![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুরস্ক,ইরান ও মিশর, পশ্চিম এশিয়ার এই ৩টি দেশকে আমেরিকা বা ইসরাইল কখনও পারমাণবিক অস্র ব্যতিত ধবংস করতে পারবে না যেমনটা করেছিল ইরাক,লিবিয়া ও অনেকাংশে সিরিয়ার ক্ষেত্রে ।
১। তুরস্কঃ প্রথমত তুরস্ক নিজেই ন্যাটোর সদস্য । তদুপরি তুরস্কে অত্যন্ত শক্তিশালী দুই ধরণের জাতীয়তাবাদ বিদ্যমান । একটি কামালবাদ বা সেক্যুলার জাতীয়তাবাদ আর অন্যটি অটোমান জাতীয়তাবাদ । এই দুই ধরণের জাতীয়তাবাদ ও আধুনিক শিক্ষার বদৌলতে তুরস্কে শক্তিশালী জনতান্ত্রিক শক্তি বিদ্যমান যা যেকোন বিদেশী আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে । উদাহরণস্বরুপঃ সাইপ্রাস সংকটের সময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দেশের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের দেয়া কাপুরুষ তকমা হতে মুক্ত হতে আমেরিকার বিরুধীতা অগ্রাহ্য করে সাইপ্রাসে বল প্রয়োগ করে গ্রীসকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে তুর্ক সাইপ্রিয়টে প্রাধান্য অর্জন করতে হয়েছে । তার উপর ইদানিং তুরস্কে অটোমান জাতীয়তাবাদ বা ইসলামী আদর্শ মির্শ্রিত জাতীয়তাবাদ তুর্কীদের ঐক্যবদ্ধ করছে যা যেকোন বিদেশী আক্রমণের বিরুদ্ধে জনতান্ত্রিক প্রতিরোধের সুস্পষ্ট উর্বর ভূমি ।
২। ইরানঃ মধ্যযুগ হইতে সাফাবী বংশ ইরানে একধরণের স্থিতীশীলতা ও বিদেশী দখলমুক্ত রেখে ইরানী জনগণকে একটি স্বাধীন ও স্বক্রীয় অনুভূতি জাগ্রত করে রেখেছে । তদুঃপরি রেজা শাহের নীতির ফলে ইরানে আধুনিক শিক্ষা ইরানীদের আরব জনগণের চেয়ে উন্নত চিন্তা ও বিচার বুদ্ধিগত দিক হইতে একধাপ এগিয়ে রেখেছে । তবে ১৯৭৯'র ইসলামী বিপ্লবের ফলে ইরানে ধর্মের উপাদানমিশ্রিত জাতীয়তাবাদ ইরানীদের বিদেশী আধিপত্য ও শোষণের বিরুদ্ধে কট্ররভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছে । ইরানের বর্তমান সেক্যুলারপন্থী দল পূর্বের ক্ষমতাসীন আহমেদীনেজাদের ইসলামপন্থী দলের নীতিকে অনেকটা অনুস্বরণ করতে বাধ্য করছে শুধুমাত্র বেশীরভাগ ইরানী জনগণের ইসলামী বিপ্লবের প্রতি দূর্বলতা ও কট্রর আমেরিকা বিরুধী অবস্থানের জন্য এবং আমেরিকা ও বিশেষকরে ইসরাইলে অনেকে আহমেদীনেজাদের দল ও হাসান রুহানীর দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য খুঁজে পান না । আমেরিকা কিংবা ইসরাইল দ্বারা ইরান আক্রমণের শিকার হলে ইরানী সেনাবাহিনীর সহিত ইরানী জনগণ জনযুদ্ধে নেমে যাবে যেমনটি ফরাসী বিপ্লবের সময় ফরাসী যুবকরা দলে দলে ফরাসী সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল । এখানে অনেকগুলি কারন বিদ্যমান । তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আধুনিক শিক্ষার ফলে ইরানীদের সচেতনতা,বেশীরভাগ শিয়া জনগোষ্ঠী,শিয়া সুন্নী দ্বন্ধের ফলে শিয়াবাদের গ্রহণযোগ্যতা,হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা স্বকীয়তা ইত্যাদি ।
৩। মিসরঃ অটোমান সাম্রাজ্যের সময় মোহাম্মদ আলী পাশার নেতৃত্বে মিশরে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে তা তাকে অন্য আরব রাষ্ট্র হইতে কিংবা অন্য আরব দেশের জনগণ হইতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সচেতনতা ও স্বকীয়তা দান করেছে এবং একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয়তাবাদী উপাদান সংযুক্ত করে রেখেছে । তদুঃপরি মুসলিম বাদ্রারহুদের আগমনের ফলে মিশরে এক ধরনের শক্তিশালী ধর্মীয় উপাদানমিশ্রিত জাতীয়তাবাদ জাগ্রত ও শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো দাড় করিয়ে রেখেছে যা যেকোন বিদেশী আক্রমণের সময় ক্ষমতা দখল কিংবা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শূন্যতা পূরনের জন্য যতেষ্ট । এরা একটি শক্তিশালী আন্দোলন পরিচালিত করতে পারবে যেমনটাঃ ইরাক কিংবা লিবিয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব ছিল । কারণ এইসব দেশে মুসলিম বাদ্রারহুড কিংবা কোন শক্তিশালী সেক্যুলার দলও বিদ্যমান ছিল না যারা দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় ক্ষমতা দখল কিংবা বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে । তদুঃপরি মিশরের বেশীরভাগ মানুষ সুন্নী হওয়ায় এখানে ইরাকের মত শিয়া-সুন্নী বিরোধ সৃষ্ঠি হওয়ারও কোন সুযোগ নাই ।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
সারওয়ার হোসেন বলেছেন: কুর্দরা এক হতে পারলে ইসরাইলই হবে মধ্যপ্রাচ্যে ওদের সবচেয়ে বড় বন্ধু । কামাল আতার্তুক ও ইংল্যান্ড মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা এমনভাবে করে দিছে যাতে কুর্দদের একত্রিত হতে গেলে ইরাক ও সিরিয়ার মত ইরান ও তুরস্ককেও ধবংস হতে হবে । কারন কামাল আতার্তুক ও ইংল্যান্ডের বিভাজন নীতি অনুসারে কুর্দদের ইরাক,সিরিয়া,তুরস্ক ও ইরানে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হইছে । যদি ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে তবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নতুন এক অশনীসংকেত হিসেবে দেখা দিবে ।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
মা গো ভাত দাও বলেছেন: তুরস্ক,ইরান ও মিশরীয়দের মতো আমাদেরও এক হওয়া প্রয়োজন।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নিমগ্ন বলেছেন: কুর্দদের এক হতে দেওয়া হলে পৃথিবীর একটা রাজনৈতিক মোড় নেওয়া শুরু করবে।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
সারওয়ার হোসেন বলেছেন: মাসুদ বারজানী ইরাকী কুর্দিস্থানে একরকম স্বাধীন কুর্দী রাষ্ট্র প্রতিষ্ট্রা করে ফেলেছে যিনি ইরাকী কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোতি ব্যতিরেকেই আমেরিকার সাথে তেল চুক্তি সম্পাদন করেছেন । যদি বাশার আল আসাদের পতন ঘটে,তবে মাসুদ বারজানীর ভয়ে তুরস্ক সিরিয়ার অভ্যন্তরে অবস্থিত তাদের ছিটমহলসহ সিরিয়ান কুর্দীস্থান দখল করবে এবং ইসরাইল গোলান মালভূমিকে চিরতরে ও আরও কিছু অঞ্চল দখলের চেষ্টা করতে পারে অর্থাৎ পোল্যান্ড ব্যবচ্ছেদের মত সিরিয়াকে টুকরো টুকরো করে ভাগ ভাটোয়ারা করে নেয়া হবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইরান বোমা বানাতে পারলে, নিজেই মিডল ইস্টে এটম বোমা ফেলবে; ওরা সুন্নী, ওয়াহাবী ও কুর্দদের নিশ্চিন্ন করবে।