![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গজে চড়ে দুর্গা আসার কারণে দেশের উন্নয়ন হয়েছে, একজন মুসলমান একথা বললে তার ঈমান থাকতে পারে না।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্গাপূজা উপলক্ষে জয়কালি মন্দির ও জয়কৃষ্ণ মিশনে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করতে যান। তিনি মুসলমান হলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সকল ধর্মের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান এবং সহযোগিতা করা তার উচিত। কিন্তু তিনি পূজামন্ডপে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তাওহিদী জনতার ধর্মীয় অনুভূতিতে দারুনভাবে আঘাত হেনেছে। তার বক্তব্যটাই ছিল নির্ভেজাল শিরক। যে কারণে দেশের সর্বদলীয় উলামা মাশায়েক ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ প্রচন্ডভাবে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন এবং অনতিবিলম্বে তাকে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি ছিল ‘আমরা জানি এবং শুনেছি মা দূর্গা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন বাহনে চড়ে আমাদের বসুন্ধরায় আসেন। এবার আমাদের দেবী এসেছেন গজে (হাতিতে) চড়ে। জানি গজে চড়ে আসলে এ পৃথিবী ধন-ধান্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে সাত ভাগে দাঁড়িয়েছে। এ দাবি কোন হিন্দু পুরোহিত করেননি। অথচ তিনি একজন স্বনামধন্য মুসলিম নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এবং তিনি নিজেও একজন ঈমানদার নামাযী মহিলা। কোন ঠেকায় পড়ে তিনি আল্লাহর স্থানে দূর্গা দেবীকে বসিয়ে দিলেন। কোন হিন্দু ভাই-বোন এ বক্তব্য দিলে কারো কিছু বলার ছিল না। কেননা, দূর্গা দেবীর হাতে কল্যাণ-অকল্যাণ-উন্নতি-অবনতি এটা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের মৌল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী কেন এমন ঈমান বিধ্বংসী বক্তব্য রাখলেন! আল্লাহ সর্বশক্তির আধার। কল্যাণ, অকল্যাণ উন্নতি-অবনতি সবই তার ইখতিয়ারে আর কারো হাতে নেই। তিনি কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আল্লাহকে বাদ দিয়ে দূর্গাদেবীকে কল্যাণ অকল্যাণ ও উন্নতি অবনতির ইখতিয়ার দান করলেন?
অনেকেই বলেছেন, হয়ত তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মন জয় করার জন্যেই এই চটকদার কথা বলেছেন। নয়ত তিনি আদৌ আল্লাহ-খোদা বিশ্বাস করেন না। তার কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ পড়া হজ্ব-উমরা করা এগুলো সবই মুসলমানদের মন খুশী রাখার জন্য। যাতে মুসলমানরা তাকে ভোট দেয়।
তার বক্তব্য হওয়া উচিত ছিল-সারাদেশে শারদীয় দূর্গাপূজা অত্যন্ত শান্তি ও শৃক্মখলার সঙ্গেই উদযাপিত হচ্ছে। এতে আমি দারুণভাবে খুশী হয়েছি। তাই এই পূজা উপলক্ষে আমি সকল হিন্দু ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন এভাবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান সকলে মিলেমিশে শান্তিতে ধর্মকর্ম করার তাওফিক দান করেন। তাহলে সকল হিন্দু ভাইবোনই খুশী হতেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এতে নিজের ঈমানের মূলেও কুঠার আঘাত করার প্রয়োজন হতো না। কোন মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না। তবে ভুল করলে তাওবার মাধ্যমে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হতে না চান তাহলে তার উচিত তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করে মাফ চেয়ে নেয়া। নইলে তার লাশ দাহ্য করা হবে না কবর দেয়া হবে এ দেশের মানুষ তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২১
মোঃ মজনুর রহমান বলেছেন: তার বক্তব্য হওয়া উচিত ছিল-সারাদেশে শারদীয় দূর্গাপূজা অত্যন্ত শান্তি ও শৃক্মখলার সঙ্গেই উদযাপিত হচ্ছে। এতে আমি দারুণভাবে খুশী হয়েছি। তাই এই পূজা উপলক্ষে আমি সকল হিন্দু ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন এভাবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান সকলে মিলেমিশে শান্তিতে ধর্মকর্ম করার তাওফিক দান করেন। তাহলে সকল হিন্দু ভাইবোনই খুশী হতেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এতে নিজের ঈমানের মূলেও কুঠার আঘাত করার প্রয়োজন হতো না। কোন মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না। তবে ভুল করলে তাওবার মাধ্যমে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হতে না চান তাহলে তার উচিত তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করে মাফ চেয়ে নেয়া। নইলে তার লাশ দাহ্য করা হবে না কবর দেয়া হবে এ দেশের মানুষ তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবে।
সহমত
সহমত
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
লালন রিটার্ন বলেছেন: হাস্যকর সব কথা বার্তা বলেন ভাই। এইটা কোন বিষয় হলো ? দেশের প্রধানমন্ত্রী হিন্দু হলেযে কি করতেন খোদাই জানে। মহান আল্লাহ আপনাকে এই ব্যাপারটা নিয়ে বুঝার তাওফিক দান করুক।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
রোম্যান্টিক ভালোবাসার গল্প বলেছেন: বক্তব্যের মধ্যে খ্রাপ কিছু তো দেখলাম না। অসাম্প্রদায়িক দেশের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে ঠিকই বলেছেন। যারা ঠিক মতন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না তারাই দেখি এটা নিয়ে বেশি লাফা লাফি করতেসে।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪
হারিয়ে যাব বলেছেন: পাগলে কিনা বলে
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
সাম্যবাদী বলেছেন: বলদাগুলার খাইয়া দাইয়া কুনু কাম কাজ নাই। ব্লগে আসে ল্যাদাইতে। এগুলানরে গদামের উপর রাখা উচিত
১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯
চারুপাঠ বলেছেন: চেতেন কেন? বেশি লেগেছে
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম এতো ঠুনকো কেনো রে ভাই, অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভুতি দেখালেই এই ধর্ম তাকে বিতারিত করে !!!!!!!
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
আশীষ চ্যাটার্জী বলেছেন: কিছু কিছু মুসলমানের বক্তব্যে মনে হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায় সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। পূজার মেলায় কখনো যায়নি, হিন্দু বন্ধুর সাথে প্রসাদ খায়নি এমন মুসলমান তো এদেশে দুর্লভ বস্তু। মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানুষের নেত্রী স্বয়ং খালেদাজিয়ার সাজ পোশাকের প্রধান উপকরণ হিন্দু রমণীদের ব্যবহার্য শাড়ী।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯
এম আর ইকবাল বলেছেন: মানুয হচ্ছে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, নিজেকে মানুয ভাবুন,শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসাবে নিজেকে অনুভব করুন, মানুয ধমের্র জন্য নয়, ধর্ম মানুযের জন্য ।
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সুইট টর্চার বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী একজন খাঁটি মুসলমান। তাঁর ঐ বক্তব্য ছিল বেশী আবেগ ঘন। কেননা উনার ধারনা দেশের সব হিন্দু জনগনই তাঁর দলের লোক যদিও আমি তা মনে করিনা। উনার আবেগ উথলে উঠলে তিনি এমনটা করেন এর আগেও উনাকে এই জন্য খেসারত দিতে হয়েছে। আপনার লেখা বক্তৃতাটা অনেক যথোপযুক্ত। উনার উচিত এ ধরনের অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য প্রদান করা। আল্লাহ উনাকে হেদায়াত নসিব করুন।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: পোষ্ট মাইনাচ । মানুষের জন্য ধর্ম, ধরমের জন্য মানুষ নয়।
সহমত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১২
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ক্ষমতার জন্য এই দুই মহিলা সব কইতে পারে। খালেদাও হিন্দুদের আহ্বান করেছেন, তার দলের সাথে যোগ দিতে।