নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)
শুধু এরদোয়ান বা তার দলের নেতারা নন ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবেগ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে তুরস্কের অন্যান্য দল ও রাজনীতিবিদদের। এতে একটা বিষয় পরিষ্কার নাকের ডগায় চলমান এই অন্যায় তুর্কিরা মেনে নিতে পারছে না। বিনা বাধায় একসময় নিজেদের শাসিত ভূমিতে ইসরায়েলের এমন আগ্রাসন তাদের কাছে অপমান ও গাত্রদাহেরও কারণ।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে তুর্কি সরকার বা এরদোয়ান বরাবরই সরব। তুর্কি ভাষাটা জানি বলে এই নির্যাতন নিয়ে বলতে গিয়ে এরদোয়ানের আবেগ খানিকটা হলেও বোঝার চেষ্টা করি। তার কথা বলার ভাষায়, চেহারায় ফোটে উঠে একধরনের অসহায়ত্ব, আছে হুঙ্কারও। আপনারা যারা শুধু কথা কেন কাজ কই? সৈন্য পাঠায় না কেন? ইত্যাদি বলে তোপ তাগান তারা এ আবেগ বা অসহায়ত্ব অনুভব করতে চান বলে মনে হয় না।
আমার মতে, তুর্কিদের সামর্থ্যই নেই সরাসরি ফিলিস্তিনে গিয়ে যুদ্ধ করার। আর কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? এখানে কি শুধু ইসরায়েল? কিন্তু তুর্কিরা প্রকাশ্যে বা গোপনে বরাবরই গাজায় আছে। হামাস যে বছরের পর বছর এভাবে টিকে আছে সেটা তুর্কি-কাতারী আর সাধারণ আরব শেখ ভাতৃত্বের সীসা ঢালা প্রাচীরের জোড়েই। মিশর সরকার সীমান্ত বন্ধ করে রাখলেও মিশর ও মিশরীয়দের সাথে হামাস নেতাদের যাতায়াত, যোগাযোগ থেকেই যায়। মিশরের ভেতর থেকে এ কাজটা কারা করে দেয়! লোকজন মুসলিম ব্রাদারহুডের নাম নিতেও ভয় পায়, পেছনে ট্যাগ লেগে যায়। তালেবান এখন পশ্চিমাদের স্বীকৃতিতে শুদ্ধ আর ব্রাদারহুড আরব শাসকদের কাছে চির নিষিদ্ধ গন্দম ফল!
ইরান, অন্য জাতি, রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীদের কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পাশে আছে। তাদেরও পেছন থেকে রসদ জোগায় কাতার। আরেকটা রাষ্ট্র নিরবে কাজ করে যায়। সেটা হলো কুয়েত। কুয়েতের এমন অবস্থানে জন্য দেশটিতে শাসকের পরিবর্তন চায় সৌদি ও আরব আমিরাত। মিশরে ব্রাদারহুডের রাজনীতি, মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের ভূমিকা, তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, ইয়েমেনে ব্যর্থ সৌদি অভিযান এমন নানা ইস্যুতে কুয়েতের উপর খ্যাপা অন্য আরব শাসকেরা।
ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফিলিস্তিনী পতাকা টানানোর পরদিন দেখা গেল এরদোয়ান সরকারের প্রধান মিত্র কট্টর জাতীয়বাদী দল এমএইচপির (এম-এইচ-পি তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম দল, তুর্কি ভাষায় ‘মে-হে-পে’ বলা হয়।) প্রধান দেভলেত বাহচেলিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা নিয়ে আবেগী ও উচ্চকণ্ঠ হতে।
ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেভলেত বাহচেলি বলেছেন- ‘১০৪ বছর ধরে জেরুজালেম (তুর্কিরা কুদুস বলে) আমাদের জন্য আকুল হয়ে আছে। আমরা জেরুজালেমের জন্য ব্যাকুল। পবিত্র এ শহরটি হলো শান্তি, সম্মান, বিশ্বাস এবং সভ্যতার চারণভূমি। জেরুজালেম মানেই ইতিহাস। মানুষের চোখের সামনে একদিকে যেমন সেই ইতিহাসকে আজ ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে অন্যদিকে চলছে লুণ্ঠন।`
এখানে ১০৪ বছর হলো সেই বছর (১৯১৭ সাল) যখন উসমানীয়রা ফিলিস্তিন তথা জেরুজালেম শহরের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেদিন বিট্রিশদের পক্ষে আজকের ফিলিস্তিনী আরবরাও তুর্কি শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছিল। আরেকপ্রান্ত থেকে আক্রমণ শানাচ্ছিল আর্মেনীয়রা। বিশ্বস্থ বন্ধু বা ভাইয়ের মতো কেবল পাশে ছিল বলকান মুসলিমরা, এখনো তারা তেমনই আছে। রাশিয়ার তাতার আর চীনের উইঘুররা যেমন তুর্কিদের সাথে এক আজন্ম ভাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। উসমানীয়দের পতনে তাদের ভাগ্যেও সমানভাবে বিপর্যয় নেমে এসেছিল সে সময়। হাজার হাজার তাতার হত্যার শিকার হয়েছিল বা দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহচেলির এ আবেগকে সমর্থন জানাচ্ছেন তার সমর্থকেরা। এরদোয়ান তথা একেপি’র সমর্থকরাও মিত্র নেতার হয়ে আরও আবেগ ঢেলে দিচ্ছেন। তারা বলছেন অচিরেই আমাদের এ আকাঙ্খার সমাপ্তি ঘটবে। আমরা আবার জেরুজালেমে মিলিত হবো!
আলোচনায় উইঘুর ইস্যুও: তবে কোন কোন তুর্কিকে দেখা যাচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্য ভাঙ্গার পেছনে আরবদের বিশ্বাসঘাতকার প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভ ঝাড়তে। ফিলিস্তিনীদের কাঠগড়ায় তুলতে। একই সাথে তাদের কেউ কেউ কেন উইঘুর নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলছে না সে প্রসঙ্গও তুলছেন।
জাতীয়তাবাদী এই গোষ্ঠিটি বলছে-উইঘুররা (দউ তুর্কিস্তান/ইস্ট তুর্কিস্তান) আমাদের জাতি ভাই। তারা কখনো আমাদের ছেড়ে যায়নি। আমরাও না। আজ যখন তারা বিপদে আমরা কেন চুপ? চীনের ভয়ে? দেখি তাদের জন্য কথা বলেন। অনেকে উইঘুর নিয়ে নিশ্চুপ থাকায় এরদোয়ানসহ তুর্কি রাজনীতিকদের ভৎসর্ণা করছেন। তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষ তথা কামাল পাশার অনুসারীদের মধ্য এক দল আছে যারা যে কোন মুসলিম ইস্যুতে নিরবতা পালন করেন। কেউ কেউ বিরোধিতা করেন।
তুর্কি কট্টর জাতিয়তাবাদীরা তুর্কি জাতিসত্ত্বার বাইরে আর সবকিছুকেই অস্বীকার করে। মেভলেত বাহচেলী এমন একটি কট্টর অংশেরই নেতা। তবে এরদোয়ান তথা একেপি বা আক পার্টির সাথে তাদের দীর্ঘদিনের মিত্রতার দরুন তারা সেই কট্টর অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে আসছে বলা যায়। এরেদায়ানের চলমান পররাষ্ট্রনীতির বড় সমর্থকও তারা।
নানা আলোচনা সমালোচনা ও তর্ক বিতর্কের পর দেখা যাচ্ছে তুর্কিরা এক কাতারে শামিল হয়ে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এবেলা অনেক ক্ষেত্রে ধর্মকে ছাড়িয়ে কখনো আঞ্চলিকতাবাদ, কখনো মানবতাবাদ প্রধান হয়ে উঠছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই ধর্মের ভিত্তিতে না, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াক মানবতার ভিত্তিতে।
এই যে কোন একটা ইস্যুতে তুর্কিরা অভ্যন্তরীনভাবে একমত হতে পারে বা একই সুরে কথা বলতে পারল এটা আমার কাছে বেশ তাৎপযপূর্ণই মনে হয়। কখনো শাসক পরিবর্তন হলেও পররাষ্ট্রনীতিতে মুসলিম বিশ্বের প্রাধান্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহতই থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
২| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সালাদিন ক্রুসেডে জয়ী হয়েছিলো, এরদেগানের উচিত লেগে যাওয়া, জয়ী হবে অবশ্যই।
৩| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের নিজের ভুলের মাশুল কত প্রজন্ম দিবে বলা কঠিন।
৪| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০১
কামাল১৮ বলেছেন: রাশিয়ার অনুমতি পাচ্ছেনা এস৪০০ ব্যবহার করার।রাশিয়ার সাথে ইসরাইলের ভালো সম্পর্ক।
৫| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা এরদেগানকে ঘোড়া ও তলোয়ার দেবো।
৬| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো কিছুই দীর্ঘদিন চলতে পারে না।
মধ্যপ্রাচ্য দেশ গুলোর মধ্যে সমস্যা আছে। সব গুলো মুসলিম দেশ, অথচ কারো সাথে কারো মিল নেই। আজিব!!!
৭| ২১ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:১৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: রাশিয়ার অনুমতি পাচ্ছেনা এস৪০০ ব্যবহার করার। রাশিয়ার সাথে ইসরাইলের ভালো সম্পর্ক। [/sb সুইডেনে থেকে এটাও জানেনা যে নিজের টাকা দিয়ে কেনা জিনিস ব্যবহার করতে কারো অনুমতি লাগেনা।
চাঁদগাজী বলেছেন:আমরা এরদেগানকে ঘোড়া ও তলোয়ার দেবো। - সন্ত্রাসী এ্যামেরিকাকে প্রতিমাসে টাকা দেন , যেনো ইহুদীগুলিকে মানুষ মারার জন্য দান করতে পারে।
৮| ২১ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: হুম আমিও চাই এরদেগান যুদ্ধে জরাক, এই লোক হলো কুমির অশ্রু ঝরানোর পাব্লিক, বাংলাদেশে বউ সহ এসে কুমিরের আশ্রু ফ্বলে এক গাদা রহিংগা ডাকাত অশিক্ষিত ছোট লোক, চোর, বাটপার বাংলাদেশে স্থায়ী করে গেছে, এই লোকের সাজা হওয়া উচিৎ ওর ঢংগী বউ সহ যেমন হয়েছিলো হিটলারের। দুইটাই আত্মাহত্যা করছিলো। মাইরা এরদেগানের পিঠের চামড়া তুলে ফেলা উচিৎ। সালা ধান্দাবাজ হিপক্রেট।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: কারণ চাপাবাজি করা সোজা কিন্ত যুদ্ধ করা কঠিন।
লুচ্চা সোলায়মানরা তুরস্তের ওসমানীয় সাম্রাজ্য ধ্বংস করে দিয়েছে, যাদের ভয়ে ইউরোপ কাপতো।