![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে সত্য মেনে নেয়া,কল্পনার মাঝে কম বসবাস করা।নিজের মাঝে মনুষত্ব্যকে খুজে ফিরি।
আপনিও যেমন বাংলাদেশের নাগরিক,তেমনি আমিও। তফাৎ হল কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ দেশের সেবা করার নামে নিজেদের আখের গুছানোতে ব্যাস্ত সেটা হয়তো আমি কিংবা আপনি নন। মুষ্টিমেয় মানুষ গুলো এই দেশ সেবার কৌশলকে বলেন রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত। পরিষ্কার করলে দারায়,রাজনীতি না করলে নাকি দেশ সেবা সঠিক ভাবে করা যায় না। তাই তারা শুধু রাজনীতি করেন।
আসল ব্যাপারটা কি হচ্ছে। আসলেই কি দেশ/জনগনের সেবা করার জন্য রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে দিয়েছেন। বেশির ভাগ উত্তর দাতার দাবী, দেশ/জনগনের সেবা করতে কখনও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার দরকার নেই।শুধু আমরাই বুঝি না।তাই বার বার বলিদানের পাঠা হয়ে হাজির হচ্ছি তাদের সামনে।
আজকে যে দেশে অশান্তি,জ্বালাও-পোড়াও,ধর্ষন,লুন্ঠন,মারামারি ইত্যাদি অহরহ ঘটছে,কিসের জন্য। এটাও কি দেশ/জনগনের সেবার একটা কৌশল?
রাজনীতিবিদদের একগাল হাঁসা উত্তর-এটা আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার।
জনগনের প্রশ্ন- কাদের জন্য এই গনতান্ত্রিক অধিকার আদায় করছেন।
রাজনীতিবিদ- জনগনের জন্য।
জনগন-যে অধিকার আদায়ের জন্য এই গুলা করছেন,তাতে জনগনের অধিকার আদায়ের বিপরীতে ক্ষতি হচ্ছে বেশি।
রাজনীতিবিদ- ক্ষতির পরেই তো উন্নতি আসবে।তাই আমরা এই অধিকার আদায় সংগ্রাম করছি।
জনগন-আমরা তো শান্তি চাই,আমরা ক্ষতির পর উন্নতি চাই না।পারলে শান্তি ফিরায়ে দেন,না পারলে বিদায় নেন। তবু এই ধ্বংস যজ্ঞ চালাবেন না।
রাজনীতিবিদ চুপ।আমার মনে হয় না,এমন কোন জনগন আছে যে এই ক্ষতির পর উন্নতির জোয়ারে ভাসতে চাইবেন। যারা এই কর্মকান্ড চালাচ্ছে কই তাদের তো কিছু হচ্ছে না,তারা পেট্রলের আগুনে ভস্মিভুত হচ্ছে না। তারা নাকে তেল দিয়ে দিব্বি ঘুমাচ্ছে। কথায় আছে আমরা জনগন হলাম ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা,তাই যত নাচুনে-কাদুনে আছে আমাদের ভাগ্যে আছে। রাজনীতিবিদরা তলে তলে সবাই একই বিছানায় ঘুমায়,একই বোতলে সুরা পান করে।
জনতা জনার্দন ভাবুন,সশস্র দিবসের অনুষ্ঠানে কি আপনি অথাবা আমার যাওয়ার সুযোগ হয়।জীবনে কোন দিন হবে কিনা সন্দেহ আছে। দেখুন যায় কারা,এক সাথে গাল গপ্প, হাঁসি-ঠাট্টা,সুরা পান করা।এগুলা দলমত নির্বিশেষে করা হয়। অধিকার আদায়ের নামে যে নারকিয় হত্যা যজ্ঞ ওটাই শুধু আমাদের মত অবহেলিত জনগনের জন্য উপহার রাখে।
বাঙালী মুর্খ না, বাঙালী সঠিক সময়ে জাগতে জানে,প্রতিবাদ করতে জানে। তবে আজ কেন চুপ। রাজনীতি করার নামে জনগনের অধিকার আদায়ের নামে,যে নিজ তফলা-তফলি পূর্ন করার কৌশল করছে ,কেন তা রুখে দিতে পারি না।
এখনি সময় সোচ্চার হবার।একসাথে রাজপথে নামবার।আসুন,প্রতিবাদ করি এই মিথ্যা অধিকার আদায়ের নামের নাটকের বিরুদ্ধে।
আমাদের অধিকার আমরাই আদায় করে নি।
আর একবার গলা ছেরে,চিৎকার করে বলি, “আমি বাঙালী, বাঙলা আমার ,বাঙলা তোমার”।
©somewhere in net ltd.