নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইতিহাস চর্চা

সারওয়ার হোসেন

@সারওয়ার

সারওয়ার হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসময়ে কুর্দীয় প্রসব বেদনা ও মুসলমানদের ভাগ্যবিপর্যয়ের ধারাবাহিক অধ্যায় ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে বলকান রাষ্ট্রগুলি জাতীরাষ্ট্র পেলেও কুর্দরা ব্রিটেন,ফ্রান্স ও কামাল আতার্তুকের মারপ্যাচে রাষ্ট্র থেকে বঞ্চিত হলেও তারা দীর্ঘদিন জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম চালিয়ে যায়। ফলস্বরুপ, তুরস্ক, ইরাক,ইরান ও সিরিয়ায় তাদেরকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তারা মার্কিনীদের সাথে গোপন আতাত অব্যাহত রাখে। ইরাক যুদ্ধ তাদের জন্য মোক্ষম সুযোগ এনে দেয় যদিও ১৯৯২ সালে ইরাকে তাদের স্বায়ত্বশাসন দেয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রথম অধ্যায়ের সূত্রপাত হয়। ইরাক যুদ্ধের ফলে ইরাকী রাষ্ট্রব্যাবস্থায় অখন্ডার প্রথম অবসান ঘটান ইরাকী কুর্দিস্থানের শাসক মাসুদ বারজানী যদিও ইরাকী প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকী যদি সুন্নীদের কোনটাসা না করার চেষ্টা করতেন তাহলে হয়ত ইরাকী কুর্দ্দীরা এরকম চরম বাড়াবাড়ি করতে সাত পাচ ভাবত। প্রকাশ করা আবশ্যক যে, ইরাকী কুর্দীরা স্বাধীনতার জন্য গণভোটের আহবান করতে যাচ্চে এবং সম্ভবত প্রথম কুর্দি রাষ্ট্র ভূমিষ্ট হতে যাচ্ছে ইরাকী ভূমিতে। ট্রাম্পের মত যুদ্ধবাজের সাথে ইরানীরা যুদ্ধে যাওয়ার মত ঝুকি সম্ভবত নিচ্ছে না এবং তুরস্কও তেমন কিছু করতে পারবে না। যদি কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত হয়ে যায় তাহলে প্রথমে ইরানী কুর্দিরা ইরানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে অবশ্য যুক্তরাষ্ট আরও ২০ বছর ইরানী কুর্দীস্থানে সাহায্য দিয়েও তেমন কিছু করতে পারবে না। ইরাক , ইরান ও তুরস্ক একজোট হয়ে হয়ত সাময়িক কিছু ঝামেলা করতে পারবে কিন্তু পশ্চিমাদের দ্বারা ইরাকী কুর্দীস্থানে সৃষ্ট নো ফ্লাই জোন কে চ্যালেঞ্জ করা মানে একটি বড় যুদ্ধের আহবান। প্রকাশ করা আবশ্যক, কুর্দি রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সবথেকে বড় মিত্র হবে এবং মেরুদন্ডহীন আরব রাজারা আরবদের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে এই কুর্দি রাষ্ট্রের মিত্রতা গ্রহণ করবে ইরানকে ধ্বংসের দিবাস্বপ্ন নিয়ে। উল্লেখ্য, কুর্দিরাষ্ট্রে নিশ্চিতভাবেই একটি আমেরিকান ঘাটি প্রতিষ্টিত হবে এবং ভবিষ্যতে এই ঘাটি হতে ইরানে ঝামেলা সৃষ্টিতে ব্যবহ্রত হবে। এখন প্রশ্ন হল এই কুর্দী রাষ্ট্রটি যদি ১ম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে সৃষ্টি হত তাহলে হয়ত তারা অবশিষ্ট মুসলিম রাষ্ট্রগুলি ধ্বংসে ব্যবহ্রত হতে বাধা সৃষ্ট করতে পারত কিন্তু আজ আমেরিকান অস্ত্রে কৃত্রিমভাবে ইরাকে আসন্ন কুর্দী রাষ্ট্রের সৃষ্টি মুসলিম রাষ্ট্রগুলির জন্য এক আসন্ন বিপর্যয়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মেরুডন্ডহীন আরব শাষক ঠিক বলেছেন। আজ যদি সবাই একজোট থাকতো আর পশ্চিমা দের পা না চাটতো তাহলে হইতো মধ্যপ্রাচ্য র অবস্হা ভিন্নরকম থাকতো। ইসরাঈল অথবা আমিরিকার মোড়লি দেখতে হতনা

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

সারওয়ার হোসেন বলেছেন: আরব রাজারা তাদের রাজতন্ত্র ঠিকিয়ে রাখতে আরব স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতেও কুন্ঠাবোধ করেনা । আমার ধারনা এরাই সব ধ্বংসের মূল এবং আমি বিশ্বাস করি যেদিন এসব রাজারা ধ্বংস হবে সেদিন থেকে ইসরাইলের কোনঠাসা হওয়া শুরু হবে।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: তারমানে সত্যি সত্যিই কুর্দি রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪১

সারওয়ার হোসেন বলেছেন: এরা মধ্যেপ্রাচ্যে আমেরিকার দ্বিত্বীয় খাটি দালাল যদিও মুখে জাতীয়তাবাদের ফেনা তুলে। এদের জন্য আরও কিছু মুসলিম দেশ অস্থিতিশীল হবে এবং ইরানকে ঘায়েলে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখবে।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অটোমান-তুর্কীদের লোভের কারণে শিক্ষিত জাতি হয়েও স্বাধীন দেশ পায়নি কুর্দিরা। বিভিন্ন দেশে ভাগাভাগি হয়ে গেছিল।
মধ্যযুগে বীর সালাউদ্দিন মধ্যপ্রাচ্য ইসলামের নেতৃত্ব দিয়েছিল। রাষ্ট্র পেলে জ্ঞ্যনে বিজ্ঞানে উন্নত সুন্নিরা ইসরাইলের চেয়েও উন্নত রাষ্ট্র হয়ে অসভ্য চামচা আরবদের সিধা কইরা বিশ্ব মুসলিমদের নেতৃত্বে থাকত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.