![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ এক চিরকুটের কাহিনী বলতে কিবোর্ড চাপতে শুরু করলাম । ভবিষ্যত বাণী সম্পর্কিত চিরকুটটি লিখেছিলেন তৎকালীন জার্মানির এক ক্ষুদ্র রাজ্য প্রাশিয়ার রাজা চতুর্থ ফ্রেডারিক উইলিয়াম জার্মান জাতির পিতা অটো ফন বিসমার্ক সম্পর্কে । চিরকুটটিতে লিখা ছিল '' প্রাশিয়া রাজ্যে যদি কখনও সামরিক শক্তি অর্জন তথা যুদ্ধনীতি অনস্বীকার্য হয়ে পড়ে তখন যেন অটো ফন বিসমার্ককে চ্যান্সেলার করা হয় '' । চতুর্থ ফ্রেডারিক উইলিয়াম, ফ্রাঙ্কফুট পার্লামেন্ট এবং অবশেষে সুযোগ্য রাজা প্রথম উইলিয়াম জার্মানীর একত্রীকরণ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষরও করেছিলেন । কিন্তু তিনি প্রাশিয়া পার্লামেন্টে পদত্যাগ পত্র উপস্থাপনের আগ মুহুর্তে তার ভ্রাতা চতুর্থ ফ্রেডারিক উইলিয়ামের লেখা চিরকুটটি পড়ার পর পদত্যাগপত্র জমা না দিয়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে অটো ফন বিসমার্ককে ১৮৬২ খ্রিঃ সেপ্টেম্বরে চ্যান্সেলার নিযুক্ত করেন । বিসমার্কের মত যুদ্ধবাজ নেতা চ্যান্সেলার হয়েই প্রাশিয়া পার্লামেন্টে তার বিখ্যাত রক্ত ও লৌহনীতি ঘোষণা করেন অর্থাৎ অস্রের মাধ্যমেই জার্মানী একত্রীকরণের সমস্যার সমাদান । তিনি প্রাশিয়া পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে উচ্চ কক্ষের মাধ্যমে অর্থ মঞ্জুরী করে ক্ষুদ্র প্রাশিয়াকে অল্পকালের মধ্যেই এক শক্তিশালী সামরিক শিবিরে পরিণত করেন এবং কূটকৌশল ও অস্রের জোড়ে একে একে ডেনমার্ক,অষ্ট্রিয়া-হাঙ্গেরী সাম্রাজ্য ও শক্তিশালী ফ্রান্সকে সূচনীয়ভাবে পরাজিত করে ১৮৭১ সালেই জার্মানীর একত্রীকরণ সম্পন্ন করেন । আমার জানামতে বিসমার্কের মত কূটকৌশলী রাজনীতিবিদ বিশ্ব ইতিহাসে এখনও খুজে পাওয়া যায়নি । তিনি সব সময় ৫টি বল নিয়ে খেলতেন ৩টিকে সর্বদা তার হাতে রাখতেন আর ২টিকে শূন্যে ছেড়ে দিতেন অর্থাৎ ইউরোপের ৫টি বৃহৎ শক্তির ৩টিকে সর্বদা তার পক্ষে রাখতেন আর বাকী ২টিকে সর্বদা পরস্পর বিচ্ছিন্ন রাখতেন । যদিও তিনি এক চিরকুটের বলে প্রাশিয়ার চ্যান্সেলার হয়েছিলেন কিন্তু তার অবদান কোন চিরকুটে লিপিবদ্ধ নয় বরঞ্চ বিশ্ব-ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠায় তার অবস্থান ।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সারওয়ার হোসেন বলেছেন: ইউরোপের ইতিহাস শুধু আমি নই আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের প্রিয় সাবজেক্ট এবং বিশেষ করে ফরাসী বিপ্লবের কথা বলতেই হয় । বিসমার্ককে নিয়ে আরও কিছু পোষ্ট দিবো সময় পেলে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
মিজানুর রহমান তালুকদার বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগলো। অনেক কিছু শিখতে পারলাম