| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-------------***---------------
শিশুকাল হতে বুঝবার বয়সের আগপর্যন্ত আমরা প্রত্যেকেই যখন বিটিভি-ই শুধু ছিলো একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম শুক্রবার, শনিবার কিংবা রবিবার আসলেই ছুটতাম যার বাড়ি টিভি আছে তার বাড়ি। মাটিতে বসে, গাছের ডালে বসে, জানালায় উঁকি দিয়ে কতো কষ্ট করে বিনোদন নিতাম।
সে সময়ের সিনেমা ছিলো রাজ্জাক,শাবানা, রোজিনা, সুচরিতা, ববিতা, ইলিয়াস কাঞ্চন, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারা বেগম অভিনীত। যেসব সিনেমার প্রায় প্রতিটির বিষয়বস্তু পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন সুখ-দুঃখের ঘটনা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিয়ের পর বউ আর শ্বশুরবাড়ির প্ররোচনায় গর্ভধারিণী মা ও নিজ পরিবারকে নির্মম কষ্ট দেয়ার ঘটনা। একটি সুখের সংসার স্বাভাবিকভাবে চলছে, ছেলে বিয়ে করার পর সব চিত্র পাল্টে যায় একটি নারীর আগমনে।
আমরা প্রত্যেকেই ঘৃণাভরে সেই নারী আর পুত্রকে ধিক্কার দিই। বলি-কি খারাপ!! গর্ভধারিণী মাকে, পরিবারকে বউয়ের জন্য কষ্ট দিচ্ছে।
অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয়ের মাধ্যমে যে শিক্ষা আমাদের বারবার দেবার চেষ্টা করেছেন আমরা সত্যিকার অর্থে কজন আছি তা গ্রহণ করেছি????
এখন আপনার আমার চারপাশে চোখ বুলালেই আমরা দেখতে পাই বউ আর শ্বশুর বাড়ির লোকের প্ররোচনায় পড়ে যে পরিবারের স্নেহ-মমতায় বেড়ে উঠেছি তাকেই ভুলে যাচ্ছি।
বউরা সব ভুলে শুধু "আমার ভবিষ্যত, আমাদের সন্তানের ভবিষ্যত"-এর কথা বলে পুরুষদের মাথা খেয়ে অভিশপ্ত জীবনচর্চায় অভ্যস্ত করছেন। পুরুষরাও অতীতভুলে বিপথগামী হচ্ছেন।
কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলো অবিরাম এই বিষয় নিয়ে নাটক বানিয়ে প্রচার করছে। বউরাও খুব মজা নিয়ে এসব দেখছেন। কিন্ত কজন বউ নিজেকে সংশোধন করছেন?? উল্টো সামাজিক অবক্ষয় দিনদিন তার মাত্রা ছাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
কারণ, আমরা শিখছি কিভাবে প্রতারণা প্রবঞ্চনার পথ প্রশস্ত করা যায়, নিত্যনতুন কলাকৌশল আবিষ্কার করছি। নাটক ও সিনেমার প্রকৃত ম্যাসেজটি আমরা নিতে পারছিনা।
জনৈক মহাজ্ঞানী বলেছেন-
"কোনকিছু উপভোগ না করে উপলব্ধি করুন।
উপভোগ দুর্ভোগের কারণ হয়, উপলব্ধি উত্তরণের পথ দেখায়।"
একটি ছোট্ট গল্প বলে শেষ করি-
একবার একছেলে তার প্রেমিকাকে বললো-আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
মেয়েটি বললো-তুমি আমাকে ভালোবাসো তার প্রমাণ কি?
ছেলে: কি প্রমাণ চাও? আমি তোমার জন্য সব করতে পারি।
মেয়ে: তোমার মায়ের হৃৎপিন্ড আমায় এনে দাও।
ছেলেটি তার মায়ের বুক চিরে প্রেমিকাকে দেবার জন্য হৃৎপিন্ডটি নিয়ে আসছিলো। পথিমধ্যে একটি পাথরের সাথে সে হোঁচট খেতেই হৃৎপিন্ডটি বলে উঠলো-
"লাগলো বাছা!!...?"
মা এমনই!!..
মমতাময়ী মা সর্বাবস্থায় সন্তানের কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই প্রার্থনা করেন না। তাই কোনকিছুর প্ররোচনায় পড়ে তাঁকে ভুলে যাবেনা।
নয়তো যে পিতামাতাকে, পরিবারকে বিপথে গিয়ে আজ কষ্ট দিচ্ছেন আপনিও সে একই কষ্টের কারাবরণ করবেন।
নিকট ভবিষ্যতে আপনার সন্তানরাই আপনার এই পাপের প্রতিদান দিতে প্রস্তুত হচ্ছে.....
---
১৫.০১.১৫
©somewhere in net ltd.