন দেখার পালা, আসছে দিনগুলোতে কী করে।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আনার লেখাটি আমাকে ভালো লেগেছে। এখানে একটি কথা না বললেই নয় তা হলো এরদোয়ানকে নিয়ে চুলকানী আছে আমাদের গাজী দাদার সেই সংগে আরো অনেক দাদাকে দেখাযাচ্ছে। সে যাইহোক জনগণ যদি চায় তাহলে আমদের এতো চুলকানী কেন? নাকি এরদোয়ান ধর্মের কথা বলে এটাই চুলকানীর মূল বিষয়; বুঝিনা! গাজী দাদার পোস্টে আমি বলেছিলাম ছিলাম জনগণ চাইলে যা হবার তাই হবে কিন্তু গাজী দাদা তার জ্ঞানে সমুদ্র দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন আমি দাদার মতো জ্ঞান রাখিনা।আমার কমেন্ট ছিল "মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি ভাই আপনার অবস্থাও তাই হয়েছে। তারদেশের জনগন যদি চাই আহলে আপনার কেন এতো চুলকানী তুর্কিরা কী আপনার চেয়ে কম জ্ঞানী? জনগণ যা চাইবে তাই হবে। এরদোগান যখন ক্ষমতা নেই তখন তুর্কিদের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২০০ ডলার এখন তা হয়েছে ১০০০০ ডলার; তাহলে বলেন তাকে কী ভাবে খারাপ বলবো। এরদোগানতো আর বিনা ভোটে ৫৫০০ সিট দখন করেনাই। যা করছে জনগনে রায়নিয়েই করছে।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।


দাদা প্রতিউত্তর হলো "২০০৩ সালে আপনার পরিবারের মাথা পিছু আয় ছিল ৪০০ ডলার, সালমান রহমানের ছিল ১৫০ মিলিয়ন ডলার; ২০১৬ সালে, আপনার পরিবারের গড় আয় ১১০০ ডলার, সালমান রহমানের আয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার; এসব অংক আপনার মাথায় প্রবেশ করবে না; এইজন্য আপনার মাথা চুলায় না।

শফি মিয়ার কাছে উর্দু পড়ে ৫/৭ বছর কয়েক লাখ ছেলেপেলে 'মাস্টার্স পাবে'; আবার ঢাকা ইউনিভার্সিটির পিএইচডির কাছে পড়ে কয়েক হাজার মাস্টার্স পাবে; পার্থক্য বুঝার মতো মগজ আছে?

বাংগালীরা ঘরবাড়ী বিক্রয় করে, লিবিয়া হয়ে নৌকায় করে ইতালী যায়, উহা আপনার মাথায় ঢোকে? আপনাদের মগজ লিলিপুটিয়ান থেকেও কম।"


আমার জ্ঞানের দৌড় কম কিন্তু একটি কথা ভালোভাবে উপলব্ধি করি তাহলো -- জনগণ ভালোকিছু যা চাইবে তাই হবে।

ভালো থাকুন নিরন্তর । ধন্যবাদ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়লাম। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালি,
গাজীসাব ভিনগ্রহের প্রাণি যেখানে সবাই উনার মত ভেড়া।
উনার কথা বুঝতে ছাদের উপর এন্টেনা লাগাইসি। তাতে এখন Koi Mil Gaya সিনেমার গান বাজতেসে

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ভারপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবি বলেছেন: তাদের জন্য কে ভাল করবে তা আমাদের চেয়ে তুর্কিরাই ভাল জানে । এরদোগান একজন পরীক্ষিত জননেতা । কামাল পাশার মত নির্বোধ ও নাস্তিক নয় ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪১

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আমার মনে হয়, তুর্কিদের পছন্দ-অপছন্দকে ইউরোপের মর্যাদা দেওয়া উচিৎ।

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, "ইউরোপিয়ানরা শক্তিশালী তুরস্কের উত্থান নিয়ে ভীত। জুজুর ভয়টা এখানেই।"

-ইউরোপীয়ানরা শক্তিশালী দেশকে ভয় করে না, ওরা দরিদ্র দেশকে ভয় করে; ওরা জানে, দরিদ্র দেশের লোকেরা একদিন ইউরোপে আসবে, তুরস্ক যাবে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ইউরোপিয়ানরা চায় দুনিয়ার সবদেশ গরীব থাকুক। যেন ওরা গিয়ে গিয়ে চ্যারিটি করতে পারে, গণতন্ত্র, মানবিধাকারের সবক দিতে পারে, আর আখেরে ব্যবসা করতে পারে। একটা দেশ ধনী হয়ে গেলতো, ওদের এসব ধান্দ্বা বন্ধ হয়ে গেল।
আর যাইহোক ইতিহাস আপনার কথাকে সমর্থন করে না। অস্বীকার করার উপায় আছে কি? বর্তমান পৃথিবীতে যত সমস্যা তার প্রায় সবগুলোর পেছনেই পশ্চিমারা। আমি ওরা জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ সব শাখাতেই প্রভূত সাফল্য অজর্ন করেছে মেনে নিয়েই বলছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.